অবসায়ন কার্যধারার দ্রুত নিষ্পত্তি । ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১

অবসায়ন কার্যধারার দ্রুত নিষ্পত্তি

ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১

৭৮। অন্যান্য আইনের উপর সপ্তম খণ্ডের প্রাধান্য। কোম্পানী আইন বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন, বা অন্য কোন আইনে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রণীত বা তদধীনে বলবৎ কোন দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই খণ্ডের বিধানাবলী এবং উহার অধীন প্রণীত বিধি কার্যকর থাকিবে। তবে উক্ত আইন বা অন্য কোন আইন বা দলিলের বিধান যদি এই খণ্ড বা উহার অধীনে প্রধীত বিধির দ্বারা পরিবর্তিত না হয়, বা উহার সহিত অসমাস্য না হয়, তাহা হইলে উহা এই খণ্ড বা তদধীন প্রণীত বিধির অধীনে গৃহীত কার্যধারার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।

অবসায়ন কার্যধারার দ্রুত নিষ্পত্তি । সপ্তম খন্ড। ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ । পরিশিষ্ট - ৪

অবসায়ন কার্যধারার দ্রুত নিষ্পত্তি । ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১

৭৯। ব্যাংক-কোম্পানীর সকল দাবীর ব্যাপারে হাইকোর্ট বিভাগের সিদ্ধান্ত প্রদানের ক্ষমতা। কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়ন আদেশে প্রদত্ত হইবার বা এই আইন প্রবর্তিত হইবার পূর্বে বা পরে নিম্নবর্ণিত বিষয়াবলী যখনই উত্থাপিত হউক, হাইকোর্ট বিভাগ, ধারা ৮০তে ভিন্নতর কোন সুস্পষ্ট বিধান না থাকিলে, উহা বিবেচনা ও উহাদের উপর সিদ্ধান্ত প্রদান করিতে পারিবে, যথা

(ক) অবসায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানী এবং বাংলাদেশে অবস্থিত উহার শাখাসমূহ কর্তৃক বা উহাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দাবী

(খ) অবসায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে কোমপানী আইনের Section 153 এর অধীন দাখিলকৃত কোন আবেদন বা

(গ) অবসায়ন কার্যধারার যে কোন পর্যায়ে উত্থাপিত অবসায়নাধীনে ব্যাংক-কোম্পানী সম্পর্কিত অগ্রাধিকার বিষয়ক বা অন্য যে কোন আইনগত বা ঘটনাগত প্রশ্ন।

৮০। বিচারাধীন মামলা স্থানান্তর। (১) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যাপারে অবসায়ন আদেশ প্রদত্ত হইলে উহার দ্বারা বা উহার বিরুদ্ধে, এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে বা উক্ত অবসায়ন আদেশ অনুরূপ প্রবর্তনের পরে প্রদত্ত হইলে, উহা প্রদানের তারিখের পূর্বে কোন আদালতে দায়েরকৃত কোন মামলা বা কার্যধারা যদি এই আইনের অধীনে শুধু মাত্র হাইকোর্ট বিভাগে বিচার্য হয়। তাহা হইলে উহার কার্যধারা অতঃপর বিযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ ব্যতিরেকে অগ্রসর হইবে না।

(২) অসায়ন আদেশ প্রদানের বা এই আইন প্রবর্তনের তারিখের মধ্যে যে তারিখ পরবর্তী হয় সেই তারিখ হইতে তিন মাসের মধ্যে, বা হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক বর্ণিত সময়ের মধ্যে, সরকারী অবসায় বিস্তারিত বিবরণসহ উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত বিচারাধীন মামলা বা কার্যধারা সমম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন হাইকোর্ট বিভাগের নিকট দাখিল করিবে।

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর, হাইকোর্ট বিভাগ সংগত মনে করিলে, বিচারাধীন মামলা বা কার্যধারা কেন উহার নিকট হস্তান্তর করা হইবে বা তৎসমপর্বে সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে কারণ দর্শাইবার সুযোগ প্রদান করিয়া ধারা ৯৭ এর অধীন প্রণীত বিধিতে বিস্তৃত পদ্ধতিতে বিষয়টি তদন্ত করিবার পর উক্ত মামলা বা কার্যধারা উহার নিকট স্থানান্তরের আদেশ নিতে পারিবে, এবং এইরূপ আদেশ প্রদত্ত হইলে স্থানান্তরকৃত মামলা বা কার্যধারা হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক নিষ্পত্তিকৃত হইবে।

(৪) কোন বিচারাধীন মামলা বা কার্যধারা উপ-ধারা (৩) এর অধীন স্থানান্তর করা না হইলে উহা যে আদলতে বিচারাধীন ছিল সেই আদালতেই নিষ্পত্তি হইবে।

অবসায়ন কার্যধারার দ্রুত নিষ্পত্তি । সপ্তম খন্ড। ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ । পরিশিষ্ট - ৪

৮১। দেনাদারগণের তালিকা (১) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহাই থাকুক না কেন, অতঃপর বিবৃত পদ্ধতিতে হাইকোর্ট বিভাগ অবসায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানীর সেনাদারগণের তালিকা চূড়ান্ত করিতে পারিবে।

(২) ধারা ১২০ এর অধীন প্রণীত বিধি সাপেক্ষে, অসায়ন আদেশ প্রদানের বা এই আইন প্রবর্তনের তারিখের মধ্যে যে তারিখ পরবর্তী হয় সেই তারিখ হইতে ছয় মাসের মধ্যে বা হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক বর্ণিত সময়ের মধ্যে সরকারী অবসায়ক, সময় সময়, দ্বিতীয় তফসিলে বিধৃত বিবরণসহ উক্ত সেনাদরগণের তালিকা হাইকোর্ট বিভাগে দাখিল করিবেন।

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন দাখিলকৃত তালিকা প্রাপ্তির পর হাইকোর্ট বিভাগ, প্রয়োজন মনে করিলে উক্ত তালিকার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সকল ব্যক্তির উপর নোটিশ জারী করিবে, এবং ধারা ৯৭ এর অধীন প্রণীত বিধি মোতাবেক তদন্তের পর সোনাদারগণের তালিকা সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে চূড়ান্ত করিবে।

(৪) উক্ত তালিকা চূড়ান্তকরণের সময় হাইকোর্ট বিভাগ প্রত্যেক দেনাদারের প্রাপ্য টাকা প্রদানের জন্য আদেশ দিবে এবং জামিনদারের বিরুদ্ধে প্রার্থিত প্রতিকরসহ অন্য কোন প্রতিকার এবং জামানত আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য আদেশও প্রদান করিবে।

(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ, ব্যাংক-কোম্পানী এবং যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদেশ প্রদত্ত হইয়া সে ব্যক্তি উক্ত ব্যক্তির মাধ্যমে বা অধীনে দাবীকারী সকল ব্যক্তির ক্ষেত্রে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপীলের বিধান সাপেক্ষে চূড়ান্ত হইবে এবং এইরূপ আদেশ দেওয়ানী মোকাদ্দমার ডিগ্রী বলিয়া গণ্য হইবে।

(৬) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রদত্ত আদেশের ব্যাপারে হাইকোর্ট বিভাগ একটি সার্টিফিকেট প্রদান করিবে যাহা ডিক্রী জারীসহ অন্য সকল ক্ষেত্রে ডিক্রির প্রত্যয়নকৃত অবিকল অনুলিপি বলিয়া গণ্য হইবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত বিষয়ের উল্লেখ থাকিবে, যথা :-

(ক) মঞ্জুরীকৃত প্রতিকার

(খ) যে পক্ষের বিরুদ্ধে উক্ত প্রতিকার মঞ্জুর করা হইয়াছে সেই পক্ষের নাম ও অন্যান্য বিবরণ .

(গ) মঞ্জুরীকৃত খরচের পরিমাণ

(ঘ) কোন তহবিল হইতে এবং কাহার যারা ও কি পরিমাণে উক্ত খরচ প্রদান করা হইবে তৎবিষয় :

(৭) দোনদারদের তালিকা চূড়ান্ত করার সময় বা উহার পূর্বে বা পরে যে কোন সময় হাইকোর্ট বিভাগের নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা থাকিবে, যথাঃ-

(ক) সরকারী অবসায়কের আবেদনক্রমে কোন দেনাদারের ব্যাপারে ব্যাংক-কোম্পানীকে জামানত হিসাবে প্রদত্ত কোন সম্পত্তির উদ্ধার, ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ এবং বিক্রির জন্য আদেশ প্রদান

(খ) দফা (ক) তে উল্লিখিত আদেশ কার্যকর করার জন্য সরকারী অবসায়ককে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান

(৮) হাইকোর্ট বিভাগ কোন ঋণের ব্যাপারে কোন আপোষ মীমাংসা অনুমোদন করিতে এবং কোন ঋণ কিস্তিতে পরিশোধের আদেশ দিতে পারিবে।

(৯) কোন ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে একতরফাভাবে দেনাদারদের তালিকা চূড়ান্ত করা হইলে, উক্ত ব্যক্তি, তালিকার চূড়ান্তকরণ আদেশ প্রদানের ত্রিশ দিনের মধ্যে, তালিকায় যে অংশের সহিত তিনি সংশ্লিষ্ট সেই অংশ পরিবর্তন করার জন্য হাইকোর্ট বিভাগের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন এবং হাইকোর্ট বিভাগ যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, তিনি যথাযথ কারণে তালিকা চূড়ান্তকরণের তারিখে অনুপস্থিত ছিলেন ব্যাংক-কোম্পানীর দাবীর বিরুদ্ধে তাহার আত্মপক্ষ সমর্থনের মত পর্যাপ্ত যুক্তি রহিয়াছে, তাহা হইল হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত তালিকা পরিবর্তন করিতে পরিবে এবং ঐ বিষয়ে, যেরূপ সংগত বলিয়া বিবেচিত হয়, সেইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পরিবে ।

তবে শর্ত থাকে, যে, হাইকোর্ট বিভাগ যথাযথ বিবেচনা করিলে উক্ত ত্রিশ দিন অতিক্রান্ত হইবার পরেও কোন আবেদন বিবেচনা করিতে পরিবে

(১০) এই ধারার কোন কিছুই-

(ক) কোন তৃতীয় পক্ষের স্বার্থযুক্ত এমন কোন ঋণের প্রতি প্রযোজ্য হইবে না যাহা অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রাখিয়া গৃহীত হইয়াছে; বা

(খ) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনের অধীনে ব্যাংক-কোম্পানীর প্রাপ্য ঋণ আদায় করার ব্যাপারে সরকারী অবসায়কের অধিকার ক্ষুন্ন করিবে না।

৮২ প্রদায়ক কর্তৃক (Contributaries) টাকা প্রদানের বিশেষ বিধান। কোম্পানী আইনের Section 184 এর অধীন প্রদায়কগণের তালিকা চূড়ান্ত না হওয়া সত্ত্বেও, অবসানে আদেশ প্রদানের পরে যে কোন সময় হাইকোর্ট বিভাগ, প্রয়োজনীয় বা সমীচীন মনে করিলে, এমন যে কোন প্রদায়ককে ওলব করিতে, বা তৎকর্তৃক প্রদেয় টাকা পরিশোধ করিতে আদেশ দিতে পারিবে যিনি সরকারী অবসায়ক কর্তৃক প্রদায়কদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হইয়াছেন অথচ উক্ত অন্তর্ভুক্তির বিরুদ্ধে বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য উপস্থিত হন নাই।

৮৩। ব্যাংক-কোম্পানীর দলিল সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ। (১) অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর হিসাব বই এবং অন্যান্য দলিলে লিপিবদ্ধ সকল বিষয় উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পক্ষে বা বিপক্ষে সকল কার্যধারার সাক্ষ্য হিসাবে গৃহীত হইবে।

(২) ব্যাংক-কোম্পানী হিসাবের বই এবং অন্যান্য দলিল-পত্র বা উহাদের অনুলিপি উপস্থাপন করিয়া উহাতে লিপিবন্ধ বিষয় প্রমাণ করা যাইতে পারে

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত অনুলিপি প্রমাণের ক্ষেত্রে, উহা সরকারী অবসায়ক কর্তৃক এই মর্মে সত্যায়িত হইবে যে, উহা মূল লিপির অবিকল অনুলিপি এবং ব্যাংক-কোম্পানীর যে হিসাব বই বা অন্যান্য দলিলে উহা লিপিবদ্ধ আছে তাহা তাহার নিকট রক্ষিত আছে।

(৩) Evidence Act, 1872 (Act of 1872) তে ভিন্নরূপ কোন কিছু থাকা সত্ত্বেও, এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে যে ব্যাংক- কোম্পানীর ব্যাপারে অবসানে আদশে প্রদত্ত হইয়াছে উহার পরিচালকদের বিরুদ্ধে ব্যাংক-কোম্পানীর হিসাব বইতে বা অন্যান্য দলিলে লিপিবন্ধ সকল বিষয়ই তৎসশ্লিষ্ট সকল ব্যাপারে সত্যতার প্রাথমিক সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে।

অবসায়ন কার্যধারার দ্রুত নিষ্পত্তি । সপ্তম খন্ড। ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ । পরিশিষ্ট - ৪

৮৪। পরিচালকদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং হিসাব নিরীক্ষা। (১) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের আদেশ প্রদান করা হইয়া থাকিলে, সরকারী অবসায়ক, তাহার মতে, র ব্যাংক-কোম্পানী গঠনের তারিখ হইতে উহার গঠনের সংগে জড়িত কোন ব্যক্তির কোন কাজ করা বা না করার জন্য বা উহার কোনপরিচালক বা অডিটরের কোন কাজ করা বা না করার জন্য উহার কোন ক্ষতি হইয়াছে কিনা তৎসম্পর্কে একটি প্রতিবেদন হাইকোর্ট বিভাগে দাখিল করিবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন দাখিলকৃত প্রতিবেদন বিবেচনান্তে যদি হাইকোর্ট বিভাগ এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, ব্যাংক-কোম্পানীর গঠন বা গঠনের উদ্যোগ গ্রহণের সহিত জড়িত কোন ব্যক্তি, পরিচালক বা নিরীক্ষককে প্রকাশ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত, তাহা হইলে হাইকোর্ট বিভাগ এতদুদ্দেশ্যে তৎকর্তৃক নির্ধারিত তারিখে একটি প্রকাশ্য অধিবেশন করিবে এবং উক্ত ব্যক্তি, পরিচালক বা নিরীক্ষককে উক্ত অধিবেশনে উপস্থিত থাকিবার জন্য এবং ব্যাংক-কোম্পানীর গঠন, গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ এবং পরিচালনার বিষয়ে এবং তৎসংশ্লিষ্ট তাঁহার কার্যকলাপ সম্পর্কে তাহাকে জেরা করার জন্য নির্দেশ দিবেঃ তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ কোন জেরা কেন করা হইবে না তাহার বিরুদ্ধে কারণ দর্শাইবার সুযোগ না দিয়া কোন ব্যক্তিকে জেরা করা হইবে না।

(৩) এইরূপ জেরায় সরকারী অবসায়ক অংশ গ্রহণ করিতে পরিবেন, এবং তিনি এতদুদ্দেশ্যে হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইলে, উক্ত বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত কোন আইনডাকে নিয়োগ করিতে পারিবেন।

(৪) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর কোন পাওনাদার বা প্রদায়ক উক্ত জেরায় ব্যক্তিগতভাবে বা হাইকোর্ট বিভাগে আইন ব্যবসা করিতে পারে এইরূপ কোন ব্যক্তির মাধ্যমে জেরায় অংশ গ্রহণ করিতে পরিবেন।

(৫) এই ধারার অধীন কোন ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণের পর জেরা করা হইবে এবং উক্ত জেরায় তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বা তৎকর্তৃক অনুমোদিত যে কোন প্রশ্নের জবাব দিবেন।

(৬) এই ধারার অধীন জেরার সম্মুখীন হইবার জন্য আদেশপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি তাঁহার নিজ খরচে হাইকোর্ট বিভাগে আইন করিতে পারেন এইরূপ কেন ব্যক্তিকে নিয়োগ করিতে পারিবেন এইরূপ নিয়োজিত ব্যক্তি জেরার সম্মুখীন ব্যক্তিকে তৎপ্রদত্ত কোন ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে উক্ত বিভাগ কর্তৃক যথাযথ বলিয়া বিবেচিত, যে কোন প্রশ্ন করিতে পারিবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, হাইকোর্ট বিভাগ যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, জেরার সম্মুখীন ব্যক্তি তাঁহার বিরুদ্ধে আনীত বা ইংগিতকৃত কোন অভিযোগ হইতে মুক্ত, তাহা হইলে উক্ত বিভাগ যেরূপ সংগত বলিয়া বিবেচনা করে সেইরূপ খরচ তাঁহাকে মঞ্জুর করিতে পারিবে।

(৭) জেরার মাধ্যমে প্রাপ্ত বিবৃতি লিপিবদ্ধ করা হইবে, এবং জেরাকৃত ব্যক্তি কর্তৃক উহা পঠিত হইবার বা তাহাকে পড়িয়া শোনানোর পর উহাতে তাঁহার যাক্ষর গ্রহণ করা, হইবে এবং এইরূপ বিরতি-

(ক) কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী কার্যধারায় তাঁহার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার করা যাইবে..

(খ) পরিদর্শনের জন্য বা উহার অনুলিপি সংগ্রহের জন্য, যুক্তিসংগত সময়ে যে কোন পাওনাদার বা প্রদায়ককে সুযোগ দেওয়া হইবে।

(৮) প্রতারণামূলক অপরাধ সংগঠিত হউক বা না হউক, অনুরূপ জেরার মাধ্যমে প্রাপ্ত বিবৃতি পরীক্ষান্তে হাইকোর্ট বিভাগ যদি এইরূপ অভিমত শোষণ করে যে,

(ক) যে ব্যক্তি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক ছিলেন তিনি কোন কোম্পানীর পরিচালক হওয়ার যোগ্য ছিলেন না। বা

(খ) যে ব্যক্তি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর নিরীক্ষক বা অনুরূপ নিরীক্ষকের কাজে নিয়োজিত ফার্মের কোন অংশীদার ছিলেন তিনি কোন কোম্পানীর নিরীক্ষক বা অনুরূপ নিরীক্ষকের কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হওয়ার যোগ্য নহেন, তাহা হইলে, উক্ত বিভাগ এই মর্মে আদেশ দিতে পারে যে, উক্ত ব্যক্তি উক্ত বিভাগের অনুমতি ব্যতিরেকে, আদেশে নির্ধারিত সময়ের জন্য যাহা পাঁচ বৎসরের বেশী হইবে না

(অ) কোন কোম্পানীর পরিচালক হইবেন না : বা

(আ) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন কোম্পানীর পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট থাকিবেন না বা অংশগ্রহণ করিবেন না বা

(ই) কোন কোমপানীর নিরীক্ষক বা অনুরূপ নিরীক্ষকের কাজে নিয়োজিত কোন প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হিসাবে কাজ করিবেন না।

৮৫। দোষী পরিচালক, ইত্যাদি সম্পর্কে বিশেষ বিধান।– (১) কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক উহার কোন উদ্যোক্তা, পরিচালক, ম্যানেজার, অবসাকে বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন অর্থ বা সম্পদ ফেরৎ পাইবার দাবীতে হাইকোর্ট বিভাগের নিকট কোনপানী আইনের Section 235 এর অধীন আবেদন করা হইলে, আবেদনকারী যদি উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রথমল ধারণার উপর তাহার অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত করিতে পারেন তাহা হইলে উক্ত বিভাগ উক্ত ব্যক্তিকে, দাবীকৃত অর্থ বা সম্পদ ফেরৎ দেওয়ার জন্য আদেশ দিবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে তিনি উহা ফেরৎ দেওয়ার জন্য বাধ্য নহেন

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত আদেশ যদি যৌথভাবে উক্ত দুই বা ততোধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেওয়া হয়, তাহা হইলে তাঁহারা সকলেই যৌথভাবে এবং এককভাবে উক্ত অর্থ বা সম্পত্তি ফেরৎ দিতে বাধ্য থাকিবে।

(২) যদি কোম্পানী আইন Section 235 এর অধীন হাইকোর্ট বিভাগের নিকট কোন আবেদন করা হয় এবং যদি উক্ত বিভাগের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর কোন উদ্যোক্তা, পরিচালক, ম্যানেজার, অবসায়ক বা কর্মকর্তা, তাঁহার স্বনামে বা বাহ্যতঃ অন্য কোন ব্যক্তির নামে কোন সম্পত্তির মালিক, তাহা হইলে উক্ত বিভাগ উপ-ধারা (১) এর অধীন আদেশ প্রদানের পূর্বে বা পরে যে কোন সময় উক্ত সম্পত্তি বা উক্ত বিভাগ কর্তৃক সংগত বলিয়া বিবেচিত উহার কোন আশ বিশেষ ক্রোকের নির্দেশ দিতে পারিবে এবং এইরূপ ক্লোককৃত সম্পত্তি যদি বাহ্যতঃ অন্য কোন ব্যক্তির নামে থাকে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি উক্ত বিভাগের সপ্তষ্টিমত তাহার প্রকৃত মালিকানা প্রমাণ না করা পর্যন্ত উক্ত সম্পত্তি ক্লোককৃত থাকিবে এবং Code of Civil Procedure, 1908 (Act V of 1908)-এর ক্লোক সম্পর্কিত বিধানাবলীর যতটুকু প্রযোজ্য হয় ততটুকু উক্ত কোকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।

৮৬। সম্পত্তি উদ্ধার, ইত্যাদিতে ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক ও কর্মকর্তাগণ কর্তৃক সাহায্য প্রদানের দায়িত্ব :- অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর প্রত্যেক পরিচালক ও কর্মকর্তা, সরকারী অবসায়ক কর্তৃক অনুরুদ্ধ হইলে তাঁহাকে উহার সম্পত্তি উদ্ধার ও বিলিবণ্টনের ব্যাপারে সাহায্য করিবেন।

৮৭। অবাসয়নাধীন ব্যাংক-কোমপানী সম্পর্কিত অপরাধের শাস্তির বিশেষ বিধান। (১) অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক- কোম্পানীর উদ্যোক্তা বা উহা গঠনের সহিত জড়িত কোন ব্যক্তি বা উহার কোন পরিচালক, ম্যানেজার বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোম্পানী আইন বা এই আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ থাকিলে, হাইকোর্ট বিভাগ সংগত বিবেচনা করিলে, উক্ত অভিযোগ স্বয়ং বিচারার্থ গ্রহণ করিতে এবং সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে উহার বিচার করিতে পারিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন অপরাধের বিচারের সময় হাইকোর্ট বিভাগ একই সংগে এইরূপ অন্যান্য অপরাধেরও বিচার করিতে পারিবে যাহা উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত হয় নাই অথচ অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে, উহা সংঘটনের দায়ে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898)-এর অধীন উক্ত একই মামলায় অভিযোগ আনয়ন করা যায়।

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার্য মামলায়-

(ক) হাইকোর্ট বিভাগ-

(অ) কোন সাক্ষীকে সমন না দিতেও পারে যদি উহার বিবেচনায় তাহার সাক্ষ্য গুরত্বপূর্ণ না হয়

(আ) ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রয়োজনীয় মনে না করিলে মামলার কার্যধারা মূলতবী করিতে বাধ্য থাকিবে না।

(ই) কোন শাস্তি প্রদানের পূর্বে উহার রায়ে সাক্ষ্যের সারাংশ এবং Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) এর Section 263 তে উল্লিখিত বিষয়সমূহের যতটুকু প্রযোজ্য হয় ততটুকু লিপিবন্ধ করিবে মামলায়

(খ) of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) এর Section 263 (২) এর বিধান উত্তরূপ প্রযোজ্য হইবে না।

(৪) এই আইন বা কোম্পানী আইনের অধীন অবস্থায়ন সম্পর্কিত কোন অপরাধ উপ-ধারা (১) এর উল্লিখিত কোন ব্যক্তি কর্তৃক সংঘটিত হইয়া থাকিলে উহা যদি উক্ত উপ-ধারার অধীন সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার করা না হয়, তাহা হইলে উক্ত আইন বা Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহাই থাকুক না কেন, উ ব্যাংক-কোম্পানীর অবসানে কার্যধারার সহিত সংশ্লিষ্ট বিচারক ব্যতীত হাইকোর্ট বিভাগের অন্য কোন বিচারক কর্তৃক বিচারার্থে গ্রহণ এবং বিচার করা হইবে।

(৫) Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, হাইকোর্ট বিভাগ, উহার নিকট অভিযুক্ত ব্যক্তি বিচারের জন্য প্রেরিত না হইলেও, এই আইনের অধীনে সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ করিতে পারিবে।

অবসায়ন কার্যধারার দ্রুত নিষ্পত্তি । সপ্তম খন্ড। ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ । পরিশিষ্ট - ৪

৮৮। কতিপয় ক্ষেত্রে ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক, ইত্যাদিকে প্রকাশ্যে জেরা।- (১) যে ক্ষেত্রে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যাপারে আপোষ-মীমাংসা বা অন্য কোন ব্যবস্থা অনুমোদনের জন্য কোম্পানী আইনের Section 153 অধীন আবেদন করা হয়, বা যে ক্ষেত্রে উত্তরূপ অনুমোদন ইতিপূর্বেই প্রদত্ত হইয়াছে, এবং হাইকোর্ট বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংক প্রদত্ত প্রতিবেদন বা অন্য কিছুর ভিত্তিতে, এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী গঠনের উদ্যোগে বা উহার গঠনে অংশ গ্রহণ করিয়াছেন বা উহার পরিচালক বা নিরীক্ষক হিসাবে কার্যরত ছিলেন বা আছেন এইরূপ কোন ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে জেরা করা প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে উক্ত বিভাগ উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ জেরার জন্য নির্দেশ নিতে পরিবে এবং ধারা ৮৪ এ বিধান অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে যেরূপ প্রযোজ্য হয়, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রেও যতদুর সম্ভব সেইরূপ প্রযোজ্য হইবে ।

(২) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যাপারে কোম্পানী আইনের Section 153 এর অধীনে কোন আপোষ-মীমাংসা বা ব্যবস অনুমোদন করা হইলে, উক্ত আইনের এবং এই আইনের ধারা ৮৫ এর বিধানাবলী কোন অবসায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে যেরূপ প্রযোজ্য হয় উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে যতদুর সম্ভব সেরূপ প্রযোজ্য হইবে যেন উক্ত আপোষ-মীমাংসা বা ব্যবস্থা অনুমোদনের আদেশ ছিল উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের আদেশ।

(৩) যেক্ষেত্রে সরকার ধারা ৭৭ এর অধীনে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পুনর্গঠনের বা একত্রীকরণের স্কীম অনুমোদন করে। এবং সরকার এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী গঠনের উদ্যোগে বা গঠনে অংশ গ্রহণ করিয়াছেন, অথবা উহার পরিচালক বা নিরীক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন বা আছেন এইরূপ কোন ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে জেরা করা প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে ব্যক্তিকে জেরার জন্য সরকার হাইকোর্ট বিভাগের নিকট আবেদন করিতে পারে, এবং উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক প্রতারণামূলক কোন অপরাধ সংঘটিত হইয়া থাকুক বা না থাকুক, অনুরূপ জেরার পর যদি হাইকোর্ট বিভাগ এইরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, তিনি কোন কোম্পানীর পরিচালক বা নিরীক্ষক হিসাবে কাজ করার বা নিরীক্ষকের কাজে নিযুক্ত কোন প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হওয়ার অযোগ্য, তাহা হইলে সরকার এই মর্মে আদেশ দিতে পারে যে, উক্ত ব্যক্তি সরকারের অনুমতি ব্যতিরেকে আদেশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, যাহা পাঁচ বৎসরের বেশী হইবে না, কোন কোম্পানীর পরিচালক হইতে পারিবে না, অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন কোম্পানীর সংশ্লিষ্ট হইতে বা উহার ব্যবস্থাপনায় অংশ গ্রহণ করিতে পরিবেন না, অথবা কোন কোম্পানীর নিরীক্ষক হিসাবে কাজ করিতে, বা নিরীক্ষকের কাজে নিযুক্ত কোন প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হইতে পারিবেন না।

(৪) ধারা ৭৭ এর অধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানী পুনর্গঠন বা একত্রীকরণ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হইলে কোম্পানী আইনের Section 235 এবং এই আইনের ধারা ৮৫ এর বিধানাবলী কোন অবস্থায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়
ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রেও যতদূর সম্পর্ক সেরূপ প্রযোজ্য হইবে, যেন উক্ত পুনর্গঠন বা একত্রীকরণের অনুমোদন আদেশ ছিল উত্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের আদেশ, এবং উক্ত Section 235 এ উল্লিখিত সরকারী অবসায়কের কোন আবেদন সরকারের আবেদন হিসাবে ব্যাখ্যাত হইবে।

৮৯। আইন প্রবর্তনের সময় কার্যকর স্টীম বা ব্যবস্থার অধীনে কার্যরত ব্যাংক-কোম্পানীর জন্য বিশেষ বিধান।– এই আইনে প্রবর্তনের সময় কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যাপারে কোম্পানী আইনের Section 151 এর অধীনে কোন আপোষ-মীমাংসা বা ব্যবস্থা কার্যকর করা হইলে, উঃ ব্যাংক-কোম্পানীর আবেদনক্রমে হাইকোর্ট বিভাগ-

(ক) উক্ত আপোষ-মীমাংসা বা ব্যবস্থার কোন বিধান বাস্তবায়নের বিলম্ব মার্জনা করিতে পারে বা

(খ) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে উহার দেনাদারগণের তালিকা ধারা ৮১ অনুসারে চূড়ান্ত করিবার অনুমতি দিতে পারে; এবং সেক্ষেত্রে উক্ত ধারার বিধান, অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রেও যেরূপ প্রযোজ্য হয় উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রেও যতদূর সম্ভ সেরূপ প্রযোজ্য হইবে, যেন উক্ত মীমাংসা বা ব্যবস্থার আদেশ ছিল উত্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের আদেশ।

৯০। আপীল (১) এই আইনের অধীন কোন দেওয়ানী কার্যধারায় বিরোধীয় বিষয়বস্তুর মূল্য পঞ্চাশ হাজার টাকার উর্ধ্বে হইলে, হাইকোর্ট বিভাগের কোন আদেশ বা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল দায়ের করা যাইবে।

(২) হাইকোর্ট বিভাগ বিধি প্রণয়ন করিয়া ধারা ৮৭ এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশের বিরুদ্ধে আপীল দায়েরের পদ্ধতি সম্পর্কে এবং যে সকল শর্তাধীনে আপীল গ্রাহ্য হইবে সেই সম্পর্কে বিধান করিতে পারিবে।

(৩) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশ বা সিদ্ধান্ত, উপ-ধারা (১) এবং (২) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে, চূড়ান্ত হইবে এবং উহা ব্যাংক-কোম্পানী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সকল পক্ষ এবং তাহাদের অধীনে বা তাহাদের মাধ্যমে দাবীদার সকল ব্যক্তির জন্য বাধ্যতামূলক হইবে।

৯১। বিশেষ তামাদি মেয়াদ।– (১) Limitation Act, 1908 (IX of 1908) বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন অবসায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক মামলা দায়ের বা দরখাস্থ দাখিলের ব্যাপারে তামাদির মেয়াদ গণনার ক্ষেত্রে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী অবসায়নের জন্য আবেদন দাখিলের তারিখ হইতে পরবর্তী সময়কাল বাদ দিতে হইবে ।

(২) Limitation Act, 1908 (IX of 1908) বা কোম্পানী আইনে বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর কোন পরিচালকের শেয়ারের বকেয়া টাকা উসুলের ক্ষেত্রে অথবা কোন স্পষ্ট বা অনুমেয় চুক্তির ভিত্তিতে উহার কোন পরিচালকের বিরুদ্ধে কোন দাবী থাকিলে, তাহা আদায় করার ক্ষেত্রে তামাদি মেয়াদের কোন নির্দিষ্ট সীমা থাকিবে না এবং ব্যাংক-কোম্পানীর উহার পরিচালকদের বিরুদ্ধে অন্যান্য দাবীর ক্ষেত্রে উক্ত দাবী উদ্ধৃত হওয়ার তারিখ হইতে বার বৎসর, বা অবসায়কের প্রথম নিযুক্তির তারিখ হইতে পাঁচ বৎসর, যে মেয়াদ বেশী, তামাদির মেয়াদ হইবে।

(৩) এই ধারার বিধানাবলীর যতটুকু অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ততটুকু, এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে যে ব্যাংক-কোম্পানীর অবাসয়নের জন্য আবেদন পেশ করা হইয়াছে, সেই ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।

৯২। অবসায়ন কার্যধারায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শ। কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবাসয়ন কার্যধারায় বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি সরকারী অবসায়ক নিযুক্তি হইলে, এবং হাইকোর্ট বিভাগ সরকারী অবসায়ককে উক্ত কার্যধারার যে কোন বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শ গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিলে, বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত কার্যধারার নথিপত্র পরীক্ষা করিতে এবং বিষয়টির উপর পরামর্শ নিতে পরিবে।

৯৩। তদন্তের ক্ষমতা। (১) সরকার হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক নির্দেশিত হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উহার কর্মকর্তার দ্বারা অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর সামগ্রিক ব্যাপারে বা উহার যে কোন বহি এবং হিসাব নিকাশের ব্যাপারে তদন্ত করিতে পারিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন তদন্তের পর বাংলাদেশ ব্যাংক সরকার বা, ক্ষেত্রমত, হাইকোর্ট বিভাগের নিকট উত্ত তদন্তের একটি প্রতিবেদন দাখিল করিবে।

(৩) বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্ট বিবেচনাক্রমে সরকার যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, অবসায়ন কার্যধারায় কোন রুত্বপূর্ণ অনিয়ম ঘটিয়াছে, তাহা ইহলে সরকার উক্ত অনিয়ম হাইকোর্ট বিভাগের গোচরীভূত করিবে যাহাতে উক্ত বিভাগ ঐ বিষয়ে প্রধান কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারে।

(৪) হাইকোর্ট বিভাগ, উপ-ধারা (২) এর অধীন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন পাওয়ার পর, বা উপ-ধারা (৩) এর অধীন উহার গোচরীভূত কোন অনিয়মের ভিত্তিতে, সংগত মনে করিলে, সরকারকে উক্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে নোটিশ এবং শুনানীর সুযোগ প্রদানের পর, নির্দেশ দিতে পারিবে।

অবসায়ন কার্যধারার দ্রুত নিষ্পত্তি । সপ্তম খন্ড। ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ । পরিশিষ্ট - ৪

 

৯৪। প্রতিবেদন ও তথ্য আহবান করার ক্ষমতা। বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোন সময় লিখিত নোটিশের দ্বারা কোন ব্যাংক- কোম্পানীর অবসায়কের নিকট হইতে উক্ত কোম্পানীর অবসায়ন সম্পর্কিত যে কোন প্রতিবেদন বা তথ্য নোটিশে নির্ধারিত বা তৎকর্তৃক বর্ধিত সময়ের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত নির্দেশ পালনে উত্ত অবসায়ক বাধ্য থাকিবেন।

ব্যাখ্যা- যে ব্যাংক-কোম্পানীর কোন আপোষ-মীমাংসা বা ব্যবস্থার অধীন কার্যরত অথচ নুতন আমানত গ্রহণ উহার জন্য নিষিদ্ধ সেই ব্যাংক-কোম্পানী, এই ধারা এবং ধারা ৩ এর বিধানাবলীর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, যতটুকু সম্পর্ক, একটি অবসায়নাধীন ব্যাংক কোম্পানী হিসাবে গণ্য হইবে।

৯৫। অবসায়ক কর্তৃক অবসায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানীর সম্পত্তির দায়িত্ব গ্রহণে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সাহায্য।

(১) অবসারনাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর দ্রুত অবসায়নের স্বার্থে সরকারী অবসায়ক বা এই আইনের অধীন নিযুক্ত বিশেষ কর্মকর্তা যদি উক্ত কোম্পানীর অধিকারভূক্ত বা উহার অধিকারভুক্ত বলিয়া মনে হয় এমন কোন সম্পত্তি, সামগ্রী বা আদায়যোগ্য দাবী তাঁহার জিম্মায় বা নিয়ন্ত্রণে গ্রহণের প্রয়োজন মনে করেন, তাহা হইলে তিনি যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অধিক্ষেত্রে উক্ত সম্পত্তি সামগ্রী, দাবী বা উক্ত কোমপানীর হিসাবের বহি বা অন্যান্য দলিল থাকে বা পাওয়া যায় সেই জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে উহাদের দখল গ্রহণ করিবার জন্য লিখিত অনুরোধ করিতে পরিবেন এবং অনুরূপ অনুরোধ পাওয়ার পর উক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত সম্পত্তি, সামগ্ৰী, দাৰী, হিসাবের বহি বা অন্যান্য দলিলের দখল গ্রহণ করিবেন এবং উহাদিগকে অনুরোধকারীর নিকট প্রেরণ করিবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট তাহার বিবেচনাক্রমে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং যতটুকু শক্তি প্রয়োগ করা প্রয়োজন মনে করেন সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে বা ততটুকু শক্তি প্রয়োগ করিতে, অথবা অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ বা শক্তি প্রয়োগ করাইতে পরিবেন।

৯৬। হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ ও সিদ্ধান্ত কার্যকরণ। (১) কোন দেওয়ানী মামলায় হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত ডিগ্রী বা আদেশ যে পদ্ধতিতে কার্যকরী করা হয় সেই পদ্ধতিতে এই আইনের অধীন কোন দেওয়ানী কার্যধারায় উক্ত বিভাগকর্তৃক প্রদত্ত আদেশ বা সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হইবে।

(2) Code of Civil Procedure, 1908 (Act V of 1908) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন অবসায়ক কোন ডিক্রী জারীর জন্য, ধারা ৮১(৬) এর অধীন প্রদত্ত একটি প্রত্যয়নপত্র এবং উক্ত ডিক্রী মোতাবেক পাওনা বকেয়া টাকা ও উহাতে মজুরীকৃত কিন্তু কার্যকর করা হয় নাই এইরূপ প্রতিকার সম্পর্কে তৎকর্তৃক লিখিত একটি প্রত্যয়ণপত্র পেশ করিয়া ডিক্রী প্রদানকারী আদালত ছাড়াও অন্য কোন আদালতের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।

(৩) উপ-ধারা (১) বা (২) এর বিধানাবলীকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ বা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাপ্য কোন টাকা অনাদায়ী থাকিলে ভূমি উন্নয়ন কর যে পদ্ধতিতে আদায় করা যায় সেই পদ্ধতিতে উক্ত বিভাগের অনুমতিক্রমে, আদায় করা যাইবে।

৯৭। হাইকোর্ট বিভাগের বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা। এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলী এবং ধারা ১২১ এর অধীন প্রণীত বিধির সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া হাইকোর্ট বিভাগ নিম্নবর্ণিত বিষয়াবলী নির্ধারনের জন্য বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথা :-

(ক) ষষ্ঠ ও সপ্তম খণ্ডের অধীন অনুষ্ঠিতব্য তদন্ত ও কার্যধারার পদ্ধতি;

(খ) সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার্য অপরাধসমূহ।

(গ) আপীল দায়ের করিবার জন্য পুরণীয় শর্ত, আপীল দায়ের করিবার এবং শুনানীর পদ্ধতি (ঘ) এই আইনের অধীন হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করার প্রয়োজনে অন্যান্য যে সকল বিষয়ে বিধান করা প্রয়োজন সেই সকল বিষয়।

৯৮। পরিচালক প্রভৃতি উল্লেখে প্রাক্তন পরিচালক প্রভৃতিও আন্তর্ভূক্তি। যে কোন প্রকার সন্দেহ দূরীকরণার্থে এই মর্মে ঘোষণা করা যাইতেছে যে, এই খণ্ডে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক, ম্যানেজার, অবসায়ক, কর্মকর্তা ও নিরীক্ষকের উল্লেখ থাকিলে অনুরূপ উল্লেখে উক্ত কোম্পানীর প্রাক্তন ও বর্তমান সকল পরিচালক, ম্যানেজার, অবসায়ক, কর্মকর্তা ও নিরীক্ষককেও অন্তর্ভুক্ত করা হইয়াছে বলিয়া ব্যাখ্যাত হইবে।

৯৯. অবসান্তনাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে দ্বিতীয় খণ্ডের অপ্রযোজ্যতা :- দ্বিতীয় খণ্ডের কোন কিছুই অবসানাদীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।

১০০। কতিপয় কার্যধারা ইত্যাদির বৈধতা। ধারা ৭৯ এবং এই শতের অন্য কোন বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন হাইকোর্ট বিভাগের এখতিয়ারভুক্ত কোন বিষয়ে আইন প্রবর্তনের পূর্বে উক্ত বিভাগ ব্যতীত অন্য কোন আদালতে অনুষ্ঠিত কাৰ্যৰবা যাহা উত্ত অন্য কোন আদলত কর্তৃক প্রদত্ত ডিক্রি বা আদেশ শুধু মাত্র এই কারণে অবৈধ হইবে না বা অবৈধ পণ্য করা হইবে না যে, হাইকোর্ট বিভাগ বাতীত অন্য কোন আদালতে উক্ত কার্যধারা অনুষ্ঠিত, বা উত্ত অন্য কোন আদালত কর্তৃক উ ডিক্রি বা আদেশ প্রদত্ত হইয়াছিল।

অবসায়ন কার্যধারার দ্রুত নিষ্পত্তি । সপ্তম খন্ড। ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ । পরিশিষ্ট - ৪

 

১০১। নথিপত্র সংরক্ষণের বিষয়ে সরকারের বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা।- কোন ব্যাংক-কোম্পানীর হিসাবের খাতা, পরশোধিত নারী সম্বলিত দলিল এবং অন্যান্য সাত দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করিতে হইবে সেই বিষয়ে সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহিত পরামর্শক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

১০২। পরিশোধিত দাবী সম্বলিত দলিল গ্রাহকের নিকট ফেরত প্রদান। (১) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর কোন গ্রাহকের পরিশোধিত নারী-সম্বলিত দলিল মারা ১০১ এর অধীন প্রণীত বিধিতে নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে, ফেরত দিবার জন্য উক্ত গ্রাহক অনুরোধ করিলে, উক্ত কোম্পানী এমন যান্ত্রিক বা অন্য কোন পদ্ধতির মাধ্যমে উক্ত দলিলের সকল অংশের একটি সঠিক অনুলিপি উহার নিকট সংরক্ষণ করিবে যে পদ্ধতি উক্ত অনুলিপির সঠিকতা নিশ্চিত করে।

(২) ব্যাংক-কোম্পানী উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অনুলিপি তৈরীর খরচ গ্রাহকের নিকট হইতে আদায় করিতে পারিবে ব্যাখ্যা- এই ধারায় গ্রাহক বলিতে কোন সহকারী অফিস বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থাকেও বুঝাইবে।

১০৩। আমনতী অর্থ পরিশোধের জন্য মনোনয়ন দান ।-

(১) ব্যাংক-কোম্পানীর নিকট রক্ষিত কোন আমানত যদি একক ব্যক্তি বা যৌথভাবে একাধিক ব্যক্তির নামে জমা থাকে, তাহা হইলে উক্ত একক আমানতকারী এককভাবে বা, ক্ষেত্রমত, যৌথ আমানতকারীগণ যৌথভাবে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, এমন একজন ব্যক্তিকে মনোনীত করিতে পারিবেন যাহাকে, একক আमনতকারী বা যৌথ আমানতকারীগণের সকলের মৃত্যুর পর, আমানতের টাকা প্রদান করা যাইতে পারে

তবে শর্ত থাকে যে, উত্ত একক আমানতকারীগণ যে কোন সময় উক্ত মনোনয়ন বাতিল করিয়া নির্ধারিত পদ্ধতিতে অন্য কোনব্যক্তিকে মনোনীত করিতে পারিবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে মনোনীত ব্যক্তি নাবালক হইলে, তাহার নাবালক থাকা অবস্থায় উক্ত একক আমানতকারীর বা যৌথ আমানতকারীগণের মৃত্যুর ক্ষেত্রে, আমানতের টাকা কে গ্রহণ করিবেন তৎসম্পর্কে উক্ত একক আমানতকারী বা যৌথ আমানতকারীগণ নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট করিতে পারিবেন।

(৩) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনের বা কোন উইলে বা সম্পত্তি বিলি বণ্টনের ব্যবস্থা সম্বলিত অন্য কোন প্রকার দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন ব্যক্তিকে মনোনীত করাহইলে বা উপ-ধারা (২) অধীন কোন ব্যক্তি নির্দিষ্ট হইলে তিনি একক আমানতকারী বা ক্ষেত্রমত যৌথ আমানতকারীগণের সকলের মৃত্যুর পর, উক্ত আমানতের ব্যাপারে একক আমানতকারীর বা, ক্ষেত্রমত, সকল আমানতকারীর যাবতীয় অধিকার লাভ করিবেন, এবং অন্য যে কোন ব্যক্তি উক্ত অধিকার হইতে বঞ্চিত হইবেন।

(৪) এই ধারার বিধান অনুযায়ী কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক টাকা পরিশোধিত হইলে সংশ্লিষ্ট আমানত সম্পর্কিত উহার যাবতীয় দায় পরিশোধ হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, যে ব্যক্তিকে এই ধারার অধীনে আমানতের টাকা পরিশোধ করা হইয়াছে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্য কোন ব্যক্তির কোন অধিকার বা দাবী থাকিলে তাহা এই উপ-ধারার বিধান ক্ষুণ্ণ করিবে না।

১০৪। আমানত সম্পর্কে অন্য কোন ব্যক্তির দাবী অগ্রহণযোগ্য। কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিকট যে ব্যক্তির নামের কোন আমানত রক্ষিত থাকে সে ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কাহারও নিকট হইতে উক্ত আমানতের উপর কোন নারী সম্বলিত কোন নোটিশ উত্ত কোমপানী কর্তৃক গ্রহণযোগ্য হইবে না, বা উত্তরূপ কোন নোটিশ অনুসারে কার্যক্রম গ্রহণ করিতে উক্ত কোম্পানী বাধ্য থাকিবে না।

তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার কোন কিছুই উক্ত আমানতের ব্যাপারে যথাযথ এক্তিয়ারসম্পন্ন কোন আদালতের কর্তৃক ক্ষুন্ন করিবে না; এবং এইরূপ আদালতের কোন ডিক্রি, আদেশ, সার্টিফিকেট বা অনুরূপ অন্য কোন প্রকার দলিল দাখিল করা হইলে… উক্ত কোম্পানী উহাকে যথায গুরুত্ব দিবে।

১০৫ । ব্যাংক-কোম্পানীর নিরাপদ জিম্মায় রক্ষিত সামগ্রী ফেরৎ প্রদানের জন্য মনোনয়ন:– (১) কোন ব্যক্তি কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিরাপদ জিম্মায় কোন সামগ্ৰী আমানত রাখিলে উক্ত সামগ্রী উক্ত আমানত থাকা অবস্থায় তাঁহার মৃত্যুর পর উহা গ্রহণ করার জন্য তিনি কোন ব্যক্তিকে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, কোন ব্যক্তিকে মনোনীত করিতে পারিবেন তবে শর্ত থাকে যে, আমানতকারী যে কোন সময় উত্ত মনোনয়ন বাতিল করিয়া নির্ধারিত পদ্ধতিতে, অন্য কোন ব্যকি মনোনীত করিতে পারিবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন মনোনিত ব্যক্তি নাবালক হইলে তাহার নাবালক থাকা অবস্থায় আমানতকারীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে উক্ত সামগ্রীকে গ্রহণ করিবেন তৎসম্পর্কে তিনি, নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দেশ করিতে পারিবেন।

(৩) উপ-ধারা (১) বা (২) এর অধীন মনোনিত বা নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তিকে আমনতী সামগ্রী ফেরত প্রদানের পূর্বে, আমানতের গ্রহীতা ব্যাংক-কোম্পানী, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময় নির্দেশিত পদ্ধতিতে, উন্ন সামগ্রীর একটি বর্ণনামূলক তালিকা প্রস্তত করিয়া উহাতে উচ্চ ব্যক্তির মাক্ষর গ্রহণ করিবে এবং উহার অনুলিপি উক্ত ব্যক্তিকে সরবরাহ করিবে

(৪) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন বা কোন উইলে বা সম্পত্তি বিলি বণ্টনের ব্যবস্থ সম্মলিত জন্য কোন দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন ব্যক্তিকে মনোনীত করা হইলে বা উপ-ধারা (২) এর অধীনে কোন ব্যক্তি নির্দিষ্ট হইলে তিনি আমানতকারীর মৃত্যুর পর উক্ত আমানতের ব্যাপারে আমানতকারীর যাবতীয় অধিকার লাভ করিবেন এবং অন্য কোন ব্যক্তি উক্ত অধিকার হইতে বঞ্চিত হইবেন।

(৫) এই ধারার বিধান অনুযায়ী কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক উহার নিরাপদ জিম্মায় রক্ষিত সামগ্রী ফেরৎ প্রদান করা হইলে উক্ত কোম্পানী সংশ্লিষ্ট আমানত সম্পর্কিত উহার যাবতীয় দায় পরিশোধ করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে

তবে শর্ত থাকে যে, যে ব্যক্তিকে এই ধারার অধীনে কোন সামগ্রী ফেরৎ দেওয়া হইয়াছে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্য কোন ব্যপ্তির অধিকার বা পানী থাকিলে তাহা, এই উপ-ধারার কোন বিধান ক্ষুন্ন করিবে না।

অবসায়ন কার্যধারার দ্রুত নিষ্পত্তি । সপ্তম খন্ড। ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ । পরিশিষ্ট - ৪

১০৬। জিম্মায় রক্ষিত কোন সামগ্রী সম্পর্কে অন্য কোন ব্যক্তির দাবী অগ্রহণযোগঃ– কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিরাপদ জিম্মায় যে ব্যক্তির নামে কোন সামগ্রী রক্ষিত থাকে, সে ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কাহারও নিকট হইতে উক্ত সামগ্রীর উপর নারী সম্বলিত কোন নোটিশ উক্ত কোম্পানী কর্তৃক গ্রহণযোগ্য হইবে না, বা অনুরূপ কোন নোটিশ অনুসারে কার্যক্রম গ্রহণ করিতে উন্নত কোমপানী ৰাধা থাকিবে না তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার কোন কিছুই উক্ত সামগ্রীর ব্যাপারে যথাযথ এক্তিয়ারসম্পন্ন কোন আদালতের কর্তৃত্ব ক্ষুন্ন করিবে না এবং এইরূপ আদালতের কোন ডিক্রি, আদেশ, সার্টিফিকেট ব অনুরূপ কোন প্রকার দলিল দাখিল করা হইলে উত্ত কোম্পানী উহাকে যথাযথ গুরুত্ব দিবে।

১০৭। নিরাপন লকারে রক্ষিত সামগ্রী ফেরৎ প্রদান। (১) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিরাপদ ভল্ট বা অন্য কোথাও রক্ষিত কোন লকার যদি কোন ব্যক্তি এককভাবে ভাড়া করেন, তাহা হইলে তাহার মৃত্যুর ক্ষেত্রে উক্ত লকার ভাড়া থাকা অবস্থায় তাহার মৃত্যুর পর, তৎকর্তৃক পূর্ব-মনোনিত কোন ব্যক্তিকে উক্ত কোম্পানী লকার খুলিতে এবং উহা হইতে বন্ড ফেরৎ নিতে দিবেন।

(২) যদি দুই বা ততোধিক ব্যক্তি যৌথভাবে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর লকার ভাড়া করেন এবং ভাড়ার চুক্তিতে উক্ত ভাড়াকারীগণের মধ্যে দুই বা ততোধিক ব্যক্তির যুগ্ম যাক্ষরে লকারের কাজ সম্পাদন করার বিধান থাকে, তাহা হইলে, যে ভাড়াকারীগণের স্বাক্ষরে লকারের কাজ সম্পাদনের বিধান থাকে তাঁহারা, উক্ত যুগ্ম ভাড়াকারীগণের মধ্যে এক বা একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর ক্ষেত্রে, অন্যান্য জীবিত ভাড়াকারীগণের সহিত, মৃত ব্যক্তিগণের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তিকে উক্ত লাকর খুলিবার জন্য এবং উহাতে রক্ষিত সামগ্রী ফেরত লইবার জন্য উক্ত কোম্পানী সুযোগ দিবে সেই বিষয়ে এক বা একাধিক ব্যক্তিকে মনোনিত করিতে পারেন।

(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন মনোনয়ন নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রদান করিতে হইবে ।

(৪) কোন মনোনিত ব্যক্তিকে অথবা, ক্ষেত্রমত, যুগ্মভাবে মনোনিত ব্যক্তি এবং উক্ত জীবিত ভাড়াকারীকে লকারে রক্ষিত সামগ্রী ফেরত প্রদানের পূর্বে, ব্যাংক-কোম্পানী, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময় নির্দেশিত পদ্ধতিতে, লকারে রক্ষিত সামগ্রীর একটি বর্ণনামূলক তালিকা তৈরী করিয়া উক্ত ব্যক্তিগণের স্বাক্ষর গ্রহণ করিবে, এবং উহার একটি অনুলিপি উক্ত ব্যক্তিগণকে সরবরাহ করিবে।

(৫) এই ধারার বিধান অনুযায়ী কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক উহার নিরাপদ লকারে রক্ষিত সামগ্রী ফেরত প্রদান করা হইলে সংশ্লিষ্ট রক্ষিত সামগ্রী সম্পর্কিত উহার যাবতীয় দায় পরিশোধ করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে । তবে শর্ত থাকে যে, যে ব্যক্তি এই ধারার অধীন কোন সামগ্রী ফেরত দেওয়া হইয়াছে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্য কোন ব্যক্তির কোন অধিকার বা দাবী থাকিলে তাহা এই উপ-ধারার কোন বিধান ক্ষুণ্ণ করিবে না।

(৬) উপ-ধারা (১) বা উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুযায়ী লকার গুলিতে এবং উহাতে রক্ষিত সামগ্রী ফেরত লইতে অনুমতি প্রদানের কারণে উক্ত সামগ্রীর যদি কোন ক্ষতি হইয়া থাকে বা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহা হইলে ব্যাংক-কোম্পানীর বিরুদ্ধে কোন মামলা, অভিযোগ বা অন্য কোন প্রকার আইনানুগ কার্যধারা দায়ের বা শুরু করা যাইবে না।

১০৮। নিরাপদ লকারে রক্ষিত সামগ্রী সম্পর্কে অন্য কোন ব্যক্তির দাবী অগ্রহণযোগ্য। কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিরাপদ লকারে যে ব্যক্তির কোন সামগ্রী রক্ষিত থাকে সে বাঞ্জি বাড়ীত অন্য কোন ব্যক্তির নিকট হইতে উক্ত সামগ্রীর উপর কোন নারী সম্বলিত কোন নোটিশ উক্ত কোম্পানী কর্তৃক গ্রহণযোগ্য হইবে না এবং অনুরূপ কোন নোটিশ অনুসারে কার্যক্রম গ্রহণ করিতে উত্ত কোম্পানী বাধ্য থাকিবে।

তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার কোন কিছুই, উক্ত সামগ্রীর ব্যাপারে যথাযথ এখতিয়ার সম্পন্ন কোন আদালতের কর্তৃত্ব ক্ষুন্ন করিবে না এবং এইরূপ আদালতের কোন ডিগ্রি, আদেশ, সার্টিফিকেট বা অনুরূপ অন্য কোন প্রকার দলিল করা হইলে, উক্ত কোম্পানী উহাকে যথাযথ গুরুত্ব দিবে ।

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment