ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় নিযুক্ত কর্মকর্তারা প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের বাস্তব ও জটিল সমস্যার সম্মুখীন হন। এসব সমস্যার সমাধান করে তারা কেবল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনায় দক্ষতা প্রদর্শন করেন না, বরং ব্যাংকিং খাতের সার্বিক সেবার মানোন্নয়নেও ভূমিকা রাখেন। ব্যাংকিং বিষয়ে উচ্চতর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্যও এ ধরনের বাস্তব কেস সম্পর্কে ধারণা অর্জন অত্যন্ত জরুরি। কারণ, পাঠ্যবইয়ের তাত্ত্বিক জ্ঞানকে বাস্তব জীবনের প্রয়োগে রূপান্তর করার জন্য ‘কেস স্টাডি’ একটি কার্যকর ও পরীক্ষিত পদ্ধতি।
সুনির্দিষ্ট কেস [ Specific Cases ]
বিশ্লেষণভিত্তিক কেস স্টাডি শিক্ষার্থীদের মধ্যে যুক্তিভিত্তিক চিন্তাভাবনা, সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা গড়ে তোলে। সেইসাথে এটি একজন ভবিষ্যৎ ব্যাংকার বা আর্থিক কর্মকর্তা হিসেবে আত্মবিশ্বাস ও পেশাগত প্রস্তুতিকে সুসংহত করে।
এই অধ্যায়ে এমন কিছু নির্বাচিত কেস উপস্থাপন করা হয়েছে, যা মূলত বাংলাদেশে কর্মরত ব্যাংকসমূহের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে সংগৃহীত। এসব কেস শ্রেণিকক্ষের আলোচনা, দলীয় বিশ্লেষণ, এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ব্যবহারের জন্য উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, অধিকাংশ কেস ১৯৯৯ সাল নাগাদ বিভিন্ন ব্যাংকে সংগঠিত ঘটনাবলির ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুত করা হয়েছে।
কেস উপস্থাপনার নীতিমালা
নীতিগত কারণে উপস্থাপিত কেসসমূহে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নাম, কর্মকর্তা/কর্মচারী, গ্রাহক কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত নাম ব্যবহার করা হয়নি। এসব কেসে কল্পিত নাম ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা পায় এবং আলোচনার জন্য বিষয়বস্তুটি সহজবোধ্য থাকে। যদি কোনো নাম বাস্তব কোনও ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়, তবে সেটি নিছক কাকতালীয় বলে গণ্য করতে হবে।
এই অধ্যায়ে উপস্থাপিত প্রতিটি কেস শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশ্লেষণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি জাগ্রত করতে এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
“সচ্ছল ব্যক্তির ঋণ আদায়ে গড়িমসি তার মানহানি ও শাস্তিকে বৈধ করে দেয়।”
— আল-হাদীস