উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় ঢাকার মতিঝিলে অবস্তিত। ব্যাংকটি বর্তমানে ২৪৫টি শাখা এবং ২৬টি উপ-শাখা নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’
Table of Contents
উত্তরা ব্যাংক
উত্তরা ব্যাংক এর ইতিহাস
ব্যাংকটি ১৯৬৫ সালের ২৮ জানুয়ারি “ইস্টার্ন ব্যাংকিং কর্পোরেশন” নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাকালীন শাখা ছিল ৪টি এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত ব্যাংকটির শাখার সংখ্যা দাঁড়ায় ৬০টি। ১৯৭১ সালে অসহযোগ আন্দোলনের সময় ব্যাংকটি পূর্ব বাংলার কোষাগারের দায়িত্ব পালন করে। স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে সরকার ব্যাংকটি অধিগ্রহণ করে এবং ”উত্তরা ব্যাংক” নামকরণ করে। ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ থেকে সরকারি ব্যাংক হিসেবে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সরকার ব্যাংক বেসরকারিকরণ শুরু করে। ফলে এই ব্যাংকটিও বেসরকারি ব্যাংক হিসাবে কার্যক্রম শুরু করে।
উত্তরা ব্যাংক এর শাখা
উত্তরা’ ব্যাংক ২৪৫টি অনলাইন শাখা ও ২৬ টি উপ-শাখা নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। দেশে বিদেশে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১২টি অঞ্চলে বিভক্ত করে ১২ আঞ্চলিক অফিস করা হয়েছে। এছাড়াও ব্যাংকটি বৈদেশিক বাণিজ্যে সম্পাদনের জন্য প্রায় ৬০০টি বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত।

উত্তরা ব্যাংক এর পরিচালনা পদ্ধতি
ব্যাংকটির পরিচালনার দায়িত্ব থাকে ১৪ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদের হাতে। ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রম সম্পন্ন ও তত্বাবধানে একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল হোসেন।
আর্থিক সক্ষমতা
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের সাম্প্রতিক মন্দা স্বত্ত্বেও উত্তরা ব্যাংক ধারাবাহিক উন্নতি করে যাচ্ছে। বাংলাদেশী পত্রিকা বণিক বার্তা ৭টি সূচকের ভিত্তিতে উত্তরা ‘ব্যাংককে অন্যতম শক্তিশালী ব্যাংক হিসাবে ঘোষণা করেছে।
উত্তরা ‘ব্যাংক গ্রাহকদের বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে, যেমন সঞ্চয়, ঋণ, পেমেন্ট সেবা, এবং অনলাইন ব্যাংকিং। এটি গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেয়। উত্তরা ‘ব্যাংকের প্রায় সকল শাখায় কর্মীরা গ্রাহকদের বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবা প্রদানে কাজ করে এবং তাদের প্রত্যাশার মেয়াদের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে।
উত্তরা ‘ব্যাংক সবসময় গ্রাহকের সাথে সক্রিয় যোগাযোগ বজায় রাখে এবং তাদের নিজেদের সাথে ব্যক্তিগত ও ব্যাবসায়িক অবস্থা সম্পর্কে পরামর্শ এবং সহায়তা প্রদান করে। উত্তরা ‘ব্যাংক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্ব দেখে এবং গ্রাহকদের জন্য নতুনত্ব এবং সুবিধা উন্নত করতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্দেশ্যে, ব্যাংকের উন্নত প্রযুক্তি এবং সেবা প্রদানের নতুনত্ব প্রয়োজনীয়
আরও পড়ুনঃ