Site icon Banking Gurukul [ ব্যাংকিং গুরুকুল ] GOLN

ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১

ব্যাংক কোম্পানী আইন প্রারম্পিক । ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১

ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১

Table of Contents

ব্যাংক কোম্পানী আইন প্রারম্পিক । ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১

 

 

১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম।

(১) এই আইন ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা ২৪শে ফেব্রুয়ারী, ১৯৯১ তারিখে কার্যকর হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

 

২। অন্যান্য আইনের প্রয়োগ।

এই আইনের বিধানাবলী, উহাতে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে Companies Act, 1913 (V of 1913) সহ আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনের অতিরিক্ত এবং উহার হানিকর নয়, বলিয়া গণ্য হইবে।

 

৩। সমবায় ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আইনের সীমিত প্রয়োগ।

– এই আইনের কোন Co-operative Societies Ordinance, 1985 (I of 1985) অথবা সমবায় ব্যাংক সমম্পর্কিত আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনের অধীন নিবন্ধীকৃত কোন সমবায় ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না। তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৪৪ এবং ৪৫ এর অধীন ব্যাংক কোমপানী যেভাবে তদন্ত করা হয় উহাকে যেভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক একইভাবে যে কোন সমবায় ব্যাংকের তদন্ত করিতে, এবং ঐ সকল ব্যাংককে নির্দেশ দিতে পারিবে।

৪ । আইনের প্রয়োগ স্থগিত করার ক্ষমতা।

(১) বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে এতদুদ্দেশ্যে প্রেরিত আবেদন বিবেচনা করিয়া যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, এই আইনের সকল বা কোন নির্দিষ্ট বিধানের প্রয়োগ কোন বিশেষ ব্যাংক-কোমপানীর ক্ষেত্রে স্থগিত রাখা সমীচীন, তাহা হইলে সরকার, সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, অনধিক ষাট দিনের জন্য এইরূপ প্রয়োগ স্থাপিত রাখিতে পারে।

(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উপধারা (১) এর অধীন স্থগিত মেয়াদ সময় সময় অনধিক ষাট দিন করিয়া

বর্ধিত করিতে পারিবে, তবে কোন অবস্থায় অনুরূপ স্থগিতের মেয়াদ সর্বসাকুল্যে এক বছরের বেশী হইবে না।

(৩) এই ধারার অধীন জারীকৃত প্রজ্ঞাপন নিম্নরূপে জাতীয় সংসদে পেশ করিতে হইবে, যথা :

(ক) উহা অধিবেশনে থাকিলে, প্রজ্ঞাপন জারীর দশ দিনের মধ্যে, বা

(খ) উহা অধিবেশনে না থাকিলে, প্রজ্ঞাপন জারীর পর অধিবেশন শুরু হওয়ার দশ দিনের মধ্যে।

 

৫। সংজ্ঞা।

বিষয় অথবা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে…

(ক) অনুমোদিত সম্পত্তি নিদর্শন -পত্র” অর্থ সেই সব সম্পত্তি নিদর্শন পত্র যাহাতে কোন ট্রাষ্টী Trust Act, 1882 (n of 1882) এর Section 20 এর Clause (a), (b) (bb). (c) অথবা (d) অধীন অর্থ বিনিয়োগ করিতে পারে, এবং ধারা ১৩ (৪) এর ব্যাপারে, সেই সব সম্পত্তি নিদর্শন পত্র ইহার অন্তর্ভূক্ত হইবে যেসব সম্পত্তি নিদর্শন পত্রকে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত ধারার ব্যাপারে অনুমোদিত সমপত্তি নিদর্শন-পত্র হিসাবে ঘোষনা করে।

(খ) “কোমপানী” অর্থ এমন কোন কোমপানী যাহা কোমপানী আইন অনুসারে অবসায়িত হইতে পারে

(গ) “কোমপানী আইন” অর্থ Companies Act, 1913 (VII of 1913 );

(ঘ) চাহিবা মাত্র দায়” অর্থ এমন আর্থিক দায় যাহা চাহিবা মাত্র অবশ্যই পরিশোধ করিতে হইবে,

(ঙ) “জামানতী ঋণ বা অগ্রীম” অর্থ সেই ঋণ বা অগ্রিম যাহা সম্পদের জামানত গ্রহণ করিয়া প্রদান করা হয় এবং যাহ মূল্য উক্ত সম্পদের বাজার মূল্য অপেক্ষা কোন সময়েই কম হয় না এবং “অজামানতী ঋণ বা অগ্রিম” অর্থ সেই ক্ষণ বা অগ্রিম বা উহার কোন অংশ যাহা সম্পদের জামানত গ্রহণ করিয়া প্রদান করা হয়না,

(চ) তফসিলি ব্যাংক” সেই অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে যে অর্থে Bangladesh Bank Order (PO No. 127 of 1972) Article 20) তে Scheduled Bank” কথাটি ব্যবহৃত হইয়াছে,

(ছ) “দেনাদার” অর্থে লাভক্ষতির ভাগাভাগি, ধরিদ বা ইজারার ভিত্তিতে বা অন্য কোন ভাবে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহনকারী ব্যক্তি, কোমপানী বা প্রতিষ্ঠানকেও বুঝায়

(জ) “নুতন ব্যাংক” Bangladesh Bank (Nationalisation Order, 1972 (PO.No. 26 of 1972) ঙ সংজ্ঞায়িত কোন New Bank,

(ঝ) “পাওনাদার” অর্থে

(১) লাভক্ষতির ভিত্তিতে অর্থ গচ্ছিত রাখিয়াছেন এমন ব্যক্তি, কোমপানী বা প্রতিষ্ঠান, বা

(২) ক্ষত বা ইজারার ভিত্তিতে বা অন্য কোনভাবে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা প্র কোমপানী বা অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠান বুঝাইবে,

(ঞ) প্রাইভেট কোম্পানী সেই অর্থ ব্যবহৃত হইয়াছে যে অর্থে উহা কোমপানী আইনে ব্যবহৃত হইয়াছে

(ট) বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থ Bangladesh Bank Onder, 1972 (P. O. No. 127 of 1972) এর অধীন স্থাপিত Bangladesh Bank,

(ঠ) “বিধি” অর্থ এই অধ্যাদেশের অধীন প্রণীত বিধি;

(ড) “বিশিষ্ট ব্যাংক” অর্থ আপাততঃ বলবৎ কোন আইনের দ্বারা বা অধীন স্থাপিত বা গঠিত কোন ব্যাংক এবং সরকার এই

আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা কোন ব্যাংককে বিশিষ্ট ব্যাংক হিসাবে ঘোষণা করিলে সেই

ব্যাংকও এই সংজ্ঞায় অন্তর্ভূক্ত হইবে :

(ঢ) ব্যবস্থাপনা পরিচালত অর্থ

(১) নুতন ব্যাংকের ক্ষেত্রে Bangladesh Bank (Nationalisation) Order, 1972 (P.O.No. 28 of 1972)-8 সংজ্ঞাভুক্ত কোন Managing Director:

(২) বিশিষ্ট ব্যাংকের ক্ষেত্রে, উক্ত ব্যাংক যে আইন বা আইনের মর্যাদা বিশিষ্ট দলিলের অধীনে প্রতিষ্ঠিত বা শীত হইয়াছে উহাতে প্রদত্ত সংজ্ঞাভুক্ত কোন Managing Director

(৩) অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে সেই পরিচালক, যাঁহার উপর, উক্ত ব্যাংক কোমপানীর কোন চুক্তি বা উহার সাধারণ বা পরিচালনা পর্ষদের সভায় গৃহীত প্রস্তাব, বা উহার সংঘ-স্মারকের বিধান অনুসারে, উহার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব অর্পণ করা হইয়াছে, এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে, উক্ত পদের নাম যাহাই হউক না কেন, অধিষ্ঠিত কোন পরিচালকও এই সংজ্ঞার অন্তর্ভূক্ত হইবেন।

(ণ) “ব্যাংক-কোমপানী” অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যাবলী পরিচালনাকারী কোন কোমপানী, এবং যে কোন নুতন ব্যাংক ও বিশিষ্ট ব্যাংক ও ব্যাংক কোম্পানীর অন্তর্ভূক্ত হইবে;

ব্যাখ্যা – যে কোম্পানী মূলতঃ পণ্য উৎপাদন বা বাণিজ্য পরিচালনা করে এবং শুধুমাত্র উক্ত উৎপাদন বা বাণিজ্যের অর্থ সংস্থানের জন্য জনগণের নিকট হইতে টাকার আমানত গ্রহণ করে, সেই কোম্পানী এই দফার অধীন ব্যাংক ব্যবসা করিতেছে বলিয়া গণ্য হইবে না।

(ত) ব্যাংক ব্যবসা” অর্থ কর্জ প্রদান বা বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে জনসাধারণের নিকট হইতে টাকার এইরূপ আমানত গ্রহণ করা, যাহা চাহিবামাত্র বা অন্য কোনভাবে পরিশোষযোগ্য এবং চেক, ড্রাফট, আদেশ বা অন্য কোন পদ্ধতিতে প্রত্যাহারযোগ্য,

(থ) মেয়াদী দায় অর্থ চাহিবামাত্র দায় ব্যতীত অন্যান্য আর্থিক দায় (থথ) মুদারাবা সার্টিফিকেট” অর্থ মুদারাবার ভিত্তিতে প্রদত্ত সার্টিফিকেট,

(থথথ) “মুদারাবা” অর্থ এমন চুক্তি যাহার শর্তানুসার ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক পরিচালিত কোন ব্যাংক কোন কিছুতে মুলধন যোগান দেয় এবং গ্রাহক উহাতে দক্ষতা, প্রচেষ্টা, শ্রম ও প্রজ্ঞা নিয়োজিত করে

(থথথথ) “মুশারিকা সার্টিফিকেট” অর্থ মুশারিকার ভিত্তিতে প্রদত্ত সার্টিফিকেট

(থথথথথ) “মুশারিকা” অর্থ এমন চুক্তি যাহার অধীন কোন কাজে মূলধনের এক অংশ ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক পরিচালিত কোন ব্যাংক এবং অপর অংশ গ্রাহক যোগান দেয় এবং যে কাজের লাভ চুক্তিতে উল্লিখিত অনুপাতে এবং লোকসানত মূলধন অনুপাতে বণ্টিত হয়

(দ) “স্বর্গ” অর্থ মুদ্রার আকারে স্বর্ণ, আইনানুগ টেন্ডার হউক বা না হউক, অথবা বাট বা পিশু আকারে স্বর্ণ, পরিশোধিক হউক বা না হউক;

(ধ) “রেজিষ্টার” সেই অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে যে অর্থে উহা কোমপানী আইনে ব্যবহৃত হইয়াছে;

 

৬। সংঘ স্মারক ইত্যাদির উপর আইনের প্রাধান্য। এই আইনের ভিন্নরূপ বিধান না থাকিলে,

(ক) নুতন ব্যাংক বা বিশিষ্ট ব্যাংক ব্যতীত, কোন ব্যাংক-কোমপানীর মেমোরেন্ডাম ও আর্টিকেলস্ উহার সম্পাদিত কোন চুক্তি, বা উহার সাধারণ সভায় বা পরিচালনা পর্ষদের সভায় গৃহীত কোন প্রস্তাবে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এবং উহা
এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে বা পরে, ক্ষেত্রমত, রেজিস্ট্রিকৃত বা সম্পাদিত বা গৃহীত হউক বা হইয়া থাকুক না কেন এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর হইবে, এবং

(খ) উক্ত মেমোরেন্ডাম, আর্টিকেলস, চুক্তি বা প্রস্তাবের কোন বিধানের যতটুকু এই আইনের সহিত অসামঞ্জস্য থাকিবে উত্ত বিধানের ততটুকু অবৈধ হইবে।

 

 

৭। ব্যাংক কোম্পানীর কার্যাবলী।

(১) ব্যাংক ব্যবসা ছাড়াও, কোন ব্যাংক কোমপানী নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন ব্যবসায় নিয়োজিত হইতে পারিবে, যথা :-

(ক) ঋণ গ্রহণ, অর্থ সংগ্রহ বা গ্রহণ

(খ) জামানত লইয়া বা জামানত ব্যতিরেকে অগ্রিম অর্থ বা কর্ম প্রদান

(গ) বিনিময় বিল, হুন্ডি, প্রতিশ্রুতিপত্র, কৃপন, ড্রাফট, বহনপত্র, রেলওয়ে রশিদ, ওয়ারেন্ট, ঋণপত্র, সার্টিফিকেট, মেয়াদী অংশগ্রহণ-পত্র, মেয়াদী অর্থসংস্থান-পত্র, মুশারিকা সার্টিফিকেট, মোদারেকা সার্টিফিকেট এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত অনুরূপ অন্যান্য দলিল, এবং হস্তান্তর বা বিনিময়যোগ্য হউক বা না হউক এমন অন্যান্য দলিল সম্পত্তি নিদর্শন-পত্র, ক্ষেত্রমত, সম্পাদন, লিখন, দাবী প্রস্তুতকরণ, বাট্টাকরণ, ব্রুয়, বিক্রয়, সংগ্রহ এবং লেনদেন ..

(ঘ) লেটার অব ক্রেডিট, ট্রাভেলার্স চেক, ক্রেডিট কার্ড এবং সার্কুলার নোট অনুমোদন ও ইস্যু করা

(ঙ) স্বর্ণ, রৌপ্য ও অন্যান্য ধাতব মুদ্রা ক্রয়, বিক্রয় এবং লেনদেন

(চ) বিদেশী ব্যাংক নোটসহ বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় এবং বিক্রয়

(ছ) ষ্টক তহবিল, শেয়ার, ডিবেঞ্ঝার-ষ্টক, বন্ড, দায় সম্পত্তি নিদর্শন-পত্র, মেয়াদী অংশগ্রহন-পত্র, মেয়াদী অর্থ সংস্থান- পত্র, মুশারিকা সার্টিফিকেট, মুদারাবা সার্টিফিকেট এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত অন্যান্য দলিল ও সর্বপ্রকার বিনিয়োগ গ্রহণ, ধারণ, কমিশন ভিত্তিতে প্রেরণ, এবং উহাদের দায় গ্রহণ ও লেনদেন;

(জ) বন্ড, স্ক্রিপ বা অন্যান্য প্রকারের সম্পত্তি নিদর্শন-পত্র, মেয়াদী অংশগ্রহণ পত্র, মেয়াদী অর্থ সংস্থান পত্র, মুদারাবা সার্টিফিকেট, মুশারিকা সার্টিফিকেট এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অংগ সংগঠনের পক্ষে বা অন্যান্যদের পক্ষে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত অন্যান্য দলিল ব্রুয় ও বিক্রয়।

(ঝ) ঋণ ও অগ্রিমের বন্দোবস্ত করা

(ঞ) সর্বপ্রকার বন্ড ও মূল্যবান সামগ্রীর আমানত গ্রহণ বা উহাদিগকে নিরাপদ হেফাজতে বা অন্যভাবে রাখিবার জন্য গ্রহণ

(ট) গচিছত বস্তুর নিরাপত্তার জন্য ভল্টের ব্যবস্থা গ্রহণ

(ঠ) সম্পত্তি নিদর্শন-পত্রের বিপরীতে টাকা সংগ্রহ ও প্রেরণ

(ড) সরকার, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোন ব্যক্তির প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করা,

ঢ) কোন কোম্পানী ব্যবস্থাপক প্রতিনিধি এবং কোষাধ্যক্ষ হিসাবে কাজ করা ব্যতীত, গ্রাহকদের প্রতিনিধি হিসাবে মালামাল খালাস ও প্রেরণ এবং আমমোক্তার হিসাবে কাজ করা সহ যে কোন ধরণের এজেন্সি ব্যবসা পরিচালনা

(ণ) সরকারী এবং বেসরকারী ঋণের ব্যাপারে আলাপ আলোচনা ও চুক্তি সম্পাদন এবং উক্ত ঋণ প্রদান

(ত) কোন কোম্পানী, কর্পোরেশন বা সমিতির শেয়ার, টক, ঋণপত্র বা ডিবেম্বার-টক বিতরণে ঝুঁকি গ্রহণ, নিশ্চয়তা প্রদান ও দায় গ্রহণ এবং উক্ত রূপ কোন কাজের জন্য ঋণ প্রদান

(থ) যে কোন প্রকার জামিন এবং ক্ষতি নিস্কৃতি ব্যবস্থা সংক্রান্ত ব্যবসা পরিচালনা এবং উক্তরূপ ব্যবসায়ে লেনদেন

(দ) ৰাভাবিক ব্যাংক-ব্যবসা পরিচালনাকালে-

(১) বিক্রেতা কর্তৃক পুনঃ ক্রয়, বা

(২) ভাড়ায় খরিদ পদ্ধতিতে বিক্রয়, বা

(৩) বিলম্বে মূল্য পরিশোধ, বা

(৪) ইজারা বা

(৫) আয় ভাগাভাগি,

(৬) অন্য কোনভাবে অর্থ সংস্থান,

এর ব্যবস্থাসহ বা অনুরূপ ব্যবস্থা ব্যতিরেকে পণ্য, পেটেন্ট, ডিজাইন, ট্রেডমার্ক এবং গ্রমসহ যে কোন সম্পত্তি ক্রয় বা অর্জন;

(ধ) ব্যাংক-কোম্পানীর কোন নারীর আংশিক বা সম্পূর্ণ পরিশোধের জন্য কোন সম্পত্তি দখলে গ্রহণ বা অনুরূপ সম্পত্তির উার ব্যবস্থা

(ন) কোন ঋণ বা অগ্রিমের জামানতের সম্পত্তি বা জামানত সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি এবং উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কিত অধিকার, স্বত্ত্ব বা মর্থ অর্জন, ধারণ এবং উহার ব্যবস্থাপনা

(প) ট্রাষ্টের দায়িত্ব গ্রহণ ও উহার বাস্তবায়ন

(ফ) নির্বাহক বা ট্র্যান্টি হিসাবে বা অন্যভাবে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ

(ব) ব্যাংক কোম্পানীর কর্মচারী বা প্রাক্তন কর্মচারী বা তাহাদের পোষ্যগণের কল্যাণার্থে

(১) সমিতি, প্রতিষ্ঠান, তহবিল, ট্রাষ্ট অথবা অন্য কোন সংস্থা স্থাপন এবং উহাদের স্থাপনকল্পে সাহায্য বা সহযোগিতা প্রদান;

(২) পেনশন ও ভাতা প্রদান

(৩) বীমার প্রিমিয়াম প্রদান

(৪) কোন প্রদর্শনী বা সাধারণভাবে উপকারী কোন কাজে চাঁদা প্রদান।

(৫) ঐসব ব্যাপারে অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত করা

(ভ) উহার প্রয়োজন বা সুবিধার্থে ইমারত বা এইরূপ অন্যকিছু অর্জন, নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং উহার পরিবর্তন সাধন

(ম) উহার সমুদয় সম্পত্তি বা অংশ বিশেষ বা উহার কোন অধিকার বিক্রয়, উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা, বিনিময়, ইজারা প্রদান, ব্যকে রাখা বা অন্যবিধ উপায়ে হস্তান্তরকরণ বা টাকায় রূপান্তরকরণ বা অন্য কোন উপায়ে উক্ত সম্পত্তি বা অধিকার সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ

(য) এই উপ-ধারায় বর্ণিত ব্যবসার প্রকৃতির সহিত মিল থাকিলে, কোন ব্যক্তি বা কোম্পানীর ব্যবসা বা ব্যবসার কোন অংশ অর্জন এবং উহার দায়িত্ব গ্রহণ

(র) উহার ব্যবসায়ের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধনের জন্য আনুষংগিক ও সহায়ক অন্যান্য সকল কাজকর্ম সম্পাদন

(ল) সরকার কর্তৃক সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা অন্য যেসব ব্যবসা ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক করা যাইতে পারে বলিয়া নির্দিষ্ট করা হয় সেই সকল ব্যবসায়।

(২) কোন ব্যাংক-কোম্পানী উপ-ধারা  (১) এ উল্লেখিত ব্যবসায় ব্যতীত অন্য কোন ব্যবসায়ে নিয়োজিত হইতে পারিবে না।

 

৮। “ব্যাংক” বা অনুভূত অন্যান্য শব্দের ব্যবহার

বাংলাদেশে ব্যাংক ব্যবসায়ে নিয়োজিত প্রত্যেক কোম্পানী উহার নামের অংশ হিসাবে ব্যাংক” শব্দটি অথবা উহা হইতে উদ্ধৃত অন্য কোন শব্দ ব্যবহার করিবে এবং ব্যাংক-কোম্পানী ব্যতীত অন্য কোন কোমপানী ইহার নামের অংশ হিসাবে এমন কোন শব্দ ব্যবহার করিবে না যাহাতে উহাকে ব্যাংক-কোম্পানী হিসাবে মনে করিবার অবকাশ থাকে

তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার কোন কিছুই নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, যথা :-

(ক) ধারা ২৬ (১) এ উল্লিখিত এক বা একাধিক উদ্দেশ্যে গঠিত কোন ব্যাংক-কোমপানীর সাবসিডিয়ারী কোমপানী

(খ) ব্যাংক সমূহের পারস্পারিক স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে গঠিত কোন সমিতি, যাহা কোম্পানী আইনের Section 26-এর অধীনে নিবন্ধনকৃত

তবে আরও শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্পূর্ণ বা আংশিক মালিকানাধীন বা নিস্ত্রোণাধীন কোন কোম্পানীকে উহা ব্যাংক কোম্পানী না হইলেও, সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এবং তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, উহার নামের অংশ হিসাবে “ব্যাংক” বা উচ্চ শব্দ হইতে উদ্ধৃত অন্য কোন শব্দ ব্যবহার করিবার জন্য অধিকার দিতে পারিবে।

 

৯। কতিপয় ব্যবসায় নিষিদ্ধ।

ধারা ৭ এর অধীন অনুমোদিত ব্যবসা ব্যতীত, কোন ব্যাংক-কোম্পানী, উহাকে প্রদত্ত বা উহা কর্তৃক রক্ষিত জামানত আদায়ের ক্ষেত্র ছাড়া, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন পণ্যের ক্রয়, বিক্রয় বা বিনিময় ব্যবসা করিবে না,
অথবা আদায় বা কারবারের জন্য প্রাপ্ত বিনিময় বিল সংক্রান্ত কারণ স্বাতীত, অন্যের জন্য কোন ব্যবসায় বা কোন পণ্য ক্রয়, বিক্রয় বা বিনিময়ে লিপ্ত হইতে পারিবে না :-

তবে শর্ত থাকে যে, ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক পরিচালিত ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃত পদ্ধতি অনুসরণ পূর্বক মালামাল বা পণ্য ক্রয়-বিক্রয় বা বিনিময়ের ক্ষেত্রে এই ধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না।

ব্যাখ্যা-  এই ধারার উদ্দেশ্য পুরণ করে “শণ্য” অর্থ আদায়যোগ্য গাধী, টক, শেয়ার, টাকা পয়সা, স্বর্ণ-রৌপ্য এবং ব্যতীত, সকল প্রকারের অস্থাবর সম্পত্তি এবং ধারা ৭(১) এর (গ), (ঘ), (ছ), ও (অ) দফাসমূহে উল্লিখিত সকল দলিল।

 

১০। ব্যাংক ব্যবসায়ে ব্যবহৃত নয় এমন সমপত্তি হস্তান্তর।

(১) ধারা ৭ এ যা কিছু ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় নয় এমন কোন স্থাবর সম্পত্তি, উহা যে ভাবেই অর্জিত হইয়া থাকুক না কেন, কোন ব্যাংক-কোম্পানী, অর্জনের তারিখ হইতে সাত বৎসর বা এই আইন প্রবর্তনের তারিখ হইতে সাত বৎসর, যাহা পরে শেষ হয়, এর অধিক সময় সীমা অধিকার হইবার পর স্বীয় অধিকারে রাখিবে না।

(২) উপ-ধারা (১) এ যাহাই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন ব্যাংক কোম্পানীর

আমানতকারীগণের স্বার্থে উত্ত সম্পত্তি অধিকারে রাখার সময়সীমা বর্ধিত করা প্রয়োজন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সময় অনধিক পাঁচ বৎসর পর্যন্ত বর্ধিত করিতে পারিবে।

(৩) এই ধারার উদ্দেশ্য পুরণকল্পে কোন সম্পত্তির উল্লেখযোগ্য অংশ ব্যাংক-কোম্পানীর প্রকৃত প্রয়োজনে ব্যবহৃত হলে উক্ত সম্পত্তি ব্যাংক-কোম্পানীর নিজম ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পত্তি বলিয়া গণ্য হইবে।

 

১১। ব্যবস্থাপক প্রতিনিধি নিয়োগ নিষিদ্ধকরণ ও কতিপয় নিয়োগের উপর বাধা নিষেধ

(১) কোন ব্যাংক কোম্পানী

(ক) উহার জন্য ব্যবস্থাপক প্রতিনিধি নিয়োগ করিবেনা বা ব্যবস্থাপক প্রতিনিধির দ্বারা উহার ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করিবেনা বা

(খ) এমন কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ করিবেনা বা এমন কোন ব্যক্তির নিয়োগ অব্যাহত রাখিবেনা :-

(অ) যিনি দেউলিয়া ঘোষিত হইয়াছেন, বা কোন সময় দেউলিয়া ছিলেন, বা তাহার পাওনাদারের পাওনা পরিশেষে বল করিয়াছেন, বা পাওনাদারের সহিত আপোষ রফার মাধ্যমে পাওনা আদায় হইতে অব্যাহতি লাভ করিয়াছেন, বা স্খলনজনিত কারণে কোন ফৌজদারী আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হইয়াছেন

(আ) যিনি তাঁহার পারিশ্রমিক বা পারিশ্রমিকের অংশ কমিশনের আকারে বা কোমপানীর লাভের অংশের আকারে গ্রহণ করেন

তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-দফার কোন কিছুই ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ত নিম্নলিখিত বোনাস বা কমিশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, যথা :-

(১) কোন আইনের অধীনে শিল্প বিরোধ সম্পর্কিত কোন নিষ্পত্তি বা রোয়েদান মোতাবেক, বা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক- কোম্পানী কর্তৃক প্রণীত কোন স্কীম অনুসারে বা ব্যাংক-কোম্পানী প্রচলিত রীতি অনুসারে প্রদত্ত বোনাস

বা

(২) জামিনদার দালালসহ যে কোন দালাল, ক্যাশিয়ার, ঠিকাদার, মালামাল খালাস ও প্রেরণকারী প্রতিনিধি, নিলামদার বা, উক্ত কোম্পানীর নিয়মিত কর্মচারী ব্যাতীত চুক্তি ভিত্তিক নিয়োজিত অন্য যে কোন ব্যক্তিকে প্রদত্ত কমিশন বা

(ই) বাংলাদেশ ব্যাংকের মতানুসারে যাহার পারিশ্রমিক মাত্রাতিরিক্ত

ব্যাখ্যা ১।

এই উপ-দফার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, “পারিশ্রমিক” বলিতে ব্যাক কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ত কোন ব্যাক্তির বেতন, ফিস এবং বেতন-অতিরিক্ত সুবিধাদিও অন্তর্ভূক্ত হইবে, কিন্তু দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনে তিনি যে প্রকৃত খরচ করছেন তাহা পরিশোধ করার জন্য যে অর্থ বা ভাতা তাঁহাকে দেওয়া হয় উহা অন্তর্ভুক্ত হইবে না

ব্যাখ্যা ২।

এই উপ-দফার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোন পারিশ্রমিক মাত্রাতিরিক্ত কিনা ইহা নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি বিবেচনা করিতে পরিবে, যথা :-

(ক) আর্থিক অবস্থা, কর্মকাণ্ডের ব্যাপকতা, ব্যবসার পরিমাণ এবং উপার্জন ক্ষমতার সাধারণ ঝক

(খ) শাখা বা কার্যালয়ের সংখ্যা

(গ) পারিশ্রমিক প্রাপ্ত ব্যক্তির যোগ্যতা, বয়স এবং অভিজ্ঞতা;

(ঘ) ব্যাংক কোম্পানীতে নিয়োজিত অন্যান্য ব্যক্তিকে অথবা প্রায় একই অবস্থাসম্পন্ন অন্যান্য ব্যাংক কোম্পানীতে অনুৰূপ পদে নিয়োজিত ব্যক্তিকে প্রদত্ত পারিশ্রমিকের পরিমাণ এবং

(ঙ) উহার আমানতকারীদের স্বার্থ।

(গ) এমন ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত হইবে না, যিনি-

(অ) বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন গ্রহণ না করিয়া, উক্ত ব্যাংক কোম্পানীর সাবসিডিয়ারী কোম্পানী বা কোম্পানী আইনের Section 26 এর অধীন নিবন্ধীকৃত কোন কোম্পানী ব্যতীত অন্য কোন কোম্পানীর পরিচালক হিসাবে কার্যরত আছেন বা

(আ) অন্য কোন ব্যবসায়ে বা পেশায় নিয়োজিত আছেন বা

(ই) কোন সময়ে একাধিক্রমে পাঁচ বৎসরের অধিক সময়ের জন্য চুক্তি বন্ধ ছিলেন

তবে শর্ত থাকে যে, ব্যাংক কোম্পানী পরিচালনার জন্য কোন চুক্তির মেয়াদ, কোম্পানীর পরিচালকদের সিহান্তের দ্বারা, প্রতিবারে অনধিক পাঁচ বৎসরের জন্য নবারণ বা বর্ধিত করা যাইবেঃ

তবে আরও শর্ত থাকে যে, শুধুমাত্র উক্ত ব্যাংক কোম্পানীর পরিচালক হওয়ার কারনেই কোন পরিচালক, ব্যবস্থাপনা- পরিচালক ব্যতীত, এর ক্ষেত্রে এই দফার বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে না।

 

 

(২) যদি কোন ব্যাংক কোম্পানীর চেয়ারম্যান, পরিচালক, ম্যানেজার, বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, যে নামেই অভিহিত হউন, সম্পর্কে কোন আদালত বা ট্রাইবুনাল বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ এইরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, তিনি কোন আইনের বিধান লংঘন করিয়াছেন, এবং বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, উত্তরূপ লংঘন এতই গুরুতর যে, ব্যাংক কোম্পানীর সহিত উক্ত ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট থাকা ব্যাংক কোম্পানী বা উহার আমানতকারীদের স্বার্থবিরোধী বা অন্য কোনভাবে অবাঞ্ছিত হইবে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক এই মর্মে আদেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, আদেশে উল্লিখিত তারিখ হইতে, উক্ত ব্যক্তি তাঁহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন না, এবং এইরূপ আদেশ প্রদান করা হইলে, উক্ত তারিখ হইতে তাঁহার উক্ত পদ শূন্য হইবে।

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশে ইহা উল্লেখ করা যাইতে পারে যে, উক্ত ব্যক্তি, বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে, উক্ত আদেশে উল্লিখিত মেয়াদ, যাহা পাঁচ বৎসরের বেশী ইহবে না, এর মধ্যে উক্ত ব্যাংক কোম্পানী বা অন্য কোন ব্যাংক কোম্পানীর ব্যবস্থাপনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট থাকিবেন না বা অংশ গ্রহণ করিবেন না ।

(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রস্তাবিত কোন আদেশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট তাহার বক্তব্য পেশ করিবার সুযোগ না নিয়া উক্ত আদেশ প্রদান করা যাইবে না,

তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, অনুরূপ কোন সুযোগ প্রদানজনিত বিলম্ব উক্ত ব্যাংক কোম্পানী বা ইহার আমানতকারীগণের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হইবে, তাহা হইলে অনুরূপ সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজন হইবে না।

(৪) যদি কোন ব্যাংক কোম্পানীর কোন কর্মকর্তা অর্থ আত্মসাত, দুর্নীতি, জাল-জালিয়াতি, নৈতিক স্খলনজনিত কারণে চাকুরী হইতে বরখাস্ত হন, তাহা হইলে তিনি পরবর্তীতে কোন ব্যাংক কোম্পানীর চাকুরীতে নিয়োগের অযোগ্য হইবেন।

(৫) এই ধারার অধীন বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোন সিদ্ধান্ত বা আদেশ চূড়ান্ত হইবে।

 

১২। দলিল ও নথিপত্র অপসারণের উপর বাধানিষেধ।

কোন ব্যাংক কোম্পানী সদর দপ্তর বা কোন শাখা হইতে,

আপাততঃ উহাতে কোন কার্য পরিচালিত হউক বা না হউক, উহার ব্যবসা সংক্রান্ত কোন দলিল বা নথিপত্র, বাংলাদেশ ব্যাংকের লিখিত পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে, বাংলাদেশের বাহিরে কোন স্থানে অপসারণ করিবেনা। ব্যাখ্যা এই ধারায়

(ক) নথিপত্র” অর্থ বৈদ্যুতিক কলাকৌশলের সাহায্যে বা অন্য কোন উপায়ে রক্ষিত লেজার, ডে-বুক, ক্যাশ বহি, হিসাব বহি, এবং ব্যাংক কোম্পানীর ব্যবসায়ে ব্যবহৃত অন্য সকল বহি এবং

(গ) “দলিল” অর্থ বৈদ্যুতিক কলাকৌশলের সাহায্যে বা অন্য কোন উপায়ে রক্ষিত ভাউচার, চেক, বিল, পে-অর্ডার, অগ্রিমের জামানত এবং ব্যাংক কোম্পানীর বহিতে উল্লিখিত কোন বিষয়ের সমর্থনকারী বা উহার স্বপক্ষে বা বিপক্ষে কোন দাবী সমর্থনকারী অন্য যে কোন দলিল।

 

১৩। ন্যূনতম আদায়কৃত মূলধন ও সংরক্ষিত তহবিল।

(১) আদায়কৃত মূলধন এবং সংরক্ষিত তহবিলের মোট মূল্য এই ধারায় উল্লিখিত পরিমাণের সমান না হইলে-

(ক) বিদ্যামান কোন ব্যাংক কোম্পানী এই আইন প্রবর্তনের তারিখ হইতে দুই বৎসর অতিবাহিত হইবার পর বাংলাদেশে উহার ব্যবসা পরিচালনা করিবে না এবং

(খ) এই আইন প্রবর্তনের পর, দফা (ক) তে উল্লিখিত ব্যাংক কোম্পানী বাতীত অন্য কোন ব্যাংক কোম্পানী উহার ব আরম্ভ করিবে না। তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক সমীচীন মনে করিলে বিশেষ ক্ষেত্রে এই উপ-ধারায় উল্লিখিত মো এক বৎসর পর্যন্ত বর্ধিত করিতে পারিবে।

(২) কোন নুতন ব্যাংক বা বিশিষ্ট ব্যাংকের আদায়কৃত মূলধন ও সংরক্ষিত তহবিল উত্ত ব্যাংক সেই আইনের দ্বারা বা অধীনে প্রতিষ্ঠিত বা গঠিত হইয়াছে সেই আইনে বা তদধীনে নির্ধারিত পরিমাণ, অথবা চলতি হিসাব বছরের সর্বশেষ কার্যদিবস সমাপ্তির সময় উহার চাহিবামাত্র পায় ও মেয়ানী দায়ের নোট পরিমাণের শতকরা ছয় ভাগ এই দুইয়ের মধ্যে যে পরিমাণ বেশী। তাহা, অপেক্ষা কম হইবে না :

তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, অনুরূপ কোন ব্যাংকের জন্য এই উপ-ধারার অধীন প্রয়োজনীয় আদায়কৃত মূলধন ও সংরক্ষিত তহবিলের পরিমাণ সংক্রান্ত শর্ত পরিবর্তন করিতে পারিবে

তবে আরও শর্ত থাকে যে, সরকারের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন কোন নুতন ব্যাংক অথবা বিশিষ্ট ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ও সংরক্ষিত তহবিলের প্রকৃত মূল্য সর্বনিম্ন পর্যায়ের নিম্নে নামিয়া গেলে সরকার উক্ত ব্যাংকের জন্য অতিরিক্ত সম্পদের ব্যবস্থ করিবে।

(৩) নুতন ব্যাংক ও বিশিষ্ট ব্যাংক বাতীত বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত অন্য সকল ব্যাংক কোম্পানীর আদায়কৃত মূলধন ও সংরক্ষিত তহবিল বিশ কোটি টাকা, অথবা চলতি হিসাব বছরের সর্বশেষ কার্য দিবস সমাপ্তির সময় উহার চাহিবামাত্র নায় মেয়াদী দায়ের মোট পরিমাণের শতকরা ছয় ভাগ, এই দুয়ের মধ্যে যে পরিমাণ বেশী তাহা অপেক্ষা কম হইবে না

তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারের সহিত পরামর্শক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন ব্যাংকের জন্য এই উপ-ধারার অধীন প্রয়োজনীয় আদায়কৃত মূলধন ও সংরক্ষিত তহবিলের পরিমাণ সংক্রান্ত শর্ত পরিবর্তন করিতে পারিবে।

(৪) বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক কোম্পানীর আদায়কৃত মূলধন ও সংরক্ষিত তহবিলের মোট মূল্য, উক্ত কোম্পানীর যে কোন কার্য দিবসের সমাপ্তিতে দশ কোটি টাকা, অথবা চলতি হিসাব বছরের সর্বশেষ কার্য দিবস সমাপ্তির সময় বাংলাদেশে উক্ত কোম্পানীর চাহিবামাত্র দায় ও মেয়াদী দায়ের মোট পরিমাণের শতকরা ছয় ভাগ, এই দুইয়ের মধ্যে যে পরিমাণ বেশী তাহা, অপেক্ষা কম হইবে না :

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত ব্যাংক কোম্পানী নগদে বা দায়হীন অনুমোদিত সম্পত্তি নিদর্শন-পত্রে অথবা আংশিক নগদে ও আংশিক অনুরূপ নিদর্শনপত্রে অথবা ব্যাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন সম্পদে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট এই উপ-ধারা মোতাবেক রক্ষণীয় অর্থ জমা না রাখিলে উক্ত ব্যাংক কোম্পানী উপ-ধারার বিধান পালন করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না

তবে আরও শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশের বাহির হইতে তহবিল হস্তান্তর করিয়া বা বাংলাদেশের আমানত হইতে অর্জিত বিদেশে প্রেরণযোগ্য মুনাফা দ্বারা আহরিত সম্পদে উক্ত জমা রাখিতে হইবে।

(৫) যদি কোন কারণে বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক কোম্পানী উহার ব্যাংক ব্যবসা বাংলাদেশে ব্য করিয়া দেয়, তাহা হইলে উপ-ধারা (৪) এর অধীন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট উক্ত ব্যাংক কর্তৃক জমাকৃত অর্থ উহার সম্পদ বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত ব্যাংকের বাংলাদেশস্থ পাওনাদারদের পাওনা উক্ত অর্থের উপর প্রথম নায় হইবে।

(৬) কোন আদায়কৃত মূলধন ও সংরক্ষিত তহবিলের মোট মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে কোন বিরোধ দেখা নিলে তৎসম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।

(৭) বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, কোন ব্যাংক এই ধারা মোতাবেক সর্বনিম্ন পরিশোধিত মূলধন ও সংরক্ষিত তহবিল সংরক্ষণ করিতে ব্যর্থ হইয়াছে তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কোম্পানী বিধি দ্বারা নির্ধারিত জরিমানা দিতে বাধা থাকিবে।

ব্যাখ্যা- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, চাহিবামাত্র দায় ও মেয়ানী দায় নির্ধারণে পরিশোধিত মূলধন, সংরক্ষিত তহবিল, লাভ- ক্ষতির হিসাবে প্রদর্শিত দায়, বাংলাদেশে ব্যাংক হইতে গৃহীত কর্ম ও অন্ত্যব্যাংক দায় অন্তর্ভুক্ত হইবে না।

১৩ক। সম্পদের ঝুঁকিভিত্তিক মূলধন (১) বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, যে কোন সময় সম্পদের ঝুঁকিভিত্তিক সংরক্ষণ সম্পর্কিত নীতিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবে ।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নীতিমালা প্রণয়ন ও কার্যকর করা হইলে, ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (২), (৩) ও (৪) এ উল্লিখিত চাহিবামাত্র দায় ও মেয়াদী দায় এর বিপরীতে মূলধন সংরক্ষণের বিধানের কোন প্রয়োগ থাকিবে না।

১৪। আদায়কৃত লক্ষণ, প্রতিকৃত মূলধন, অনুমোদিত মূলখন ও শেয়ার হোল্ডারগণের ভোটাধিকার নিয়ন্ত্রণ। (১) নুতন ব্যাংক বা বিশিষ্ট নেশনকৃত অন্য কোন ব্যাংক কোম্পানী নিম্নবর্ণিত শর্ত পুরণ করিলে বাংলাদেশে বা অবশ করিতে পরিবেশ-

(ক) উহার প্রতি মূলখন অনুমোদিত মূলধনের অর্ধেকের কম হইবে না

(খ) উহার আদায়কৃত মূলধন প্রতিস্তৃত মূলধনের অর্ধেকের কম হইবে না।

(গ) উহার মূলখন বর্ণিত করা হইলে (ক) ও (খ) দফার শর্তাবলী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময়, যারা দুই বৎসরের বেশী হইবে না, এর মধ্যে পুরণ করিতে হইবে।

(ঘ) উহার মূলধন শুধুমাত্র সাধারণ শেখার সমন্বয়ে গঠিত হইবে।

(ঙ) দফা (চ) এর বিধান সাপেক্ষে, উহার যে কোন শেয়ার হোল্ডারের ভোটাধিকার আদায়কৃত মূলখনে তাহার প্রদত্ত অংশের অনুপাতে নির্ধারিত হইবে;

(চ) সরকার বাতীত অন্য কোন একক শেয়ার হোল্ডারের ভোটাধিকার সকল শেয়ার হোল্ডারগণের সামগ্রিক ভোটাধিকারের শতকরা পাঁচ ভাগের বেশী হইবে না

(২) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে বা কোন চুক্তি বা অন্য কোন দলিলে যাহা কিছুই থাকুকনা কেন, কোন ব্যক্তি নুতন ব্যাংক বা বিশিষ্ট ব্যাংক ব্যতীত অন্য কোন ব্যাংক কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডার হিসাবে রেজিস্ট্রিভুক্ত হইলে, তাহার বিরুদ্ধে তাঁহার শেয়ারের মত, অন্য কোন ব্যক্তির উপর ন্যস্ত হইয়াছে এই দাবীতে কোন মামলা বা অন্য কোন প্রকার আইনগত কার্যধারা অনুসারে করা যাইবে না তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণ কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারার ক্ষেত্রে এই উপ-ধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না, যথা :-

(ক) শেয়ার হস্তান্তর সংক্রান্ত আইন অনুসারে কোন রেজিস্ট্রিভুক্ত শেয়ার হোল্ডার হইতে কোন শেয়ারের হস্তান্তর গ্রহীতা

(খ) কোন রেজিষ্টিতত্ত্ব শেয়ার হোল্ডার কোন নাবালক বা বিকৃত মস্তিষ্ক সম্পন্ন ব্যক্তির পক্ষে উক্ত শেয়ার ধারণ করেন এই নাৰীতে উক্ত নাবালক বা বিকৃত মস্তিষ্ক সম্পন্ন ব্যক্তির পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি

(৩) নুতন ব্যাংক বা বিশিষ্ট ব্যাংক ব্যতীত অন্য কোন ব্যাংক কোম্পানীর চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, এবং তাহার পরিবারের সদস্যবর্গ, উক্ত ব্যাংক কোম্পানীতে এবং অন্য কোন কোম্পানীতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যে শেয়ার, সম্পদ ও দায়-দেনা ধারণ করেন উহার পরিমাণ ও মূল্য সংক্রান্ত তথ্য এবং উহার পরিমাণ বা উহার অধিকার এবং দায়িত্ব সম্পর্কে কোন পরিবর্তন ইহলে তৎসংক্রান্ত তথ্য, এবং অনুরূপ শেয়ার, সম্পদ ও দায়-দেনার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক উহার আদেশের দ্বারা তলবকৃত অন্যান্য তথ্য সম্বলিত একটি পূর্ণ বিবরণী উক্ত ব্যাংক কোম্পানীর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে এবং সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট প্রেরণ করিবেন।

 

১৪.

ক। ব্যাংকের শেয়ার করে বাধা-নিষেধ ইত্যাদি।-

(১) কোন ব্যক্তি, কোম্পানী বা একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ব্যাংকের শেয়ার কেন্দ্রীভূত করা যাইবে না এবং কোন

ব্যক্তি, কোম্পানী বা কোন পরিবারের সদস্যগণ একক, যৌথ বা উভয়ভাবে কোন ব্যাংকের শতকরা দশ ভাগ এর বেশী শেয়ার ক্রয় করিবে না।

(২) ব্যাংকের শেয়ার ক্রয়ের সময় ক্রেতা এই মর্মে শপথ পত্র বা ঘোষণা পত্র দাখিল করিবেন যে, তিনি অন্যের মনোনীত ব্যাপ্তি হিসাবে বা বে-নামীতে শেয়ার ক্রয় করিতেছেন না এবং ইতিপূর্বে বে-নামীতে কোন শেয়ার ক্রয় করেন নাই।

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন দাখিলকৃত শপথপত্র বা ঘোষণাপত্রের বিষয়বস্তু যদি কোন সময় মিথ্যা প্রমাণিত হয়, তাহা হইলে শপথ বা ঘোষণাকারীর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সকল শেয়ার ব্যাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকে বাজেয়াপ্ত হইবে

(৪) ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ৩২ নং অধ্যাদেশ) কার্যকর হওয়ার অব্যবহিত পূর্বে উপ-ধারা (১) এর উল্লিখিত কাহারও নিকট উক্ত উপ-ধারায় নির্ধারিত শেয়ারের অতিরিক্ত শেয়ার থাকিলে উহা উক্ত সংশোধন কার্যকর হওয়ার এক বৎসরের মধ্যে, উক্ত কোম্পানী বা পরিবারের সদস্য নন এমন ব্যক্তি বা উক্ত কোম্পানীতে শেয়ার নাই এমন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রয় করিতে পারিবেন।

(৫) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত অতিরিক্ত শেয়ার যদি উহাতে উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে ও শর্তাধীন বিক্রি করা না হয়, তাহা হইলে উক্ত অতিরিক্ত শেয়ার সরকারের বা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেয়ে নির্দিষ্টকৃত কোন প্রতিষ্ঠানে ন্যস্ত হইবে এবং সরকার বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান উরু শেয়ারের জন্য উহার ফেল মূলা বা বাজার মূল্যের মধ্যে যাহা কম হয় সেই মূল্য পরিশোধ করিবে ।

(৬) এই ধারার কোন কিছুই সরকারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না ব্যাখা- এই উপ-ধারায় “পরিবার” অর্থে কোন বারির স্ত্রী স্বামী, পিতা, মাতা, পুত্র, কন্যা, ভাই, বোন এবং ঐ ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল সকলকে বুঝাইবে।

 

১৫। নুতন পরিচালক নির্বাচন।

-(১) বাংলাদেশ ব্যাংক, তৎকর্তৃক আদেশ প্রদানের দুই মাসের মধ্যে বা তৎকর্তৃক বর্ণিত সময়ের মধ্যে, নুতন ব্যাংক বা বিশিষ্ট ব্যাংক ব্যতীত অন্য যে কোন ব্যাংক-কোম্পানীকে এই অধ্যাদেশের বিধান অনুযায়ী উহার নুতন নির্বাচিত করার উদ্দেশ্যে উক্ত কোম্পানীর সাধারণ সভা আহবানের নির্দেশ দিতে পারিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্বাচিত পরিচালক, উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হইলে তাঁহার পূর্বসূরী যে তারিখ পর্যন্ত উত্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকিতেন সেই তারিখ পর্যন্ত পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন।

(৩) এই ধারার অধীনে যথাযথভাবে অনুষ্ঠিত নির্বাচন সম্পর্কে কোন আদালতে কোন প্রশ্ন উপস্থাপন করা যাইবে না।

(৪) বাংলাদেশ ব্যাংক সাধারণ আদেশ দ্বারা এই মর্মে বিধান করিতে পরিবেন যে, নুতন ব্যাংক বা বিশিষ্ট ব্যাংক ব্যতীত অন্য যে কোন ব্যাংক-কোম্পানীকে উহার উপদেষ্টা (যদি থাকে) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পদের নাম যাহাই হউক না কেন, এর নিযুক্তির পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে এবং এইরূপে নিযুক্ত উপদেষ্টা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে তাহার পন হইতে বরখাস্ত করা, অব্যাহতি দেওয়া বা অপসারণ করা যাইবে না।

১৫ক। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ পূরণ ইত্যাদি। (১) এই আইনে বা অন্য কোন প্রচলিত আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পদের নাম যাহাই হউক না কেন, এর শূন্য পদের বিপরীতে অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সার্বিক দায়িত্ব পালনে দায়বদ্ধ থাকিবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ একাধিনে তিন মাসের অধিক সময়ের জন্য শূন্য রাখা যাইবে না।

(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ পূরণ করা না হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত কোম্পানীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রশাসক নিযুক্ত করিতে পারিবেন এবং উক্ত কোম্পানী তাহার বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি বাবদ খরচ বহন করিবেন।

 

১৬। বিলুপ্ত [……]

 

১৭। পরিচালক পদের শূন্যতা :- (১) ব্যাংক-কোম্পানীর কোন পরিচালক যদি-

 

(ক) তৎকর্তৃক গৃহীত অগ্রিম বা ঋণ বা উক্ত অগ্রিম বা ঋণের কিস্তি বা সুদ পরিশোধ করিতে

(খ) কোন জামিনের জন্য তাঁহার নিকট প্রাপ্য টাকা পরিশোধ করিতে, বা

(গ) তৎকর্তৃক সম্পাদনীয় কোন কর্তব্য, যাহার দায়িত্ব তিনি লিখিতভাবে গ্রহণ করিয়াছেন, সম্পাদন করিতে, ব্যর্থ হন, এবং উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে নোটিশ দ্বারা তাহাকে উক্ত অগ্রিম, ঋণ, কিস্তি, সুদ বা টাকা পরিশোধ বা উক্ত কর্তব্য সম্পাদন করিতে নির্দেশ দেয় এবং উক্ত নির্দেশ পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে তিনি উক্তরূপ পরিশোধ বা কর্তব্য সম্পাদন করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে উক্ত সময় অতিক্রান্ত হইবার সাথে সাথে তাঁহার পদ শূন্য হইবে।

(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন নোটিশ প্রাপ্ত হইলে, তিনি, নোটিশ প্রান্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাহার কোন বক্তব্য থাকিলে উহার উপর বক্তব্য, যদি থাকে, লিখিতভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট প্রেরণ করিতে পারিবে উহার একটি কপি নোটিশ প্রদানকারী ব্যাংক-কোম্পানীকেও প্রেরণ করিবেন।

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রেরিত বক্তব্যের উপর বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে ।

(৪) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, শূন্য হওয়া পদের বিপরীতে যে ব্যক্তি পরিচালক ছিলেন তাহার নিকট হইতে ব্যাংকের প্রাপ্ত টাকা তাহার শেয়ার সমন্বয়ের মাধ্যমে আদায় করা হইবে এবং উক্তরূপ সমন্বয়ের পর যে টাকা বাকী থাকিবে উহা প্রচলিত আইন অনুযায়ী আদায় করা হইবে।

১৮। পরিচালক কর্তৃক কতিপয় সুযোগ সুবিধার বিষয় সম্পর্কিত বিধান।

(১) অন্য কোন আইন বা সংঘ স্মারকে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ব্যাংক-কোম্পানীর কোন পরিচালক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় অংশ গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ফিস বা ব্যাংকের ব্যবসায়িক মার্থের জন্য প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত হওয়ার কারণে পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের দ্বারা তাহার উপর আরোপিত কোন বিশেষ দায়িত্ব পালনের জন্য পর্ষদ কর্তৃক থিরিকৃত অর্থ ব্যতীত ব্যাংক হইতে আর্থিক বা অন্য কোন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করিবেন না।

(২) যদি ব্যাংক-কোম্পানীর কোন পরিচালক কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থপনার সহিত জড়িত বা সংশ্লিষ্ট থাকাকালীন সময়ে বা উহাতে তাহার অন্য দশ শতাংশ স্বত্ব থাকাকালীন সময়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সহিত ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যাংক ব্যবসা ব্যতীত অন্য কোন ব্যবসা সম্পাদিত হয় তাহা হইলে ব্যাংক-কোম্পানীকে উহার সাধারণ সভায় এই বিষয় সম্পর্কে বর্ণনা সম্বলিত একটি প্রতিবেদন পেশ করিতে হইবে।

 

১৯। শেয়ার বিক্রীর কমিশন, দালালী বা বাটা ইত্যাদি সম্পর্কে বাধা-নিষেধ।

কোম্পানী আইনের Section 105 এবং Section 105A তে ভিন্নরূপ বিধান থাকা সত্ত্বেও, কোন ব্যাংক-কোম্পানী উহার শেয়ার বরাদ্দকরণের ব্যাপারে শেয়ার সমূহের বিপরীতে আসয়কৃত মূল্যের শতকরা আড়াই ভাগের বেশী অর্থ, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, কমিশন, দালালী, বাটা বা পারিশ্রমিক হিসাবে বা অন্য কোন প্রকারে প্রদান করিতে পরিবে না।

 

২০। অনাদায়ী মূলধনের উপর দায়যুক্তকরণ অবৈধ।

কোন ব্যাংক কোম্পানী উহার কোন অনাদায়ী মূলধনকে দায়যুক্ত করিবে না এবং এইরূপ সায়যুক্ত করা হইলে উহা অবৈধ হইবে।

 

২১। সম্পদকে অনির্দিষ্ট দায়মুক্তকরণ (floating charge) অবৈধ।

(১) ধারা ৭এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন ব্যাংকে কোম্পানীর আমানতকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী হইবে না এই মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংকের লিখিত প্রত্যয়নপত্র ব্যতীত, কোন ব্যাংক- কোম্পানী উহার কোন কাজ বা সম্পত্তিকে বা উহার কোন অংশকে অনির্দিষ্ট নায়যুক্ত করিবে না।

(২) বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে প্রত্যয়ন পত্র ব্যতীত উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন দায়যুক্তকরণ অবৈধ হইবে।

(৩) বাংলাদেশ ব্যাংক উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিলে, সংস্কৃত ব্যাংক অধীকৃতি আপনের বিষয় উহাকে অবহিত করিবার তারিখ হইতে নকাই দিনের মধ্যে, উক্ত অস্বীকৃতি জাপনের বিরুদ্ধে সরকারের নিকট আপীল করিতে পারিবে।

(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন কোন আপীল দায়ের করা হইলে, উহার উপর সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে, এবং উর উপ-ধারার অধীন আপীল দায়ের না করা হইলে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।

 

২২। লভ্যাংশ (dividend) প্রদানের উপর বাধা-নিষেধ।

– (১) নুতন ব্যাংক অথবা বিশিষ্ট ব্যাংক ব্যতীত অন্য কোন ব্যাংক কোম্পানী ইহার শেয়ারের উপর কোন লভ্যাংশ প্রদান করিবে না, যদি

(ক) উহার প্রাথমিক ব্যয়, সাংগঠনিক ব্যয়, শেয়ার বিক্রি ও দালালীর কমিশন, লোকসান এবং অন্যান্য ব্যয় সহ মূলধনে পরিণত হইয়াছে এইরূপ সকল ব্যয় সম্পূর্ণরূপে অবলোপন করা না হইয়া থাকে, অথবা

(খ) উহা পরিশোধিত ও সংরক্ষিত তহবিল হিসাবে উহার চাহিবামাত্র দায় ও মেয়াদী দায় এর অন্যূন ৬% এর সমপরিমাণ অর্থ বজায় রাখিতে ব্যর্থ হয়।

উপ-ধারা (১) বা কোম্পানী আইনে ভিন্নরূপ বিধান থাকা সত্ত্বেও, কোন ব্যাংক-কোম্পানী অবলোপন ব্যতিরেকেই শেয়ারের উপর নিম্নবর্ণিত অবস্থায় লভ্যাংশ প্রদান করিতে পারিবে :-

(ক) অনুমোদিত সম্পত্তি-নিদর্শনপত্রে বিনিয়োগকৃত অর্থের মূল্য হ্রাস হইলেও যদি তা দ্বারা প্রকৃতপক্ষে মূলধনের উপর প্রভাব না পড়ে বা উহাকে অন্য কোনভাবে লোকসান হিসাবে গণ্য না করা হয়।

(খ) অনুমোদিত সম্পত্তি-নির্দশনপত্র ব্যতীত যে কোন শেয়ার, ঋণপত্র বা বন্ডে বিনিয়োগকৃত অর্থের মূল্য হ্রাস হইলেও যদি উহার জন্য ব্যাংক-কোম্পানীর নিরীক্ষকের সন্তুষ্টি মোতাবেক পর্যাপ্ত সম্মিতির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইয়া থাকে।

(গ) অনাদায়যোগ্য ঋণের ব্যপারে যদি ব্যাংক-কোম্পানীর নিরীক্ষকের সন্তুষ্টি মোতাবেক পর্যান্ত সম্মিতির ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।

 

২৩। সাধারণ পরিচালক নিয়োগে বাধা-নিষেধ।

(১) অন্য কোন আইন বা কোম্পানীর সংঘ স্মারকে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নুতন ব্যাংক বা বিশিষ্ট ব্যাংক ব্যতীত বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া এমন কোন পরিচালক থাকিবে না, যিনি-

(ক) অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানীর, বা ব্যাংক-ব্যবসায় নিয়োজিত নয় এইরূপ অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের পরিচালক

(কক) কোন বীমা কোম্পানীর পরিচালক

(ককক) উত্ত ব্যাংক কোম্পানীর বহিঃ হিসাব নিরীক্ষক, আইন উপদেষ্টা বা অন্য কোনভাবে লাভজনক দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি বা উক্ত ব্যাংক কোম্পানীর উপদেষ্টা

(কককক) অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানীর উপদেষ্টা,

(খ) এমন কতিপয় কোম্পানীর পরিচালক যেসব কোম্পানী উন্ন ব্যাংক-কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডারদের মোট শেয়ারের বিপরীতে মোট ভোটের ২০% এর অধিক ভোট প্রদানের অধিকারীঃ

তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার বিধান সরকার কর্তৃক নিযুক্ত পরিচালকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।

(১ক) উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী পরিচালক থাকিতে পারেন না এমন কোন ব্যক্তি যদি কোন ব্যাংক- কোম্পানীর পরিচালক থাকেন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পরিচালক পদ হইতে অপসারণ করিবে

তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপে অপসারণের পূর্বে পরিচালককে কারণ দর্শানোর যুক্তিসংগত সুযোগ দিতে হইবে

আরও শর্ত থাকে যে, উপরি উক্ত ব্যক্তি কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক থাকার বিষয় বাংলাদেশ ব্যাংক অবগত হইবার অনধিক তিন মাসের মধ্যে এই উপ-ধারার অধীন সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করিবে।

(২) এই অধ্যাদেশের প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্ব হইতে কোন ব্যাংক-কোম্পানীতে কর্মরত পরিচালক যদি এমন কতিপয় কোম্পানীর পরিচালক হন যেসব কোম্পানী উক্ত ব্যাংক কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডারদের মোট শেয়ারের বিপরীতে মোট ভোটের ২০% এর অধিক ভোট প্রদানের অধিকারী, তাহা হইলে তিনি অনুরূপ প্রবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে,

(ক) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালকের পদ ত্যাগ করিবেন, অথবা

(খ) কোম্পানীগুলির মধ্যে এমন কতিপয় কোম্পানীর পরিচালক পদে থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন যে সকল কোম্পানী উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীতে মোট শেয়ার বলে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর শেয়ারের বিপরীতে ভোটের মোট সংখ্যার ২০% এর অধিক ভোট প্রদানের অধিকারী নহে এবং অন্যান্য কোম্পানীর পরিচালকের পদ ত্যাগ করিবেন।

 

২৪। সংরক্ষিত তহবিল-

(১) বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী একটি সংরক্ষিত তহবিল গঠন করিবে, এবং শেয়ার প্রিমিয়াম একাউন্টে রক্ষিত অর্থসহ উক্ত তহবিলের অর্থ যদি উহার আদায়কৃত মূলধন, অথবা বাংলাদেশ ব্যাংক কোন ব্যাংক-কোম্পানীর জন্য এতদুদ্দেশ্যে সময় সময় যে পরিমাণ প্রিমিয়াম নির্ধারণ করে তাহা অপেক্ষা কম হয়, তাহা হইলে ব্যাংক- কোম্পানী ধারা ৩৮ এর অধীন প্রস্তুতকৃত উহার লাভ-ক্ষতির হিসাবে যে মুনাফা দেখাইয়াছে উহা হইতে কোন টাকা সরকারের নিকট হস্তান্তর, বা লভ্যাংশ হিসাবে ঘোষণা করার পূর্বে অন্যূন ২০% এর সমপরিমাণ টাকা সংরক্ষিত তহবিলে হস্তান্তর করিবে।

(২) কোন ব্যাংক-কোম্পানী সংরক্ষিত তহবিল বা শেয়ার প্রিমিয়াম একাউন্ট হইতে কোন অর্থ কোন কাজে লাগাইবার জন্য পৃথক করিয়া রাখিলে তৎসম্পর্কে উত্তরূপ পৃথকীকরণের তারিখ হইতে ২১ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক উক্তরূপ অবহিত করার সময়-সীমা বৃদ্ধি করিতে পারিবে, বা অনুরূপ অবহিতকরণে বিলম্ব হইয়া থাকিলে উক্ত বিলম্ব মার্জনা করিতে পারিবে।

 

২৫ । সংরক্ষিত নগদ তহবিল-

(১) তফসিলী ব্যাংক ব্যতীত প্রতিটি ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশে সংরক্ষিত নগদ তহবিল হিসাবে উহার মেয়াদী ও চাহিবামাত্র দায় এর ৫% এর সমপরিমাণ নগদ অর্থ নিজের কাছে, বা বাংলাদেশ ব্যাংক বা উহার প্রতিনিধিত্বকারী ব্যাংকে, বা উভয় ব্যাংকে সমান অংশে, মওজুদ রাখিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, কোন বিশেষ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপণ দ্বারা এবং উহাতে এতদুদ্দেশ্যে শর্ত সাপেক্ষে, সংরক্ষিত নগদ তহবিল সংক্রান্ত প্রয়োজনীয়তা পরিবর্তন করিতে পরিবে, অথবা সরকারের পূর্বানুমতিক্রমে, টির প্রয়োজনীয়তা রহিত করিতে পরিবে ।

ব্যাখ্যা। এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোন ব্যাংক-কোম্পানী পরিশোধিত মূলধন, বা সংরক্ষিত নগদ অর্থ বা উহার লাভ- ক্ষতির হিসাবে প্রদর্শিত দেনা, বা বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে গৃহীত কোন ঋণ, উহার “দায়” এর অন্তর্ভূক্ত হইবে না।

(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান মোতাবেক সংরক্ষিত তহবিল সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক যখন কোন তথ্য তলব করিবে, তফসিলী ব্যাংক ব্যতীত প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী সেই তথ্য সম্বলিত একটি বিবরণী উক্ত কোম্পনীর দুইজন কর্মকর্তার স্বাক্ষরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করিবে।

(৩) কোন ব্যাংক-কোম্পানী উপ-ধারা (২) এর বিধান মোতাবেক বিবরণী দাখিল করিতে ব্যর্থ হইলে উক্ত ব্যর্থতার প্রতি দিনের জন্য উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুর্ধ্ব দুই হাজার পাঁচশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে।

(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন দাখিলকৃত বিবরণী হইতে যদি দেখা যায় যে, উহা দাখিল করিবার নির্ধারিত তারিখের পূর্বের যে কোন দিবসের কাজের সমাপ্তিতে বিবরণ দাখিলকারী ব্যাংক-কোম্পানী মওজুদ অর্থ

উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত ন্যূনতম নগদ অর্থ অপেক্ষা কম ছিল, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত কোম্পানীকে উক্ত ঘাটতির উপর উহাকে ব্যাংক রেট ৩% ভাগ বেশী যাবে উক্ত দিবসের জন্য জরিমানামূলক সুদ প্রদানের জন্য আদেশ দিতে পারিবে, এবং অনুরূপ পরবর্তী কোন বিবরণী হইতে যদি দেখা যায় যে, উহা দাখিলের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্বের যে কোন দিবসের কাজের সমাপ্তিতেও উর কোম্পানীর মতন অর্থ উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত ন্যূনতম নগদ অর্থ অপেক্ষা কম ছিল, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত কোম্পানীকে উক্ত ঘাটতির উপর উহাকে ব্যাংক রেট অপেক্ষা ৫% বেশী হারে দিনগুলির জন্য জরিমানামূলক সুদ প্রদানের আদেশ দিতে পারিবে।

(৫) কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক দাখিলকৃত বিবরণীর ভিত্তিতে উপ-ধারা (৪) এর অধীন যদি উত্তর ব্যাংক-কোম্পানী ব্যাংক রেটের উপর শতকরা ৫% ভাগ বেশী হারে জরিমানামূলক সুদ প্রদেয় হয়, এবং তৎপরবর্তী বিবরণী হইতে যদি দেখ যায় যে, উহার নিকট উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত নুন্যতম নগদ অর্থ অপেক্ষা কম অর্থ আছে তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক তৎকর্তৃক নির্ধারিত তারিখ হইতে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে নুতন আমানত গ্রহণ না করার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উন্নত নির্দেশ অমান্য করিয়া কোন আমানত গৃহীত হইলে আমানত গ্রহণের প্রত্যেক তারিখের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত ব্যাংক- কোম্পানীকে, উহাকে প্রদেয় অনুর্ধ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করিতে পারিবে।

(৬) এই ধারার অধীন আরোপিত কোন জরিমানা, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদায় করিতে হইবে এবং উক্ত সময়ের মধ্যে উহা যদি আদায় করা না হয় তাহা হইলে উহা সরকারী দারী (public demand) হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে।

 

২৬। সাবসিডিয়ারী কোম্পানী।

(১) কোন ব্যাংক-কোম্পানী নিম্নবর্ণিত কোন উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে কোন সাবসিডিয়ারী কোম্পানী গঠন করিতে পারিবে না যথা-

(ক) কোন ট্রাষ্ট পরিচালনা ও কার্যকর করা

(খ) নির্বাহক বা ট্রাম্মী হিসাবে বা অন্য কোন প্রকারে কোন সম্পত্তি পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করা।

(গ) আমানতের নিরাপত্তা বিধানের জন্য নিরাপদ ভল্টের ব্যবস্থা করা

(ঘ) শরীয়তের নীতিমালা অনুসারে ব্যাংক ব্যবসায় পরিচালনা করা

(ঙ) বাংলাদেশ ব্যাংক লিখিত পূর্বানুমতিক্রমে,-

(অ) কেবলমাত্র বাংলাদেশের বাহিরে ব্যাংক ব্যবসা পরিচালনা করা

(আ) অধিবাসীগণের নিকট হইতে বৈদেশিক মুদ্রায় প্রাপ্ত এবং অবাধে হস্তান্তরযোগ্য আমানতের ভিত্তিতে ব্যাংক

ব্যবসা পরিচালনা করা

(চ) বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, যে সকল ব্যবসাকে বাংলাদেশে ব্যাংক ব্যবসার প্রসার ও উন্নয়নের জন্য সহায়ক বা জনস্বার্থের জন্য প্রয়োজনীয় বা অন্য কোনভাবে উপকারী বলিয়া মনে করে, সেই সকল ব্যবসার উদ্যোগ গ্রহণ করা।

(২) উপ-ধারা (১) এর বিধানানুযায়ী ব্যতীত, কোন ব্যাংক-কোম্পানী গচ্ছিত গ্রহণ বা কথক ভিত্তিতে বা মালিকানা যত্নে অন্য কোন কোম্পানীর শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত পরিমাণের মধ্যে যাহা কম হয় তাহা অপেক্ষা বেশী শেয়ার ধারণ করিবে না, যথা :-

(ক) উক্ত কোম্পানীর আদায়কৃত ও সংরক্ষিত মূলধনের মোট পরিমাণের ত্রিশ শতাংশ, অথবা

(খ) উক্ত কোম্পানীর আদায়কৃত মূলধনের ত্রিশ শতাংশ :

তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন প্রবর্তনের তারিখে কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক ধারণকৃত উত্তরূপ শেয়ারের পরিমাণ এই উপ-ধারায় অনুমোদিত পরিমাণের বেশী থাকিলে অনুরূপ ধারণের জন্য উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী দণ্ডণীয় হইবে না, যদি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী-

(অ) অবিলম্বে ব্যাপারটি বাংলাদেশ ব্যাংকের গোচরীভূত করে এবং

(আ) বাংলাদেশ ব্যাংক এতদুদ্দেশ্যে যে সময় নির্ধারণ করে, যাহা উক্ত প্রবর্তন হইতে দুই বৎসরের বেশী হইবে না, তাহার মধ্যে উক্ত শেয়ারের পরিমাণ এই উপ-ধারায় অনুমোদিত সীমার মধ্যে কমাইয়া আনেঃ

আরো শর্ত থাকে যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক ধারণকৃত শেয়ারের পরিমাণ সমষ্টিগতভাবে উহার মোট দায় এর শতকরা ১০ (দশ) ভাগ এর বেশী হইবে না।

(৩) উপ-ধারা (২) তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা ম্যানেজার কোন কোমপানীর পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট থাকেন বা উহাতে তাঁহার কোন মার্থ থাকে, তাহা হইলে, এই আইন প্রবর্তনের তারিখ হইতে এক বৎসর মেয়াদ অতিক্রান্ত হওয়ার পর, সেই ব্যাংক-কোম্পানী উক্ত কোম্পানীতে, বা বন্ধকী বা মালিকানা যত্নে কোন শেয়ার ধারণ করিতে পারিবে না।

২৭। ঋণ ও অগ্রিম প্রদানের উপর বাধা-নিষেধ।

(১) কোন ব্যাংক-কোম্পানী,

(ক) উহার নিজস্ব শেয়ারকে জামানত হিসাবে রাখিয়া কোন ঋণ বা অগ্রিম প্রদান করিবে না।

(খ) বিনা জামানতে নিম্নবর্ণিত যাত্রি বা প্রতিষ্ঠানকে কোন ঋণ বা অগ্রিম মঞ্জুর করিবে না, অথবা এই সকল ব্যক্তি বা

প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দায় গ্রহণের ভিত্তিতে কোন ঋণ ও অগ্রিম প্রদান করিবে না.

(অ) ইহার কোন পরিচালক

(আ) ইহার কোন পরিচালকের পরিবারের কোন সদ

(ই) এমন কোন বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বা প্রাইভেট কোম্পানী যাহাতে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার কোন পরিচালক বা উহার কোন পরিচালকের পরিবারের কোন সদস্য পরিচালক, মালিক বা অংশীদার রহিয়াছেন

(ঈ) এমন কোন পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী, যাহা উচ্চ ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার কোন পরিচালক বা উহার কোন পরিচলাকের পরিবারের কোন সদস্য কর্তৃক কোনভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়, অথবা যাহাতে উক্ত ব্যক্তিদের কাহারও এমন পরিমাণ শেয়ার থাকে যাহাদ্বারা তিনি অন্যূন বিশ শতাংশ ভোটদান ক্ষমতার অধিকারী হন।

(২) কোন ব্যাংক-কোম্পানী নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট পরিচালক ব্যতীত অন্যান্য পরিচালকগণের সংখ্যাগরিষ্ঠের অনুমোদন ব্যাধিয়েকে কোন ক্ষণ বা অগ্রিম প্রদান করিবে না,

(ক) উহার কোন পরিচালক, বা

(খ) এমন কোন ব্যক্তি, বাণিজ্য-প্রতিষ্ঠান, কোন কোম্পানী, যাহার সহিত বা যাহাতে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক-অংশীদার, পরিচালক বা জামীনদাতা হিসাবে মার্থ সংশ্লিষ্ট রহিয়াছে।

ব্যাখ্যা এই উপ-ধারায় ‘পরিচালক’ বলিতে পরিচালকের স্ত্রী, স্বামী, পিতা, মাতা, পুত্র, কন্যা, ভাই, বোন, শ্যালক, শালিকা, ভগ্নিপতি, শ্বশুর, শাশুড়ী, পুত্রবধূ ও কন্যার স্বামীকেও বুঝাইবে।

(৩) বাংলাদেশ ব্যাংকের লিখিত পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে কোন ব্যাংক-কোম্পানী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন ব্যক্তি বা সংস্থাকে এমন কোন সুবিধা দিতে পারিবে না যাহার পূর্ণ মূল্যমান-

(ক) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর মোট মূলধনের ১৫ শতাংশের বেশী বা

(খ) যেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সহজে বিপণন করা যায় এমন আর্থিক সিকিউরিটি দ্বারা উক্ত সুবিধার নিরাপত্তা বিধান করা হয়, উন্ন ব্যাংক-কোম্পানীর মোট মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশী

তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক কোন ব্যাক্তি বা সংস্থাকে বা একই মালিকানাধীন বা গ্রোত্র ভুক্ত সংস্থাকে কোন ব্যাংক কোম্পানীর মোট মূলধনের ১০০% এর বেশী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সুবিধা দানের অনুমতি দিতে পারিবে না।

ব্যাখ্যা- (১) সুবিধা” বলিতে যে কোন ঋণ, অগ্রিম অথবা অন্য কোন ঋণ-সুবিধা, আর্থিক গ্যারান্টি অথবা এমন কোন দায়- দেনা যাহা কোন ব্যক্তি বা সংস্থার পক্ষে কোন ব্যাংক কোম্পানী গ্রহণ করিয়াছে তাহাকে বুঝাইবে এবং

(২) মোট মূলধনা বলিতে ধারা ১৩ মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত বিধান অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকারের সিকিউরিটি, ফল-পত্র, আমানত দায় ইত্যাদিসহ মূলধন ও সংরক্ষিত তহবিলকে বুঝাইবে

(৪) প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রত্যেক মাস শেষ হওয়ার পূর্বে, উহার পূর্ববর্তী মাসের একটি বিবরণী বিধিদ্বারা নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করিবে, এবং উক্ত বিবরণীতে নিম্নবর্ণিত বিষয় সমূহের উল্লেখ থাকিবে

(ক) এমন কোন প্রাইভেট বা পাবলিক কোম্পানীকে মঞ্জুরীকৃত ঋণ বা অগ্রিম যাহাতে ব্যাংক-কোম্পানীটি বা উহার কোন পরিচালক উক্ত কোম্পানীর পরিচালক হিসাবে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রহিয়াছেন এবং

(খ) এমন পাবলিক কোম্পানীকে মঞ্জুরীকৃত ঋণ বা অগ্রিম যাহাতে ব্যাংক-কোম্পানীটি বা উহার কোন পরিচালক ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধি বা জামিনদার হিসাবে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রহিয়াছেন।

(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন দাখিলকৃত কোন বিবরণী পরীক্ষান্তে যদি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট হইা প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী উহার আমানতকারীগণের স্বার্থ হানি করিয়া উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত কোন ঋণ বা অগ্রিম প্রদান করিয়াছে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক লিখিত আদেশ দ্বারা এই প্রকার আর কোন ঋণ বা অগ্রিম প্রদান না করার জন্য উক্ত ব্যাংক- কোম্পানীকে নির্দেশ দিতে পারিবে এবং অনুরূপ ঋণ বা অগ্রিম প্রদানের উপর বাধা-নিষেধ আরাপ করিতে পারিবে, এবং উক্ত আদেশে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই প্রকার প্রদত্ত ঋণ ও অগ্রিম আদায় নিশ্চিত করিবার জন্যও উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে নির্দেশ দিতে পরিবে ।

 

২৮। ঋণ মওকুফের উপর বাধ-নিষেধ।

(১) বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন কোন ব্যাংক-কোম্পানী উহ নিকট হইতে নিম্নবর্ণিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত মণ্ডকৃষ্ণ করিবে না,

(ক) উহার কোন পরিচালক, এবং তাহার পরিবারের সদস্যবর্গ

(খ) এমন কোন বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী যাহাতে ব্যাংক-কোম্পানীটির কোন পরিচালক, জামিনদার পরিচালক-অংশীদার, ম্যানেজিং এজেন্ট হিসাবে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রহিয়াছেন, এবং

(গ) এমন কোন ব্যক্তি যাহার সহিত উত্ত ব্যাংক-কোম্পানীর কোন পরিচালক, অংশীদার বা জামিনদার হিসাবে বা সংশ্লিষ্ট রহিয়াছেন। (২) উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘনরুমে কোন ঋণ মওকুফ করা হইলে উহা অবৈধ হইবে এবং অনুরূপ মওকুফের জন্য দায়ী ব্যক্তি অনুর্ধ তিন বছর কারাদণ্ডে বা অনুর্ধ ত্রিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

 

২৯। অগ্রিম প্রদান নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা।

(১) বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, অগ্রিম প্রদানের ব্যাপারে সাধারণভাবে সকল ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক বা বিশেষভাবে কোন নির্দিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক অনুসরণীয় কিছু নীতি নির্ধারণ করা প্রয়োজনীয় অথবা সমীচীন, তাহা হইলে উহা অনুরূপ নীতি নির্ধারণ করিতে পারিবে, এবং এইরূপ কোন নীতি নির্ধারিত হইলে, তাহা সকল অথবা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী অনুসরণ করিতে বাধ্য থাকিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতায় সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া বাংলাদেশ ব্যাংক সাধারণভাবে সকল ব্যাংক-কোম্পানী বা কোন বিশেষ ব্যাংক-কোম্পানী বা বিশেষ শ্রেণীর ব্যাংক-কোম্পানীকে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহে বাধ্যতামূলকভাবে অনুসরণীয় নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে,

(ক) প্রদেয় ঋণের সর্বোচচ সীমা

(খ) অগ্রিমের মোট পরিমাণ এবং যত্ন পরিমানের বা অন্যবিধ ঋণের মধ্যে বজায়তব্য অনুপাত

(গ) যে সকল উদ্দেশ্যে অগ্রিম প্রদেয় বা প্রদেয় নয়

(ঘ) কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা কোন বিশেষ শ্রেণীর ব্যাংক-কোম্পানী বা ব্যক্তি বা ব্যক্তি-গোষ্ঠিকে প্রদেয় অগ্রিমের সর্বোচচ সীমা

() অগ্রিমের জন্য জামানত এবং রক্ষিতব্য মার্জিন, এবং (চ) অগ্রিমের উপর আরোপিত সুদের হার।

(৩) উপ-ধারা (২) এর দফা (ক) ও (খ) তে উল্লিখিত বিষয়ে কোন নির্দেশ পালনে কোন ব্যাংক-কোম্পানী ব্যর্থ হইলে তজ্জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, তৎকর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট জমা দিবার জন্য নির্দেশ দিতে পরিবে এবং উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী অনুরূপ নির্দেশ, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, পালন করিতে বাধ্য থাকিবে

তবে শর্ত থাকে যে, যে পরিমাণ অর্থের ব্যাপারে উক্ত ব্যর্থতা সংঘটিত হইয়াছে তাহা অপেক্ষা বেশী পরিমাণ অর্থ জমা দিবার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে নির্দেশ দিতে পরিবে না।

(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন বাংলাদেশ ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ বা উহার অংশ বিশেষ যে কোন সময় বাংলাদেশ ব্যাংক, লিখিত আদেশ দ্বারা, জমাদানকারী ব্যাংক-কোম্পানীর বরাবরে, নিঃশর্তে বা শর্ত সাপেক্ষে, অবমুক্ত করিয়া দিতে পারিবে।

 

৩০। সুদের হার সম্পর্কে আদালতের এখতিয়ার।

আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যাংক-কোম্পানী এবং ইহার কোন দেনাদারের মধ্যে লেনদেনে ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক ধার্যকৃত সুদ অতিমাত্রায় বেশী ছিল এবং ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক পরিচালিত ব্যাংকের ব্যবসায়িক লেনদেন উচচ মুনাফা বা ভাড়ার হার ছিল শুধুমাত্র এই কারণেই উত্ত লেনদেনের বিষয়টি কোন আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে না।

৩১। ব্যাংক-কোম্পানীর লাইসেন্স।

(১) অতঃপর বর্ণিত ক্ষেত্র ব্যতীত, কোন কোম্পানী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে প্রদত্ত লাইসেন্স ব্যতীত বাংলাদেশে কোন ব্যাংক ব্যবসা পরিচালনা করিতে পারিবে না। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন লাইসেন্স প্রদানের সময় বাংলাদেশ ব্যাংক উহার বিবেচনায় সংগত যে কোন শর্ত আরোপ করিতে পারিবে।

(৩) এই অধ্যাদেশ প্রবর্তনের সময় বিদ্যমান কোন ব্যাংক-কোম্পানী উক্ত প্রবর্তন হইতে ছয় মাস অতিবাহিত হইবার পূর্বে,

এবং অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশে উহার ব্যাংক ব্যবসা আরম্ভ করিবার পূর্বে, এই ধারার অধীন লাইসেন্সের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করিবে ।

তবে শর্ত থাকে যে, উপধারা (১) এর কোন কিছুই এই আইন প্রবর্তনের সময় বিদ্যমান কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবসা চালাইয়া যাইতে কোন বাধা হিসাবে গণ্য হইবে না, যদি

(ক) এই ধারার অধীন উহার আবেদন বিবেচনাধীন থাকে, বা

(খ) লাইসেন্স মঞ্জুর করা যাইবে না এই মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক উহাকে নোটিশের মাধ্যমে জানাইয়া নেওয়া না

আরও শর্ত থাকে যে, ধারা ১৩(১) এ উল্লিখিত বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত ব্যাংক-কোম্পানী-কে এই আইন প্রবর্তনের দুই বৎসর, এবং উক্ত ধারায় উল্লিখিত বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানীকে উক্ত প্রবর্তনের ছয় মাস অতিবাহিত হইবার পূর্বে, বা উক্ত ধারার শর্তাংশ অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বর্ধিত সময় অতিবাহিত হইবার পূর্বে, বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত নোটিশ প্রদান করিবেনা।

(৪) এই ধারার অধীন লাইসেন্স প্রদানের পূর্বে নিম্নবর্ণিত সকল বা কোন শর্ত পূরণ করা হইয়াছে কি না তৎসম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর নথিপত্র পরিদর্শনের মাধ্যমে বা অন্য কোনভাবে বাংলাদেশ ব্যাংককে সন্তুষ্ট হইত হইবে, যথা :-

(ক) কোম্পানী উহার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ আমানতকারীদের দাবী পূর্ণভাবে মিটাইতে সক্ষম

(খ) কোম্পানীর কাজকর্ম উহার বর্তমান বা ভবিষ্যৎ আমানতকারীদের মার্থের পরিপন্থী পস্তুতিতে পরিচালিত হইতেছে না বা হইবার সম্ভাবনা নাই:

(গ) বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, কোম্পানী যে দেশে নিবন্ধনকৃত সে দেশের সরকার বা আইন কোম্পানীটিকে সেই সকল সুবিধা প্রদান করে যেই সব সুবিধা বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত কোন কোম্পানীকে বাংলাদেশ সরকার বা বাংলাদেশী আইন প্রদান করে, এবং কোম্পানীটি, এই আইনের যে সকল বিধান বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত কোম্পানীর ব্যাপারে প্রযোজ্য সে সকল বিধান মানিয়া চলে।

(৫) এই ধারার অধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীকে প্রদত্ত লাইসেন্স বাংলাদেশ ব্যাংক নিম্নলিখিত কারণে বাতিল করিতে পারে,

(ক) যদি উক্ত কোম্পানী বাংলাদেশে উহার ব্যাংক ব্যবসা বন্ধ করিয়া দেয়

(খ) যদি কোন সময় উপ-ধারা (১) এর অধীনে আরোপিত কোন শর্ত উক্ত কোম্পানী পালন করিতে ব্যর্থ হয় বা

(গ) যদি কোন সময় উক্ত কোম্পানী উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত কোন শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়ঃ তবে শর্ত থাকে যে, দফা (খ) ও (গ) এর অধীন কোন লাইসেন্স বাতিল করিবার পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তাধীনে উক্ত দফাসমূহের বিধানাবলী পালন বা পূরণ করিবার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ প্রদানজনিত বিলম্ব উক্ত কোম্পানীর আমানতকারীদের বা জনস্বার্থের পরিপন্থী হইবে না, তাহা হইলে উক্ত বিধানাবলী পালন বা পূরণ করিবার সুযোগ দিবে ।

(৬) এই ধারার অধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্তের ফলে কোন ব্যাংক-কোম্পানী সংক্ষুদ্ধ হইলে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত উহাকে গোচরীভূত করিবার তারিখের ত্রিশ দিনের মধ্যে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী সরকারের নিকট আপীল দায়ের করিতে পারিবে।

(৭) উপ-ধারা (৬) এর অধীনে সরকারের নিকট কোন আপীল দায়ের করা হইলে, উহার উপর সরকারের সিদ্ধান্ত বা, কোন আপীল দায়ের করা না হইলে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।

 

৩২। নুতন ব্যবসা কেন্দ্র চালু বা বর্তমান ব্যবসা কেন্দ্র স্থানান্তরের উপর বাধা-নিষেধ।

(১) বাংলাদেশ ব্যাংকের লিখিত পূর্ব অনুমোদন ব্যতিরেকে

(ক) কোন ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশের কোথাও কোন নুতন ব্যবসা কেন্দ্র চালু করিবে না এবং বিদ্যমান ব্যবসা কেন্দ্রের স্থান পরিবর্তন করিবে না এবং

(খ) বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশের বাহিরে কোন নুতন ব্যবসা কেন্দ্র চালু করিবে না এবং বাংলাদেশের বাহিরে বিদ্যমান ব্যবসা কেন্দ্রের স্থান পরিবর্তন করিবে না। (২) কোন প্রদর্শনী, মেলা, সম্মেলন বা অনুরূপ অন্য কোন অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসাধারণকে সাময়িকভাবে ব্যাংকের সেবা অনধিক এক মাসের জন্য নুতন ব্যবসা কেন্দ্র করা হইলে সেই ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে না :

তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ ব্যবসা চালু করিবার এক সপ্তাহের মধ্যে তৎসম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাইতে হইবে ।

(৩) কোন ব্যাংক-কোম্পানীকে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অনুমতি প্রদানের পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনবোধে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর কোন বিষয়ে ধারা ৪৪ এর অধীন পরিদর্শনের মাধ্যমে বা অন্য কোনভাবে জানাইয়া দিতে পরিবে ।

 

৩৩। সহজে বিনিময়যোগ্য সম্পদ সংরক্ষণ।

(১) প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী চলতি বাজার দরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এই পরিমাণ নগদ অর্থ বা বর্ণ বা দায়মুক্ত অনুমোদিত সম্পত্তি-নিদর্শন-পত্র সংরক্ষণ করিবে যাহার মূল্য উহার যে কোন দিবসের সমাপ্তিতে উহার সমুদয় মেয়াদী ও চাহিবামাত্র পায়ের বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত হারের কম হইবে

ব্যাখ্যা :- এই ধারায় দায়হীন অনুমোদিত সম্পত্তি-নিদর্শন-পত্র” বলিতে এইরূপ সম্পত্তির অনুমোদিত নিদর্শন-পরকেও বুঝাইবে, যাহা উক্ত ব্যাংক কর্তৃক কোন অগ্রিম বা অন্যবিধ ঋণ গ্রহণের উদ্দেশ্যে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের নিকট র তবে এইরূপ নিদর্শন-পত্রের মূল্যের সেই পরিমাণ এই সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হইবে যে পরিমাণ অর্থ উক্ত নিদর্শন-পত্রের বিপরীতে করা হয় নাই।

(২) বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক ধারা ১৩(৩) এর অধীন বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা অর্থ এবং কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বাংলাদেশ ব্যাংক বা উহার কোন প্রতিনিধি ব্যাংক বা উভয়ের নিকটে চলতি হিসাবে জমা অর্থ এবং বা বাংলাদেশ ব্যাংকে লাভ-ক্ষতির ভাগাভাগি ভিত্তিতে জমা হিসাবে রক্ষিত অর্থ উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অর্থ গণনার ক্ষেত্রে নগদ অর্থ হিসাবে গণ্য হইবে।

(৩) সম্পদ ও দায় নিরূপণ পদ্ধতি এবং শ্রেণীভিত্তিতে সংরক্ষণযোগ্য সম্পদের অনুপাত বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবে,

(৪) প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী প্রতিটি মাস শেষ হইবার পূর্বে উহার পূর্ববর্তী মাসের একটি বিবরণী, যাহাতে নিম্নলিখিত তথ্যাদি থাকিবে, নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট প্রেরণ করিবে, যথা :-

(ক) এই ধারা মোতাবেক সংরক্ষিত উহার সম্পদ এবং (খ) মাসের প্রতি বৃহস্পতিবারের সমাপ্তিতে এবং কোন বৃহস্পতিবার Negotiable Instruments Act, 1881 (XXvi of 1881) এর অধীনে সরকারী ছুটির দিন থাকিলে, উহার পূর্ববর্তী কার্যদিবসের সমাপ্তিতে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উহার মেয়াদী ও চাহিবামাত্র দায়।

(৫) যদি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানী নির্ধারিত বিনিময়যোগ্য সম্পদ সংরক্ষণ করিতে কোন সময়ে ব্যর্থ হইয়াছে, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানী উল্লিখিত সম্পদের ঘাটটির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ঋণ প্রদানের জন্য ধার্যকৃত সুদের সর্বোচচ হারে জরিমানা দিতে বাধ্য থাকিবে।

 

৩৪ । বাংলাদেশের অভ্যন্তরস্থ সম্পদ।

(১) যে কোন কার্য দিবসের সমাপ্তিতে প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানীর বাংলাদেশের অভ্যন্তরস্থ সম্পদের মূল্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উহার বিদ্যামান মেয়াদী ও চাহিবামাত্র দায়ের সেই পরিমাণ অপেক্ষা কম থাকিবে না বা যাহা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, নির্ধারিত শর্তাংশ কোন অবস্থাতেই উক্ত দায়ের ৮০% এর বেশী হইবে না।

(২) প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী, প্রতিটি মাস শেষ হইবার পূর্বে, উহার পূর্ববর্তী মাসের একটি বিবরণী, যাহাতে নিম্নলিখিত তথ্যাদি থাকিবে, নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করিবে, যথা :-

(ক) এই ধারা মোতাবেক উহার সংরক্ষিত সম্পদ।

(খ) মাসের প্রতি বৃহস্পতিবারের সমাপ্তিতে এবং কোন বৃহস্পতিবার পতিবার Negotiable Instruments Act, 1881 (XXVI of 1881) এর অধীনে সরকারী ছুটির দিন থাকিলে, উহার পূর্ববর্তী কার্যদিবসের সমাপ্তিতে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উহার মেয়াদী ও চাহিবামাত্র দায়।

(৩) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে-

(ক) নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন বিল বা জামানত বাংলাদেশের বাহিরে ধারণকৃত হওয়া সত্বেও উহা বাংলাদেশের অভ্যন্তরস্থ সম্পদ বলিয়া গণ্য হইবে, যদি-

(অ) বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত মুদ্রায় কোন রপ্তানী বিল বাংলাদেশে দাবীকৃত হয় বা কোন আমদানী বিল বাংলাদেশে দাবীকৃত ও পরিশোধযোগ্য হয় এবং (আ) কোন সম্পত্তি-নিদর্শন-পত্র বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত হয় :

তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে কোন সম্পদকে যদি যথার্থ অর্থে সম্পদ বলিয়া গণ্য করা না যায়, তাহা হইলে উহা উত্তরূপ সম্পদ বলিয়া গণ্য হইবে না।

(গ) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দায়” অর্থে আদায়কৃত ও সংরক্ষিত মূলধন বা ব্যাংক-কোম্পানীর লাভ-ক্ষতির হিসাবে। উল্লিখিত ঋণ অন্তর্ভূক্ত হইবে না।

৩৫। অদাবীকৃত আমানত এবং মূল্যবান সামগ্রী। (১) যেক্ষেত্রে

(ক) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর কোন বাংলাদেশী শাখায় সরকার, নাবালক বা আদালতের অর্থ ব্যতীত অন্য কাহারো বাংলাদেশী মুদ্রায় পরিশোষযোগ্য অর্থের ব্যাপারে নিম্নে উল্লিখিত তারিখ হইতে দশ বৎসর পর্যন্ত যোগাযোগ করা না হয়ঃ-

(অ) নির্দিষ্ট মেয়াদী আমানতের ক্ষেত্রে, উক্ত মেয়াদ অতিক্রান্ত হইনার তারিখ হইতে, এবং

(আ) অন্য কোন আমানতের ক্ষেত্রে, সর্বশেষ লেনদেন বা হিসাব বিবরণীর সর্বশেষ প্রাপ্তি স্বীকার বা উক্ত বিবরণীর জন্য সর্বশেষ অনুরোধের তারিখ হইতে বা

(খ) কোন আমানতের উপর প্রদেয় ডিভিডেন্ড, বোনাস, লাভ বা পরিশোধযোগ্য অন্য কোন অর্থ যে তারিখে প্রদানযোগ্য বা মাহীযোগ্য হয় সে তারিখ হইতে দশ বৎসর পর্যন্ত অপরিশোধকৃত থাকে, বা দাবী করা না হয় বা

(গ) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর এক শাখা কর্তৃক উহার জন্য শাখার নিকট বাংলাদেশী মুদ্রায় পরিশোষযোগ্য চেক, ড্রাফট বা বিনিময় দলিল, প্রেরণ করা হইলে, উঃ চেক, ড্রাফট বা দলিল ইস্যু, প্রত্যয়ন বা গ্রহণ করার তারিখ হইতে দশ বৎসর পর্যন্ত উহাদের বাবদ অর্থ প্রদান না করা হয় বা

(ঘ) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিরাপদ জিম্মায় রক্ষিত অনুমোদিত সম্পত্তি নিদর্শন-পত্র, শেয়ার, পণ্য বা কোন মূল্যবান সামগ্রী, অতঃপর যৌথভাবে এবং এককভাবে মূল্যবান সামগ্ৰী বলিয়া উল্লিখিত, আমানতকারী কর্তৃক সর্বশেষ পরিদর্শন বা স্বীকৃতি প্রদানের তারিখ হইতে দশ বৎসর পর্যন্ত পরিদর্শিত বা স্বীকৃত না হয়

সেই ক্ষেত্রে উক্ত অর্থ, চেক, ড্রাফট বা বিনিময় দলিলের পাওনাদার বা পাওনাদারের পক্ষে কোন ব্যক্তিকে এবং মূল্যবান সামগ্রীর আমানতকারীকে তাহার দেওয়া বা প্রেরিত সর্বশেষ ঠিকানায় প্রেরিত ব্যাংক-কোম্পানীর প্রাপ্তি স্বীকার রশিদসহ রেজিস্ট্রিকৃত ডাকযোগে তিন মাসের লিখিত নোটিশ প্রেরণ করিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত নোটিশ প্রেরণের তিনমাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও যদি উহার প্রাপ্তি স্বীকার পত্র বা কোন উত্তর না আসে, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানী, ক্ষেত্রমত, নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে, যথা :-

(ক) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অর্থের ক্ষেত্রে সুদসহ উক্ত অর্থের সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রদান করিবে।

(খ) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত চেক, ড্রাফট বা বিনিময় দলিলের ক্ষেত্রে, উহা উপস্থাপিত হইলে যে পরিমাণ অর্থ, সুদ থাকিলে তাহা সহ, উক্ত ব্যাংক কর্তৃক প্রদেয় হইত, সেই পরিমাণ অর্থ ও সুন বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রদান করিবে

(গ) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত মূল্যবান সামগ্রীর ক্ষেত্রে, উহা যে দেনা, দলিল বা ব্যবস্থাধীনে উক্ত ব্যাংক- কোম্পানীর জিম্মায় রক্ষিত আছে সেই নেনা, দলিল বা ব্যবস্থার শর্ত মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট হস্তান্তর করিবে এবং অনুরূপভাবে প্রদান বা হস্তান্তরের পর উক্ত অর্থ, চেক, ড্রাফট বা বিনিময় দলিল বা মূল্যবান সামগ্রী সম্পর্কে উক্ত কোম্পানীর আর কোন দায় দায়িত্ব থাকিবে না।

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীনে প্রদেয় নোটিশ,

(ক) কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, উহার যে কোন সদস্য বা ম্যানেজারের নিকট, কোন হিন্দু যৌথ পরিবারের ক্ষেত্রে, উহার কোন প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যের নিকট, এবং ব্যক্তি সমন্বয়ে গঠিত অন্য কোন সমিতির ক্ষেত্রে, উহার মুখ্য কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করা যাইবে

(খ) উহার প্রাপক কর্তৃক যথাযথভাবে ক্ষমতা প্রদত্ত প্রতিনিধিকে বা, উক্ত প্রাপক মৃত হইলে, তাহার বৈধ প্রতিনিধিকে বা উক্ত প্রাপক দেউলিয়া ঘোষিত হইয়া থাকিলে, তাঁহার যত্ন নিয়োগীকে, প্রদান করা যাইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, প্রাপক কর্তৃক প্রতিনিধি নিয়োগের বা প্রাপকের মৃত্যু বা তাহার দেউলিয়া ঘোষিত হইবার ব্যাংক-কোম্পানীর গোচরে থাকিতে হইবে-

(গ) চেক বা ড্রাফট বা বিনিময় বিলের যুগ্ম-পাওনাদার বা একাধিক সুবিধা প্রাপক থাকিলে, বা মূল্যবান সামগ্রী একাধিক ব্যক্তির নামে রক্ষিত থাকিলে, তাহাদের যে কোন একজনকে প্রদান করা হইলে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রদান করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

(ঘ) উহার খাম বা আবরনীটিকে যথাযথভাবে প্রাপকের ঠিকানা লিখিত, ডাক টিকেট লাগানো এবং উহা ডাক বাক্সে ফেলা হইয়া থাকিলে, উক্ত নোটিশ অন্য কোন ব্যাক্তির নিকট পৌঁছানো সত্ত্বেও অথবা উহার প্রাপকের মৃত্যু, মস্তিষ্ক-বিকৃতি, বা দেউলিয়া হওয়া সত্ত্বেও, যদি ব্যাংক-কোম্পানী উক্ত বিষয়ে নোটিশ প্রদানের পূর্বে অবহিত না হইয়া থাকে, অথবা নোটিশ সম্বলিত উক্ত খামটি বা আবরণীটি ডাক বিভাগ কর্তৃক “প্রাপককে পাওয়া গেলনা” এই মর্মে বা অনুকূপ অন্য কোন মর্মে কোন বিবৃতি লিপিবদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও, উরু খাম বা আবরনী যে তারিখে ডাক বাক্সে ফেলা হয়েছিল সেই তারিখের পর হইতে পনের দিন পরে, উক্ত নোটিশ যথাযথভাবে জারী হইয় বলিয়া গণ্য হইবে।

(৪) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পক্ষে লিখিত কোন চিঠির উপর ঠিকানা লেখা, ডাক টিকেট লাগানো এবং উহা ডাকযোগে প্রেরণের জন্য দায়িত্ব সম্পন্ন কর্মচারীর দস্তখতে যদি এই মর্মে প্রভায়ন থাকে যে, উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রসের নোটিশ সম্বলি খামে বা আবরণীটিতে যথাযথভাবে ঠিকানা লেখা বা ডাক টিকিট লাগানো হওয়ার পর উহা ডাক বাক্সে ফেলা হইয়াছে, তাহা হইলে অনুরূপ প্রকাচন উত্ত নোটিশ প্রদানের বিষয়ে চূড়ান্ত সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে।

(৫) কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যাংককে উপ-ধারা (২) এর অধীনে অর্থ প্রদানের সংগে সংগে সংশ্লিষ্ট ক্ষণের শর্তাবলীতে বা কোন দলিলে বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ কোন বিধান থাকা সত্ত্বেও, উক্ত অর্থের উপর কোন সুন প্রদেয় বা লাভ-ক্ষতি গণনা করা হইবে না।

(৬) কোন ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশ ব্যাংককে উপ-ধারা (২) এর অধীনে কোন অর্থ প্রদান বা দলিল বা মুল্যবান সা হস্তান্তরের পর উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী এতদসংক্রান্ত মাক্ষর কার্ড, মাক্ষরের কর্তৃত্ব সম্পর্কিত দলিল এবং অন্যান্য দলিল সংরক্ষণ করিবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে অনুরূপ সংরক্ষণের প্রয়োজন নাই বলিয়া না জানানো পর্যন্ত উহাদিগকে অব্যাহতভাবে সংরক্ষণ করিবে।

(৭) Limitation Act, 1908 (IX of 1908) বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনের কোন কিছুই বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর দায় ক্ষুন্ন করিবে না।

(৮) উপ-ধারা (১) অনুসারে, গণনা করিয়া দশ বৎসর অতিবাহিত হইবার পর যে সব দাধীহীন অর্থ ও মুল্যবান সামগ্রী অপরিশোধিত, বা ক্ষেত্রমত, অফের অবস্থায় কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিকট থাকে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী, প্রত্যেক পঞ্জিকা বৎসর শেষ হইবার ত্রিশ দিনের মধ্যে, বিধিদ্বারা নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে, সেই সকল অর্থ বা সামগ্রীর একটি বিবরণী বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করিবে।

(৯) উপধারা (২) এর অধীনে যে সকল অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত হইবে, উহাদের একটি তালিকা উক্ত ব্যাংক, সরকারী গেজেটে এবং অন্যূন দুইটি দৈনিক পত্রিকায়, প্রতি তিন মাসে একবার করিয়া এক বৎসর ধরিয়া প্রকাশ করিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কর্তৃক যদি এই মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, তৎকর্তৃক নির্ধারণকৃত কোন অর্থ বা মূল্যবান সামগ্রীর জন্য তালিকা প্রকাশ করার প্রয়োজন নাই, তাহা হইলে অনুরূপ দাবীহীন অর্থ বা সামগ্রীর জন্য তালিকা প্রকাশ করার প্রয়োজন হইবে না।

(১০) যে ব্যাংক-কোম্পানী উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন অর্থ বা মূল্যবান সামগ্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকটি জমা রাখে সেই ব্যাংক-কোম্পানী, অনুরূপভাবে জমা রাখিবার পর হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের উক্ত অর্থ বা সামগ্রীর উপর পূর্বস্বত্ব বা পাল্টানারী বা উহাকে পৃথক করিয়া রাখার দাবী করিতে পারে।

(১১) উপ-ধারা (২) এর অধীন জমাকৃত অর্থ বা হস্তান্তরিত মুল্যবান সামগ্রীর অধিকারী বলিয়া কোন ব্যক্তি দাবী করিলে তিনি তাঁহার দাবী বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট উপস্থাপন করিতে পরিবেন।

(১২) উপ-ধারা (১০), (১৩) ও (১৫) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে, উপ-ধারা (১০) ও উপ-ধারা (১১) এর অধীন উত্থাপিত দাবীর উপর বাংলাদেশ ব্যাংক তৎকর্তৃক সমীচীন বলিয়া বিবেচিত আদেশ প্রদান করিতে পারিবে, এবং উপ-ধারা (১১), অধীন উপস্থাপিত কোন দাবীর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন অর্থ প্রদান বা মূল্যবান সামগ্রী বিলি করিলে উহার গ্রহীতার প্রাপ্তি রশিদ। ঐ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব মোচন করিবে।

(১৩) বাংলাদেশ ব্যাংকে উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত অর্থ বা হস্তান্তরিত মূল্যবান সামগ্রী সম্পর্কে অনুরূপ প্রদান বা হস্তান্তরের পর হইতে এক বছরের মধ্যে যদি কোন বিরোধ কোন আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকে এবং উক্ত বিরোধ সম্পর্কে আদালত হইতে বা অন্য কোন সূত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক অবহিত হয়, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত অর্থ বা সামগ্রী নিজের তত্ত্বাবধানে রাখিবে এবং আদালতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক উহার বিলি বন্দোবস্ত করিবে।

(১৪) উপ-ধারা (১০), (১৩) এবং (১৫) এর বিধান সাপেক্ষে, উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত অর্থ বা হস্তান্তরিত মূল্যবান সামগ্রী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত হওয়ার পর হইতে এক বৎসরের মধ্যে উক্ত অর্থ বা সামগ্রী সম্পর্কে যদি কোন নারী। উত্থাপিত না হয় বা কোন তরফ হইতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করা না হয়, তাহা হইলে উক্ত এক বৎসর অতিবাহিত হইবার পর হইতে উচ্চ অর্থ বা সামগ্রীর উপর কাহারো কোন নারী থাকিবে না এবং উহা সরকারের সম্পত্তি হইবে এবং সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে।

(১৫) কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক চেক, ড্রাফট বা বিনিময় বিলের কোন পাওনাদার বা সুবিধা প্রাপককে বা যে ব্যক্তির নামে কোন মূল্যবান সামগ্রী রহিয়াছে সেই ব্যক্তিকে নোটিশ প্রদানের সম্পর্কে উপ-ধারা (১) এ বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনাবীকৃত অর্থ বা মূল্যবান সামগ্রী প্রকাশ সম্পর্কে উপ-ধারা (৯) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আপততঃ বাংলাদেশে বসবাস না করার ক্ষেত্রে কোন ঋণ, দলিল বা মূল্যবান সামগ্রীর বিলি বন্দোবস্তের ব্যাপারে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি ও নিয়মাবলী অনুসরণ করিতে হইবে।

(১৬) উপ-ধারা (২) এর অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত কোন অর্থ বা মূল্যবান সামগ্রীর ব্যাপারে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পূর্বমত্ব, পাল্টা দাবী বা পৃথক করিয়া রাখার দাবী অনুমোদন, পুরণ বা অন্য কিছু, বা ক্ষেত্রমত, কোন ব্যক্তির অধিকার সম্পর্কিত বিষয়ে উপ-ধারা (১২) মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে, এবং উক্ত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে, উপ-ধারা (১৭) তে বিধৃত পদ্ধতি ব্যতীত অন্য কোনভাবে কোন আদলত, ট্রাইবুনাল বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের সম্মুখে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা চলিবে না।

(১৭) বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক উপ-ধারা (১২) এর অধীন প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুদ্ধ কোন ব্যক্তি উত্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে, সিদ্ধান্ত প্রদানের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে, উক্ত ব্যাংকের গভর্ণর কর্তৃক নির্দিষ্ট কোন কর্মকর্তা, যিনি সিদ্ধান্ত প্রদানকারী কর্মকর্তা অপেক্ষা উচচতর পদমর্যাদা সম্পন্ন হইবেন, এর নিকট আপীল দায়ের করিতে পরিবেন।

(১৮) উপ-ধারা (১০) বা (১১) এর অধীন উত্থাপিত কোন দাবী বা উপ-ধারা (১৭) এর অধীন দায়েরকৃত কোন আপীল মীমাংসা বা নিস্পত্তির ক্ষেত্রে, বাংলাদেশ ব্যাংক বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করিবে এবং কোন মামলার বিচারের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত বিষয় সমূহে বাংলাদেশ ব্যাংক ঐ সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিবে যে সকল ক্ষমতা Code of Civil Procedure, 1908 (Act V of 1908) এর অধীন কোন দেওয়ানী আদালতের রহিয়াছে, যথা :-

(ক) কোন ব্যক্তির উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ এবং শপথের মাধ্যমে তাঁহার সাক্ষ্য গ্রহণ

(খ) বাধ্যতামূলকভাবে দলিল এবং অন্যান্য বন্ড উপস্থাপন

(গ) সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণের জন্য কমিশন নিয়োগ

(১৯) এই ধারার অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিষ্পত্তিযোগ্য কোন কার্যধারা Penal Code, 1850 (Act XLV of 1860) এর Section 228 এর বিধান মোতাবেক judicial proceeding হিসাবে গণ্য হইবে এবং এই ধারার অধীন উক্ত কোন কার্যধারার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898 ) এর Section 480 বিধান মোতাবেক একটি Civil Court হিসাবে গণ্য হইবে।

(২০) এই ধারার অধীন কোন কার্যধারায় কোন দলিল দাখিল, প্রদর্শন বা লিপিভুক্ত করার জন্য বা বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে কোন দলিল গ্রহণের জন্য কোন কোর্ট ফি প্রদান করিতে হইবে না।

 

৩৬। ষাম্মাসিক বিবরণী ইত্যাদি।

(১) প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশে উহার সম্পদ ও দায় সম্পর্কে একটি বিবরণী প্রতি অর্থ বৎসরের ৩১শে ডিসেম্বর এবং ৩০শে জুন তারিখে বিধিদ্বারা নির্ধারিত ফরম ও পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করিবে ।

(২) বাংলাদেশ ব্যাংক লিখিত নোটিশ দ্বারা সাধারণভাবে সকল ব্যাংক-কোম্পানীকে এবং বিশেষ ভাবে কোন ব্যাংক-কোম্পানীকে তৎকর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উহাদের দ্বারা পরিচালিত অন্য কোন ব্যবসাসহ ব্যাংক ব্যবসা সম্পর্কিত তথ্যাদি দাখিল করার নির্দেশ দিতে পারিবে।

(৩) উপ-ধারা (২) তে প্রদত্ত ক্ষমতার সমাগ্রিকভাবে ক্ষুন্ন না করিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংক সময় সময় শিল্প, বাণিজ্য ও কৃষি বিবরণী ও ক্ষেত্রে ব্যাংক-কোম্পানীর বিনিয়োগের উপর তথ্য আহবান করিতে পারিবে।

 

 

৩৭। তথ্যাদি প্রকাশের ক্ষমতা।

জনস্বার্থে প্রয়োজন মনে করিলে বাংলাদেশ ব্যাংক এই আইনের অধীন সংগৃহীত ৩০ দিনের অধিক সময় অনাদায়ী ঋণ বা অগ্রিম সম্পর্কিত কোন তথ্য একীভূত অবস্থায় বা অন্য কোনভাবে প্রকাশ করিতে পারিবে।

 

৩৮। হিসাব ও ব্যালেন্স সীট।

(১) বাংলাদেশে বা বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী কোন অর্থ বৎসর অতিবাহিত হইবার পর উক্ত বৎসরে উহা বা উহার শাখা কর্তৃক, কৃত ব্যবসা সম্পর্কে একটি ব্যালান্সসীট ও লাভ ক্ষতির হিসাব এবং আর্থিক প্রতিবেদন বৎসরের শেষ কার্যদিবসে যেভাবে দাঁড়ায় সেইভাবে প্রথম তফসিলের ফরমে, যতদুর সম্ভব, প্রস্তুত করিবে।

(২) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যালেন্স সীট, লাভ-ক্ষতির হিসাব এবং আর্থিক প্রতিবেদন-

(ক) বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, উহার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বা প্রধান কর্মকর্তা এবং উহার পরিচালকের সংখ্যা তিনজনের বেশী হইলে, অন্যূন তিনজন পরিচালক, এবং তিনজন হইলে সকল পরিচালক কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে

(খ) বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, উহার বাংলাদেশস্থ প্রধান কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক বা প্রতিনিধি এবং উক্ত ব্যবস্থাপক বা প্রতিনিধি হইতে পরবর্তী নীচের একজন কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইৰে

(৩) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যালেন্স সীট, এবং লাভ-ক্ষতির হিসাব এবং আর্থিক প্রতিবেদন দাখিল সম্পর্কে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ফরমটি কোম্পানী আইনের Thind Schedule এর ফরম হইতে ভিন্নতর হওয়া সত্ত্বেও, উক্ত ব্যালেন্সশীট, লা- ক্ষতির হিসাব ও আর্থিক প্রতিবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে, উক্ত আইনের বিধানাবলী ততটুকু প্রযোজ্য হইবে যতটুকু এই আইনের বিধানাবলীর সহিত সংগতিপূর্ণ হয়।

(৪) বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথম তফসিলের ফরমসমূহ সংশোধন করিতে পারিবে

তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ সংশোধনের অন্যূন তিন মাস পূর্বে উক্তরূপ সংশোধনের ইচছা প্রকাশ করিয়া সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারী করিতে হইবে।

ব্যাখ্যা কোন বিশেষ ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভিন্নরূপ নির্দেশ না থাকিলে, এই ধারায় “বৎসর” অর্থ হিসাব বর্ষ।

 

৩৯। নিরীক্ষা :-

(১) Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (P.O.No.2. 1973) বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন অনুসারে কোম্পানীর অডিটর হওয়ার যোগ্য যে কোন ব্যক্তি ব্যাংক-কোম্পানী নিরীক্ষণের জন্য যোগ্য বলিয়া বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত হইলে, ধারা ৩৮ এর অধীন প্রস্তুতকৃত ব্যালেন্সশীট অনুসারে ব্যাংক-কোম্পানীর লাভ ও ক্ষতির হিসাব ও আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষা করিতে পারিবে।

(২) কোম্পানী আইনের Section 145 এর দ্বারা কোম্পানীর অডিটরদের উপর যে ক্ষমতা, দায়িত্ব, দায় ও শাস্তি অপূর্ণ বা আরোপ করা হইয়াছে সেই ক্ষমতা, দায়িত্ব, দায় ও শাস্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত নিরীক্ষকের উপর বর্ণিত ও আরোপিত থাকিবে।

(৩) কোম্পানী আইনের অধীন প্রয়োজনীয় বিষয়াবলী ছাড়াও কোন নিরীক্ষক তাহার প্রতিবেদনে নিম্নবর্ণিত বিষয়াবলী উল্লেখ করিবেন, যথা :-

(ক) আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানীর আর্থিক অবস্থা ও সংশ্লিষ্ট সময়ের লাভক্ষতি সঠিকভাবে প্রতিফলিত হইয়াছে। কি না

(খ) আর্থিক প্রতিবেদন সাধারণ হিসাব পদ্ধতি অনুসারে সঠিকভাবে প্রস্তুত করা হইয়াছে কিনা

(গ) আর্থিক প্রতিবেদন প্রচলিত বিধি ও আইন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারীকৃত হিসাব সংক্রান্ত নিয়মকানুন মোতাবেক প্রণীত হইয়াছে কি না,

(ঘ) যে সকল অগ্রিম এবং অন্যান্য সম্পদ আদায় সম্পর্কে সন্দেহ রহিয়াছে সেইগুলির জন্য পর্যাপ্ত সংস্থান রাখা হইয়াছে কি না;

(ঘঘ) বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময় যে পরিমাণ নির্ধারণ করা হইবে সেই পরিমাণের অধিক টাকায় অগ্রিম বা ঋণের পরিশোধ সন্তোষজনক কি না.

(ঙ) আর্থিক প্রতিবেদন বাংলাদেশের পেশাজীবী হিসাববিদদের সহিত আলোচনান্তে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারীকৃত হিসাব বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত মানসম্পন্ন হইয়াছে কি না

(চ) ব্যাংক কোম্পানীর শাখা অফিসগুলি কর্তৃক প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র এবং হিসাব সমূহ সঠিকভাবে সংরক্ষিত ও একত্রীভূত করা হইয়াছে কি না,

(ছ) নিরীক্ষক কর্তৃক প্রার্থীত তথ্যাদি এবং ব্যাখ্যা সন্তোষজনক হইয়াছে কি না।

(জ) অন্য এমন সব বিষয় যাহা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডারদের গোচরীভূত করা উচিত বলিয়া নিরীক্ষক মনে করে

(৪) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিরীক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালনের সময় যদি কোন নিরীক্ষক এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে,

(ক) এই আইনের কোন বিধান গুরুতরভাবে লঙ্ঘিত হইয়াছে বা উহা পালনে গুরুতর অনিয়ম ঘটিয়াছে,

(খ) প্রতারণা বা অসততার দরুন ফৌজদারী অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে,

(গ) লোকসানের দরুন মূলধন পঞ্চাশ শতাংশের নীচে নামিয়া গিয়াছে

(ঘ) পাওনাদারদের পাওনা প্রদানের নিশ্চয়তা বিঘ্নিত হওয়াসহ অন্য কোন গুরুতর অনিয়ম ঘটিয়াছে অথবা

(ঙ) পাওনাদারগণের পাওনা মিটাইবার জন্য কোম্পানীর সম্পদ যথেষ্ট কি না সে সম্পর্কে সন্দেহ রহিয়াছে। তাহা হইলে তিনি অবিলম্বে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করিবেন।

 

৩৯ ক। বিশেষ নিরীক্ষা।

(১) ধারা ৩৯ এর অধীন নিরীক্ষা বা ধারা ৪৪ এর অধীন পরিদর্শন প্রতিবেদন বিবেচনা করিয়া বা অন্যকোন ভাবে প্রাপ্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হইবার মুক্তিসংগত কারণ থাকে যে, কোন ব্যাংক কোম্পানীর কার্যাবলী বা কার্যাবলীর বিশেষ কোন অংশ নিরীক্ষা করা প্রয়োজন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক ধারা ৩৯ (১) এ উল্লিখিত ব্যাক্তি দ্বারা উক্ত ব্যাংক কোম্পানীর কার্যাবলী বা কার্যাবলীর অংশ বিশেষ নিরীক্ষা করাইতে পারিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন বিশেষ নিরীক্ষার সময় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কোম্পানীর নিরীক্ষককে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করিবে ।

৩৯খ। নিরীক্ষককে অযোগ্য ঘোষণা।-

(১) বাংলাদেশ ব্যাংকের যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হইবার যুক্তিসংগত কারণ থাকে যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিরীক্ষা কাজে নিয়োজিত কোন নিরীক্ষক তাহার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করিয়াছেন বা তাহার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে উত্ত নিরীক্ষক ব্যর্থ হইয়াছেন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে গঠিত কমিটির তদন্ত ও সুপারিশের ভিত্তিতে উক্ত নিরীক্ষককে বাংলাদেশ ব্যাংক অনধিক দুই বৎসরের জন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানী নিরীক্ষার অযোগ্য ঘোষণা করিতে পারিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত রূপ ঘোষণা প্রদানের পূর্বে সংশ্লিষ্ট নিরীক্ষককে কারণ দর্শনোর যুক্তিসংগত সুযোগ নিতে হইবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন ঘোষণার ফলে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্যস-এর নিকট, উপ-ধারা (১) এর অধীন ঘোষণার আদেশ প্রদানের পনের দিনের মধ্যে আপীল পেশ করিতে পারিবে এবং এই ব্যাপারে উক্ত পর্যদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে।

 

৪০। বিবরণী দাখিল।-

(১) ধারা ৩৮ এ উল্লিখিত হিসাব, ব্যালেন্সশীট ও প্রতিবেদন এবং পরিচালক পর্ষদ কর্তৃক, ক্ষেত্রমত, কোম্পানীর সাধারণ সভায় শেয়ার হোল্ডার কর্তৃক অনুমোদিত নিরীক্ষা প্রতিবেদন নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রকাশ করা হইবে এবং উক্ত হিসাব, ব্যালেন্সশীট, ও প্রতিবেদন যে সময় সম্পর্কিত সেই সময় শেষ হইবার তিন মাসের মধ্যে উহাদের প্রতিটির তিনটি করিয়া প্রতিলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করিতে হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক বিবরণী দাখিলের উক্ত সময়সীমা অনধিক তিন মাস পর্যন্ত বর্ধিত করিতে পারিবে।

 

৪১। রেজিস্ট্রারের নিকট ব্যালেন্সশীট ইত্যাদি প্রেরণ।

ধারা ৪০ এর বিধান অনুসারে কোন ব্যাংক-কোম্পানী কোন বৎসর ইহার আর্থিক প্রতবেদন, লাভ-ক্ষতির হিসাব, ব্যালেন্সশীট এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদন দাখিল করিলে, যদি ইহা প্রাইভেট কোম্পানী হইয়া থাকে তাহা হইলে, উক্ত ব্যালেন্সশীট, হিসাব ও প্রতিবেদনের তিনটি করিয়া অনুলিপি একই সংগে রেজিস্ট্রারের নিকটও প্রেরণ করা যাইতে পারিবে, এবং অনুরূপ অনুলিপি প্রেরিত হইলে, কোম্পানী আইনের উক্ত Section 134 (1) এর বিধান মোতাবেক উক্ত কোম্পানী কর্তৃক উক্ত ব্যালেন্সশীট, হিসাব ও প্রতিবেদনের অনুলিপি রেজিষ্ট্রারের নিকট পুনরায় প্রেরণের প্রয়োজন হইবে না, এবং উক্ত অনুলিপিগুলির উপর উক্ত Section অনুযায়ী ফিস প্রদেয় হইলে এবং অন্য সকল বিষয়েও উক্ত Section এর অধীন অনুলিপি দাখিল করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

 

৪২। বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত বাংক-

কোম্পানী কর্তৃক নিরীক্ষিত ব্যালেন্সশীট প্রদর্শন।- বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানী –

(ক) ধারা ৩৮ এর অধীন প্রস্তুতকৃত ইহার সর্বশেষ ব্যালেন্সশীট এবং লাভ-ক্ষতির হিসাবের একটি প্রতিনিধি প্রদর্শনের জন্য ইহার বাংলাদেশস্থ প্রধান কার্যালয় এবং সকল শাখা কার্যালয়ের কোন প্রকাশ্য স্থানে, উক্ত ব্যালেন্সশীট ও হিসাব সংশ্লিষ্ট বৎসরের পরবর্তী বৎসরের ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সোমবারের পরে নয় এমন যে কোন দিনে, সস্থাপন করিবে এবং উহার পরবর্তী ব্যালেন্সশীট ও হিসাব একইভাবে স্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত উহা অব্যাহতভাবে স্থাপিত রাখিবে

(খ) উত্তরূপ প্রদর্শন ছাড়াও এইরূপ কোম্পানী ইহার ব্যবসা সংক্রান্ত ব্যালেন্সশীট ও লাভ ক্ষতির হিসাব পূর্ণভাবে নিরীক্ষিত হওয়ার পর উহাদের অনুলিপি পাওয়া মাত্র একই পদ্ধতিতে স্থাপন ও প্রদর্শন করিবে এবং পরবর্তী অনুরূপ ব্যালেন্সশীট ও হিসাব স্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহতভাবে স্থাপিত রাখিবে।

৪৩। হিসাব সংক্রান্ত বিধানাবলীর ভবিষ্যাপেক্ষতা।

এই আইন প্রবর্তিত হওয়ার পূর্বে যে হিসাব-বর্ষ সমাপ্ত হইয়াছে উহার ব্যাপারে এই আইনের কিছুই ব্যাংক-কোম্পানীর হিসাব প্রস্তুত ও নিরীক্ষা এবং হিসাব বা নিরীক্ষা প্রতিবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না এবং এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ইহা প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে বিদ্যমান আইন অনুসারে উক্ত হিসাব প্রস্তুত ও করা হইবে এবং হিসাব ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন দাখিল করা হইবে।

৪৪। পরিদর্শন।

(১) কোম্পানী আইনে ভিন্নরূপ কোন বিধান থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোন সময়ে উহার এক বা একাধিক কর্মকর্তার দ্বারা কোন ব্যাংক-কোম্পানী ও উহার খাতাপত্র এবং হিসাব পরিদর্শন করিতে পারিবে এবং সরকার কর্তৃক নির্দেশিত হইলে অনুরূপ পরিদর্শন করাইবে এবং এইরূপ পরিদর্শন সমাপ্তির পর বাংলাদেশ ব্যাংক উরু পরিদর্শনের ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে সরবরাহ করিবে ।

(২) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন ভিন্নরূপ বিধান থাকা সত্ত্বেও, এবং উপ-ধারা (১) এর বিধান ক্ষুণ্ণ না করিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোন সময় ইহার এক বা একাধিক কর্মকর্তা দ্বারা কোন ব্যাংক-কোম্পানীর খাতাপত্র ও হিসাব পুঙ্গানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করাইতে পারিবে এবং যদি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী অনুরোধ করে, বা এইরূপ পরীক্ষার ভিত্তিতে উহার বিরুদ্ধে কোন ব্যবসা গ্রহনের প্রস্তাব বিবেচনাধীন থাকে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে সরবারাহ করিবে।

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শনকার্য বা উপ-ধারা (২) এর অধীন পরীক্ষাকার্য পরিচালনাকারী ব্যক্তির চাহিদা মোতাবেক ও তৎকর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর খাতাপত্র, হিসাব বা অন্যান্য দলিল দাখিল করা এবং উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী সম্পর্কে কোন বিবৃতি বা তথ্য প্রদান করা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা বহিরাগত নিরীক্ষকের দায়িত্ব হইবে।

(৪) উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শনকার্য বা উপ-ধারা (২) এর অধীন পরীক্ষাকার্য পরিচালনাকারী ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক- কোম্পানীর যে কোন পরিচালক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা ইহার বহিরাগত নিরীক্ষককে শপথ পাঠ করাইয়া উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর বিষয়াবলী সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পরিবেন।

(৫) বাংলাদেশ ব্যাংক এই ধারার অধীন কোন পরিদর্শন বা পরীক্ষাকার্য সম্পন্ন করার জন্য সরকার কর্তৃক নিদের্শিত হইলে, উক্ত পরীক্ষা বা পরিদর্শনকার্য সমাপ্তির পর বাংলাদেশ ব্যাংক উহার প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক উহার ইচছানুযায়ী অনুরূপ প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিতে পরিবে এবং উক্ত প্রতিবেদন বিবেচনান্তে সরকার যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর কার্যাবলী উহার আমনতকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী পদ্ধতিতে পরিচালিত হইতেছে, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানীকে উক্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে উহার বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদানের পর সরকার, লিখিত আদেশ দ্বারা

(ক) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক নুতন আমানত গ্রহণ নিষিদ্ধ করিতে পরি েএবং

(খ) ধারা ৬৬ এর অধীনে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের উদ্দেশ্যে দরখাসত্র দাখিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দিতে পরিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার যেরূপ শর্ত আরোপ করা সংগত বলিয়া মনে করে সেইরূপ শর্তে এর ধারার অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত, সংশোধন বা বতিল করিতে পারিবে।

(৬) সরকার, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীকে যুক্তিসংগত নোটিশ প্রদানের পর, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পেশকৃত পূর্ণ প্রতিবেদন বা উহার অংশ বিশেষ প্রকাশ করিতে পারিবে।

ব্যাখ্যা। এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে “ব্যাংক-কোম্পানী” বলিতে

(ক) বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, বাংলাদেশে অবস্থিত উহার সকল শাখাকে বুঝাইবে, এবং

(খ) বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, বাংলাদেশের বাহিরে উহার সকল (সাবসিডিয়ারী ব্যাংক-কোম্পানী এবং বাংলাদেশের ভিতরে বা বাহিরে অবস্থিত উহার সকল শাখাকে বুঝাইবে ।

(৭) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানী দাবী করে যে, কোন আদালত, বা বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যতীত, অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তলবকৃত কোন বিবরণ বা তথ্য এমন গোপনীয় যে উহাদের হস্তান্তর বা প্রকাশের মাধ্যমে নিম্নবর্ণিত বিষয়ে তথ্য প্রকাশ হইয়া পড়িবে, তাহা হইলে সেই ব্যাংক-কোম্পানী কোন আদালত বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্দেশিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত বিবরণ প্রদান করিতে বা তথ্য প্রকাশ করিতে বাধ্য থাকিবে না, যথা :-

(অ) প্রকাশিত ব্যালেন্সশীটে প্রদর্শিত হয় নাই এইরূপ সংরক্ষিত তহবিল বা (আ) আদায়যোগ্য নহে বা আদায়যোগ্যতা সম্পর্কে সন্দেহ আছে এমন ঋণ যাহা উহাতে প্রদর্শিত হয় নাই ।

 

৪৫। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ দানের ক্ষমতা।

(১) বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে

(ক) জনসার্থে, বা

(খ) মুদ্রানীতি এবং ব্যাংক নীতির উন্নতি বিধানের জন্য, বা

(গ) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর আমনতকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী বা ব্যাংক-কোম্পানীর স্বার্থের পক্ষে ক্ষতিকর কার্যকলাপ প্রতিরোধ করার জন্য বা

(ঘ) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য,

সাধারণভাবে সকল ব্যাংক-কোম্পানীকে, অথবা বিশেষ কোন ব্যাংক-কোম্পানীকে নির্দেশ প্রদান করা প্রয়োজন,তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক যথাযথ নির্দেশ জারী করিতে পরিবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী উত্ত নির্দেশ পালন করিতে বাধ্য থাকিবে।

(২) বাংলাদেশ ব্যাংক মেচছায় অথবা উহার নিকট পেশকৃত কোন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ বাতিল বা পরিবর্তন করিতে পারিবে এবং এইরূপ বাতিলকরণ বা পরিবর্তন শর্ত সাপেক্ষ হইতে পারিবে।

 

৪৬। ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক, ইত্যাদির অপসারণের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা।

(১) বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর চেয়ারম্যান বা কোন পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী, কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার আমানতকারীদের ক্ষতিকর কার্যকলাপ রোধকল্পে বা জনসার্থে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, উক্ত চেয়ারম্যান, পরিচালক, বা প্রদান নির্বাহীকে, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, অপসারণ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক, কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, আদেশের মাধ্যমে, উক্ত চেয়ারম্যান, পরিচালক, প্রধান নির্বাহীকে তাহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন আদেশ প্রদানের পূর্বে যাহার বিরুদ্ধে উক্ত আদেশ প্রদান করা হইবে তাহাকে উহার বিরুদ্ধে কারণ প্রদর্শনের জন্য যুক্তসংগত সুযোগ দিতে হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, উপ-ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যদি উহার অভিমত পোষণ করে যে, অনুরূপ সুযোগ প্রদানজনিত বিলম্ব উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার আমানতকারী বা জনসার্থে ক্ষতিকর হইবে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উপরোক্ত সুযোগ প্রদানের সময়ে বা উহার পরে যে কোন সময় বা উক্ত উপ-ধারার অধীন কোন কারণ প্রদর্শিত হইয়া থাকিলে, তাহা বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায়, লিখিত আদেশের মাধ্যমে নির্দেশ দিতে পারে যে;

(ক) উক্ত চেয়ারম্যান বা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী উক্ত লিখিত আদেশ কার্যকর হইবার তারিখ হইতে চেয়ারম্যান বা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী হিসাবে কার্য করিবেন না, বা কোমপানীর ব্যবস্থাপনায়, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, অংশ গ্রহণ করিবেন না, এবং

(খ) বাংলাদেশ ব্যাংক এতদুদ্দেশ্যে যে ব্যক্তিকে সাময়িকভাবে নিযুক্ত করিবে সেই ব্যক্তি উক্ত কোমপানীর চেয়ারম্যান বা ক্ষেত্রমত, পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী হিসাবে কার্য করিবেন।

(৩) যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানীর চেয়ারম্যান বা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী উপ-ধারা (১) এর অধীন অপসারিত হন তাহা হইলে তিনি উক্ত কোম্পানীর চেয়ারম্যান বা, ক্ষেত্রমত, পরিচালক, প্রধান নির্বাহী পদে বহাল থাকিবেন না, এবং উক্ত আদেশে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য যাহা তিন বৎসরের বেশী হইবে না, তিনি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবস্থাপনায়, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, সংযুক্ত হইবেন না বা অংশগ্রহণ করিতে পরিবেন না।

(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন নিযুক্ত চেয়ারম্যান, পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী,

(ক) তাঁহার নিযুক্তি-পত্রে নির্ধারিত শর্তাধীনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে এবং তৎকর্তৃক নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত, যাহা এক বৎসরের বেশী হইবে না, উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন এবং

(খ) তাহার পদের দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনে কৃত কোন কিছুর জন্য আর্থিকভাবে বা অন্য কোনভাবে দায়ী হইবেনা।

(৫) উপ-ধারা (১) এর অধীন অপসারিত কোন ব্যক্তি উত্তরূপ অপসারণের কারণে কোন ক্ষতিপূরণ দাবী করিতে পরিবেন

(৬) সরকার কর্তৃক মনোনিত বা নিযুক্ত কোন চেয়ারম্যান, পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, এর ক্ষেত্রে এই ধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না।

 

৪৭। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক-পর্ষদ বাতিল করার ক্ষমতা।

(১) বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই

মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে.

(ক) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক-পর্ষদ, উহা যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, এই কার্যকলাপ উহার বা উহার আমনাতকরীদের মার্থের পরিপন্থী বা ক্ষতিকর বা (খ) ধারা] ৪৬(১) এ উল্লিখিত যে কোন বা সকল কারণে, উ পর্ষদ বাতিল করা প্রয়োজন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক, লিখিতভাবে কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, আদেশ দ্বারা উরু পর্যন বাতিল করিতে পরিবে এবং আদেশে উল্লিখিত তারিখ হইতে উত্ত বাতিল আদেশ কার্যকর হইবে এবং উর আদেশে যে মেয়াদের উল্লেখ থাকিবে সেই মেয়ান পর্যন্ত অদেশটি বলবৎ থাকিবে।

(২) বাংলাদেশ ব্যাংক উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশের মেঘাপ সময় সময় বর্ধিত করিতে পারে, তবে বর্ণিত মেয়াদসহ উন্ন মেয়াদ দুই বৎসরের বেশীহইবে না।

(৩) পরিচালক-পর্ষদ বাতিল থাকার সময়কালে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে সময় সময় নিযুক্ত ব্যক্তি পর্যনের যাবতীয় ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবে।

(৪) ধারা ৪৬ এর উপ-ধারা (২), (৩), (৪) ও (৫) এর বিধান সমূহ উহাতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনসহ, এই ধারার অধীন প্রনর আদেশের ব্যাপারে প্রযোজ্য হইবে।

 

৪৮। সীমাবস্থা-

(১) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি ধারা ৪৩ অথবা ৪৭ এর অধীনে কোন আদেশ প্রদান করিতে পারিবে না

তবে শর্ত থাকে যে, এতদুদ্দেশ্যে গঠিত স্থায়ী কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে গভর্ণর উপরোক্ত আদেশ প্রদান করিবেন।

(২) ধারা ৪৬ অথবা ৪৭ এর অধীনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণরের কোন আদেশের ফলে সংস্কৃত ব্যক্তি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের নিকট আপীল পেশ করিতে পরিবে এবং এই ব্যাপারে উচ্চ পর্যদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে।

(৩) এই ধারা বা ধারা ৪৬ বা ৪৭ এর অধীন গৃহীত কোন ব্যাকথা, আদেশ বা সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কোন আদালত, ট্রাইবুনাল বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার প্রশ্ন উত্থাপন করিতে পারিবে না এবং অনুরূপ কোন ব্যবস্থা, আদেশ বা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন আদালত, ট্রাইবুনাল বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের সমক্ষে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।

 

৪৯। বাংলাদেশ ব্যাংকের অধিকতর ক্ষমতা ও কার্যাবলী।

(১) বাংলাদেশ ব্যাংক,-

(ক) সাধারণভাবে সকল বা কোন বিশেষ ব্যাংক-কোম্পানীকে কোন নির্দিষ্ট বা বিশেষ শ্রেণী লেনদেনে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক বা নিষেধ করিতে পরিবে

(খ) সাধারণভাবে সকল বা কোন বিশেষ ব্যাংক-কোম্পানীকে উহাদের বা উহার ব্যবসা সংক্রান্ত কোন বিশেষ ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোন কার্যক্রম গ্রহন না করার জন্য যা করার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।

(গ) সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীসমূহের অনুরোধক্রমে এবং ধারা ৭৬ এর বিধান সাপেক্ষে উহাদের একত্রীকরণের প্রস্তাবে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে বা অন্য কোনভাবে সুহায়তা প্রদান করিতে পারিবে।

(ঘ) ধারা ৪৮ এর অধীন কোন পরিদর্শন চলাকালে বা উহা সমাপ্ত হইবার পর, লিখিত আদেশ দ্বারা এবং উহাতে উল্লিখিত শর্তাধীনে

(অ) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর বিষয়াবলী বা উহা হইতে উদ্ভূত কোন বিষয় বিবেচনার জন্য উহার পরিচালকগণের সভা আহবান করিতে বা অনুরূপ কোন বিষয় সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন কর্মকর্তার সহিত আলোচনা করিতে উহার যে কোন কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে …

(আ) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক পর্ষদ, বা উহার কোন কমিটি বা ব্যক্তিসংঘে সভার কার্য ধারা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন কর্মকর্তাকে নিয়োগ করিতে পারিবে এবং উক্ত কর্মকর্তাকে উক্ত সভায় বন্ধুবা পেশ করার সুযোগ প্রদানের জন্য ব্যাংক-কোম্পানীকে, এবং উক্ত সভার কার্যধারার উপরে একটি প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করার জন্য উক্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিতে পরিবে

(ই) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক-পর্ষদ, বা উহার কোন কমিটি বা ব্যক্তি সংঘ যে কোন সভা সংক্রান্ত নোটিশ ও অন্যান্য চিঠিপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দিষ্ট কোন কর্মকর্তার নিকট প্রেরণের জন্য কোম্পানীকে নির্দেশ দিতে পারিবে।

(২) বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের ব্যাংক ব্যবস্থার খতি উন্নতি বিধানকল্পে উহার কার্যাবলী সম্পর্কে সরকারের নিকট একটি বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিল করিবে এবং উক্ত প্রতিবেদনে ব্যাংক ব্যবসাকে সমগ্র দেশে জোরদার করার জন্য গ্রহণীয় পদক্ষেপ সম্পর্কে পরামর্শ থাকিবে।

 

৫০। কতিপয় ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে কতিপয় বিধান প্রযোজ্য হইবে না।

(১) ধারা ১৩, ১৪ (১), ২৪, ২৫, ৩৩ এবং ৩৪ এর বিধানাবলী নিম্নবর্ণিত ব্যাংক-কোম্পানী সমূহের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, যথা :-

(ক) ধারা ৩১ এর অধীন যে কোম্পানীর লাইসেন্সের আবেদন প্রত্যাখান বা লাইসেন্স বাতিল করা হইয়াছে

(খ) কোন আদালত কর্তৃক অনুমোদিত আপোষ মীমাংসা, ব্যবস্থা বা সকীম দ্বারা, বা তৎসম্পর্কিত কার্যধারা নত কোন আদেশ দ্বারা যে কোমপানী কর্তৃক নুতন আমানত গ্রহণ নিখিল্য হইয়াছে

(গ) মেমোরেন্ডাম অব এ্যাসোসিয়েশনে কোন পরিবর্তনের ফলে যে কোম্পানী কর্তৃক নুতন আমানত গ্রহণ নিষিদ্ধ

(২) বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক গৃহীত আমানত সম্পূর্ণভাবে অথবা উহার পক্ষে সম্ভবপর সর্বোচচ পরিমাণে পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়াছে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি দ্বারা, উক্ত কোম্পানী এই আইনের ব্যবহৃত অর্থে ব্যাংক-কোম্পানী নহে বলিয়া ঘোষা করিতে পারিবে এবং এইরূপ ঘোষণার পর হইতে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে এই আইনের বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে না : তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পূর্বে উক্ত কোমপানী কর্তৃক সম্পাদিত ও সম্পাদনীয় কোন কিছুর ক্ষেত্রে উক্ত ঘোষ কার্যকর হইবে না।

 

 

 

৫১। কতিপয় তথ্য, ইত্যাদি তলব করিবার ক্ষমতা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট যদি এই মর্মে প্রতীয়মান হয় যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা অন্য কোন ব্যক্তি ধারা ৩১ (১) এর বিধান লঙ্ঘণ ক্রমে ব্যাংক ব্যবসা পরিচালনা করিতেছে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক..

(ক) উক্ত কোম্পানী বা ব্যক্তিকে, বা ব্যাংক-ব্যবসা করিতেছেন বা কোন সময় করিয়াছিলেন বা উহার সহিত সংশ্লিষ্ট ছিলেন এমন কোন ব্যক্তিকে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, উপরিউক্তরূপ ব্যবসার সহিত সম্পর্কিত উক্ত কোম্পানীর বা ব্যক্তির অবগতিতে, দখলে, জিম্মায় বা নিয়ন্ত্রণে আছে এমন কোন তথ্য, দলিল বা নথিপত্র দাখিল করার নির্দেশ দিতে পারিবে;

(খ) উক্ত কোম্পানী বা ব্যক্তির বা ব্যাংক ব্যবসা করিতেছেন বা কোন সময় করিয়াছিলেন বা উহার সহিত সংশ্লিষ্ট ছিলেন এমন কোন ব্যক্তির যে কোন অংগনে প্রবেশ করিয়া তল্লাশী করিতে এবং উহাদের বা উহাদের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর দখল নিয়েন্ত্রেণ বা জিম্মায় রহিয়াছে ব্যাংক-ব্যবসা সংক্রান্ত এমন সব বই হিসাবের খাতাপত্র, দলিল বা নথিপত্র আটক করিতে যে কোন ব্যক্তিকে ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে

(গ) দফা (খ)তে উল্লিখিত কোন বহি, হিসাবের খাতাপত্র, দলিল বা নথিপত্র পরিদর্শন বা পরীক্ষা করিতে পারিবে এবং উক্ত দফায় উল্লিখিত যে কোন ব্যক্তি, কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবে (ঘ) উক্ত কোম্পানী বা ব্যক্তি বা দফা

(ঘ) তে উল্লিখিত যে কোন ব্যক্তি, কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ক্ষেত্রে, ধারা ৪৪ এর উপ- ধারা (১), (২), (৪) ও (৫) এ বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রদত্ত ক্ষমতাবলীর যতটুকু প্রযোজ্য হয় ততটুকু প্রয়োগ করিতে পারিবে।

 

৫২। ঘোষণা প্রদানের ক্ষমতা।-

(১) বাংলাদেশ ব্যাংক, এতদুদ্দেশ্যে যেইরূপ সংগত মনে করে (সেইরূপ তদন্তের পর, যি এইরূপ অভিমত পোষণ করে) যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা ধারা ৫১ তে উল্লিখিত কোন ব্যক্তি ধারা ৩১ (১) এর বিধান লঙ্ঘণ করিয়া ব্যাংক ব্যবসা পরিচালনা করিতেছেন, তাহা হইল বাংলাদেশ ব্যাংক সেই মর্মে একটি ঘোষণা প্রদান করিতে পরিবে তবে শর্ত থাকে যে, উত্তরূপ ঘোষণা প্রদানের পূর্বে উক্ত কোমপানী বা ব্যক্তি প্রস্তাবিত ঘোষণার বিরুদ্ধে উহার বা তাঁহার বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ দিতে হইবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন ঘোষণা দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করিতে হইবে এবং এইরূপ প্রকাশনার পর, উক্ত কোম্পানী বা উহার প্রধান নির্বাহী বা উহার কোন পরিচালক, ম্যানেজার, কর্মকর্তা, কর্মচারী বা প্রতিনিধি, বা ধারা ৫৪ এর উপ-ধারা (১), (৩) বা (৪) অথবা ধারা ৫৫ তে উল্লিখিত অন্য কোন ব্যক্তি উক্ত ঘোষণা সম্পর্কে অবহিত নহেন এই প্রকার কোন অজুহাত দেখাইতে পারিবেন না।

(৩) এই খণ্ডের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত কোন ঘোষণা, উহাতে উল্লিখিত কোন বিষয়ের ব্যাপারে চূড়ান্ত সাক্ষ্য হইবে।

 

৫৩। ধারা ৫২ এর অধীন প্রদত্ত ঘোষণার পরিণতি।

কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা অন্য কোন ব্যক্তি সম্পর্কে ধারা ৫২ (১) অধীন কোন ঘোষণা প্রকাশিত হইলে, উক্ত কোমপানী বা উক্ত ব্যক্তি উহার বা তাহার সকল কাজ ও লেনদেন হইতে বিরত থাকিবে, এবং উক্ত ঘোষণা প্রকাশনার পর, উত্ত কোমপানী বা ব্যক্তি, বা উহার বা তাঁহার পক্ষে কার্যরত কোন ব্যক্তি, বা অনুরূপভাবে কার্যরত বলিয়া বিবেচিত কোন ব্যক্তির সহিত কোন লেনদেন করা হইলে, উক্ত লেনদেন অকার্যকর হইবে।

 

৫৪। নগদ জমা এবং সম্পদ সংরক্ষণ ইত্যাদি।

– (১) ধারা ৫৩ তে বিধৃত যাহাই থাকুক না কেন, কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা অন্য কোন ব্যক্তি সম্পর্কে ধারা ৫২ (১) এর অধীন কোন ঘোষণা প্রকাশিত হইলে, উক্ত কোমপানী বা ব্যক্তির বা উহার বা তাঁহার পক্ষে কোন ব্যক্তির দখলে, তত্ত্বাবধানে, নিয়ন্ত্রণে বা জিম্মায় আছে এমন সব টাকা পয়সা, স্থাবর সম্পত্তি, শেয়ার, সম্পত্তির মতু দলিল বা অন্য কোন দলিল, যত শীঘ্র সম্ভব, কোন নুতন ব্যাংক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতা প্রদত্ত কোন ব্যক্তির নিকট জমা রাখিতে হইবে।

(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী উহাতে উল্লিখিত কোন ব্যক্তি যদি কোন টাকা পয়সা, স্থাবর সম্পত্তি, শেয়ার, সম্পত্তির যত্ন- দলিল বা অন্য কোন দলিল ধারা ৫২ (১) এর অধীন প্রদত্ত ঘোষণা প্রকাশিত হওয়ার দুই দিনের মধ্যে জমা রাখিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি যে কোন অংগনে প্রবেশ করিতে, উহা তল্লাশী করিতে এবং উক্ত টাকা পয়সা, সম্পত্তি, শেয়ার, যত্ন-দলিল বা অন্য কোন দলিল আটক করিয়া উপ-ধারা (১) অনুযায়ী জমা রাখিতে পরিবেন।

(৩) ধারা ৫৬ এর মীন আবেদনের ভিত্তিতে আদালত কর্তৃক নিযুক্ত সরকারী অবসায়ক, সরকারী আমমোক্তার অস্থায়ী- রিসিভার বা সরকারী সিরিভার কর্তৃক ধারা ৫২ (১) এর অধীন ঘোষণায় উল্লিখিত কোন কোম্পানী বা ব্যাক্তির সকল বহি, হিসাবের খাতাপত্র, দলিল, নথিপত্র এবং সম্পদের দখল বা তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত উক্ত কোম্পানীর প্রধান নির্বাহী বা পরিচালক বা উক্ত কোম্পানী বা ব্যক্তির ম্যানেজার, কর্মকর্তা এবং প্রতিনিধি, বা অন্য কোন ব্যক্তি যাহার দখলে বা তত্ত্বাবধানে, নিয়ন্ত্রণে বা জিম্মায় উক্ত বহি, হিসাবের খাতাপত্র, দলিল, নথিপত্র বা সম্পদ থাকে উহা রক্ষণ করিবেন, এবং উক্তরূপ রক্ষিত অবস্থায় উহার কোন লোকসান বা ক্ষতি হইলে তজ্জন্য তিনি দায়ী থাকিবেন।

(৪) ধারা ৫২ (১) এর অধীন ঘোষণায় উল্লিখিত কোন কোম্পানী বা ব্যক্তির নিকট ঋণী রহিয়াছে এমন কোন ব্যক্তি উ ঘোষণা প্রকাশিত হইবার তারিখ হইতে উক্ত কোম্পানীর অবসায়নের আদেশ বা আদালতের রায় প্রদানের তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে উপ-ধারা (১)-এ বিধৃত পদ্ধতিতে ঋণ পরিশোধ করিবেন এবং তৎসম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংককে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন।

(৫) ধারা ৫২ (১) এর অধীন ঘোষণায় উল্লিখিত কোন কোম্পানী বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন মামলা, আপীল বা দরখাস্ত অথবা অনুরূপ মামলা, আপীল বা দরখাস্ত হইতে উদ্ভূত কোন কার্যধারা এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে বিচারাধীন থাকিলে, ধারা ৫২ (২) এর অধীনে ঘোষণা প্রকাশিত হইবার তারিখ হইতে উক্ত কোম্পানীর অবসারণের আদেশ বা আদালতের রায় প্রদানের তারিখ পর্যন্ত সময়কাল Limitation Act, 1908 (IX of 1908) এ বিধৃত তামাদিকাল গণনার ক্ষেত্রে বাদ দেওয়া হইবে ।

৫৫। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট সম্পদ এবং দায় সম্বলিত বিবৃতি দাখিল।

কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা ব্যক্তি সম্পর্কে ধারা ৫২ এর অধীন ঘোষণা প্রকাশিত হইবার তিন দিনের মধ্যে বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক মঞ্জুরীকৃত বর্ধিত সময়ের মধ্যে উত্ত কোমপানীর প্রধান নির্বাহী এবং প্রত্যেক পরিচালক, এবং উক্ত কোম্পানীর বা ব্যক্তির ম্যানেজার, কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি, এবং উত্ত কোম্পানী বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে কোন দাবীদার, তাঁহার হেফাজতে উক্ত কোম্পানীর বা ব্যক্তির যে সকল সম্পদ রক্ষিত আছে তৎসম্পর্কে একটি বিবৃতি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করিবেন।

৫৬। অবসারণ ইত্যাদির জন্য আনুসংগিক বিধান।-

(১) ধারা ৫২ (১) এর অধীন কোন ঘোষণা কোন ব্যক্তি বিশেষ বা কোম্পানীর সম্পর্কে না হইয়া কোন ব্যক্তি সমষ্টি সম্পর্কে হইয়া থাকিলে, উক্ত ব্যক্তি সমষ্টি কোম্পানী আইনের Part IX এর অধীনে অবসায়নযোগ্য অনিবন্ধনকৃত কোম্পানী হিসাবে গণ্য হইবে।

(২) কোন নিবন্ধনকৃত বা অনিবন্ধনকৃত কোম্পানী সম্পর্কে ধারা ৫২ (১) এর অধীন কোন ঘোষণা প্রকাশিত হইলে উ প্রকাশনার তারিখ হইতে সাত দিনের মধ্যে বা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে বর্ণিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পেশকৃত দরখাস্তের ভিত্তিতে হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত কোম্পানী সম্পর্কে অবসারণের আদেশ দিতে পারিবে।

(৩) ধারা ৬৪ ৬৬ ৩ ৭৬ ব্যতীত ষষ্ঠ খন্ড এবং সপ্তম খণ্ডের বিধানাবলীর যতটুকু কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসারণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় ততটুকু উপ-ধারা (২) এর অধীন পেশকৃত দরখাস্ত এবং উহার অনুবর্তী কার্যধারার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে ।

(8) Insolvency Act, 1920 (V of 1920) কে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ৫২ (১) এর অধীনে প্রদত্ত কোন ঘোষণা কোন ব্যক্তি বিশেষ সম্পর্কিত হইলে, উক্ত ঘোষণা উক্ত বারিকে দেউলিয়া ঘোষণা করার জন্য একটি যথেষ্ট কারণ হিসাবে বিবেচিত হইবে, এবং তাহাকে দেউলিয়া ঘোষণা করিবার ক্ষমতাসমপন্ন আদালত, উক্ত ধারার উপ-ধারা (২) এর অধীন ঘোষণাটি প্রকাশিত হইবার সাত দিনের মধ্যে বা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে বর্ধিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পেশকৃত সাদাতের ভিত্তিতে এবং অন্য কোন প্রমাণ ছাড়াই উক্ত ব্যক্তিকে দেউলিয়া ঘোষণা করিয়া আদেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং উত্ত দেউলিয়ার সম্পত্তি বন্টন ও পরিচালনার ব্যাপারে উক্ত Act এর বিধানাবলী অনুসরণ করা হইবে।

তবে শর্ত থাকে যে, পরবর্তীতে উক্ত আদেশ রদ করিতে বা উক্ত ব্যক্তির দায় সম্পর্কিত কোন আপোষ রফা বা অন্য কোন ব্যবস্থা অনুমোদন করিতে উচ্চ আদালতের কোন ক্ষমতা থাকিবে না।

 

৫৭। ব্যাংক-কোম্পানী সম্পর্কিত কতিপয় তৎপরতার শাস্তি।

(১) কোন ব্যক্তি

(ক) ব্যাংক কোম্পানীর কোন দপ্তরে বা কার্যস্থলে আইনানুগভাবে অন্য কোন ব্যক্তির প্রবেশে বা তথা হইতে বহির্গমনে বা তথায় কোন কার্যা সম্পাদনে বাধা সৃষ্টি করিবেন না, অথবা

(খ) ব্যাংক কোম্পানীর কোন দপ্তরে বা কার্যস্থলে উগ্রভাবে কোন মিছিল করিবেন না বা ব্যাংক-কোম্পানীরক স্বাভাবিক কার্যকলাপে ও লেনদেনে ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী বা ব্যাঘাত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত কোন কার্য করিবেন। না, বা

(গ) ব্যাংক কোম্পানীর উপরে উহার আমানতকারীর আস্থা নষ্ট করিবার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে কোন কিছু করিবেন না।

(২) কোন ব্যক্তি যুক্তিসংগত কারণ ব্যতিরেকে উপ-ধারা (১) এর বিধান ভংগ করিলে, তিনি অনুর্ধ্ব দুই বৎসরের কারাদণ্ডে বা অনুর্ধ বিশ হাজার টাকা অর্থ দন্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

(৩) এই ধারায় ব্যাংক কোম্পানী” বলিতে বাংলাদেশ ব্যাংককেও বুঝাইবে।

 

 

 

৫৮। ব্যাংক কোম্পানীর প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহন।

(১) বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে রিপোর্ট প্রাপ্তির পর যদি সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে,

(ক) ধারা ২৯ বা ধারা ৪৫ এর অধীন ব্যাংক-নীতি সম্পর্কিত লিখিত নির্দেশনা পালন করিতে কোন ব্যাংক কোম্পানী একাধিকবার ব্যর্থ হইয়াছে, বা

(খ) আমানতকারীদের ক্ষতি হইতে পারে এমন পদ্ধতিতে কোন ব্যাংক কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালিত হইতেছে, এবং উক্ত ব্যাংক কোম্পানীর আমানতকারীদের মার্থে, ব্যাংক-নীতির স্বার্থে, সাধারণভাবে বা কোন বিশেষ এলাকায় ঋণ প্রদানের জন্য উন্নততর ব্যবস্থার স্বার্থে, উক্ত ব্যাংক কোম্পানীর কোন প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহন করা প্রয়োজন তাহা হইলে সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহিত আলোচনাক্রমে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা, উক্ত কোম্পানী, অতঃপর অধিগৃহীত ব্যাংক বলিয়া উল্লিখিত, এর প্রতিষ্ঠান উক্ত আদেশে নির্ধারিত তারিখ হইতে, অতঃপর নির্ধারিত তারিখ বলিয়া উল্লিখিত, অধিগ্রহণ করিতে পরিবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, প্রস্তাবিত অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেশের মুক্তিসাগর সুযোগ না দিয়া কোন ব্যাংক-কোম্পানীর কোন প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহন করা যাইবে না।

ব্যাখ্যা- এই খণ্ডে, বাংলাদেশের বাহিরে নিবদনকৃত কোন ব্যাংক কোম্পানীর ক্ষেত্রে, “প্রতিষ্ঠান বলিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উন্ন কোম্পানীর অনুরূপ বুঝাইবে।

(২) এই আশের অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, অধিগৃহীত ব্যাংকের প্রতিষ্ঠান এবং উক্ত সকল সম্পদ ও নার নির্ধারিত তারিখে সরকারের নিকট হস্তান্তরিত এবং সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে।

(৩) অধিগৃহীত ব্যাংকের সকল অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধাদি এবং উহার নগন সম্বিত তহবিল, বিনিয়োগ, গতিস্থত অর্থসহ সকল স্থানের ও অস্থাবর সম্পত্তি এবং উন্ন সম্পত্তিতে অধিগৃহীত ব্যাংকের অন্যান্য সকল মার্থ এবং অধিকার, যাহা নির্ধারিত তারিখের পূর্বে উক্ত ব্যাংকের দখলে বা অধিকারে ছিল, এবং উহার সকল হিসাবের বই, রেকর্ডপত্র, দলিল দস্তাবেজ, এবং উহার সকল প্রকার দেনা, দায় ও দায়িত্ব অধিগৃহীত ব্যাংকের প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ও পায়ের অন্তর্ভূক্ত হইবে।

(৪) উপ-ধারা (২) তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, সরকারের উপর ন্যস্ত অধিগৃহীত ব্যাংকের প্রতিষ্ঠান ও উহার সম্পদ ও দায় সরকারের উপর ন্যস্ত হওয়া বা ন্যস্ত থাকার পরিবর্তে উহা এই আশের অধীন প্রণীত কোন স্কীম এর আওতায় প্রতিষ্ঠিত কোন কোম্পানী বা কর্পোরেশন, অতঃপর এই খণ্ডে হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংক বলিয়া উল্লিখিত, এর উপর ন্যস্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়, তাহা হইলে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশের দ্বারা, এই মর্মে নির্দেশ দিতে পারিবে যে, উ প্রতিষ্ঠান, সম্পদ ও দায় উক্ত আদেশ প্রকাশনার তারিখ বা উহাতে উল্লিখিত অন্য কোন তারিখ হইতে হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংকের উপর ন্যস্ত হইবে।

(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন অধিগৃহীত ব্যাংকের প্রতিষ্ঠান ও উহার সম্পদ ও নায় হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংকের উপর ন্যস্ত হইলে, ন্যস্ত হওয়ার তারিখ হইতে হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংক অধিগৃহীত ব্যাংকের হস্তান্তর গ্রহীতা বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত তারিখ হইতে অধিগৃহীত ব্যাংক সম্পর্কিত সকল অধিকার ও দায় হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংকের অধিকার ও দায় বলিয়া গণ্য হইবে।

(৬) এই খণ্ডে স্পষ্ট বিধান না থাকিলে বা তদধীনে অনরূপ বিধান করা না হইলে, নির্ধারিত তারিখের পূর্বে বিদ্যমান বা কার্যকর যে কোন ধরণের চুক্তি, লিখিত প্রতিশ্রুতি, আমোক্তারনামা, আইনানুগ প্রতিনিধির সম্মত্তি পত্র এবং অন্যান্য সকল প্রকার দলিল, যাহাতে অধিগৃহীত ব্যাংক একটি পক্ষ বা যাহা অধিগৃহীত ব্যাংকের অনুকূলে সম্পাদিত হইয়াছে, সরকার বা হস্তান্তরগ্রহীতা ব্যাংকের বিরুদ্ধে বা অনুকূলে সম্পূর্ণরূপে বলবৎ এবং কার্যকর হইবে যেন উহাতে অধিগৃহীত ব্যাংকের স্থলে, সরকার বা, ক্ষেত্রমতে, হস্তান্তরগ্রহীতা ব্যাংক পক্ষ ছিল এবং উহা সরকার বা হস্তান্তরগ্রহীতা ব্যাংকের বিরুদ্ধে বা অনুকূলে সম্পাদিত হইয়াছিল।

(৭) যদি নির্ধারিত তারিখে অধিগৃহীত ব্যাংকের দ্বারা দায়েরকৃত বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কোন মোকদ্দমা, আপীল বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা বিচারের অপেক্ষায় থাকে, তাহা হইলে উহা চালু থাকিবে এবং উহা সরকার বা ক্ষেত্রমত, অধিগৃহীত ব্যাংকের দ্বারা বা বিরুদ্ধে বুজ হইয়াছিল বলিয়া গণ্য হইবে।

 

 

৫৯। সরকারের স্কীম প্রণয়ণের ক্ষমতা।

(১) সরকার, এই খন্ডের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোন অধিগৃহীত ব্যাংকের ব্যাপারে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহিত পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় স্কীম প্রণয়ন করিতে পরিবে।

(২) বিশেষতঃ উপরিউল্লিখিত ক্ষমতার সামগ্রিকতা ক্ষুণ্ণ না করিয়া, উক্ত স্কীমে নিম্নলিখিত সকল অথবা যে কোন বিষয়ে বিধান থাকিতে পারে, যথা :-

(ক) অধিগৃহীত ব্যাংকের প্রতিষ্ঠান ও উহার সম্পদ ও দায় যে কর্পোরেশন বা কোম্পানীর নিকট হস্তান্তরিত হইবে উহার গঠন, মূলধন, নাম ও দপ্তর;

(খ) হস্তান্তরগ্রহীতা ব্যাংকের প্রথম ব্যবস্থাপনা বোর্ড, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, এর গঠন, এবং সরকার কর্তৃক প্রয়োজনীয় ও সমীচীন বলিয়া বিবেচিত উক্ত বোর্ডের সহিত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়;

(গ) যে শর্তে অধিগৃহীত ব্যাংকের কর্মচারীগণ চাকুরীতে নিয়োজিত ছিল সেই শর্তে তাহাদিগকে সরকার বা ক্ষেত্রমত, হস্তান্তরগ্রহীতা ব্যাংকের চাকুরীতে বহাল রাখার বিষয়;

(ঘ) কোন ব্যক্তি নির্ধারিত তারিখে অধিগৃহীত ব্যাংক হইতে বা কোন ভবিষ্যত তহবিল, পেনশন বা অন্য তহবিল হইতে বা উক্ত তহবিল পরিচালনাকারী কোন কর্তৃপক্ষ হইতে পেনশন বা চাকুরীর মেয়াদ সমাপ্তিজনিত বা সহানুভূতিমূলক ভাতা বা অন্য কোন সুবিধা পাইতে অধিকারী হইলে বা নির্ধারিত তারিখে এবং উহার পূর্ব হইতে পাইতে থাকিলে, তাঁহাকে সেই পেনশন, ভাতা বা সুবিধা, উহা প্রদানের শর্ত মানিয়া চপা সাপেক্ষে, সরকার বাগ ক্ষেত্রমত, হস্তান্তগ্রহীতা ব্যাংক কর্তৃক প্রদান করা বা প্রদান অব্যাহত রাখার বিষয়;

(ঙ) এই খণ্ডের বিধান মোতাবেক অধিগৃহীত ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডারগণকে, এবং অধিগৃহীত ব্যাংক বাংলাদেশের বাহিরে নিবশনকৃত কোন ব্যাংক কোম্পানী হইলে, অধিগৃহীত ব্যাংককে, তাহাদের বা উহার দাবীর পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পদ্ধতি নির্ধারণ

(চ) অধিগৃহীত ব্যাংকের প্রতিষ্ঠান বা উহার কোন সম্পদ বা দায়ের কোন অংশবিশেষ বাংলাদেশের বাহিরে কোন দেশে থাকিলে উহা সরকার বা ক্ষেত্রমত, হস্তান্তগ্রহীতা ব্যাংকের নিকট কার্যকরভাবে হস্তান্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ

(ছ) সরকার বা, ক্ষেত্রমত, হস্তগ্রহীতা ব্যাংকের নিকট অধিগৃহীত ব্যাংকের ব্যবসা, সম্পদ এবং দায় এর কার্যকর ও পূর্ণ হস্তান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় অনুবর্তী, আনুষাংগিক এবং সম্পূরক বিষয়।

(৩) সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহিত পরামর্শক্রমে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই ধারার অধীন প্রণীত কোন স্কীমে প্রয়োজনীয় সংযোজন বা উহার সংশোধন বা পরিবর্তন করিতে পারিবে।

(৪) এই ধারার অধীন প্রণীত সকল স্কীম সরকারী গেজেটে প্রকাশ করা হইবে।

(৫) এই ধারার অধীন সকল স্কীম প্রণয়নের পর উহার অনুলিপি, যথাশীঘ্র সম্ভব, জাতীয় সংসদে পেশ করিতে হইবে।

(৬) এই অধ্যাদেশের অন্য কোন বিধানে বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন, চুক্তি রোয়েদাদ বা অন্য কোন দলিলে ভিন্নরূপ কোন কিছু থাকা সত্ত্বেও, স্কীম সম্পর্কিত এই অংশের বিধানাবলী কার্যকর হইবে।

(৭) এই ধারার অধীন প্রণীত স্কীম সরকার বা হস্তাদগ্রহীতা ব্যাংক, এবং অধিগৃহীত ব্যাংক ও হস্তান্তরগ্রহীতা ব্যাংকের সকল সদস্য, পাওনাদার, আমানতকারী ও কর্মচারী এবং অধিগৃহীত ব্যাংক বা হস্তান্তরগৃহীতা ব্যাংকের ব্যাপারে বা সম্পর্কে অধিকার, দায় বা ক্ষমতাসম্পন্ন অন্য সকল ব্যক্তির উপর বাধ্যতামূলক হইবে।

 

৬০। অধিগৃহীত-ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডারগণকে ক্ষতিপূরণ প্রদান।

(১) নির্ধারিত তারিখের অব্যবহিত পূর্বে কোন ব্যক্তি অধিগৃহীত ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার হিসেবে রেজিস্ট্রিভুক্ত থাকিলে, উক্ত ব্যক্তিকে এবং অধিগৃহীত-ব্যাংক বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত হইলে, অধিগৃহীত ব্যাংককে, অধিগৃহীত ব্যাংকের প্রতিষ্ঠান হস্তান্তরের জন্য সরকার বা, ক্ষেত্রমত, হস্তাস্তরগ্রহীতা ব্যাংক, বিধিদ্বারা নির্ধারিত নীতিমালা অনুযায়ী স্থিরীকৃত ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর কোন কিছুই অধিগৃহীত ব্যাংকের কোন শেয়ার হোল্ডার এবং সেই শেয়ারে স্বার্থ আছে এমন কোন ব্যক্তির পারস্পারিক অধিকার ক্ষুন্ন করিবেনা এবং উক্ত ব্যক্তি তাঁহার শেয়ার সম্পর্কিত অধিকার উপ-ধারা (১) এর অধীন স্থিরীকৃত ক্ষতিপূরণের উপর প্রয়োগ করিতে পারিবেন, কিন্তু সরকার বা হস্তান্তরগ্রহীতা ব্যাংকের বিরুদ্ধে উহা প্রয়োগ করিতে পারিবেন না।

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদেয় ক্ষতিপুরণ প্রাথমিকভাবে সরকার বা ক্ষেত্রমত, হস্তান্তরগ্রহীতা ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের সহিত পরামর্শক্রমে, উক্ত উপ-ধারার অধীন প্রণীত বিধি অনুসারে স্থির করিবে এবং উক্ত উপ-ধারার অধীন ক্ষতিপূরণ প্রাপকগণকে তাঁহাদের প্রাপ্য সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ গ্রহনের প্রস্তাব করিবে।

(৪) উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী প্রস্তাবিত ক্ষতিপূরণ যদি কোন ব্যক্তির নিকট গ্রহণযোগ্য না হয়, তাহা হইলে তিনি সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে, সরকারের নিকট এই মর্মে লিখিত অনুরোধ করিবেন যে, বিষয়টি যেন ৬১ ধারার অধীন গঠিত ট্রাইব্যুনালের নিকট পেশ করা হয়।

(৫) অধিগৃহীত ব্যাংকের পরিশোধকৃত মূলধনের কমপক্ষে এক-চতুর্থাংশ মূল্যের সমপরিমান শেয়ার হোল্ডারগণের নিকট হইতে বা, অধিগৃহীত ব্যাংক বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত কোন কোম্পানী হইলে, অধিগৃহীত ব্যাংকের নিকট হইতে, উপ-ধারা (৪) এর অধীন কোন অনুরোধ পাইলে শুনকার বিষয়টির উপর সিদ্ধান্ত প্রদানের জন্য উহা ট্রাইব্যুনালের নিকট প্রেরণ করিবে ।

(৬) উপ-ধারা (৪) এর অধীন কোন অনুরোধ পাওয়া না গেলে, উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রস্তাবিত ক্ষতিপূরণ অথবা, অনুরূপ কোন অনুরোধ প্রাপ্তির পর উহা উপ-ধারা (৫) এর বিধান অনুসারে ট্রাইব্যুনালের নিকট প্রেরিত হইলে, তৎকর্তৃক স্থিরীকৃত ক্ষতিপুরণ হইবে উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদেয় ক্ষতিপূরণ এবং উক্ত ক্ষতিপূরণ চূড়ান্ত এবং সংশ্লিষ্ট সকলের উপর বাধ্যতামূলক হইবে।

 

৬১। ট্রাইব্যুনাল গঠন।

– (১) এই খন্ডের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার একজন চেয়ারম্যান ও অপর দুইজন সদস্য সমন্বয়ে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করিতে পারিবে।

(২) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হইবেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে কর্মরত আছেন বা ছিলেন, এবং উহার জন্য দুইজন সদস্যদের মধ্যে একজন হইবেন এমন ব্যক্তি যিনি সরকারের বিবেচনায় ব্যাংক ও অর্থনৈতিক বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং অন্যজন হইবেন Accountants Order, 1973 (P.O.No. 2 of 1973) 3 of অর্থে Chartered: Accountants শব্দগুলি ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে একজন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট।

(৩) যদি কোন কারণে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বা অন্য কোন সদস্যের পদ শূন্য হয়, তাহা হইলে সরকার, উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুসারে অন্য একজন ব্যক্তিকে নিয়োগ করিয়া উক্ত শূন্য পদ পূরণ করিতে পারিবে, এবং উক্ত ট্রাইব্যুনালে নিস্পন্নাধীন কোন কার্যধারা যে পর্যায়ে ছিল সেই পর্যায় হইতে উন্ন কার্যধারা পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের সমুখে অব্যাহত থাকিবে।

(৪) এই খণ্ডের অধীন প্রদেয় ক্ষতিপূরণ নির্ণয়, করিবার উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল উহাকে কোন বিষয়ে সহায়তা করার জন্য উক্ত বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান বা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এক বা একাধিক ব্যক্তিকে মনোনিত করিতে পারিবে।

 

৬২। ট্রাইব্যুনালের দেওয়ানী আদালতের ক্ষমতা।

(১) ট্রাইব্যুনালের নিকট নিষ্পন্নাধীন কার্যধারার নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহে উহা সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে যে সকল ক্ষমতা কোন দেওয়ানী আদালত Code of Civil Procedure, 1908 (Act V of 1908) এর অধীনে উক্ত বিষয়সমূহে প্রয়োগ করিতে পারে, যথা :-

(ক) আদালতে উপস্থিত হইবার জন্য কোন ব্যক্তির উপর সমন জারী এবং তাঁহাকে আদালতে উপস্থিত হইতে বাধ্য। করা এবং শপথ গ্রহণ করাইয়া তাঁহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা

(খ) দলিল দাখিল, দলিল উদ্ঘাটন ও উদ্ঘাটিত দলিল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দান

(গ) এফিডেভিটের মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণ

(ঘ) সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণ এবং দলিলাদি পরীক্ষার জন্য অন্য কোন ব্যক্তিকে ক্ষমতা প্রদান।

(২) উপ-ধারা (১) এবং আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ট্রাইব্যুনাল-

(ক) সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক গোপনীয় বলিয়া দাবী করে এইরূপ কোন হিসাব বহি বা দলিল দাখিল করার জন্য,

(খ) উক্ত কোন বহি বা দলিলকে ট্রাইব্যুনালের নিষ্পন্নাধীন কার্যধারার উহার নথিপত্রের অংশে পরিণত করার জন্য বা

(গ) ট্রাইব্যুনালে নিষ্পন্নাধীন কার্যধারার কোন পক্ষকে বা অন্য কোন ব্যক্তিকে উক্ত বহি বা দলিল পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়ার জন্য, সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংকের উপর কোন বাধ্যতামূলক আদেশ প্রদান করিতে পারিবে না।

 

৬৩। ট্রাইব্যুনালের কার্যপদ্ধতি।-

(১) ট্রাইব্যুনাল উহার নিজস্ব কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে

(২) ট্রাইব্যুনাল কোন বিষয়ে আংশিক বা সম্পূর্ণ তদন্ত রুদ্ধদার কক্ষে সম্পন্ন করিতে পারিবে

(৩) ট্রাইব্যানালের কোন আদেশে অসাবধানতাবশতঃ বা দৈবাৎ কোন বিচ্যুতি ঘটিবার বা কোন কিছু বাদ পড়িবার ফলে যৎসামান্য বা সংখ্যাগত ত্রুটি থাকিলে, ট্রাইব্যুনাল উহা মেচেছায় বা কোন পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুদ্ধ করিতে পরিবে।

 

 

 

৬৪। সাময়িকভাবে ব্যবসা বন্ধ রাখা।

(১) সাময়িকভাবে দায় পরিশোধে অক্ষম কোন ব্যাংক-কোম্পানীর আবেদনক্রমে, হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত কোমপানীর বিরুদ্ধে সকল ব্যবস্থা বা কার্যক্রম গ্রহণ ও চালু রাখা, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তাধীনে, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত রাখার আদেশ দিতে পারিবে, যাহার একটি অনুলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে, এবং হাইকোর্ট বিভাগ সময় সময় উক্ত সময়সীমা বর্ধিত করিতে পারিবে। কিন্তু এই বর্ধিত সময়ের মেয়াদ সর্বমোট ছয় মাসের অধিক হইবে না।

(২) আবেদনকারী ব্যাংক-কোম্পানী উহার দেনা পরিশোধ করিতে পরিবে এই মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত একটি রিপোর্ট আবেদনপত্রের সহিত সংযোজিত না হইলে উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হইবে না :

তবে শর্ত থাকে যে, আবেদনপত্রের সহিত উত্তরূপ রিপোর্ট সংযোজিত না থাকিলেও হাইকোর্ট বিভাগ, যথাযথ কারণ থাকিলে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে এই ধারার অধীন প্রতিকার প্রদান করিতে পরিবে এবং এইরূপ প্রতিকার প্রদান করা হইলে,
হাইকোর্ট বিভাগ উর ব্যাংক-কোম্পানীর অবস্থা সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে একটি রিপোর্ট তলব করিবে, এবং উক্ত রিপোর্ট প্রাপ্তির পর হাইকোর্ট বিভাগ উহার আদেশ বাতিল করিতে পারিবে বা অন্য কোন যথাযথ আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন আবেদনপত্র দাখিল করা হইলে হাইকোর্ট বিভাগ একজন বিশেষ কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে পারিবে এবং আবেদনকারী ব্যাংক-কোম্পানী যে সকল সম্পদ, বদি, দলিল, মালামাল এবং আদায়যোগ্য দাবীর অধিকার বা অধিকারী বলিয়া ধারণা করা হয়, সেসব কিছু উত্ত কর্মকর্তা তৎক্ষণাৎ নিজের তত্ত্বাবধানে বা নিয়ন্ত্রণে গ্রহণ করিবেন, এবং ব্যাংক-কোম্পানীর আমানতকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করিয়া হাইকোর্ট বিভাগ অন্য যে ক্ষমতা তাঁহাকে অর্পণ করিবে সেই ক্ষমতাও তিনি প্রয়োগ করিতে পরিবেন

(৪) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যাপারে যদি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন আদেশ প্রদান করা হয় এবং যদি বাংলাদেশ ব্যাংক এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উক্ত ব্যাংকের কার্যকলাপ উহার আমানতকারীগণের স্বার্থবিরোধী পদ্ধতিতে পরিচালিত হইতেছে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের নিকট আবেদন করিতে পারিবে এবং এইরূপ আবেদনপত্র দাখিল করা হইলে, হাইকোর্ট বিভাগ উত্ত উপ-ধারার অধীন প্রদত্ত স্থগিত আদেশের মেয়াদ আর বর্ধিত করিবে।

 

৬৫। হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক অবসায়ন।

(১) ধারা ৬৪ (১) কে প্রদত্ত ক্ষমতাকে ক্ষুন্ন না করিয়া, এবং কোম্পানী আইনের Sections 153, 162 এবং 271 এ যাহা কিছু থাকুক না কেন, হাইকোর্ট বিভাগ এই ধারার অধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানী অবসায়নের জন্য আদেশ প্রদান করিবে, যদি

(ক) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী উহার ঋণ পরিশোধ করিতে অক্ষম হয়;

(খ) উক্ত কোম্পানী অবসায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এই ধারা বা ধারা ৬৪ এর অধীন আবেদন করে।

(২) ধারা ৪৪ (৫) (খ) এর অধীন নির্দেশিত হইলে, বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত নির্দেশে উল্লিখিত ব্যাংক-কোম্পানীর অবসানের জন্য এই ধারার অধীন দরখাস্ত দাখিল করিবে।

(৩) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এই ধারার অধীনে আবেদন করিতে পারে,

(ক) যদি উক্ত কোমপানী,

(অ) ধারা ১৩ এর অধীন প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করিতে ব্যর্থ হইয়া থাকে বা

(আ) ধারা ৩১ এর বিধানজনিত কারণে বাংলাদেশে ব্যাংক ব্যবসা চালাইবার অধিকার হারাইয়া থাকে

(ই) ধারা ৪৪ (৫) (ক) অথবা Bangladesh Bank Order, 1972 (PO No. 127 of 1972) এর Article 36 (5) (b)- এর অধীনে প্রদত্ত আদেশ দ্বারা নুতনভাবে আমানত গ্রহণ করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা পাইয়া থাকে; বা

(ঈ) ধারা ১৩তে বিধৃত পুরণীয় শর্ত বাতিরেকে এই অধ্যাদেশের অধীন প্রয়োজনীয় অন্যান্য শর্ত পুরণ করিতে ব্যর্থ হইয়া থাকে এবং লিখিত নোটিশের মাধ্যমে উক্ত ব্যর্থতার কথা উহাকে অবহিত করার পর তাহা অব্যাহত রাখে

(এ) এই অধ্যাদেশের কোন বিধান লঙ্ঘন করিয়া থাকে এবং উহাকে লিখিত নোটিশের মাধ্যমে উক্ত লঙ্ঘন সম্পর্কে অবহিত করা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক সময় সময় এতদুদ্দেশ্যে যে মেয়াদ নির্ধারণ করে তাহা অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও উক্ত লঙ্ঘন অব্যাহত রাখে অথবা

(খ) যদি বাংলাদেশ ব্যাংক এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে.-

(অ) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী সম্পর্কে আদালত অনুমোদিত কোন আপোষ-মীমাংসা বা ব্যবস্থা, উহার সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকে, সন্তোষজনকভাবে কার্যকর করা সম্ভব নহে বা

(আ) এই অধ্যাদেশের বিধানাবলীর অধীন বা মোতাবেক উহার নিকট প্রেরিত রিটার্ন, প্রতিবেদন বা তথ্য হইতে উ ব্যাংক-কোম্পানীর দেনা পরিশোধে উহার অক্ষমতা প্রকাশ পাইয়াছে বা

(ই) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অস্থিত্ব অব্যাহত রাখা উহার আমানতকারীদের মার্থের পরিপন্থী।

(৪) কোম্পানী আইনের Section 163-এর বিধান ক্ষুণ্ণ না করিয়া, কোন ব্যাংক-কোম্পানী উহার দেনা পরিশোধে অক্ষম বলিয়া গণ্য হইবে যদি-

(ক) উক্ত কোম্পানীর অফিস বা শাখা আছে এমন স্থানে উহার কোন দেনা পরিশোধের জন্য কোন আইনানুগ দাবী পেশ করা হয়, কিন্তু দুই কার্য দিবসের মধ্যে উক্ত দেনা পরিশোধে উহা অধীকৃতি জ্ঞাপন করিয়া থাকে বা

(খ) অন্য কোথাও উক্ত দাবী পেশ করা হয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এই মর্মে প্রত্যয়ন করে যে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী উহার দেনা পরিশোধে অক্ষম বা

(গ) বাংলাদেশ ব্যাংক লিখিতভাবে এই মর্মে প্রত্যয়ন করে যে ব্যাংক-কোম্পানীটি উহার দেনা পরিশোধ করিতে

(৫) বাংলাদেশ ব্যাংক উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন দরখাস্ত সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিল করবে।

 

৬৬। আদালত-অবসায়ক।

(১) ব্যাংক-কোম্পানীর অবসানে মামলার সংখ্যা ও তৎসংশ্লিষ্ট কাজের পরিমাণ বিবেচনা করিয়া সরকার যদি অভিমত পোষণ করে যে, উর অবসায়নের কার্যধারা পরিচালনা এবং তৎসংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্ট বিভা কর্তৃক আরোপিত অন্যান্য দায়িত্ব সম্পাদন করার জন্য হাইকোর্ট বিভাগের সহিত একজন আদালত অবসাকে সংযুক্ত করা প্রয়োজ • সমীচীন, তাহা হইলে সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহিত পরামর্শক্রমে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মেয়ানে একজন আদালত- অবসারক নিয়োগ করিতে পারিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন আদালত অবসায়ক নিযুক্ত হইলে এবং হাইকোর্ট বিভাগ কোন ব্যাংক-কোম্পানী অবসায়নের জন্য আদর্শ প্রদান করিলে, কোম্পানী আইনের Section 171 অথবা এ 175 যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আনাল অবসায়ক উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর সরকারী অবসায়ক হইবে।

(৩) যদি কোন আদালত অবসায়ক হাইকোর্ট বিভাগের সহিত সংযুক্ত থাকেন এবং এই অধ্যাদেশ প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে বা উষ্ণ রূপ সংযুক্তি তারিখের পূর্বে, উহাদের মধ্যে, যাহা পরবর্তী কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবস্থায়নের জন্য কোন কার্যধারা চ থাকে, যাহাতে বাংলাদেশ ব্যাংক বা আদালত অবসায়ক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি সরকারী অবসায়ক হিসাবে নিযুক্ত আছেন তাহা হইলে কোম্পানী আইনের Section 176 এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যে ব্যক্তি সরকারী অবসায়ক নিযুক্ত হইয়াছেন তিনি উন্ন প্রবর্তন, বা ক্ষেত্রমত, সংযুক্তির তারিখে তাহার পদত্যাগ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্ত শূন্য পদে আদালত সা সরকারী অবসায়ক হিসাবে নিযুক্ত হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, আদালত অবসায়ককে এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে এতদূসমপর্কে শুনানীর সুযোগ দেওয়ার পর হাইকোর্ট বিভাগ যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, উক্ত আদালত অবসায়কের নিযুক্তি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর আমানতকারীগণের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হইতে পারে, তাহা হইলে হাইকোর্ট বিভাগ পূর্বের সরকারী অবসায়ককে তাঁহার কার্য চালাইয়া যাইবার জন্য নির্দেশ নিতে পারিবে ।

 

৬৭। বাংলাদেশ ব্যাংক ইত্যাদির অবসায়ক হিসাবে নিয়োগ।

কোম্পানী আইনের Section 50 অথবা Section 175 এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি বাংলাদেশ ব্যাংক কোন ব্যাংক কোম্পানীর অবসায়ন কার্য ধারায় হাইকোর্ট বিভাগের নিকট বাংলাদেশ ব্যাংকে বা কোন ব্যক্তি বিশেষকে সরকারী অবসায়ক হিসাবে নিযুক্ত করিবার আবেদন করে, তাহা হইলে সাধারনতঃ উক্ত আবেদন মঞ্জুর করা হইবে, এবং উক্ত কার্যধারায় কোন অবসায়ক পূর্ব হইতে কার্যরত থাকিলে, তাঁহার পন উক্ত সরকারী অবসায়ক নিযুক্তির তারিখ হইতে শূন্য হইবে।

 

৬৮। অবসায়কের উপর কোম্পানী আইন প্রয়োগ।

(১) কোম্পানী আইনের অবসায়ক সম্পর্কিত বিধানাবলী, এই অধ্যাদেশের বিধানাবলীর সহিত সামজস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, ধারা ৬৭ বা ৬৮ এর অধীন নিযুক্ত অবসায়কের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে। (২) এই খন্ডে এবং সপ্তম খন্ডে সরকারী অবসায়কা এর উল্লেখ থাকিলে, উহাতে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়ক অন্তর্ভূক্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

 

৬৯। কার্যধারা স্থগিত করা সম্পর্কে বাধা-নিষেধ।

কোম্পানী আইনের Section 173 কে ভিন্নরূপ কোন বিধান থাকা সত্ত্বেও হাইকোর্ট বিভাগ কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়ন কার্যধারা উক্ত কোম্পানীর আমানতকারীদের দাবী সম্পূর্ণ পরিশোধ করার জন্য গৃহীত ব্যবস্থ সম্পর্কে সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখার আদেশ দান করিবে না।

 

৭০। সরকারী অবসায়ক কর্তৃক প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল।

কোম্পানী আইনের 177 B তে ভিন্নতর কোন বিধান থাকা সত্ত্বেও, যে ক্ষেত্রে এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে বা পরে কোন ব্যাংক-কোম্পানী অবসায়নের জন্য আদেশ দেওয়া হইয়াছে, সেক্ষেত্রে সরকারী অবসায়ক উক্ত আদেশ প্রদানের দুই মাসের মধ্যে বা আদেশটি উত্তরূপ প্রবর্তনের পূর্বে প্রদান করা হইয়া থাকিলে উ প্রবর্তনের দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের নিকট একটি অন্তর্বর্তী রিপোর্ট প্রদান করিবে, যাহাতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্তর্ভূক্ত থাকিবে, যথা :-

(ক) কোম্পানী আইনের প্রয়োজন মোতাবেক তাহার জামানত তথ্য।

(খ) রিপোর্ট প্রদানের তারিখে তাহার হেফাজত বা নিয়ন্ত্রণে রক্ষিত উক্ত কোম্পানীর নগদ সম্পদের পরিমা (গ) দুই মাস অতিক্রান্ত হইবার পূর্বে সম্ভাব্য নগন সম্পদ সংগ্রহের পরিমান

তবে শর্ত থাকে যে, হাইকোর্ট বিভাগ, প্রয়োজনবোধে, কোন বিশেষ ক্ষেত্রে উক্ত দুই মাস সময়সীমা আরও এক মাস বৃদ্ধি করিতে পারিবে ।

 

৭১। অগ্রাধিকারসম্পন্ন দাবীদার ইত্যাদির প্রতি নোটিশ।

(১) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের আদেশ প্রদানের ১৫ দিনের মধ্যে বা উক্ত আদেশ, এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে প্রদত্ত হইয়া থাকিলে উক্ত প্রবর্তনের তারিখ হইতে এক মাসের মধ্যে সরকারী অবসায়ক আমানতকারীর প্রতি দায়-দায়ীত্ব ব্যতীত, উক্ত কোম্পানীর কর্ম ও অন্যান্য সায়ের একটি হিসাব প্রস্তুতের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে একটি নোটিশ জারী করিয়া কোম্পানী আইনের Section 230 এর অধীন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাওনার দাবীদারদের এবং কোম্পানীর নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত বা নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত নয়, এমন পাওনাদারদিগকে, নোটিশ প্রাপ্তির এক মাসের মধ্যে তাহাদের দাবীর পরিমানের একটি হিসাব তাঁহার নিকট প্রেরণের জন্য আহবান করবেন

(২) কোম্পানী আইনের Section 230 এর অধীন প্রাপ্যের কোন দাবীদারের নিকট উপ-ধারা (১) মোতাবেক প্রেরিত নোটিশে এই মর্মে উল্লেখ করিতে হইবে যে, যদি উহা জারীর এক মাস অতিবাহিত হইবার পূর্বে সরকারী অবসায়কের নিকট দাবীর বিবরণ প্রেরণ করা না হয়, তাহা হইলে উক্ত নারী অন্যান্য ঋণের দানীর তুলনায় অগ্রাধিকারের আওতায় পরিশোধযোগ্য দাবী বলিয়া গণ্য হইবে না, এবং উহা ব্যাংক-কোম্পানীর সাধারণ ঋণ হিসাবে গণ্য হইবে।

(৩) নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত পাওনাদারদের নিকট উপ-ধারা (১) মোতাবেক প্রেরিত নোটিশে, উহা জারীর তারিখ হইতে এক মাস অতিবাহিত হইবার পূর্বে, তাহাকে তাহার জামানতের মূল্যায়ন করার জন্য বলা হইবে এবং উহাতে এই মর্মেও উল্লেখ করা হইবে যে, উক্ত সময়সীমা অতিবাহিত হইবার পূর্বে জামানতের মূল্যায়নসহ তাঁহার দাবীর একটি বিবরণ প্রেরণ করা না হইলে সরকারী অবসায়ক নিজেই উক্ত জামানতের মূল্যায়ন করিবেন এবং উত্তরূপ মূল্যায়ন পাওনাদার মানিতে বাধ্য থাকিবেন।

(৪) যদি কোন দাবীদার বা পাওনাদার উপ-ধারা (১) মোতাবেক প্রেরিত নোটিশে প্রদত্ত নির্দেশ পালন করিতে ব্যর্থ হন তাহা হইলে,-

(ক) দাবীদারের ক্ষেত্রে, তাঁহার দাবী অন্যান্য দাবীর তুলনায় অগ্রাধিকারসম্পন্ন নারী হিসাবে পরিশোধযোগ্য হইবে না, বরং ব্যাংক-কোম্পনীর সাধারণ ক্ষণ হিসাবে গণ্য হইবে

(খ) পাওনাদারের ক্ষেত্রে, তাঁহার জামানতের মূল্যায়ন সরকারী অবসায়ক নিজেই করিবেন এবং অনুরূপ মূল্যায়ন পাওনাদার মানিতে বাধ্য থাকিবেন।

 

৭২। পাওনাদারদের সভা আহ্বান ইত্যাদির প্রয়োজনীয়তা রহিত করার ক্ষমতা।

কোম্পানী আইনের Section 178A এবং 183 তে বিভিন্নরূপ কোন বিধান থাকা সত্ত্বেও, যদি হাইকোর্ট বিভাগ কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবাসয়ন কার্যধারা নিম্পন্নাধীন থাকাকালে, অযথা বিলম্ব ও খরচ পরিহার করার প্রয়োজনে যথাযথ বিবেচনা করিলে, উক্ত কোম্পানীর দাবীদার বা অন্যান্য পাওনাদারদের সভা আহ্বান বা কমিটি নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা রহিত করিতে পারিবে।

 

৭৩। হিসাবের খাতদৃষ্টে আমানতকারীদের জমা প্রমাণিত গণ্য।

ব্যাংক-কোম্পানীর হিসাবের খাতায় কোন আমনাতকারীর নামে যে টাকা জমাকৃত রহিয়াছে বলিয়া উল্লেখ থাকে, সেই টাকার জন্য আমানতকারী তাঁহার দাবী উক্ত কোমপানীর অবসায়ন কার্যধারায় উত্থাপন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য করা হইবে এবং কোম্পানী আইনের Section 191 এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি সরকারী অবাসয়ক উত্তরূপ জমার সঠিকতা সম্পর্কে সন্দেহ করিবার কারণ আছে ইহা না দেখান, তাহা হইলে হাইকোর্ট বিভাগ উক্তরূপ দাবী প্রমাণিত হইয়াছে বলিয়া ধরিয়া লইবেন।

 

৭৪। আমানতকারীগণের অগ্রাধিকারভিত্তিক পাওনা প্রদান।

(১) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের কার্যধারায় অবাসয়নের আদেশ এই অধ্যাদেশ প্রবর্তনের পূর্বে প্রদত্ত থাকিলে, অনুরূপ প্রবর্তনের তিন মাসের মধ্যে বা, উক্ত আদেশ অনরূপ প্রবর্তনের পর প্রদত্ত হইলে আদেশ প্রদানের তিন মাসের মধ্যে সরকারী অবাসয়ক কোম্পানীর আইনের Section 230 তে উল্লেখিত সেই সকল অগ্রাধিকার ভিত্তিক পাওনা প্রদান করিবেন বা প্রদানের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন যে সকল পাওনা সম্পর্কে, ধারা ৭১ এর অধীন প্রদত্ত নোটিশের প্রেক্ষিতে, উহা জারীর তারিখ হইতে এক মাসের মধ্যে, দাবী উত্থাপন করা হইয়াছে।

(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান মোতাবেক অগ্রাধিকার ভিত্তিক পাওনা পরিশোধ করার ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত রূপে টাকা পরিশোধ করা হইবে, যথা :-

(ক) প্রথম দফায়, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর সম্বয়ী হিসাবে আমানতকারীদের প্রত্যেককে দুই হাজার পাঁচশত টাকা অথবা উক্ত হিসাবে তাহার জমা টাকা যে পরিমাণটি কম

(খ) দ্বিতীয় দফায়, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পাওনাদারগণের প্রাপ্য প্রদানের জন্য কোমপানীর অন্যান্য আমানতকারী- গণের প্রত্যেককে, তাহার হিসাবে জমা থাকা টাকার শতকরা পঞ্চাশ ভাগ বা দুই হাজার পাঁচশত টাকা, এই নুয়ের মধ্যে যে পরিমাণটি কম : তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীতে যদি কোন একক ব্যক্তির সয়ী হিসাব এবং অন্য কোন প্রকার হিসাব থাকে, তাহা হইলে তাঁহাকে দফা (ক) ও (খ) অনুযায়ী প্রদেয় মোট টাকার পরিমাণ দুই হাজার পাঁচশত টাকার উর্ধ্বে হইবে না, তবে কোন ব্যক্তির অন্য কোন ব্যক্তির সহিত যৌথ হিসাবের ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হইবে না।

(৩) যদি উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত তিন মাস সময়ের মধ্যে উপ-ধারা (২) এর দফা (ক) বা (গ) এর অধীন সেনা সম্পূর্ণ নগদ টাকায় প্রদান করা না যায় তাহা হইলে, সরকারী অবসায়ক সেই সময়ের মধ্যে দফা (ক), বা ক্ষেত্রমত, দফা (খ), এ অধীন প্রত্যেক আমানতকারীর পাওনা টাকা প্রাপ্ত সম্পদের সহিত অনুপাত বজায় রাখিয়া যতদূর সম্ভব প্রদান করিবেন, এবং সরকারী অবসায়ক নগদ টাকার আকারে যখন কোম্পানীর সম্পদ সংগ্রহ করিতে পারিবেন তখনই প্রত্যেক আমনাতকারীকে তাহার পাওনার বাকী টাকা প্রদান করিবেন।

(৪) উপ-ধারা (১), (২) ও (৩) অনুসারে আমানতকারীগণের পাওনা পরিশেষ করার পর, সরকারী অবসায়ক সাধারণ পাওনাদারদের পাওনা কোন ব্যাংক-কোম্পানীর সম্পদের সহিত অনুপাত বজায় রাখিয়া পরিশোধ করিবেন, এবং অতঃপর সরকারী অবসায়ক যখনই নগদ টাকার আকারে ব্যাংক-কোম্পানীর সম্পদ সংগ্রহ করিতে পারিবেন তখনই উপ-ধারা (২) এর দফা (ক) ৩ (গ) তে উল্লিখিত পাওনাদারগণের বাকী পাওনা সংগৃহীত সম্পদের সহিত অনুপাত বজায় রাখিয়া প্ৰদান করিবেন।

(৫) সরকারী অবসায়ক যাহাতে কোম্পানীর সর্বাধিক সম্পন্ন নগদ টাকার আকারে নিজের রক্ষণাবেক্ষণে আনিতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে তিনি নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত পাওনাদারদিগকে প্রদত্ত অনুমোদিত সম্পত্তি-নিদর্শনপত্র নিম্নলিখিতভাবে যুক্ত করিতে পরিবেন,

(ক) উক্ত পাওনাদারের পাওনার পরিমাণ সম্পর্কে পাওনাদারের নিজের মূল্যায়ন, বা ক্ষেত্রমত, সরকারী অবসায়কের মূল্যায়ন, উক্ত নিদর্শন-পত্রের মূল্য অপেক্ষা বেশী হইলে, সেই মূল্য পরিশোধ করিয়া; এবং

(খ) অনুরূপ মূল্যায়নে পাওনাদারের পাওনা উক্ত নিদর্শন-পত্রের মূল্যের সমান বা কম হইলে, পাওনা টাকা পরিশোধ করিয়া

তবে শর্ত থাকে যে, সরকারী অবসায়ক যদি পাওনাদার কর্তৃক মূল্যায়নে সন্তুষ্ট না হন, তাহা হইলে তিনি মূল্যায়ণ করার জন্য হাইকোর্ট বিভাগের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।

(৬) উপ-ধারা (১), (২), (৩), (৪) ও (৫) এর বিধান মোতাবেক পাওনা পরিশোধের জন্য কোন দাবীদার, পাওনাদার বা আমানতকারীকে যদি পাওয়া না যায় বা তাহাকে যদি তৎক্ষণাৎ খুঁজিয়া পাওয়া না যায়, তাহা হইলে সরকারী অবসায়ক, উক্ত পাওনা পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করিবেন।

(৭) এই ধারার উদ্দেশ্য পুরণকালে, নিম্নবর্ণিত পাওনাসমূহকে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর পাওনা হিসাবে গণ্য করা হইবে, যথা :-

(ক) কোম্পানী আইনের Section 230 এর অধীন অগ্রাধিকার ভিত্তিক দাবীদারদের পাওনা

(খ) উপ-ধারা (২) (ক) এর অধীন আমানতকারীগণের সম্বয়ী হিসাবে পাওনা

(গ) উপ-ধারা (২) (খ) এর অধীন অন্যান্য আমানতকারীগণের পাওনা

(ঘ) সাধারণ পাওনাদারদের পাওনা .

(৩) উপ-ধারা (২) (ক) ও (খ) তে উল্লিখিত আমানতকারীগণের পাওনা পরিশোধের পর তাঁহাদিগকে প্রদেয় অতিরিক্ত পাওনা

(৮) উপ-ধারা (৭) এর উল্লিখিত প্রত্যেক শ্রেণীর পাওনাদারগণকে তাঁহাদের নিজেদের মধ্যে সমতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হইবে এবং যদি পাওনা পরিশোধের জন্য প্রাপ্ত সম্পদ পর্যাপ্ত হয়, তাহা হইলে তাঁহাদের পূর্ণ পাওনা প্রদান করা হইবে, এবং উক্ত সম্পদ অপর্যাপ্ত হইলে সমান অনুপাতে তাঁহাদের পাওনা হ্রাস করা হইবে।

 

৭৫। বেচছায় অবসারণে বাধা-নিষেধ।

কোম্পানী আইনের Section 203 তে ভিন্নতর কোন কিছু থাকা সত্ত্বেও, কোন ব্যাংক-কোম্পানী উহার পাওনাদারদের ঋণ সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ করিতে সমর্থ, এই মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংক লিখিতভাবে প্রতারন না করিলে ধারা ৩১ এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর যেচছা অবসায়ন করা যাইবে না; এবং মোছা অবসায়নের কার্যধারার কোন কোন পর্যায়ে যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানী উহার কোন দেনা পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে হাইকোর্ট বিভাগ কোমপানী আইনের Section 218 এবং 220 এর বিধান ক্ষুণ্ণ না করিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনক্রমে হাইকোর্ট বিভাগের মাধ্যমে উক্ত কোমপানীর অবসায়নের জন্য আদেশ দিবে।

 

৭৬। কোন ব্যাংক-কোম্পানী এবং পাওনদারদের মধ্যে আপোষ-মীমাংসা বা বিশেষ ব্যবস্থার উপর বাধা-বিষেধ।

– (১) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, হাইকোর্ট বিভাগ কোন ব্যাংক-কোম্পানী এবং উহার পাওনাদার বা তাহাদের কোন শ্রেণীর মধ্যে, বা উক্ত কোম্পানী এবং উহার সদস্য বা সদস্য-শ্রেণীর মধ্যে, কোন আপোষ-মীমাংসা বা বিশেষ ব্যবস্থা অনুমোদন করিবে না, বা অনুরূপ কোন মীমাংসা বা বিশেষ ব্যবস্থায় কোন সংশোধন অনুমোদন করিবে না, যদি না বাংলাদেশ ব্যাংক এই মর্মে প্রত্যায়ন করে যে, উক্ত মীমাংসা, বিশেষ ব্যবস্থা বা উহাদের সংশোধন কার্যকর করার অযোগ্য নহে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর পাওনাদারদের স্বার্থের পরিপন্থী নহে।

(২) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যাপারে বা উহার কোন পরিচালকের আচরণ সমপর্কে কোমপানী আর Section 230-4 অধীন কোন আবেদন দাখিল করা হইলে, হাইকোর্ট বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংককে উক্ত ব্যাংকের অ এবং পরিচালকদের সম্পর্কে তদন্ত করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে, এবং যদি অনুকূপ নির্দেশ দেওয়া হইয়া থাকে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাং অনুরূপ তদন্ত করিয়া হাইকোর্ট বিভাগে একটি প্রতিবেদন দাখিল করিবে।

 

৭৭। ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবসা সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ এবং ব্যাংক-কোম্পানীর পুনর্গঠন বা একত্রীকরণ।

(১) এই খণ্ডের পূর্ববর্তী বিধান অথবা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন বা কোন চুক্তি বা অন্য কোন দলিলে যাহাই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট যদি ইহা প্রতীয়মান হয় যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবসা সামগ্রিকভাবে স্থগিত রাখার (moratorium) আদেশ প্রদান করার কারণ রহিয়াছে, তাহা হইলে সেইরূপ আদেশ প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের নিকট আবেদন করিতে পারে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন দাখিলকৃত আবেদন বিবেচনা করিয়া উহা মঞ্জুর করিলে সরকার আদেশ দ্বারা, কোন নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য এবং শর্তাধীনে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবসা স্থগিতকরণসহ উহার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ বা আইনগত কার্যধারার প্রবর্তন নিষিদ্ধ করিতে বা এইরূপ পদক্ষেপ বা কার্যধারা স্থগিত করিতে পরিবে। তবে শর্ত থাকে যে, সরকার উক্ত সময় অনধিক ছয় মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করিতে পারিবে।

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ বিধান অনুযায়ী ব্যতীত বা পরবর্তীতে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশ ব্যতীত, উক্ত আদেশ বলবৎ থাকার কারণে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর কোন আমানতকারীর পাওনা পরিশোধ করিবে না বা কোন পাওনাদারদের প্রতি উহার কোন দায় পরিশোধ বা দায়িত্ব পালন করিবে না।

(৪) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ বলবৎ থাকাকালে বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, জনষার্থে বা আমানতকারীগণের স্বার্থে বা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার স্বার্থে বা দেশের সামগ্রিক ব্যাংক-ব্যবস্থার মার্থে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পূর্নগঠনের বা অন্য কোন ব্যাংক প্রতিষ্ঠান, অতঃপর এই ধারার হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংক বলিয়া উল্লেখিত এর সহিত উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর একত্রীকরণের জন্য স্কীম প্রণয়ন করা প্রয়োজন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুরূপ স্কীম প্রণয়ন করিতে পারিবে।

(৫) উপরোল্লিখিত স্কীমে নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন বিষয় থাকিতে পারে, যথা :-

(ক) পুনর্গঠিত, ব্যাংক-কোম্পানী বা, ক্ষেত্রমত, হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংকের গঠন, নাম, নিবন্ধনকরণ, মূলধন, সম্পদ, ক্ষমতা, অধিকার, স্বার্থ, কর্তৃত্ব, দায়, কর্তব্য এবং দায়িত্ব কার্যধারা;

(খ) ব্যাংক-কোম্পানীর একত্রীকরণের ক্ষেত্রে, স্কীমে নির্ধারিত শর্ত মোতাবেক হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংকের নিকট উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবসা, সম্পত্তি, সম্পদ এবং দায় এর হস্তান্তর;

(গ) পুনর্গঠিত ব্যাংক-কোম্পানীর বা, ক্ষেত্রমত, হস্তাস্তরগ্রহীতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিবর্তন বা নুতন পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগ, এবং কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কিভাবে এবং কি শর্তে উক্ত পরিবর্তন করা হইবে সেই বিষয়, এবং নুতন পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগের ক্ষেত্রে, কোন মেয়াদের জন্য নিয়োগ করা হইবে সেই বিষয়;

(ঘ) মূলধন পরিবর্তনের জন্য এবং পুনর্গঠন বা একত্রীকরণ কার্যকর করার উদ্দেশ্যে পুনর্গঠিত ব্যাংক-কোম্পানী বা ক্ষেত্রমত, হস্তান্তরগ্রহীতা ব্যাংকের সংঘ-স্মারক সংশোধন;

(ঙ) ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত আদেশের অব্যবহিত পূর্বে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে গৃহীত যে সকল পদক্ষেপ বা কার্যধারা অনিষ্পত্তিকৃত ছিল তাহা পূর্ণগঠিত, ব্যাংক-কোম্পানীর বা, ক্ষেত্রমত, হস্তান্তরগ্রহীতা ব্যাংক কর্তৃক অব্যাহত থাকার বিষয়

(চ) জনসার্থে, অথবা ব্যাংক-কোম্পানীর সদস্য, আমানতকারী বা অন্যান্য পাওনাদারগণের স্বার্থে, অথবা, ব্যাংক- কোম্পানীর ব্যবসা চালু রাখার স্বার্থে, বাংলাদেশ ব্যাংক যেভাবে প্রয়োজন মনে করে সেইভাবে উক্ত সদস্য, আমনাতকারী বা পওনাদারগণের প্রাক-পুনর্গঠন বা প্রাক-একত্রীকরণ স্বার্থ বা দাবী হ্রাসকরণ..

(ছ) আমানতকারী এবং অন্যান্য পাওনাদারগণের দাবী পুরণকল্পে,

(১) ব্যাংক-কোম্পানী পুনর্গঠিত করা বা একত্রীকরণের পূর্বে উহাতে বা উহার বিরুদ্ধে তাঁহাদের স্বার্থ বা অধিকার এর ভিত্তিতে উহা নগদ পরিশোধ ৰা

(২) ব্যাংক-কোম্পানীতে বা উহার বিরুদ্ধে তাহাদের স্বার্থ বা দাবী দফা (চ) অনুযায়ী হ্রাস করা হইয়া থাকিলে, হ্রাসকৃত স্বার্থ বা দাবীর ভিত্তিতে উহা নগদ পরিশোধ;

(জ) পুনা বা একত্রীকরণের পূর্বে ব্যাংক-কোম্পানীতে সদস্যদের যে পরিমাণ শেয়ার ছিল সেই পরিমাণ শেয়ার বা (চ) অনুযায়ী হ্রাস করা হইয়া থাকিলে হ্রাসকৃত শেয়ারের ভিত্তিতে প্রদেয় শেয়ার পুনগরিক। কোম্পানীতে বা, ক্ষেত্রমত, গ্রহীতা ব্যাংকে উক্ত সদস্যগণকে বরাদ্দকরণ এবং কোন সদস্যকে শেয়ার বরাদ্দ করা সফর না হওয়ার ক্ষেত্রে, তাঁহাদের পূর্ণ দাবী পূরণকল্পে

(১) পুনারিন বা একত্রীকরনের পূর্বে ব্যাংক-কোম্পানীর শেয়ারে তাহাদের বিদ্যমান যার্থের ভিত্তিতে উহা নগ পরিশেষে, বা

(২) উক্ত স্বার্থ দা- “চ) অনুযায়ী-হ্রাস করা হইয়া থাকিলে হ্রাসকৃত মার্থের ভিত্তিতে উহা নগদ পরিশোধ;

(ঝ) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত অদেশের অব্যবহিত পূর্বে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর সকল কর্ম বেতনে ও শর্তাধীনে কর্মরত ছিলেন’ সেই একই বেতনে ও শর্তাধীনে পুনর্গঠন ব্যাংক-কোম্পানীতে বা ক্ষেত্রমতজ হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংকে কর্মরত থাকার বিষয়ঃ

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কর্তৃক এই ধারার অধীন স্কীম অনুমোদনের তিন বৎসর অতিক্রান্ত হইবার পূর্বে

(অ) পুনর্গঠিত ব্যাংক-কোম্পানী উহার কর্মচারীগণের জন্য এইরূপ বেতন ও সুবিধাদি নির্ধারণ করিবে যাহা এইরূপ নির্ধারণের সময় উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর সমতুল্য ব্যাংক-কোম্পানীতে কর্মরত সমমর্যাদাসম্পন্ন কর্মচারীগণ ভোগ করেন, এবং এইরূপ ব্যাংক-কোম্পানীর সমতুল্যতা ও কর্মচারীগণের পারস্পরিক সমমর্থ্যাদা নির্ধারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে,

(আ) হস্তান্তর-গ্রহীতা ব্যাংক উহার নিজস্ব কর্মচারীগণের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সহিত তীর হইলে পূর্বতন ব্যাংক-কোম্পানীর কর্মচারীগণের জন্য উহার নিজস্ব সমমর্যাদাসম্পন্ন কর্মচারীদের সমান বেতন ও সুবিধাদি নির্ধারণ করিবে এবং যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও সমমর্যাদা সম্পর্কে কোন সন্দেহ বা দ্বিমত দেখা দিলে বিষয়টি, বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি নির্ধারণের তারিখ হইতে তিন মাস সময় অতিক্রান্ত হইবার পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট পাঠাইতে হইবে এবং এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে

(ঞ) দফা (জ) তে যাহাই থাকুক না কেন, স্টীমে যে সকল কর্মচারীর ব্যাপারে বিশেষভাবে উল্লেখ থাকিবে, বা যে সকল কর্মচারী, সরকার কর্তৃক স্কীম মঞ্জুর হওয়ার এক মাস সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে যে কোন সময়ে পুনর্গঠিত ব্যাংক-কোম্পানী বা হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংকের কর্মচারী হিসাবে বহাল না হওয়ার ইচছা ব্যক্ত করিয়া নোটিশ প্রদান করিবে, সেই সকল কর্মচারীকে উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত আদেশের অব্যবহিত পূর্বে।

বিদ্যমান এতদসংক্রান্ত বিধি বা ব্যাংক-কোম্পানীর সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রদেয় কোন ক্ষতিপূরণ, পেনশন, গ্রাচুইটি, ভবিষ্য তহবিল এবং অন্যান্য অবসরজনিত সুবিধা প্রদানের বিষয়

(ট) ব্যাংক-কোম্পানীর পুনর্গঠনের বা একত্রীকরণের ব্যাপারে অন্য কোন শর্ত

(ঠ) পুনর্গঠন বা একত্রীকরণ কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রাসংগিক, আনুষংগিক বা পরিপূরক অন্য কোন বিষয়।

(৬) বাংলাদেশ ব্যাংক এই ধারার অধীন প্রস্তাবিত একত্রীকরণের ব্যাপারে, তৎকর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, আপত্তি বা পরামর্শ প্রদানের আহবান জানাইয়া, খসড়া স্কীমের একটি অনুলিপি ব্যাংক-কোম্পানী, হস্তান্তর-গ্রহীতা ব্যাংক এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যাংক-কোম্পানীর নিকট প্রেরণ করিবে।

(৭) উপ-ধারা (৬) এর অধীন আহবানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপ্ত পরামর্শ ও আপত্তি বিবেচনা করিয়া বাংলাদেশ ব্যাংক খসড়া। কীমে প্রয়োজনীয় সংশোধন করিতে পারিবে।

(৮) উপ-ধারা (৬) ও (৭) মোতাবেক কার্যক্রম গ্রহণের পর বাংলাদেশ ব্যাংক স্কীমটি অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে, এবং সরকার তৎকর্তৃক প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকেই, উক্ত স্কীম অনুমোদন করিবে । এবং অনুরূপভাবে অনুমোদিত স্টীমটি, সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত তারিখ হইতে কার্যকর হইবে ।

তবে শর্ত থাকে যে, স্কীমের বিভিন্ন বিধানের প্রবর্তনের জন্য বিভিন্ন তারিখ নির্ধারিত হইতে হইবে

(৯) স্কীম বা উহার কোন বিধান কার্যকর হওয়ার তারিখ হইতে নিম্নবর্ণিত সকলেই উহা মানিতে বাধ্য থাকিবে, যথা :-

(ক) ব্যাংক-কোম্পানী, হস্তান্তর-গ্রহীতা ব্যাংক এবং একত্রীকরণের সম্পর্কিত অন্যান্য ব্যাংক-কোম্পানী।

(খ) কোম্পানী বা ব্যাংকের সদস্য, আমানতকারী এবং অন্যান্য পাওনাদার

(গ) উত্ত কোম্পানী ও ব্যাংকের কর্মচারী

(ঘ) উক্ত কোম্পানী বা ব্যাংক কর্তৃক রক্ষিত কোন ভবিষ্য তহবিল বা অন্য কোন তহবিলের ব্যবস্থাপনার সহিত জড়িত কোন ট্রাষ্টি বা উক্ত কোমপানী বা ব্যাংকে অধিকার বা দায় রহিয়াছে এমন সকল ব্যক্তি

(১০) সীম কার্যকর হইবার তারিখ হইতে ব্যাংক-কোম্পানীর সকল সম্পত্তি, সমপদ ও দায় স্কীম বিস্তৃত পরিমাণ হস্তান্তর -গ্রহীতা-ব্যাকে হস্তান্তরিত ও প্রাপ্ত হইবে এবং উক্ত সকল সম্পত্তি সমপন ও নায় হস্তাক্ষর গ্রহীতা ব্যাংকের সমপত্তি সম্পদ ও দায় হইবে।

(১১) স্টীদের বিধান কার্যকর করিতে কোন অসুবিধা দেখা দিলে উত্ত অসুবিধা দুরীকরণের জন্য সরকার, আদেশ, হার নিকট প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত, কিন্তু উক্ত বিধানের সাথে অসামান্য নহে এমন সব কিছু করিতে পারিবে।

(১২) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোন স্টীম বা উপ-ধারা (১১) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশের অনুলিপি, অনুমোদিত বা প্রদত্ত হইবার পর, সম্ভাব্য সমতম সময়ের মধ্যে সংসদে উপস্থাপন করা হইবে।

(১৩) এই ধারার অধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর একত্রীকরণ ক্রীম অনুমোদিত হইলে, উন্নতীম বা উহার কোন বিধানের অধীনে হস্তান্তর গ্রহীতা-ব্যাংক যে ব্যবসা অর্জন করে উহা ক্রীমটি বা উহার বিধান কার্যকর হইবার তারিখ হইতে হার গ্রহীতা ব্যাংকের কার্যকলাপ যে আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় সেই আইন দ্বারা পরিচালিত হইবে

তবে শর্ত থাকে যে, উঃ স্কীমকে পূর্ণরূপে কার্যকর করার উদ্দেশ্যে, সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারিশক্রমে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, অনধিক সাত বৎসরের জন্য উক্ত আইনের কোন বিধানের প্রয়োগ হইতে উত্ত ব্যবসাকে অব্যাহতি নিতে পারিবে।

(১৪) ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংক-কোম্পানীর জন্য ভিন্ন ভিন্ন ব্যবসা করণ (moratorium) আদেশ থাকা সত্ত্বেও, একটি মাত্র ক্রীমের দ্বারা উক্ত সকল ব্যাংক-কোম্পানীর একত্রীকরণের ক্ষেত্রে এই ধারার কোন কিছুই বাধা হইবে না।

(১৫) এই আইনের অন্য কোন বিধানে বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে বা কোন চুক্তিতে বা অন্য কোন প্রকার দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারার বিধান এবং উহার প্রস্তুতকৃত যে কোন স্কীম কার্যকর হইবে।

 

 

৭৮। অন্যান্য আইনের উপর সপ্তম খণ্ডের প্রাধান্য।

কোম্পানী আইন বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন, বা অন্য কোন আইনে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রণীত বা তদধীনে বলবৎ কোন দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই খণ্ডের বিধানাবলী এবং উহার অধীন প্রণীত বিধি কার্যকর থাকিবে। তবে উক্ত আইন বা অন্য কোন আইন বা দলিলের বিধান যদি এই খণ্ড বা উহার অধীনে প্রধীত বিধির দ্বারা পরিবর্তিত না হয়, বা উহার সহিত অসমাস্য না হয়, তাহা হইলে উহা এই খণ্ড বা তদধীন প্রণীত বিধির অধীনে গৃহীত কার্যধারার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।

 

৭৯। ব্যাংক-কোম্পানীর সকল দাবীর ব্যাপারে হাইকোর্ট বিভাগের সিদ্ধান্ত প্রদানের ক্ষমতা।

কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়ন আদেশে প্রদত্ত হইবার বা এই আইন প্রবর্তিত হইবার পূর্বে বা পরে নিম্নবর্ণিত বিষয়াবলী যখনই উত্থাপিত হউক, হাইকোর্ট বিভাগ, ধারা ৮০তে ভিন্নতর কোন সুস্পষ্ট বিধান না থাকিলে, উহা বিবেচনা ও উহাদের উপর সিদ্ধান্ত প্রদান করিতে পারিবে, যথা

(ক) অবসায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানী এবং বাংলাদেশে অবস্থিত উহার শাখাসমূহ কর্তৃক বা উহাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দাবী

(খ) অবসায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে কোমপানী আইনের Section 153 এর অধীন দাখিলকৃত কোন আবেদন বা

(গ) অবসায়ন কার্যধারার যে কোন পর্যায়ে উত্থাপিত অবসায়নাধীনে ব্যাংক-কোম্পানী সম্পর্কিত অগ্রাধিকার বিষয়ক বা অন্য যে কোন আইনগত বা ঘটনাগত প্রশ্ন।

 

৮০। বিচারাধীন মামলা স্থানান্তর।

(১) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যাপারে অবসায়ন আদেশ প্রদত্ত হইলে উহার দ্বারা বা উহার বিরুদ্ধে, এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে বা উক্ত অবসায়ন আদেশ অনুরূপ প্রবর্তনের পরে প্রদত্ত হইলে, উহা প্রদানের তারিখের পূর্বে কোন আদালতে দায়েরকৃত কোন মামলা বা কার্যধারা যদি এই আইনের অধীনে শুধু মাত্র হাইকোর্ট বিভাগে বিচার্য হয়। তাহা হইলে উহার কার্যধারা অতঃপর বিযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ ব্যতিরেকে অগ্রসর হইবে না।

(২) অসায়ন আদেশ প্রদানের বা এই আইন প্রবর্তনের তারিখের মধ্যে যে তারিখ পরবর্তী হয় সেই তারিখ হইতে তিন মাসের মধ্যে, বা হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক বর্ণিত সময়ের মধ্যে, সরকারী অবসায় বিস্তারিত বিবরণসহ উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত বিচারাধীন মামলা বা কার্যধারা সমম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন হাইকোর্ট বিভাগের নিকট দাখিল করিবে।

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর, হাইকোর্ট বিভাগ সংগত মনে করিলে, বিচারাধীন মামলা বা কার্যধারা কেন উহার নিকট হস্তান্তর করা হইবে বা তৎসমপর্বে সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে কারণ দর্শাইবার সুযোগ প্রদান করিয়া ধারা ৯৭ এর অধীন প্রণীত বিধিতে বিস্তৃত পদ্ধতিতে বিষয়টি তদন্ত করিবার পর উক্ত মামলা বা কার্যধারা উহার নিকট স্থানান্তরের আদেশ নিতে পারিবে, এবং এইরূপ আদেশ প্রদত্ত হইলে স্থানান্তরকৃত মামলা বা কার্যধারা হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক নিষ্পত্তিকৃত হইবে।

(৪) কোন বিচারাধীন মামলা বা কার্যধারা উপ-ধারা (৩) এর অধীন স্থানান্তর করা না হইলে উহা যে আদলতে বিচারাধীন ছিল সেই আদালতেই নিষ্পত্তি হইবে।

 

 

৮১। দেনাদারগণের তালিকা

(১) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহাই থাকুক না কেন, অতঃপর বিবৃত পদ্ধতিতে হাইকোর্ট বিভাগ অবসায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানীর সেনাদারগণের তালিকা চূড়ান্ত করিতে পারিবে।

(২) ধারা ১২০ এর অধীন প্রণীত বিধি সাপেক্ষে, অসায়ন আদেশ প্রদানের বা এই আইন প্রবর্তনের তারিখের মধ্যে যে তারিখ পরবর্তী হয় সেই তারিখ হইতে ছয় মাসের মধ্যে বা হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক বর্ণিত সময়ের মধ্যে সরকারী অবসায়ক, সময় সময়, দ্বিতীয় তফসিলে বিধৃত বিবরণসহ উক্ত সেনাদরগণের তালিকা হাইকোর্ট বিভাগে দাখিল করিবেন।

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন দাখিলকৃত তালিকা প্রাপ্তির পর হাইকোর্ট বিভাগ, প্রয়োজন মনে করিলে উক্ত তালিকার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সকল ব্যক্তির উপর নোটিশ জারী করিবে, এবং ধারা ৯৭ এর অধীন প্রণীত বিধি মোতাবেক তদন্তের পর সোনাদারগণের তালিকা সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে চূড়ান্ত করিবে।

(৪) উক্ত তালিকা চূড়ান্তকরণের সময় হাইকোর্ট বিভাগ প্রত্যেক দেনাদারের প্রাপ্য টাকা প্রদানের জন্য আদেশ দিবে এবং জামিনদারের বিরুদ্ধে প্রার্থিত প্রতিকরসহ অন্য কোন প্রতিকার এবং জামানত আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য আদেশও প্রদান করিবে।

(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ, ব্যাংক-কোম্পানী এবং যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদেশ প্রদত্ত হইয়া সে ব্যক্তি উক্ত ব্যক্তির মাধ্যমে বা অধীনে দাবীকারী সকল ব্যক্তির ক্ষেত্রে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপীলের বিধান সাপেক্ষে চূড়ান্ত হইবে এবং এইরূপ আদেশ দেওয়ানী মোকাদ্দমার ডিগ্রী বলিয়া গণ্য হইবে।

(৬) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রদত্ত আদেশের ব্যাপারে হাইকোর্ট বিভাগ একটি সার্টিফিকেট প্রদান করিবে যাহা ডিক্রী জারীসহ অন্য সকল ক্ষেত্রে ডিক্রির প্রত্যয়নকৃত অবিকল অনুলিপি বলিয়া গণ্য হইবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত বিষয়ের উল্লেখ থাকিবে, যথা :-

(ক) মঞ্জুরীকৃত প্রতিকার

(খ) যে পক্ষের বিরুদ্ধে উক্ত প্রতিকার মঞ্জুর করা হইয়াছে সেই পক্ষের নাম ও অন্যান্য বিবরণ .

(গ) মঞ্জুরীকৃত খরচের পরিমাণ

(ঘ) কোন তহবিল হইতে এবং কাহার যারা ও কি পরিমাণে উক্ত খরচ প্রদান করা হইবে তৎবিষয় :

(৭) দোনদারদের তালিকা চূড়ান্ত করার সময় বা উহার পূর্বে বা পরে যে কোন সময় হাইকোর্ট বিভাগের নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা থাকিবে, যথাঃ-

(ক) সরকারী অবসায়কের আবেদনক্রমে কোন দেনাদারের ব্যাপারে ব্যাংক-কোম্পানীকে জামানত হিসাবে প্রদত্ত কোন সম্পত্তির উদ্ধার, ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ এবং বিক্রির জন্য আদেশ প্রদান

(খ) দফা (ক) তে উল্লিখিত আদেশ কার্যকর করার জন্য সরকারী অবসায়ককে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান

(৮) হাইকোর্ট বিভাগ কোন ঋণের ব্যাপারে কোন আপোষ মীমাংসা অনুমোদন করিতে এবং কোন ঋণ কিস্তিতে পরিশোধের আদেশ দিতে পারিবে।

(৯) কোন ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে একতরফাভাবে দেনাদারদের তালিকা চূড়ান্ত করা হইলে, উক্ত ব্যক্তি, তালিকার চূড়ান্তকরণ আদেশ প্রদানের ত্রিশ দিনের মধ্যে, তালিকায় যে অংশের সহিত তিনি সংশ্লিষ্ট সেই অংশ পরিবর্তন করার জন্য হাইকোর্ট বিভাগের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন এবং হাইকোর্ট বিভাগ যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, তিনি যথাযথ কারণে তালিকা চূড়ান্তকরণের তারিখে অনুপস্থিত ছিলেন ব্যাংক-কোম্পানীর দাবীর বিরুদ্ধে তাহার আত্মপক্ষ সমর্থনের মত পর্যাপ্ত যুক্তি রহিয়াছে, তাহা হইল হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত তালিকা পরিবর্তন করিতে পরিবে এবং ঐ বিষয়ে, যেরূপ সংগত বলিয়া বিবেচিত হয়, সেইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পরিবে ।

তবে শর্ত থাকে, যে, হাইকোর্ট বিভাগ যথাযথ বিবেচনা করিলে উক্ত ত্রিশ দিন অতিক্রান্ত হইবার পরেও কোন আবেদন বিবেচনা করিতে পরিবে

(১০) এই ধারার কোন কিছুই-

(ক) কোন তৃতীয় পক্ষের স্বার্থযুক্ত এমন কোন ঋণের প্রতি প্রযোজ্য হইবে না যাহা অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রাখিয়া গৃহীত হইয়াছে; বা

(খ) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনের অধীনে ব্যাংক-কোম্পানীর প্রাপ্য ঋণ আদায় করার ব্যাপারে সরকারী অবসায়কের অধিকার ক্ষুন্ন করিবে না।

 

৮২ প্রদায়ক কর্তৃক (Contributaries) টাকা প্রদানের বিশেষ বিধান।

কোম্পানী আইনের Section 184 এর অধীন প্রদায়কগণের তালিকা চূড়ান্ত না হওয়া সত্ত্বেও, অবসানে আদেশ প্রদানের পরে যে কোন সময় হাইকোর্ট বিভাগ, প্রয়োজনীয় বা সমীচীন মনে করিলে, এমন যে কোন প্রদায়ককে ওলব করিতে, বা তৎকর্তৃক প্রদেয় টাকা পরিশোধ করিতে আদেশ দিতে পারিবে যিনি সরকারী অবসায়ক কর্তৃক প্রদায়কদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হইয়াছেন অথচ উক্ত অন্তর্ভুক্তির বিরুদ্ধে বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য উপস্থিত হন নাই।

 

৮৩। ব্যাংক-কোম্পানীর দলিল সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ।

(১) অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর হিসাব বই এবং অন্যান্য দলিলে লিপিবদ্ধ সকল বিষয় উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পক্ষে বা বিপক্ষে সকল কার্যধারার সাক্ষ্য হিসাবে গৃহীত হইবে।

(২) ব্যাংক-কোম্পানী হিসাবের বই এবং অন্যান্য দলিল-পত্র বা উহাদের অনুলিপি উপস্থাপন করিয়া উহাতে লিপিবন্ধ বিষয় প্রমাণ করা যাইতে পারে

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত অনুলিপি প্রমাণের ক্ষেত্রে, উহা সরকারী অবসায়ক কর্তৃক এই মর্মে সত্যায়িত হইবে যে, উহা মূল লিপির অবিকল অনুলিপি এবং ব্যাংক-কোম্পানীর যে হিসাব বই বা অন্যান্য দলিলে উহা লিপিবদ্ধ আছে তাহা তাহার নিকট রক্ষিত আছে।

(৩) Evidence Act, 1872 (Act of 1872) তে ভিন্নরূপ কোন কিছু থাকা সত্ত্বেও, এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে যে ব্যাংক- কোম্পানীর ব্যাপারে অবসানে আদশে প্রদত্ত হইয়াছে উহার পরিচালকদের বিরুদ্ধে ব্যাংক-কোম্পানীর হিসাব বইতে বা অন্যান্য দলিলে লিপিবন্ধ সকল বিষয়ই তৎসশ্লিষ্ট সকল ব্যাপারে সত্যতার প্রাথমিক সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে।

 

৮৪। পরিচালকদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং হিসাব নিরীক্ষা।

(১) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের আদেশ প্রদান করা হইয়া থাকিলে, সরকারী অবসায়ক, তাহার মতে, র ব্যাংক-কোম্পানী গঠনের তারিখ হইতে উহার গঠনের সংগে জড়িত কোন ব্যক্তির কোন কাজ করা বা না করার জন্য বা উহার কোনপরিচালক বা অডিটরের কোন কাজ করা বা না করার জন্য উহার কোন ক্ষতি হইয়াছে কিনা তৎসম্পর্কে একটি প্রতিবেদন হাইকোর্ট বিভাগে দাখিল করিবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন দাখিলকৃত প্রতিবেদন বিবেচনান্তে যদি হাইকোর্ট বিভাগ এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, ব্যাংক-কোম্পানীর গঠন বা গঠনের উদ্যোগ গ্রহণের সহিত জড়িত কোন ব্যক্তি, পরিচালক বা নিরীক্ষককে প্রকাশ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত, তাহা হইলে হাইকোর্ট বিভাগ এতদুদ্দেশ্যে তৎকর্তৃক নির্ধারিত তারিখে একটি প্রকাশ্য অধিবেশন করিবে এবং উক্ত ব্যক্তি, পরিচালক বা নিরীক্ষককে উক্ত অধিবেশনে উপস্থিত থাকিবার জন্য এবং ব্যাংক-কোম্পানীর গঠন, গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ এবং পরিচালনার বিষয়ে এবং তৎসংশ্লিষ্ট তাঁহার কার্যকলাপ সম্পর্কে তাহাকে জেরা করার জন্য নির্দেশ দিবেঃ তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ কোন জেরা কেন করা হইবে না তাহার বিরুদ্ধে কারণ দর্শাইবার সুযোগ না দিয়া কোন ব্যক্তিকে জেরা করা হইবে না।

(৩) এইরূপ জেরায় সরকারী অবসায়ক অংশ গ্রহণ করিতে পরিবেন, এবং তিনি এতদুদ্দেশ্যে হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইলে, উক্ত বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত কোন আইনডাকে নিয়োগ করিতে পারিবেন।

(৪) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর কোন পাওনাদার বা প্রদায়ক উক্ত জেরায় ব্যক্তিগতভাবে বা হাইকোর্ট বিভাগে আইন ব্যবসা করিতে পারে এইরূপ কোন ব্যক্তির মাধ্যমে জেরায় অংশ গ্রহণ করিতে পরিবেন।

(৫) এই ধারার অধীন কোন ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণের পর জেরা করা হইবে এবং উক্ত জেরায় তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বা তৎকর্তৃক অনুমোদিত যে কোন প্রশ্নের জবাব দিবেন।

(৬) এই ধারার অধীন জেরার সম্মুখীন হইবার জন্য আদেশপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি তাঁহার নিজ খরচে হাইকোর্ট বিভাগে আইন করিতে পারেন এইরূপ কেন ব্যক্তিকে নিয়োগ করিতে পারিবেন এইরূপ নিয়োজিত ব্যক্তি জেরার সম্মুখীন ব্যক্তিকে তৎপ্রদত্ত কোন ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে উক্ত বিভাগ কর্তৃক যথাযথ বলিয়া বিবেচিত, যে কোন প্রশ্ন করিতে পারিবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, হাইকোর্ট বিভাগ যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, জেরার সম্মুখীন ব্যক্তি তাঁহার বিরুদ্ধে আনীত বা ইংগিতকৃত কোন অভিযোগ হইতে মুক্ত, তাহা হইলে উক্ত বিভাগ যেরূপ সংগত বলিয়া বিবেচনা করে সেইরূপ খরচ তাঁহাকে মঞ্জুর করিতে পারিবে।

(৭) জেরার মাধ্যমে প্রাপ্ত বিবৃতি লিপিবদ্ধ করা হইবে, এবং জেরাকৃত ব্যক্তি কর্তৃক উহা পঠিত হইবার বা তাহাকে পড়িয়া শোনানোর পর উহাতে তাঁহার যাক্ষর গ্রহণ করা, হইবে এবং এইরূপ বিরতি-

(ক) কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী কার্যধারায় তাঁহার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার করা যাইবে..

(খ) পরিদর্শনের জন্য বা উহার অনুলিপি সংগ্রহের জন্য, যুক্তিসংগত সময়ে যে কোন পাওনাদার বা প্রদায়ককে সুযোগ দেওয়া হইবে।

(৮) প্রতারণামূলক অপরাধ সংগঠিত হউক বা না হউক, অনুরূপ জেরার মাধ্যমে প্রাপ্ত বিবৃতি পরীক্ষান্তে হাইকোর্ট বিভাগ যদি এইরূপ অভিমত শোষণ করে যে,

(ক) যে ব্যক্তি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক ছিলেন তিনি কোন কোম্পানীর পরিচালক হওয়ার যোগ্য ছিলেন না। বা

(খ) যে ব্যক্তি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর নিরীক্ষক বা অনুরূপ নিরীক্ষকের কাজে নিয়োজিত ফার্মের কোন অংশীদার ছিলেন তিনি কোন কোম্পানীর নিরীক্ষক বা অনুরূপ নিরীক্ষকের কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হওয়ার যোগ্য নহেন, তাহা হইলে, উক্ত বিভাগ এই মর্মে আদেশ দিতে পারে যে, উক্ত ব্যক্তি উক্ত বিভাগের অনুমতি ব্যতিরেকে, আদেশে নির্ধারিত সময়ের জন্য যাহা পাঁচ বৎসরের বেশী হইবে না

(অ) কোন কোম্পানীর পরিচালক হইবেন না : বা

(আ) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন কোম্পানীর পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট থাকিবেন না বা অংশগ্রহণ করিবেন না বা

(ই) কোন কোমপানীর নিরীক্ষক বা অনুরূপ নিরীক্ষকের কাজে নিয়োজিত কোন প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হিসাবে কাজ করিবেন না।

 

৮৫। দোষী পরিচালক, ইত্যাদি সম্পর্কে বিশেষ বিধান।

– (১) কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক উহার কোন উদ্যোক্তা, পরিচালক, ম্যানেজার, অবসাকে বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন অর্থ বা সম্পদ ফেরৎ পাইবার দাবীতে হাইকোর্ট বিভাগের নিকট কোনপানী আইনের Section 235 এর অধীন আবেদন করা হইলে, আবেদনকারী যদি উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রথমল ধারণার উপর তাহার অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত করিতে পারেন তাহা হইলে উক্ত বিভাগ উক্ত ব্যক্তিকে, দাবীকৃত অর্থ বা সম্পদ ফেরৎ দেওয়ার জন্য আদেশ দিবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে তিনি উহা ফেরৎ দেওয়ার জন্য বাধ্য নহেন

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত আদেশ যদি যৌথভাবে উক্ত দুই বা ততোধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেওয়া হয়, তাহা হইলে তাঁহারা সকলেই যৌথভাবে এবং এককভাবে উক্ত অর্থ বা সম্পত্তি ফেরৎ দিতে বাধ্য থাকিবে।

(২) যদি কোম্পানী আইন Section 235 এর অধীন হাইকোর্ট বিভাগের নিকট কোন আবেদন করা হয় এবং যদি উক্ত বিভাগের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর কোন উদ্যোক্তা, পরিচালক, ম্যানেজার, অবসায়ক বা কর্মকর্তা, তাঁহার স্বনামে বা বাহ্যতঃ অন্য কোন ব্যক্তির নামে কোন সম্পত্তির মালিক, তাহা হইলে উক্ত বিভাগ উপ-ধারা (১) এর অধীন আদেশ প্রদানের পূর্বে বা পরে যে কোন সময় উক্ত সম্পত্তি বা উক্ত বিভাগ কর্তৃক সংগত বলিয়া বিবেচিত উহার কোন আশ বিশেষ ক্রোকের নির্দেশ দিতে পারিবে এবং এইরূপ ক্লোককৃত সম্পত্তি যদি বাহ্যতঃ অন্য কোন ব্যক্তির নামে থাকে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি উক্ত বিভাগের সপ্তষ্টিমত তাহার প্রকৃত মালিকানা প্রমাণ না করা পর্যন্ত উক্ত সম্পত্তি ক্লোককৃত থাকিবে এবং Code of Civil Procedure, 1908 (Act V of 1908)-এর ক্লোক সম্পর্কিত বিধানাবলীর যতটুকু প্রযোজ্য হয় ততটুকু উক্ত কোকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।

 

৮৬। সম্পত্তি উদ্ধার, ইত্যাদিতে ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক ও কর্মকর্তাগণ কর্তৃক সাহায্য প্রদানের দায়িত্ব :

– অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর প্রত্যেক পরিচালক ও কর্মকর্তা, সরকারী অবসায়ক কর্তৃক অনুরুদ্ধ হইলে তাঁহাকে উহার সম্পত্তি উদ্ধার ও বিলিবণ্টনের ব্যাপারে সাহায্য করিবেন।

 

৮৭। অবাসয়নাধীন ব্যাংক-কোমপানী সম্পর্কিত অপরাধের শাস্তির বিশেষ বিধান।

(১) অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক- কোম্পানীর উদ্যোক্তা বা উহা গঠনের সহিত জড়িত কোন ব্যক্তি বা উহার কোন পরিচালক, ম্যানেজার বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোম্পানী আইন বা এই আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ থাকিলে, হাইকোর্ট বিভাগ সংগত বিবেচনা করিলে, উক্ত অভিযোগ স্বয়ং বিচারার্থ গ্রহণ করিতে এবং সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে উহার বিচার করিতে পারিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন অপরাধের বিচারের সময় হাইকোর্ট বিভাগ একই সংগে এইরূপ অন্যান্য অপরাধেরও বিচার করিতে পারিবে যাহা উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত হয় নাই অথচ অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে, উহা সংঘটনের দায়ে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898)-এর অধীন উক্ত একই মামলায় অভিযোগ আনয়ন করা যায়।

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার্য মামলায়-

(ক) হাইকোর্ট বিভাগ-

(অ) কোন সাক্ষীকে সমন না দিতেও পারে যদি উহার বিবেচনায় তাহার সাক্ষ্য গুরত্বপূর্ণ না হয়

(আ) ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রয়োজনীয় মনে না করিলে মামলার কার্যধারা মূলতবী করিতে বাধ্য থাকিবে না।

(ই) কোন শাস্তি প্রদানের পূর্বে উহার রায়ে সাক্ষ্যের সারাংশ এবং Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) এর Section 263 তে উল্লিখিত বিষয়সমূহের যতটুকু প্রযোজ্য হয় ততটুকু লিপিবন্ধ করিবে মামলায়

(খ) of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) এর Section 263 (২) এর বিধান উত্তরূপ প্রযোজ্য হইবে না।

(৪) এই আইন বা কোম্পানী আইনের অধীন অবস্থায়ন সম্পর্কিত কোন অপরাধ উপ-ধারা (১) এর উল্লিখিত কোন ব্যক্তি কর্তৃক সংঘটিত হইয়া থাকিলে উহা যদি উক্ত উপ-ধারার অধীন সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার করা না হয়, তাহা হইলে উক্ত আইন বা Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহাই থাকুক না কেন, উ ব্যাংক-কোম্পানীর অবসানে কার্যধারার সহিত সংশ্লিষ্ট বিচারক ব্যতীত হাইকোর্ট বিভাগের অন্য কোন বিচারক কর্তৃক বিচারার্থে গ্রহণ এবং বিচার করা হইবে।

(৫) Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, হাইকোর্ট বিভাগ, উহার নিকট অভিযুক্ত ব্যক্তি বিচারের জন্য প্রেরিত না হইলেও, এই আইনের অধীনে সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ করিতে পারিবে।

 

৮৮। কতিপয় ক্ষেত্রে ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক, ইত্যাদিকে প্রকাশ্যে জেরা।

(১) যে ক্ষেত্রে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যাপারে আপোষ-মীমাংসা বা অন্য কোন ব্যবস্থা অনুমোদনের জন্য কোম্পানী আইনের Section 153 অধীন আবেদন করা হয়, বা যে ক্ষেত্রে উত্তরূপ অনুমোদন ইতিপূর্বেই প্রদত্ত হইয়াছে, এবং হাইকোর্ট বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংক প্রদত্ত প্রতিবেদন বা অন্য কিছুর ভিত্তিতে, এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী গঠনের উদ্যোগে বা উহার গঠনে অংশ গ্রহণ করিয়াছেন বা উহার পরিচালক বা নিরীক্ষক হিসাবে কার্যরত ছিলেন বা আছেন এইরূপ কোন ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে জেরা করা প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে উক্ত বিভাগ উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ জেরার জন্য নির্দেশ নিতে পরিবে এবং ধারা ৮৪ এ বিধান অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে যেরূপ প্রযোজ্য হয়, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রেও যতদুর সম্ভব সেইরূপ প্রযোজ্য হইবে ।

(২) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যাপারে কোম্পানী আইনের Section 153 এর অধীনে কোন আপোষ-মীমাংসা বা ব্যবস অনুমোদন করা হইলে, উক্ত আইনের এবং এই আইনের ধারা ৮৫ এর বিধানাবলী কোন অবসায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে যেরূপ প্রযোজ্য হয় উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে যতদুর সম্ভব সেরূপ প্রযোজ্য হইবে যেন উক্ত আপোষ-মীমাংসা বা ব্যবস্থা অনুমোদনের আদেশ ছিল উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের আদেশ।

(৩) যেক্ষেত্রে সরকার ধারা ৭৭ এর অধীনে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পুনর্গঠনের বা একত্রীকরণের স্কীম অনুমোদন করে। এবং সরকার এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী গঠনের উদ্যোগে বা গঠনে অংশ গ্রহণ করিয়াছেন, অথবা উহার পরিচালক বা নিরীক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন বা আছেন এইরূপ কোন ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে জেরা করা প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে ব্যক্তিকে জেরার জন্য সরকার হাইকোর্ট বিভাগের নিকট আবেদন করিতে পারে, এবং উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক প্রতারণামূলক কোন অপরাধ সংঘটিত হইয়া থাকুক বা না থাকুক, অনুরূপ জেরার পর যদি হাইকোর্ট বিভাগ এইরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, তিনি কোন কোম্পানীর পরিচালক বা নিরীক্ষক হিসাবে কাজ করার বা নিরীক্ষকের কাজে নিযুক্ত কোন প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হওয়ার অযোগ্য, তাহা হইলে সরকার এই মর্মে আদেশ দিতে পারে যে, উক্ত ব্যক্তি সরকারের অনুমতি ব্যতিরেকে আদেশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, যাহা পাঁচ বৎসরের বেশী হইবে না, কোন কোম্পানীর পরিচালক হইতে পারিবে না, অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন কোম্পানীর সংশ্লিষ্ট হইতে বা উহার ব্যবস্থাপনায় অংশ গ্রহণ করিতে পরিবেন না, অথবা কোন কোম্পানীর নিরীক্ষক হিসাবে কাজ করিতে, বা নিরীক্ষকের কাজে নিযুক্ত কোন প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হইতে পারিবেন না।

(৪) ধারা ৭৭ এর অধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানী পুনর্গঠন বা একত্রীকরণ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হইলে কোম্পানী আইনের Section 235 এবং এই আইনের ধারা ৮৫ এর বিধানাবলী কোন অবস্থায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়
ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রেও যতদূর সম্পর্ক সেরূপ প্রযোজ্য হইবে, যেন উক্ত পুনর্গঠন বা একত্রীকরণের অনুমোদন আদেশ ছিল উত্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের আদেশ, এবং উক্ত Section 235 এ উল্লিখিত সরকারী অবসায়কের কোন আবেদন সরকারের আবেদন হিসাবে ব্যাখ্যাত হইবে।

 

৮৯। আইন প্রবর্তনের সময় কার্যকর স্টীম বা ব্যবস্থার অধীনে কার্যরত ব্যাংক-কোম্পানীর জন্য বিশেষ বিধান।

– এই আইনে প্রবর্তনের সময় কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যাপারে কোম্পানী আইনের Section 151 এর অধীনে কোন আপোষ-মীমাংসা বা ব্যবস্থা কার্যকর করা হইলে, উঃ ব্যাংক-কোম্পানীর আবেদনক্রমে হাইকোর্ট বিভাগ-

(ক) উক্ত আপোষ-মীমাংসা বা ব্যবস্থার কোন বিধান বাস্তবায়নের বিলম্ব মার্জনা করিতে পারে বা

(খ) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে উহার দেনাদারগণের তালিকা ধারা ৮১ অনুসারে চূড়ান্ত করিবার অনুমতি দিতে পারে; এবং সেক্ষেত্রে উক্ত ধারার বিধান, অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রেও যেরূপ প্রযোজ্য হয় উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রেও যতদূর সম্ভ সেরূপ প্রযোজ্য হইবে, যেন উক্ত মীমাংসা বা ব্যবস্থার আদেশ ছিল উত্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের আদেশ।

 

৯০। আপীল

(১) এই আইনের অধীন কোন দেওয়ানী কার্যধারায় বিরোধীয় বিষয়বস্তুর মূল্য পঞ্চাশ হাজার টাকার উর্ধ্বে হইলে, হাইকোর্ট বিভাগের কোন আদেশ বা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল দায়ের করা যাইবে।

(২) হাইকোর্ট বিভাগ বিধি প্রণয়ন করিয়া ধারা ৮৭ এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশের বিরুদ্ধে আপীল দায়েরের পদ্ধতি সম্পর্কে এবং যে সকল শর্তাধীনে আপীল গ্রাহ্য হইবে সেই সম্পর্কে বিধান করিতে পারিবে।

(৩) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশ বা সিদ্ধান্ত, উপ-ধারা (১) এবং (২) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে, চূড়ান্ত হইবে এবং উহা ব্যাংক-কোম্পানী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সকল পক্ষ এবং তাহাদের অধীনে বা তাহাদের মাধ্যমে দাবীদার সকল ব্যক্তির জন্য বাধ্যতামূলক হইবে।

 

৯১। বিশেষ তামাদি মেয়াদ।

(১) Limitation Act, 1908 (IX of 1908) বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন অবসায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক মামলা দায়ের বা দরখাস্থ দাখিলের ব্যাপারে তামাদির মেয়াদ গণনার ক্ষেত্রে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী অবসায়নের জন্য আবেদন দাখিলের তারিখ হইতে পরবর্তী সময়কাল বাদ দিতে হইবে ।

(২) Limitation Act, 1908 (IX of 1908) বা কোম্পানী আইনে বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর কোন পরিচালকের শেয়ারের বকেয়া টাকা উসুলের ক্ষেত্রে অথবা কোন স্পষ্ট বা অনুমেয় চুক্তির ভিত্তিতে উহার কোন পরিচালকের বিরুদ্ধে কোন দাবী থাকিলে, তাহা আদায় করার ক্ষেত্রে তামাদি মেয়াদের কোন নির্দিষ্ট সীমা থাকিবে না এবং ব্যাংক-কোম্পানীর উহার পরিচালকদের বিরুদ্ধে অন্যান্য দাবীর ক্ষেত্রে উক্ত দাবী উদ্ধৃত হওয়ার তারিখ হইতে বার বৎসর, বা অবসায়কের প্রথম নিযুক্তির তারিখ হইতে পাঁচ বৎসর, যে মেয়াদ বেশী, তামাদির মেয়াদ হইবে।

(৩) এই ধারার বিধানাবলীর যতটুকু অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ততটুকু, এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে যে ব্যাংক-কোম্পানীর অবাসয়নের জন্য আবেদন পেশ করা হইয়াছে, সেই ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।

 

 

৯২। অবসায়ন কার্যধারায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শ।

কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবাসয়ন কার্যধারায় বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি সরকারী অবসায়ক নিযুক্তি হইলে, এবং হাইকোর্ট বিভাগ সরকারী অবসায়ককে উক্ত কার্যধারার যে কোন বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শ গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিলে, বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত কার্যধারার নথিপত্র পরীক্ষা করিতে এবং বিষয়টির উপর পরামর্শ নিতে পরিবে।

 

৯৩। তদন্তের ক্ষমতা।

(১) সরকার হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক নির্দেশিত হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উহার কর্মকর্তার দ্বারা অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর সামগ্রিক ব্যাপারে বা উহার যে কোন বহি এবং হিসাব নিকাশের ব্যাপারে তদন্ত করিতে পারিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন তদন্তের পর বাংলাদেশ ব্যাংক সরকার বা, ক্ষেত্রমত, হাইকোর্ট বিভাগের নিকট উত্ত তদন্তের একটি প্রতিবেদন দাখিল করিবে।

(৩) বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্ট বিবেচনাক্রমে সরকার যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, অবসায়ন কার্যধারায় কোন রুত্বপূর্ণ অনিয়ম ঘটিয়াছে, তাহা ইহলে সরকার উক্ত অনিয়ম হাইকোর্ট বিভাগের গোচরীভূত করিবে যাহাতে উক্ত বিভাগ ঐ বিষয়ে প্রধান কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারে।

(৪) হাইকোর্ট বিভাগ, উপ-ধারা (২) এর অধীন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন পাওয়ার পর, বা উপ-ধারা (৩) এর অধীন উহার গোচরীভূত কোন অনিয়মের ভিত্তিতে, সংগত মনে করিলে, সরকারকে উক্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে নোটিশ এবং শুনানীর সুযোগ প্রদানের পর, নির্দেশ দিতে পারিবে।

৯৪। প্রতিবেদন ও তথ্য আহবান করার ক্ষমতা।

বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোন সময় লিখিত নোটিশের দ্বারা কোন ব্যাংক- কোম্পানীর অবসায়কের নিকট হইতে উক্ত কোম্পানীর অবসায়ন সম্পর্কিত যে কোন প্রতিবেদন বা তথ্য নোটিশে নির্ধারিত বা তৎকর্তৃক বর্ধিত সময়ের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত নির্দেশ পালনে উত্ত অবসায়ক বাধ্য থাকিবেন।

ব্যাখ্যা- যে ব্যাংক-কোম্পানীর কোন আপোষ-মীমাংসা বা ব্যবস্থার অধীন কার্যরত অথচ নুতন আমানত গ্রহণ উহার জন্য নিষিদ্ধ সেই ব্যাংক-কোম্পানী, এই ধারা এবং ধারা ৩ এর বিধানাবলীর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, যতটুকু সম্পর্ক, একটি অবসায়নাধীন ব্যাংক কোম্পানী হিসাবে গণ্য হইবে।

 

৯৫। অবসায়ক কর্তৃক অবসায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানীর সম্পত্তির দায়িত্ব গ্রহণে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সাহায্য।

(১) অবসারনাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর দ্রুত অবসায়নের স্বার্থে সরকারী অবসায়ক বা এই আইনের অধীন নিযুক্ত বিশেষ কর্মকর্তা যদি উক্ত কোম্পানীর অধিকারভূক্ত বা উহার অধিকারভুক্ত বলিয়া মনে হয় এমন কোন সম্পত্তি, সামগ্রী বা আদায়যোগ্য দাবী তাঁহার জিম্মায় বা নিয়ন্ত্রণে গ্রহণের প্রয়োজন মনে করেন, তাহা হইলে তিনি যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অধিক্ষেত্রে উক্ত সম্পত্তি সামগ্রী, দাবী বা উক্ত কোমপানীর হিসাবের বহি বা অন্যান্য দলিল থাকে বা পাওয়া যায় সেই জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে উহাদের দখল গ্রহণ করিবার জন্য লিখিত অনুরোধ করিতে পরিবেন এবং অনুরূপ অনুরোধ পাওয়ার পর উক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত সম্পত্তি, সামগ্ৰী, দাৰী, হিসাবের বহি বা অন্যান্য দলিলের দখল গ্রহণ করিবেন এবং উহাদিগকে অনুরোধকারীর নিকট প্রেরণ করিবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট তাহার বিবেচনাক্রমে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং যতটুকু শক্তি প্রয়োগ করা প্রয়োজন মনে করেন সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে বা ততটুকু শক্তি প্রয়োগ করিতে, অথবা অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ বা শক্তি প্রয়োগ করাইতে পরিবেন।

 

৯৬। হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ ও সিদ্ধান্ত কার্যকরণ।

(১) কোন দেওয়ানী মামলায় হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত ডিগ্রী বা আদেশ যে পদ্ধতিতে কার্যকরী করা হয় সেই পদ্ধতিতে এই আইনের অধীন কোন দেওয়ানী কার্যধারায় উক্ত বিভাগকর্তৃক প্রদত্ত আদেশ বা সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হইবে।

(2) Code of Civil Procedure, 1908 (Act V of 1908) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন অবসায়ক কোন ডিক্রী জারীর জন্য, ধারা ৮১(৬) এর অধীন প্রদত্ত একটি প্রত্যয়নপত্র এবং উক্ত ডিক্রী মোতাবেক পাওনা বকেয়া টাকা ও উহাতে মজুরীকৃত কিন্তু কার্যকর করা হয় নাই এইরূপ প্রতিকার সম্পর্কে তৎকর্তৃক লিখিত একটি প্রত্যয়ণপত্র পেশ করিয়া ডিক্রী প্রদানকারী আদালত ছাড়াও অন্য কোন আদালতের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।

(৩) উপ-ধারা (১) বা (২) এর বিধানাবলীকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ বা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাপ্য কোন টাকা অনাদায়ী থাকিলে ভূমি উন্নয়ন কর যে পদ্ধতিতে আদায় করা যায় সেই পদ্ধতিতে উক্ত বিভাগের অনুমতিক্রমে, আদায় করা যাইবে।

 

৯৭। হাইকোর্ট বিভাগের বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা।

এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলী এবং ধারা ১২১ এর অধীন প্রণীত বিধির সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া হাইকোর্ট বিভাগ নিম্নবর্ণিত বিষয়াবলী নির্ধারনের জন্য বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথা :-

(ক) ষষ্ঠ ও সপ্তম খণ্ডের অধীন অনুষ্ঠিতব্য তদন্ত ও কার্যধারার পদ্ধতি;

(খ) সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার্য অপরাধসমূহ।

(গ) আপীল দায়ের করিবার জন্য পুরণীয় শর্ত, আপীল দায়ের করিবার এবং শুনানীর পদ্ধতি (ঘ) এই আইনের অধীন হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করার প্রয়োজনে অন্যান্য যে সকল বিষয়ে বিধান করা প্রয়োজন সেই সকল বিষয়।

 

৯৮। পরিচালক প্রভৃতি উল্লেখে প্রাক্তন পরিচালক প্রভৃতিও আন্তর্ভূক্তি।

যে কোন প্রকার সন্দেহ দূরীকরণার্থে এই মর্মে ঘোষণা করা যাইতেছে যে, এই খণ্ডে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক, ম্যানেজার, অবসায়ক, কর্মকর্তা ও নিরীক্ষকের উল্লেখ থাকিলে অনুরূপ উল্লেখে উক্ত কোম্পানীর প্রাক্তন ও বর্তমান সকল পরিচালক, ম্যানেজার, অবসায়ক, কর্মকর্তা ও নিরীক্ষককেও অন্তর্ভুক্ত করা হইয়াছে বলিয়া ব্যাখ্যাত হইবে।

 

৯৯. অবসান্তনাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে দ্বিতীয় খণ্ডের অপ্রযোজ্যতা :-

দ্বিতীয় খণ্ডের কোন কিছুই অবসানাদীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।

 

১০০। কতিপয় কার্যধারা ইত্যাদির বৈধতা।

ধারা ৭৯ এবং এই শতের অন্য কোন বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন হাইকোর্ট বিভাগের এখতিয়ারভুক্ত কোন বিষয়ে আইন প্রবর্তনের পূর্বে উক্ত বিভাগ ব্যতীত অন্য কোন আদালতে অনুষ্ঠিত কাৰ্যৰবা যাহা উত্ত অন্য কোন আদলত কর্তৃক প্রদত্ত ডিক্রি বা আদেশ শুধু মাত্র এই কারণে অবৈধ হইবে না বা অবৈধ পণ্য করা হইবে না যে, হাইকোর্ট বিভাগ বাতীত অন্য কোন আদালতে উক্ত কার্যধারা অনুষ্ঠিত, বা উত্ত অন্য কোন আদালত কর্তৃক উ ডিক্রি বা আদেশ প্রদত্ত হইয়াছিল।

 

১০১। নথিপত্র সংরক্ষণের বিষয়ে সরকারের বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা।-

কোন ব্যাংক-কোম্পানীর হিসাবের খাতা, পরশোধিত নারী সম্বলিত দলিল এবং অন্যান্য সাত দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করিতে হইবে সেই বিষয়ে সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহিত পরামর্শক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

 

১০২। পরিশোধিত দাবী সম্বলিত দলিল গ্রাহকের নিকট ফেরত প্রদান।

(১) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর কোন গ্রাহকের পরিশোধিত নারী-সম্বলিত দলিল মারা ১০১ এর অধীন প্রণীত বিধিতে নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে, ফেরত দিবার জন্য উক্ত গ্রাহক অনুরোধ করিলে, উক্ত কোম্পানী এমন যান্ত্রিক বা অন্য কোন পদ্ধতির মাধ্যমে উক্ত দলিলের সকল অংশের একটি সঠিক অনুলিপি উহার নিকট সংরক্ষণ করিবে যে পদ্ধতি উক্ত অনুলিপির সঠিকতা নিশ্চিত করে।

(২) ব্যাংক-কোম্পানী উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অনুলিপি তৈরীর খরচ গ্রাহকের নিকট হইতে আদায় করিতে পারিবে ব্যাখ্যা- এই ধারায় গ্রাহক বলিতে কোন সহকারী অফিস বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থাকেও বুঝাইবে।

 

১০৩। আমনতী অর্থ পরিশোধের জন্য মনোনয়ন দান ।-

(১) ব্যাংক-কোম্পানীর নিকট রক্ষিত কোন আমানত যদি একক ব্যক্তি বা যৌথভাবে একাধিক ব্যক্তির নামে জমা থাকে, তাহা হইলে উক্ত একক আমানতকারী এককভাবে বা, ক্ষেত্রমত, যৌথ আমানতকারীগণ যৌথভাবে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, এমন একজন ব্যক্তিকে মনোনীত করিতে পারিবেন যাহাকে, একক আमনতকারী বা যৌথ আমানতকারীগণের সকলের মৃত্যুর পর, আমানতের টাকা প্রদান করা যাইতে পারে

তবে শর্ত থাকে যে, উত্ত একক আমানতকারীগণ যে কোন সময় উক্ত মনোনয়ন বাতিল করিয়া নির্ধারিত পদ্ধতিতে অন্য কোনব্যক্তিকে মনোনীত করিতে পারিবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে মনোনীত ব্যক্তি নাবালক হইলে, তাহার নাবালক থাকা অবস্থায় উক্ত একক আমানতকারীর বা যৌথ আমানতকারীগণের মৃত্যুর ক্ষেত্রে, আমানতের টাকা কে গ্রহণ করিবেন তৎসম্পর্কে উক্ত একক আমানতকারী বা যৌথ আমানতকারীগণ নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট করিতে পারিবেন।

(৩) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনের বা কোন উইলে বা সম্পত্তি বিলি বণ্টনের ব্যবস্থা সম্বলিত অন্য কোন প্রকার দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন ব্যক্তিকে মনোনীত করাহইলে বা উপ-ধারা (২) অধীন কোন ব্যক্তি নির্দিষ্ট হইলে তিনি একক আমানতকারী বা ক্ষেত্রমত যৌথ আমানতকারীগণের সকলের মৃত্যুর পর, উক্ত আমানতের ব্যাপারে একক আমানতকারীর বা, ক্ষেত্রমত, সকল আমানতকারীর যাবতীয় অধিকার লাভ করিবেন, এবং অন্য যে কোন ব্যক্তি উক্ত অধিকার হইতে বঞ্চিত হইবেন।

(৪) এই ধারার বিধান অনুযায়ী কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক টাকা পরিশোধিত হইলে সংশ্লিষ্ট আমানত সম্পর্কিত উহার যাবতীয় দায় পরিশোধ হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, যে ব্যক্তিকে এই ধারার অধীনে আমানতের টাকা পরিশোধ করা হইয়াছে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্য কোন ব্যক্তির কোন অধিকার বা দাবী থাকিলে তাহা এই উপ-ধারার বিধান ক্ষুণ্ণ করিবে না।

 

১০৪। আমানত সম্পর্কে অন্য কোন ব্যক্তির দাবী অগ্রহণযোগ্য।

কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিকট যে ব্যক্তির নামের কোন আমানত রক্ষিত থাকে সে ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কাহারও নিকট হইতে উক্ত আমানতের উপর কোন নারী সম্বলিত কোন নোটিশ উত্ত কোমপানী কর্তৃক গ্রহণযোগ্য হইবে না, বা উত্তরূপ কোন নোটিশ অনুসারে কার্যক্রম গ্রহণ করিতে উক্ত কোম্পানী বাধ্য থাকিবে না।

তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার কোন কিছুই উক্ত আমানতের ব্যাপারে যথাযথ এক্তিয়ারসম্পন্ন কোন আদালতের কর্তৃক ক্ষুন্ন করিবে না; এবং এইরূপ আদালতের কোন ডিক্রি, আদেশ, সার্টিফিকেট বা অনুরূপ অন্য কোন প্রকার দলিল দাখিল করা হইলে… উক্ত কোম্পানী উহাকে যথায গুরুত্ব দিবে।

 

১০৫ । ব্যাংক-কোম্পানীর নিরাপদ জিম্মায় রক্ষিত সামগ্রী ফেরৎ প্রদানের জন্য মনোনয়ন:

(১) কোন ব্যক্তি কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিরাপদ জিম্মায় কোন সামগ্ৰী আমানত রাখিলে উক্ত সামগ্রী উক্ত আমানত থাকা অবস্থায় তাঁহার মৃত্যুর পর উহা গ্রহণ করার জন্য তিনি কোন ব্যক্তিকে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, কোন ব্যক্তিকে মনোনীত করিতে পারিবেন তবে শর্ত থাকে যে, আমানতকারী যে কোন সময় উত্ত মনোনয়ন বাতিল করিয়া নির্ধারিত পদ্ধতিতে, অন্য কোন ব্যকি মনোনীত করিতে পারিবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন মনোনিত ব্যক্তি নাবালক হইলে তাহার নাবালক থাকা অবস্থায় আমানতকারীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে উক্ত সামগ্রীকে গ্রহণ করিবেন তৎসম্পর্কে তিনি, নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দেশ করিতে পারিবেন।

(৩) উপ-ধারা (১) বা (২) এর অধীন মনোনিত বা নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তিকে আমনতী সামগ্রী ফেরত প্রদানের পূর্বে, আমানতের গ্রহীতা ব্যাংক-কোম্পানী, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময় নির্দেশিত পদ্ধতিতে, উন্ন সামগ্রীর একটি বর্ণনামূলক তালিকা প্রস্তত করিয়া উহাতে উচ্চ ব্যক্তির মাক্ষর গ্রহণ করিবে এবং উহার অনুলিপি উক্ত ব্যক্তিকে সরবরাহ করিবে

(৪) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন বা কোন উইলে বা সম্পত্তি বিলি বণ্টনের ব্যবস্থ সম্মলিত জন্য কোন দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন ব্যক্তিকে মনোনীত করা হইলে বা উপ-ধারা (২) এর অধীনে কোন ব্যক্তি নির্দিষ্ট হইলে তিনি আমানতকারীর মৃত্যুর পর উক্ত আমানতের ব্যাপারে আমানতকারীর যাবতীয় অধিকার লাভ করিবেন এবং অন্য কোন ব্যক্তি উক্ত অধিকার হইতে বঞ্চিত হইবেন।

(৫) এই ধারার বিধান অনুযায়ী কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক উহার নিরাপদ জিম্মায় রক্ষিত সামগ্রী ফেরৎ প্রদান করা হইলে উক্ত কোম্পানী সংশ্লিষ্ট আমানত সম্পর্কিত উহার যাবতীয় দায় পরিশোধ করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে

তবে শর্ত থাকে যে, যে ব্যক্তিকে এই ধারার অধীনে কোন সামগ্রী ফেরৎ দেওয়া হইয়াছে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্য কোন ব্যপ্তির অধিকার বা পানী থাকিলে তাহা, এই উপ-ধারার কোন বিধান ক্ষুন্ন করিবে না।

 

১০৬। জিম্মায় রক্ষিত কোন সামগ্রী সম্পর্কে অন্য কোন ব্যক্তির দাবী অগ্রহণযোগঃ

কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিরাপদ জিম্মায় যে ব্যক্তির নামে কোন সামগ্রী রক্ষিত থাকে, সে ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কাহারও নিকট হইতে উক্ত সামগ্রীর উপর নারী সম্বলিত কোন নোটিশ উক্ত কোম্পানী কর্তৃক গ্রহণযোগ্য হইবে না, বা অনুরূপ কোন নোটিশ অনুসারে কার্যক্রম গ্রহণ করিতে উন্নত কোমপানী ৰাধা থাকিবে না তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার কোন কিছুই উক্ত সামগ্রীর ব্যাপারে যথাযথ এক্তিয়ারসম্পন্ন কোন আদালতের কর্তৃত্ব ক্ষুন্ন করিবে না এবং এইরূপ আদালতের কোন ডিক্রি, আদেশ, সার্টিফিকেট ব অনুরূপ কোন প্রকার দলিল দাখিল করা হইলে উত্ত কোম্পানী উহাকে যথাযথ গুরুত্ব দিবে।

 

১০৭। নিরাপন লকারে রক্ষিত সামগ্রী ফেরৎ প্রদান।

(১) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিরাপদ ভল্ট বা অন্য কোথাও রক্ষিত কোন লকার যদি কোন ব্যক্তি এককভাবে ভাড়া করেন, তাহা হইলে তাহার মৃত্যুর ক্ষেত্রে উক্ত লকার ভাড়া থাকা অবস্থায় তাহার মৃত্যুর পর, তৎকর্তৃক পূর্ব-মনোনিত কোন ব্যক্তিকে উক্ত কোম্পানী লকার খুলিতে এবং উহা হইতে বন্ড ফেরৎ নিতে দিবেন।

(২) যদি দুই বা ততোধিক ব্যক্তি যৌথভাবে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর লকার ভাড়া করেন এবং ভাড়ার চুক্তিতে উক্ত ভাড়াকারীগণের মধ্যে দুই বা ততোধিক ব্যক্তির যুগ্ম যাক্ষরে লকারের কাজ সম্পাদন করার বিধান থাকে, তাহা হইলে, যে ভাড়াকারীগণের স্বাক্ষরে লকারের কাজ সম্পাদনের বিধান থাকে তাঁহারা, উক্ত যুগ্ম ভাড়াকারীগণের মধ্যে এক বা একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর ক্ষেত্রে, অন্যান্য জীবিত ভাড়াকারীগণের সহিত, মৃত ব্যক্তিগণের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তিকে উক্ত লাকর খুলিবার জন্য এবং উহাতে রক্ষিত সামগ্রী ফেরত লইবার জন্য উক্ত কোম্পানী সুযোগ দিবে সেই বিষয়ে এক বা একাধিক ব্যক্তিকে মনোনিত করিতে পারেন।

(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন মনোনয়ন নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রদান করিতে হইবে ।

(৪) কোন মনোনিত ব্যক্তিকে অথবা, ক্ষেত্রমত, যুগ্মভাবে মনোনিত ব্যক্তি এবং উক্ত জীবিত ভাড়াকারীকে লকারে রক্ষিত সামগ্রী ফেরত প্রদানের পূর্বে, ব্যাংক-কোম্পানী, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময় নির্দেশিত পদ্ধতিতে, লকারে রক্ষিত সামগ্রীর একটি বর্ণনামূলক তালিকা তৈরী করিয়া উক্ত ব্যক্তিগণের স্বাক্ষর গ্রহণ করিবে, এবং উহার একটি অনুলিপি উক্ত ব্যক্তিগণকে সরবরাহ করিবে।

(৫) এই ধারার বিধান অনুযায়ী কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক উহার নিরাপদ লকারে রক্ষিত সামগ্রী ফেরত প্রদান করা হইলে সংশ্লিষ্ট রক্ষিত সামগ্রী সম্পর্কিত উহার যাবতীয় দায় পরিশোধ করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে । তবে শর্ত থাকে যে, যে ব্যক্তি এই ধারার অধীন কোন সামগ্রী ফেরত দেওয়া হইয়াছে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্য কোন ব্যক্তির কোন অধিকার বা দাবী থাকিলে তাহা এই উপ-ধারার কোন বিধান ক্ষুণ্ণ করিবে না।

(৬) উপ-ধারা (১) বা উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুযায়ী লকার গুলিতে এবং উহাতে রক্ষিত সামগ্রী ফেরত লইতে অনুমতি প্রদানের কারণে উক্ত সামগ্রীর যদি কোন ক্ষতি হইয়া থাকে বা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহা হইলে ব্যাংক-কোম্পানীর বিরুদ্ধে কোন মামলা, অভিযোগ বা অন্য কোন প্রকার আইনানুগ কার্যধারা দায়ের বা শুরু করা যাইবে না।

১০৮। নিরাপদ লকারে রক্ষিত সামগ্রী সম্পর্কে অন্য কোন ব্যক্তির দাবী অগ্রহণযোগ্য।

কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিরাপদ লকারে যে ব্যক্তির কোন সামগ্রী রক্ষিত থাকে সে বাঞ্জি বাড়ীত অন্য কোন ব্যক্তির নিকট হইতে উক্ত সামগ্রীর উপর কোন নারী সম্বলিত কোন নোটিশ উক্ত কোম্পানী কর্তৃক গ্রহণযোগ্য হইবে না এবং অনুরূপ কোন নোটিশ অনুসারে কার্যক্রম গ্রহণ করিতে উত্ত কোম্পানী বাধ্য থাকিবে।

তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার কোন কিছুই, উক্ত সামগ্রীর ব্যাপারে যথাযথ এখতিয়ার সম্পন্ন কোন আদালতের কর্তৃত্ব ক্ষুন্ন করিবে না এবং এইরূপ আদালতের কোন ডিগ্রি, আদেশ, সার্টিফিকেট বা অনুরূপ অন্য কোন প্রকার দলিল করা হইলে, উক্ত কোম্পানী উহাকে যথাযথ গুরুত্ব দিবে ।

Exit mobile version