“বিটা ব্যাংক কেস” [ কেস নম্বর ৩৪ ]
Table of Contents
“বিটা ব্যাংক কেস” [ কেস নম্বর ৩৪ ]
“বিটা” নামক একটি ব্যাংক একটি প্রত্যয় পত্রের বিপরীতে কিছু জাহাজীকরণ দলিল Forward Cargo receipt এর মানে নেগোশিয়েট করেছিল। কিন্তু ওপেনিং ব্যাংক দলিলাদিতে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকায় দেনা পরিশোধ করতে অস্বীকৃতি জানাল। বিক্রেতা এর মধ্যে জানতে পারল যে, ক্রেতা জাহাজীকরন দলিলের যাবতীয় সেনা ওপেনিং ব্যাংককে পরিশোধ না করেই Freight Forward এর সুবিধা নিয়ে মাল বন্দর থেকে ছাড়িয়ে নিয়েছে।
তখন নেগোশিয়েটং থাকে এই মর্মে ওপেনিং ব্যাংকে যাবতীয় টাকা পরিশোষের জন্য অনুরোধ জানাল এবং বলল ক্রেতা তার মালামাল ইতমধ্যে বন্দর থেকে ছাড়িয়ে নিয়েছে। ওপেনিং ব্যাংক তখন নেগোশিয়েটিং ব্যাংককে টাকা পরিশোধে অসম্মতি জানাল এবং বলল তাহাদের আদেশে পণ্য ছাড়ানো হয় নাই। দয়া করে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো আলোচনা করুন।
১) এই ঘটনার জন্য কোন কোন পক্ষ দায়ী?
২) বিলের টাকা ফিরে পাওয়ার জন্য নেগোশিয়েটিং ব্যাংকের পদক্ষেপ কি হবে?
৩) নিজের স্বার্থ সংরক্ষনে নেগোশিয়েটিং ব্যাংকের কি ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করা উি
“নেয়াজ শরীফ কেস” [ কেস নম্বর-৩৫ ]
একটি রপ্তানী প্রত্যয় পত্রের বিপরীতে বিদেশ থেকে সূতা আনার জন্য একজন অত্যন্ত রাজনৈতিক প্রভাবশালী পোষাক রপ্তানীকারক ৩০০,০০০ ইউ এস ডলার মূল্যমানের একটি Back to Back আমদানী প্রভায় পত্র খুললো। এটি খোলার পর রপ্তানীকারক নেয়াজ শরীফ সময়মত তার মালামাল (সুতা) বুঝে পেল।
কিন্তু সে তার বিদেশী ক্রেতার কাছে কোন পণ্য রপ্তানী করল না। এদিকে রপ্তানী প্রত্যয় পত্রের নির্দিষ্ট মেয়াদ উত্তীর্ণের পর ব্যাংক মক্কেলকে তার দ্বারা উন্মুক্ত আমদানী প্রতায় পত্রের যাবতীয় দায়-দেনা শোধ করার জন্য অনুরোধ করল। এরই মধ্যে মক্কেল আমদানী বিলের যাবতীয় দেনা পরিশোধ হয়েছে এই মর্মে একটি Telex তথ্য বিদেশী ব্যাংক হতে করিয়ে আনল। এইভাবে যে বিদেশী ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে বিদেশ থেকে সূতা আমদানী করতে থাকল। উপরোক্ত লেনদেনটি “বন্ডেড ওয়ার হাউস লাইসেন্স” এর সাথে সম্পৃক্ত।
১) এ প্রসঙ্গে মক্কেলের কি motive রয়েছে তা আলোচনা কর।
২) ব্যাংক অফিসারের দায়-দায়িত্ব।
৩) দেশ ও বাংকের স্বার্থ-রক্ষণে কি কি পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে ?
“এম. এম কবির কেস” [ কেস নম্বর -৩৬ ]
এম. এম কবির ১০ দিনের মধ্যে পরিশোধ সাপেক্ষে ব্যাংক ৭৫০০০ ইউ এস ডলার মূল্যমানের একসেট জাহাজীকরণ দলিল ক করল। চুরি (Drawee) ব্যাংক ১০ দিনের মাথায় Remitting ব্যাংককে টাকা পরিশোধের অনুরোধ জানায়। কিন্তু সময় মত ক্রেতা তার ব্যাংক একাউন্টে টাকা পরিশোধ না করায় Drawer ব্যাংক নির্দিষ্ট মেয়াদে রপ্তানী বিলের টাকা পরিশোধে অসামর্থ্য হয়।
বিক্রেতা তখন ক্রেতার সাথে পূর্বের সম্পাদিক চুক্তির সূত্র ধরে মেয়াদ উত্তীর্ণের এক মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধ করতে বলে। এরই মধ্যে বিক্রেতা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস যে, এর কিছু দিনের মধ্যে রপ্তানীকারকের ব্যাংক তার যাবতীয় আন্তর্জাতিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। নিম্নলিখিত বিষয় আলোচনা করুন-
ক) Drawee ব্যাংকের দায় দায়িত্ব।
খ) ব্যাংকের নিকট Exp Form, দাখিল কর।
গ) নিজকে কবির মনে করে রপ্তানীকৃত পণ্যের মূল্য উদ্ধার করে তুমি কি ধরনের পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে মনে কর।
“কল্পনা ব্যাংক কেস” [ কেস নম্বর ৩৭ ]
কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকার কারণে কল্পনা ব্যাংক (নেগোশিয়েটিং) ব্যাংক কিছু জাহাজীকরণ দলিল ওপেনিং ব্যাংকের নিকট পাঠাল। কিন্তু ক্রেতা দলিলটি গ্রহন করল না এবং সঙ্গত কারণেই ওপেনিং ব্যাংক দলিলগুলো কল্পনা কাকে পাঠিয়ে দিল। বিক্রেতা তখন আরেকজন ক্রেতার সাথে ৪০% বাট্রায় মালগুলো বিক্রির কথাবার্তা চূড়ান্ত করল কিন্তু এর জন্য বিক্রেতাকে একটি বড় রকমের ক্ষতি স্বীকার করতে হয়।
তখন কল্পনা ব্যাংক নিলামে মাল বিক্রি এড়ানোর জন্য ৪০% বাট্টায় মাল বিক্রি করতে রাজি হল। এই অনুযায়ী বিক্রেত একটি নতুন প্রভায়পত্র ক্রেতার নিকট হতে গ্রহন করল। কিন্তু নতুন ঋণ অনুযায়ী বিক্রেতা কোন শর্ত ঠিক করতে পারল না এবং পরিণামে ব্যাংক আবার টাকা সংগ্রহের জন্য দলিল পাঠাল। এখন ৩০ দিনের দর্শনী বিলের ভিত্তিতে ক্রেতা ওপেনিং ব্যাংকে দলিল পত্র গ্রহনের প্রস্তাব করল।
নেগোশিয়েটিং ব্যাংক এই শর্তের ভিত্তিতে তাদের ওপেনিং ব্যাংকের প্রস্তাব গ্রহন করল যে, কল্পনা বাংক সমস্ত টাকা গ্রহন করার পরই তারা ক্রেতার কাছে দলিল গুলো পাঠাবে। কিন্তু মেয়াদপূর্তিতে কালেকটিং/কল্পনা ব্যাংক টাকা আদায় করতে পারল না এবং ক্রেতা কল্পনা ব্যাংকের কাছ থেকে একটি বানোয়াট তথ্য তৈরি করে যে, বিক্রেতা আরও ১০% বাটা তাকে মঞ্জুর করবে। কিন্তু বিক্রেতা এই তথ্যের ব্যাপারে কিছুই স্বীকার করল না। দয়া করে ব্যাপারটি আলোচনা করুন।
আরও পড়ুনঃ