খুচরা ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং-এর মধ্যে ক্রেডিট কার্ড একটি বহুল জনপ্রিয় প্রক্রিয়া। সাধারণতঃ Credit Worthin আমানতকারীর হিসাবে যথেষ্ট টাকা থাকলে গ্রাহককে ঝাঁকে এই ধরনের প্লাষ্টিক কার্ড সরবরাহ করে। গ্রাহক হিসাবে ডেবিট নের পর সত্ত্বেও গ্রাহকরা এ কার্ড ব্যবহার করতে পারে। সাধারণতঃ ক্রে-ডিট কার্ডে মক্কেলের লেনদেন পরিশোধের জন্য তার স্বপ্ন একটিটি এি করা হয়। নির্দিষ্ট সংখ্যক দোকানে বা প্রতিষ্ঠানের পণ্য সেবার মূল্য পরিশোধের জন্য বা ক্ষেত্র বিশেষে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ অর্থ উত্তোলনের জন্যে এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা হয়।
Table of Contents
ক্রেডিট কার্ড [ Credit Card ]
Credit Card-এর ইতিহাস :
১৯৫১ সালে Franklin National Bank সর্বপ্রথম ক্রেডিট কার্ড প্রচলন করে। ১৯৫০ এর শেষের দিকে Bank of America Chay manhattan এবং Marine Midland Trust. Charge কার্ড চালু করেছিল। Bank of America তার বাঞ্চ নেটওয়ার্কের সহায়তার “Bank Amaricard” নামের ক্রে-ডিট কার্ডটির মাধ্যমে ক্যালফোর্নিয়াতে জনপ্রিয়তা লাভ করে। ১৯৬৬ সালে ব্যাংক অব আমেরিকা তার এই ক্রে-ডিট কার্ড ভীম চালু করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এবং অন্যান্য দেশের ব্যাংকগুলোকে লাইসেন্স দেয়। বর্তমানে পৃথিবীতে অন্যম প্রচলিত ক্রেডিট কার্ড হল VISA, MASTER Card, American Express, Gold Card ইত্যাদি।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার প্রক্রিয়া (Mechanism of using Credit Card) :
ব্যাংকসহ অন্যবিধ আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের মূল্যবান, দায়িত্বশীল গ্রাহকদের সনাক্ত করার জন্য ক্রে-ডিট কার্ড ইস (Issue) করে থাকে। এই কার্ডের মাধ্যমে নির্দিষ্ট জায়গায় পণ্য বা সেবা ক্রয় করে বা অন্যান্যভাবে দক্ষ করে বিল পরিশোধ করা যায়। এই কার্ডের মাধ্যমে অনেক সময় নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ টাকাও অগ্রিম নেয়া যায়। ক্রেডিট কার্ডে খরচ করার জন্য কার্ড ইসকারি প্রতিষ্ঠান তার গ্রাহকদের প্রায়শঃ একটি অনুগ্রহ সময় দিয়ে থাকে।
এই অনুগ্রহ সময়ের মধ্যে গ্রাহক যদি তার কার্ড ইস্যুকারী কারে কেনাকাটার পরিশোধের কারণে হিসাব থাকা জেরের অতিরিক্ত টাকা জমা করে দেয় তবে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক গ্রাহকের জন্য পর পরিশোধের টাকার উপর কোন সুদ আরোপ করে না। কিন্তু অনুগ্রহ সময় যা সাধারণত ১৫ দিন হয়ে থাকে তা যদি পার হয়ে যায় তবে ব্যাংক কর্তৃক পরিশোধিত অতিরিক্ত টাকার উপর গ্রাহককে সুদ দিতে হয়।
যখন একজন ক্রেডিট কার্ডের ধারক Cholder) কোন পণ্য বা সেবা ক্রয় করে টাকার বিনিময়ে ক্রেডিট কার্ড (Credit Card)-এর বিল পরিশোধ করার জন্য দোকানদার /ব্যবসায়ীকে কাডটি দেয় তখন ব্যবসায়ী ফোন করে বা অন্যান্য উপায়ে কার্ডটি নকল বা অসে কিনা তা জেনে নেয় এবং কার্ড মালিকের ক্রেডিট লিমিট কতটুকু তা জেনে নেয়।
যদি ব্যবসায়ী কার্ড (Cand) মালিকের কাপর সন্ধোকজনক তথ্য পায় তবে পণ্য বা সেবার দামের জন্য কার্ড মালিকের নাম, কার্ড কোম্পানীর নাম, কার্ড নম্বর অন্যান্য তথ্য সম্বলিত বিল তৈরি করে কার্ড মালিক থেকে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। বিলের একটি কপি কার্ড-এর মালিককে দেয়া হয়। ব্যবসায়ী এই বিলের কপি তার ব্যাংকে জমা দেয় এবং ব্যবসায়ীর ব্যাংক কার্ড মালিকের প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে কার্ড ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠান কার্ডের মালিক থেকে ঐ টাকা সংগ্রহ করে।
ক্রেডিট কার্ডের ঝুঁকি ও প্রয়োজনীয় আইনগত কাঠামো (Risk of credit card & its necessary legal Framework) :
হাতে-কলমের পদ্ধতির চেয়ে এ পদ্ধতি অনুসরণ করলে ঝুঁকি বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। সকল কার্ড বর্তমানে নকল করা হয়ে এছাড়াও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে তথ্য ফাঁস করে ঝাপকভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে। মক্কেল, মার্চেন্ট এবং বাংকের স্বার্থ সংরক্ষনের জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত কাঠামো তৈরি ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার জন্যও প্রয়োজনীয় আইন সংস্কার জরুরী।
আরও পড়ুনঃ