“সিরামিক টাইলস কেস” [ কেস নম্বর ৩১ ]

“সিরামিক টাইলস কেস” [ কেস নম্বর ৩১ ]

“সিরামিক টাইলস কেস” [ কেস নম্বর ৩১ ]

“সিরামিক টাইলস কেস

IB Bank হামবুর্গ হতে সিরামিক টাইলস আমদানীর জন্য একজন আমদানীকারীর অনুকূলে ৩ হাজার ডগ্রেস মার্ক মূল্যের একটি LIK অনুমোদন করে। শিপিং ডকুমেন্টস্ হাতে পাওয়ার পর ব্যাংক দেখলো যে, LLC খুলার আগেই পণ্য জাহাজীকরণ করা হয়েছিল। ফলে উক্ত ডকুমেন্টস্ রিজার্ভের সাথে সমন্বয় করা হয়।। কিভাবে উক্ত লেনদেনটি নিষ্পত্তি করা যায় বলে আপনি মনে করেন।

 “পূর্বাসা ব্যাংক কেস” [ কেস নম্বর -৩২ ]

পূর্বাসা ব্যাংক তার এক মক্কেলের অনুকূলে সিঙ্গাপুর থেকে ১০ কোটি টাকার সমমূল্যের ইলেকট্রনিকস সামগ্রী আমদানীর জন্য একটি LC প্রতিষ্ঠা করে।

যথাসময়ে রপ্তানীকারক পশু মাহাজীকরণ করে ও শিপিং ডকুমেন্টস্ ব্যাংকের হাতে এসে পৌঁছে। কিন্তু এর পনের দিন পর শিপিং এজে ব্যাংককে এই মর্মে অবগত করে যে, যে জাহাজে পক্ষের চালান পাঠানো হয়েছিল তা মাঝ সমুদ্রে এসে যান্ত্রিক গোলযোগের পরি হয়।

ফলে শিপিং এজেন্ট ব্যাংককে আর একটি Bill of Lading পাঠায় যেখানে উল্লেখ করা হয় যে, ভর পর অন্য আরেকটি জাহা বোঝাই করে পাঠানো হয়েছে। এর কিছুদিন পর পত্রিকায় দেখা তাল যে, দ্বিতীয় জাহাজটি তার সমস্ত পণ্য সামগ্রী নিয়ে ভারত মহাসাগরে ডুবে গেছে। ঝাকে তখন সংশ্লির বীমা কোম্পানীর নিকট ক্ষতিপূরণ দাবী করে। কিন্তু বীমা কোম্পানীর সার্ভেকে দেখা গেল যে এ ধরনের কোন জাহাজই ভারত মহাসাগরে নিমজ্জিত হয় নি। এখন কিভাবে উপরোক্ত অবস্থাধীনে কাকে তার স্বার্থ রক্ষা করতে পারে বলে আপনি মনে করেন ?

“সিরামিক টাইলস কেস

 “চাল আমাদনী কেস” [ কেস নম্বর ৩৩ ]

তৃতীয় বিশ্বের কোন একটি দেশের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে ভারত থেকে ১ শত কোটি টাকা মূল্যের চাউল আমদানীর জন্য একজন সাপ্লাইয়ারের অনুকূলে একটি বাণিজ্যিক LC খোলার জন্য ঐ দেশের একটি ব্যাংককে নির্দেশ প্রদান করা হয়। উক্ত নির্দেশ মত ব্যাকে একটি LC খুলে। মন্ত্রণালয় ব্যাংককে আরও নির্দেশ করে যে, কোন জাহাজে আসবে পণ্য তা পরবর্তী পর্যায়ে জানানো হবে।

ব্যাংক সেই মোতাবেক পরবর্তীতে এই ধরনের একটি শর্ত জুড়ে দেয়। অতঃপর ঐ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাদের এজেন্ট, অর্থাৎ সাপ্লাইয়ারের যোগসাজসে নিজেরাই জাহাজ মনোনিত করে এবং সাপ্লাইয়ার জাহাজের বিস্তারিত বিবরণ আমদানীকারক সরকারের দেশের ব্যাংকের নিকট পেশ করে। এখানে উল্লেখ্য যে, LIC-র মাধ্যমে আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে একটি ফল হলো : “বাকে প্রয়োজনীয় পত্রাদি নিয়ে মাথা ঘামাবে, কিন্তু পরে নিয়ে নয়।

উক্ত সরকারী মন্ত্রণালয় সাপ্লাইয়ার যোগসাজশে এই রূলের সুবিধা নেয়। ভারতীয় সাপ্লাইয়ার তার ব্যাংকের মাধ্যমে যাবতীয় জাহাজী। দলিলপত্রাদি Opening Bank-এর নিকট পাঠায় মন্ত্রণালয় উক্ত কাগজপত্র নিজেরা বুঝে নেয়। পরে এই জাহাজী দলিলাদির ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় ব্যাংককে উক্ত আমদানীকৃত দ্রব্যাদির পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করে দেয়। ইতঃমধ্যে Opening Bank ভারতীয় ব্যাংকের বরাবরে জাহাজী দলিলপত্রে অসামঞ্জস্যতা আছে বলে অভিযোগ উযাপন করে।

“সিরামিক টাইলস কেস

কারণ যে জাহাজে পণ্য পাঠানে হয়েছিল তা আসলে উক্ত বিদেশী সরবরাহকারী এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই অশুভ উদ্দেশ্যে নির্বাচন করা হয়েছিল। ফলে কিছুদিন পর দেখা গেল যে, উক্ত পণ্যবাহী জাহাজটি পূর্ব নির্দেশিত বন্দরে না এসে কম্বোডিয়ার কোন এক বন্দরে গিয়ে চাউলের সম্পূর্ণ চালানটি বিক্রি করে দেয়।

এ থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় তহবিল তছরূপ করার মানসে উক্ত মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তারা এ ধরনের একটি পাতানো খেলা খেলে। তারা ব্যাংকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। কিন্তু ব্যাংক এতে আপত্তি করলে উক্ত মন্ত্রণালয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শরণাপন্ন হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার কাছে উক্ত বাংকের হিসাব হতে ঐ টাকা সম করে মন্ত্রণালয়কে প্রদান করে। এভাবেই একটি ব্যাংক শুধুমাত্র সরকারী একটি দপ্তরের কর্মকর্তাদের অসৎ ও অশুভ প্রচেষ্টায় বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হলো।

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment