দি প্রিমিয়ার ব্যাংক। একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক যার নিবন্ধিত কার্যালয় বনানী, ঢাকা, বাংলাদেশ। ড. এইচ বি এম ইকবাল চেয়ারম্যান এবং শফিকুর রহমান এই ব্যাংকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক। রিয়াজুল করিম, এফসিএমএ বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
Table of Contents
দি প্রিমিয়ার ব্যাংক এর ইতিহাস
প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড ১0 জুন ১৯৯৯-এ নিগমিত হয়েছিল। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ২0১৩ সালে ব্যাংকের শাখা থেকে তার টিকিট বিক্রি করেছিল।জুন ২00৫ সালে, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডকে নো ইয়োর ক্লায়েন্ট (কেওয়াইসি) প্রয়োজনীয়তা মেনে চলতে ব্যর্থতার জন্য জরিমানা করে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন শেয়ারবাজারে জাল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার জন্য এইচবিএম ইকবালের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলির তদন্ত করেছে।
খোন্দকার ফজলে রশীদ প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিযুক্ত হন ২০০৭ সালের অক্টোবরে।২00৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে, এম শাহ আলম সারওয়ার প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিযুক্ত হন।
২0১৩ সালে, বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকের তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান বজলুল হক হারুনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগের তদন্ত শুরু করে। ব্যাংকের একজন গ্রাহক খলিলুর রহমান দাবি করেন, ব্যাংকের তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান বিএইচ হারুন ২০০৮ সালে ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে তার অ্যাকাউন্ট থেকে ১৩৪ কোটি টাকা চুরি করেছিলেন।
খলিলুর, জুন ২00৮ সালে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সিডর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ১৫,000টি বাড়ি নির্মাণের জন্য ২0৩ কোটি টাকার কার্যাদেশ পান। প্রকল্পটি সৌদি সরকারের অর্থায়নে ছিল। প্রকল্পে লেনদেনের জন্য খলিলুর প্রিমিয়ার ‘ব্যাংকের বংশাল শাখায় একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন। তিনি সাতটি চেকের মাধ্যমে সৌদি সরকারের কাছ থেকে ২০৩.০৬ কোটি টাকা পেয়েছেন। খলিলুর অ্যাকাউন্ট থেকে ৬৯.১১ কোটি টাকা তুলে নেন এবং বাকি ১৩৩.৯৫ কোটি টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে জমা রাখেন। প্রাথমিক তদন্তের পর প্রিমিয়ার’ ব্যাংকের বংশাল শাখার এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৬২ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। প্রিমিয়ার ‘ব্যাংক নয়টি ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিসমিল্লাহ তোয়ালে গ্রুপের সাথে ব্যাংক থেকে প্রায় ৫৯৩.৪ মিলিয়ন বিডিটি আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে।
২0১৪ সালে ব্যাংকটিকে মানি লন্ডারিংয়ের জন্য আরও সাতটি ব্যাংকের সাথে ২ মিলিয়ন বাংলাদেশ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।২0১৬ সালে, ক্লোন করা সৌদি আরব ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ব্যাংকের এটিএম থেকে ৪ মিলিয়ন টাকা চুরি হয়েছিল। কর আত্মসাতের অভিযোগে ২0১৭ সালের নভেম্বরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রিমিয়ার ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে চলে যায়।২0১৩ সালের বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালক বজলুল হক হারুনকে ২0১৮ সালে তলব করেছিল।
২0২২ সালের ডিসেম্বরে, প্রিমিয়ার ‘ব্যাংক বন্ড বিক্রির মাধ্যমে ছয় বিলিয়ন টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।প্রিমিয়ার ‘ব্যাংক ২0২৩ সালের জানুয়ারিতে ১0.২৪ বিলিয়ন বছরের মুনাফা ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে ৪ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে প্রিমিয়ার ব্যাংক।
ব্যাংকিং সেবা
প্রিমিয়ার ব্যাংকের সারাদেশে প্রায় ১২৮টি শাখা রয়েছে। যার মাধ্যমে ব্যাংকটি সেবা প্রদান করে থাকে।
এটিএম
প্রিমিয়ার ‘ব্যাংকের সারা দেশে এটিএম রয়েছে প্রায় ৪৮টি। যা দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সপ্তাহে ৭ দিন চালু থাকে। এটিএমের মাধ্যমে ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা যায়।
ইন্টারনেট পেমেন্ট
প্রিমিয়ার ‘ব্যাংকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং করা যায়। ব্যাংকের ইন্টারনেট পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকরা ভিসা, মাস্টারকার্ড ও নেক্সাস কার্ডের মাধ্যমে বিল দিতে পারেন।
পরিচালনা
দুই জন স্বতন্ত্র পরিচালকসহ ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ১২ জন। পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জনাব ডাঃ এইচ বি এম ইকবাল। জনাব শফিকুর রহমান ব্যাংকটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক। এম রিয়াজুল করিম ব্যাংকটির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুনঃ