“কিং আয়রণ লিমিটেড কেস” [ কেস নং-৪০ ]

“কিং আয়রণ লিমিটেড কেস” [ কেস নং-৪০ ]

“কিং আয়রণ লিমিটেড কেস” [ কেস নং-৪০ ]

কিং আয়রণ লিমিটেড কেস

পাকিস্তান আমলে কিং আয়রণ লিমিটেড নামে একটি কাঁচা লোহা ও ইস্পাত প্রক্রিয়াজাত কোম্পানী আত্ম প্রকাশ করে। এই কোম্পানীর সত্ত্বাধিকারী ছিলেন মিঃ কাতের চৌধুরী। আগাখান সম্প্রদায়য়ের একজন অবাকালী। স্বাধীনতার পরে কোম্পানীটি রাষ্ট্রায়ত্ব করা হয়। কিন্তু সরকারী মালিকানার ভিত্তিতে পরিচালিত ব্যবসা খুব বেশিদিন চলতে পারেনি। সরকার আবার কোম্পানীটি বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

তখন কোম্পানীটির আদি মালিক মিঃ কাভের টাঃ কোম্পানীটি কেনার জন্য Bid দেয়। কোম্পানীটির দাম দর ঠি হয়ঃ কোটি টাকা, কিন্তু আগাখান সরকারের কাছ থেকে একটি শর্তের ভিত্তিতে কোম্পানীটি কিনে নেয়। শতটি হল মিঃ কাতের নীচ এখন ২ কোটি টাকা সরকারকে পরিশোধ করবে এবং বাকী ২ কোটি টাকা চুক্তি অনুযায়ী ১০টি কিস্তিতে পরিশোধ্য এবং পুরো টাকা কিন্তুি, অনুযায়ী পরিশোষিত না হলে কোম্পানীটির মালিকানা সরকার কাজের চৌঃ কে হস্তান্তর করবে না এমনকি শর্ত ভঙ্গ করলে সরকার পুনরায় অধিগ্রহন করবে।

এমতাবস্থায় মিঃ কাতেব চৌঃ তার ব্যাংকের সাথে লেনদেন বজায় রাখল এবং ব্যবসা চালানোর উদ্দেশ্যে ব্যাংক থেকে ঋণ নিল। কিন্তু মিঃ কাতের চৌঃ তার চুক্তির শর্তানুযায়ী কিন্তুি সরকারকে পরিশোধ করতে পারল না এবং এই প্রেক্ষিতে ১০ বছর পর নির্দিষ্ট মেয়াদপূর্তিতে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সরকার মিঃ কাতেব এর ব্যবসা অধিগ্রহন করল। এদিকে মিঃ কাতের চৌঃ যার সেতো লেন-দেন পরিচালনা করত সে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনাযুক্তও অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য মিঃ কারেন চৌঃ কে ক্ষণ লেবার

সময় তার আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে বিবেচনা বা পরবর্তীতে Follow up করেনি এবং আরও উল্লেখ্য যে তারা মিঃ কাতের চোর-এর ব্যাপারে কোন clearance govt. এর কাছ থেকে নেয়নি। এরূপ পরিস্থিতিতে ব্যাংকের ঋণ সুদসহ ৮ কোটি টাকায় উপনীত হয়। ব্যাংক দিয় কাকের চৌচ-এর বিরুদ্ধে মামলা করে এরপর মিরপুরে তার মালিকানার ২৬ বিঘা জমির ১০ বিঘা বিক্রি করে। মিঃ কাকের চৌধুরী ও ব্যাকের স্বপ্ন পরিতোষের মাধ্যমে মালিকানা ফেরৎ পাবার প্রস্তাব দেয়।

একজন ব্যাংকির এর ছাত্র হিসেবে বাপারটিকে আপনার কেমন মনে হয়েছে, ব্যাংক বা Client এর ব্যাপারে আপনার কোন উপদেশ আছে কি?

“মিঃ জুনায়েদ সিনহা কেস” [ কেস নং-৪১ ]

কিং আয়রণ লিমিটেড কেস

মিঃ জুনায়েদ সিনহা তার তিন পুরুষের ব্যবসার প্রতিনিধি। মূলতঃ প্রাথমিক জীবনে একজন ব্যাংকার হিসেবে তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেন। তার বাবা ফার্মাসিউটিক্যাল দ্রব্য উৎপাদনে জড়িত ছিলেন। তার পূর্ব পুরুষ ছিলেন পাট ব্যবসার সাথে সংযুক্ত। কোন একটি কারণে তার পূর্ব পুরুষ পাটের ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতির শিকার হন এবং সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার ঝুলি নিয়ে পাটের ব্যবসা পরিত্যাগ করে শেয়ার বাজারে ব্যবসার সূচনা করেন।

জনাব সিনহার পিতা ছিলেন একজন সমাজহিতৈষী ও জনদরদী ব্যক্তি। বর্তমানের রাইসা ল্যাবরেটরী অত্যন্ত ক্ষুদ্র পরিসরে কিন্তু পূর্ণ একাত্বায় সূচীত হয়েছিল তাঁর বাবারই হাতে। ব্যাংকের চাকুরী হতে অবসর গ্রহনের পর জনাব সিনহার রাইসা ল্যাবরেটরীর দায়িত্বভার গ্রহন করেন। তার বলিষ্ট নেতৃত্ব ও উদ্যোক্তা হিসেবে অসামান্য নৈপুন্য প্রদর্শন করে তিনি উক্ত ল্যাবরেটরীকে দেশের অন্যতম ঔষধ শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন যা কিনা দেশের যে কোন বহুজাতিক কোম্পানীর সাথে প্রতিযোগিতা করার ক্ষমতা রাখে।

বর্তমানে রাইসা নিয়মিতভাবে তার উৎপাদিত পণ্য বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে আসছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশে উক্ত কোম্পানীর শাখা অফিস খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় যে পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে খুব শীঘ্রই এটি একটি রপ্তানিমুখী বাংলাদেশী বহুজাতিক কোম্পানী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।

পাশাপাশি মিঃ জুনায়েদ সিনহা অন্যান্য ব্যবসাতেও আত্মনিয়োগ করেছেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় রেডিমেড গার্মেন্টস্, সোয়েটার ফ্যাক্টরী ইত্যাদি। কম্পিউটার ব্যবসা ও সফটওয়ার রপ্তানীর লক্ষ্যেও তিনি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েছেন। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, এই সকল ব্যবসায়ের উদ্যোগ গ্রহন ও সম্প্রসারনের জন্য তিনি নব্বই এর দশকে কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ব ও বেসরকারী ব্যাংকের সাথে প্রায় শত কোটি টাকার লেন-দেন করেছেন বলে জানা গেছে।

উক্ত অর্থ তিনি দীর্ঘ মেয়াদী, স্বল্পমেয়াদী, চলতি মূলধনী দল বাংক ওভার ড্রাফট প্রভৃতি পদ্ধতিতে গ্রহণ করেন। শিল্প প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় মেশিনারী আমদানীর লক্ষ্যে তিনি ব্যাংক হতে ঋণ এবং কোন কোন ক্ষেত্রে লীজ পদ্ধতিরও সাহায্য নেন। গৃহীত কণসমূহ তিনি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পেই সফলভাবে ‘বিনিয়োগ’ করেছেন এবং সময়মত ঋণ পরিশোধেও তিনি সচেতন ছিলেন। তবে সব সময় তিনি যে তা পেরেছেন, তাও নয়।

কিং আয়রণ লিমিটেড কেস

বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতিও তাকে মোকাবেলা করতে হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বলা যায় যে, নব্বই দশকের মাঝামাঝি একবার তিনি সময় মত ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন এবং কোনঅনিবার্য কারণবশতঃ ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেন নাই। পরবর্তী সময়ে অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, দীর্ঘ ব্যবসায়ীক জীবনে সেবারই প্রথম এধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ায় তিনি খুবই লজ্জিত হন এবং ব্যাংকের সাথে যোগাযোগে সংকোচ বোধ করেন।

অথচ ব্যাংক অন্য সূত্র হতে জানতে পারে যে, তার দেনাদারগণ সময় মত তার অর্থ প্রতিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে এই অবস্থার শিকার হতে হয় এবং ব্যাংক এণ্ড জানতে পারে যে, উক্ত দেনা পরিশোষের জন্য অন্য সূত্র হতে অর্থ সংগ্রহের ব্যাপারে তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচেছন। উক্ত মনোভাব এবং প্রচেষ্টা তাকে শুধু ব্যাংকের কাছেই সম্মুজ্জ্বল করে তোলে না বরং একজন সৎ ও নীতিবান ব্যবসায়ী হিসেবেও সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে।

আর তাই ব্যাংকগুলো তাকে একজন প্রথমসারির ঋণগ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত করে বারংবার ঋণ প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করে। ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান হিসেবে তিনি তার পূর্ব পুরুষদের সুনামের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সম্পূর্ণরূপে সফল। নিজ এলাকায়ও তার জনদরদী কর্মকান্ডে তিনি একজন সুখ্যাত এবং সুজন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তিনি একজন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদও বটে। ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি ব্যাংকের সাথে অত্যন্ত সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন এবং একই সাথে একজন রাজনীতিবিদ হিসেবেও তিনি এলাকার জনগনের প্রতি অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment