Site icon Banking Gurukul [ ব্যাংকিং গুরুকুল ] GOLN

ব্যাংক ব্যবসায়ের পরিবেশের আভ্যন্তরীণ উপাদানসমূহ

ব্যাংক ব্যবসায়ের আভ্যন্তরীণ উপাদানসমূহ বলতে সেই সব উপাদানকে বোঝায়, যেগুলো ব্যাংকের অভ্যন্তরে সৃষ্টি হয়, ব্যাংকের পরিচালন ব্যবস্থার অংশ এবং যেগুলোর উপর ব্যাংকের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ বিদ্যমান। এই উপাদানসমূহ যেমন—সংগঠন কাঠামো, মানবসম্পদ, প্রযুক্তি, অভ্যন্তরীণ নীতি, প্রক্রিয়া ও সংস্কৃতি—ব্যাংকের নীতি নির্ধারণ ও পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কার্যকর অভ্যন্তরীণ উপাদানসমূহ একটি ব্যাংকের পরিবেশকে স্থিতিশীল, টেকসই এবং প্রতিযোগিতামূলক করে তোলে, যা প্রতিষ্ঠানটির সামগ্রিক সাফল্যে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে।

 

 

Table of Contents

ব্যাংক ব্যবসায়ের পরিবেশর আভ্যন্তরীণ উপাদানসমূহ :

সংগঠন সংক্রান্ত উপাদান [ Factors Relating to Organization ]:

ব্যাংক ব্যবসায়ে প্রভাব সৃষ্টিকারী আভ্যন্তরীণ উপাদানগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাংকের সাংগঠনিক প্রভাব বিস্তার করে আছে। নিমে সংক্ষেপে উপাদানগুলো আলোচনা করা হলোঃ

১. ব্যাংকের অবস্থান (Location of Bank):

ব্যাংকের অবস্থান তার ব্যবসায়িক কার্যক্রম, গ্রাহক সংখ্যা এবং লাভজনকতার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। ব্যাংক কোথায় অবস্থিত, সেটি নির্ধারণ করে ওই অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, জনসংখ্যার আর্থসামাজিক প্রোফাইল, এবং ব্যাংকিং চর্চার প্রেক্ষাপট।

শহরাঞ্চলে অবস্থিত ব্যাংক

গ্রামীণ অনুন্নত অঞ্চলে ব্যাংক

বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ব্যাংক

 

২. ব্যাংকের লে আউট’ (Lay Out Designing of Bank):

ব্যাংকের অফিসের অভ্যন্তরীণ বিন্যাস বা লে-আউট একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা ব্যাংকের কর্মপরিবেশ, কর্মক্ষমতা এবং গ্রাহকসেবার মানের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। একটি সুনির্দিষ্ট, সুশৃঙ্খল এবং ব্যবহারবান্ধব লে-আউট কর্মীদের উৎসাহ ও দক্ষতা বাড়ায় এবং গ্রাহকের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করে।

মূল দিকগুলো:

  1. পর্যাপ্ত স্থান আসনব্যবস্থা:
    অফিসে কর্মচারী এবং গ্রাহকদের জন্য পর্যাপ্ত বসার ব্যবস্থা, বিশ্রামের জায়গা ও চলাচলের পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা থাকলে কর্মক্ষমতা এবং গ্রাহকসেবা দুইই উন্নত হয়।
    যেমন:
    • গ্রাহকসেবা ডেস্ক এবং ক্যাশ কাউন্টারগুলো সহজে দেখা ও পৌঁছনো যায় এমন স্থানে রাখা উচিত।
    • প্রবীণ বা প্রতিবন্ধী গ্রাহকদের জন্য পৃথক আসন বা হুইলচেয়ার অ্যাক্সেস নিশ্চিত করা উচিত।
  2. হাওয়া বাতাস আলোবাতির ব্যবস্থা:
    প্রাকৃতিক আলো ও বাতাস প্রবাহ নিশ্চিত করা গেলে অফিসের পরিবেশ আরও প্রাণবন্ত হয় এবং কর্মীরা স্বস্তিতে কাজ করতে পারেন।
    • গবেষণায় দেখা গেছে, পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলো থাকলে কর্মীদের উৎপাদনশীলতা প্রায় ১৬%-২০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
    • শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা সঠিক মাত্রায় রাখাও গুরুত্বপূর্ণ।
  3. সুবিন্যস্ত ডেস্ক বিভাগীয় বিন্যাস:
    ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগ (যেমন: হিসাব, ঋণ, গ্রাহকসেবা, নিরাপত্তা প্রভৃতি) সুনির্দিষ্টভাবে ভাগ করে বিন্যস্ত করলে কাজে গতিশীলতা বাড়ে এবং বিভ্রান্তি কমে।
    • অফিসে ফাইল, কম্পিউটার, সফটওয়্যার টার্মিনাল ইত্যাদির অবস্থান এমনভাবে নির্ধারণ করা উচিত যাতে কর্মীরা সহজেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারেন।
  4. নিরাপত্তা গোপনীয়তার সংরক্ষণ:
    নিরাপত্তা ক্যামেরা, ফায়ার এক্সিট, প্রবেশাধিকার সীমিত এলাকা, এবং সিসিটিভির মতো ব্যবস্থা সঠিকভাবে বসানো উচিত।
    • মক্কেলের ব্যক্তিগত তথ্য ও লেনদেনের গোপনীয়তা নিশ্চিত করার জন্য উপযুক্ত কিউ-সিস্টেম বা পার্টিশন দরকার।

 

৩. সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নীতিমালা (Defined Goals and Policies):

প্রতিটি ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি নির্ধারিত দিকনির্দেশনা ও লক্ষ্য থাকে, যাকে বলা হয় লক্ষ্য নীতিমালা। এগুলো সুনির্দিষ্ট ও পরিষ্কারভাবে নির্ধারিত না হলে ব্যাংকের ভেতরের ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায়িক কৌশল দুর্বল হয়ে পড়ে।

লক্ষ্য নীতিমালার গুরুত্ব:

???? নীতিমালা যদি অস্পষ্ট হয়:

???? উদাহরণ:

একটি ব্যাংক যদি গ্রামীণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তাকে প্রাধান্য দেয়— তবে তার নীতিমালায় এটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে, এবং কর্মীদের সেই লক্ষ্য অনুযায়ী প্রশিক্ষিত করা উচিত।

 

৪. দায়িত্ব ও কর্তব্যের সুস্পষ্টতা (Clear Cat Responsibility & Duty):

প্রতিটি ব্যাংক কর্মকর্তার নির্দিষ্ট ভূমিকা, দায়িত্ব ও কর্তব্য যদি স্পষ্টভাবে নির্ধারিত না হয়, তাহলে কর্মপ্রবাহে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক দায়-দায়িত্ব নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়।

উদাহরণস্বরূপ, অনেক উন্নতমানের ব্যাংকে “Job Description Manual” থাকে যেখানে প্রতিটি পদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়।

প্রস্তাবনা:

 

৫. পর্যাপ্ত স্থান ও সামাপি (Adequate Place & Logistics for work):

ব্যাংকিং কার্যক্রমের সফলতা নির্ভর করে কার্যক্ষেত্রের উপযুক্ত পরিবেশের ওপর।

সুতরাং, দৈনন্দিন ব্যাংকিং কার্যক্রমের সুচারু সম্পাদনের জন্য পর্যাপ্ত এবং উপযুক্ত স্থান, সহায়ক আসবাবপত্র ও আধুনিক সরঞ্জামাদি নিশ্চিত করা অপরিহার্য। এতে কর্মক্ষেত্রে কর্মচারীদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং গ্রাহকসেবার মান উন্নত হয়।

৬. ট্রেড ইউনিয়ন (Trade Union):

ট্রেড ইউনিয়ন মূলত কর্মচারী ও শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য গঠিত হয়। এর উদ্দেশ্য হলো কর্মীদের কল্যাণ, কর্মপরিবেশের উন্নতি এবং ন্যায্য অধিকার আদায় করা। তবে বাস্তবে ব্যাংকিং খাতে কিছু ক্ষেত্রে ট্রেড ইউনিয়ন ব্যাংকের স্বাভাবিক ও কার্যকর পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে, যা ব্যাংকের সাফল্যের গতিকে মন্থর করে তোলে।

তবুও, যখন ট্রেড ইউনিয়ন গঠনমূলক মনোভাব ও সহযোগীতাপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে, তখন তারা ব্যাংকের সুষ্ঠু কার্যক্রম পরিচালনা ও প্রতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। সুতরাং, ব্যাংক এবং ট্রেড ইউনিয়নের মধ্যে সুসম্পর্ক ও পরস্পরের সম্মান ও সহযোগিতায় গড়ে উঠা পরিবেশই দৃষ্টিকোণ থেকে সর্বোত্তম ফলাফল প্রদান করে।

৭. দক্ষতা ও ন্যায়বিচারভিত্তিক পদোন্নতি ও বদলী (Promotion and Transfer on the Basis of Efficiency):

কর্মচারীদের মধ্যে পদোন্নতি ও বদলী প্রক্রিয়া দক্ষতা ও ন্যায়বিচার অনুযায়ী পরিচালিত হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি এই প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীয়তা বা পক্ষপাত প্রবণতা থাকে, তাহলে তা কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ এবং হতাশা সৃষ্টি করে, যা তাদের কর্মদক্ষতা ও মনোবল হ্রাসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফলশ্রুতিতে, ব্যাংকের সামগ্রিক কার্যক্ষমতা প্রভাবিত হয়। তাই কর্মী নির্বাচনে দক্ষতা, যোগ্যতা ও অবদানকে মূল মানদণ্ড হিসেবে গ্রহণ করা উচিত, যা একটি স্বাস্থ্যকর ও প্রগতিশীল কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করে।

৮. দক্ষ আমানত ও ঋণ কার্যক্রম (Efficient Deposit & Credit Operations):

ব্যাংক ব্যবসায়ের সফলতার অন্যতম প্রধান দিক হলো আমানত ও ঋণ কার্যক্রমের দক্ষ ব্যবস্থাপনা।

 

৯. দক্ষ ব্যবস্থাপনা (Efficient Management):

ব্যাংকের সফলতার অন্যতম প্রধান চাবিকাঠি হলো তার দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যবস্থাপনা

সুতরাং, দক্ষ ব্যবস্থাপনা ব্যাংকের স্থায়িত্ব, প্রবৃদ্ধি এবং সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।

১০. আর্থিক সচ্ছলতা- (Financial Solvency):

আর্থিক সচ্ছলতা হলো ব্যাংকের আর্থিক ক্ষমতা এবং স্থিতিশীলতার প্রতীক, যা গ্রাহক, বিনিয়োগকারী এবং অন্যান্য অংশীদারদের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের ভিত্তি গড়ে তোলে। একটি সচ্ছল ব্যাংক তার দায়িত্ব পালনে সক্ষম, অর্থাৎ সময়মতো ঋণ পরিশোধ, আমানত ফেরত দেওয়া এবং অন্যান্য আর্থিক বাধ্যবাধকতা পূরণে সক্ষম থাকে।

সুতরাং, ব্যাংকের সুস্থ ও দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য আর্থিক সচ্ছলতা বজায় রাখা অপরিহার্য, যা নিয়মিত আর্থিক পরিকল্পনা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও কার্যকর তহবিল পরিচালনার মাধ্যমে অর্জিত হয়।

১১. আর্থিক শৃঙ্খলা (Financial Discipline)

অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যাংকের জন্য আর্থিক শৃঙ্খলা অপরিহার্য।

সারমর্ম: আর্থিক শৃঙ্খলা ব্যাংকের আর্থিক সুস্থতা ও স্থিতিশীলতার ভিত্তি স্থাপন করে।

 

১২. সেবা প্রদান (Service Rendered)

ব্যাংক ব্যবসা মূলত সেবা-ভিত্তিক, যেখানে বহুমুখী গ্রাহকসেবার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয়তা ও বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা হয়।

সারমর্ম: কার্যকর ও মানসম্মত সেবা প্রদান ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদী সফলতার অন্যতম কুশলী হাতিয়ার।

 

১৩. কাজের পদ্ধতি (Method of Work):

আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় কাজের পদ্ধতি প্রযুক্তিভিত্তিক হলে তা সময় সাশ্রয়ী এবং কম শ্রমে অধিক কার্য সম্পাদনের সুযোগ সৃষ্টি করে।

অতএব, সঠিক ও আধুনিক কাজের পদ্ধতি গ্রহণ ব্যাংকের সফলতা ও প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

১৪. উন্নত প্রযুক্তি (Use of Technology):

বর্তমান যুগে ব্যাংকিং সেক্টরে উন্নত প্রযুক্তির প্রবর্তন অত্যন্ত জরুরি। টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা, কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ফ্যাক্স, মোবাইল ব্যাংকিং, ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (EFT) সহ বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যার ব্যবহার করলে ব্যাংকের কার্যক্রম দ্রুত, নির্ভুল ও স্বচ্ছ হয়।

সুতরাং, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ দক্ষতা বৃদ্ধি ও বাইরের দিক থেকে বাজার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

১৫. মক্কেলের সঙ্গে সম্পর্ক (Relation of Bank with Customers):

ব্যাংকের সফলতা নির্ভর করে তার গ্রাহকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনের ওপর।

সুতরাং, ব্যাংক কর্মীদের উচিত গ্রাহকদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও পেশাদার সম্পর্ক গড়ে তোলা, যা ব্যাংকিং ব্যবসায়ের দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

১৬. আমলাতান্ত্রিক জটিলতা (Bureaucratic Complexity):

আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের কার্যক্রমে এক ধরনের অবাঞ্ছিত বাধা সৃষ্টি করে।

সুতরাং, একটি কার্যকর এবং ফলপ্রসূ ব্যবস্থাপনার জন্য আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে আনতে এবং প্রশাসনিক প্রক্রিয়াগুলোকে সহজ, স্বচ্ছ ও দ্রুততর করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা অপরিহার্য।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

কর্মচারী সংক্রান্ত উপাদান [ Factors Relating to Bank Employees] :

ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ উপাদানসমূহের মধ্যে কর্মচারীরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী অংশ। ব্যাংকিং একটি সেবা নির্ভর খাত হওয়ায়, এখানকার কর্মীদের দক্ষতা, মনোভাব, সংখ্যা ও আনুগত্য সরাসরি ব্যাংকের সেবার গুণগত মান, গ্রাহক সন্তুষ্টি এবং আর্থিক সাফল্যের ওপর প্রভাব ফেলে। কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কিত নিম্নোক্ত উপাদানসমূহ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ ও কার্যক্ষমতাকে প্রভাবিত করে:

১. পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মচারী (Adequate Number of Employees)

সঠিক সংখ্যক কর্মচারী ব্যাংকের প্রতিদিনের কাজের গতি ও সেবার মান বজায় রাখতে অপরিহার্য।

২. দক্ষ প্রশিক্ষিত কর্মচারী (Efficient and Skilled Employees)

দক্ষতা একটি ব্যাংক কর্মীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণ।

প্রস্তাবনা: প্রতিটি ব্যাংকে নিয়মিত ইন-হাউস বহিঃস্থ প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা উচিত।

৩. সেবা মনোভাব (Service-Oriented Attitude)

ব্যাংক একটি সেবা-ভিত্তিক শিল্প। এখানে কর্মীদের শুধু কাজ করলেই হবে না, তাদের সেবা দিতে হবে আন্তরিকভাবে।

প্রস্তাবনা: কর্মীদের মধ্যে সেবাবোধ ও পেশাদার আচরণ গঠনের জন্য “Customer Relationship & Behavior Training” চালু রাখা প্রয়োজন।

৪. ব্যাংকের প্রতি অনুরাগ আনুগত্য (Loyalty to the Bank)

একজন অনুগত কর্মচারী শুধুমাত্র কাজই করেন না, তিনি প্রতিষ্ঠানের জন্য স্বার্থত্যাগ করতেও প্রস্তুত থাকেন।

প্রস্তাবনা: কর্মীদের জন্য “Recognition Programs”, “Employee of the Month”, এবং সুবিধাভিত্তিক পদোন্নতি ব্যবস্থা চালু করা উচিত।

ব্যাংক কর্মচারীদের উপযুক্ত সংখ্যা, দক্ষতা, সেবা মনোভাব ও আনুগত্য ব্যাংকের অন্তর্নিহিত শক্তি হিসেবে কাজ করে। এই উপাদানগুলো যথাযথভাবে রক্ষা ও উন্নয়ন করতে পারলে ব্যাংকের গ্রাহকসেবা, কার্যক্ষমতা ও সুনাম বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।

Exit mobile version