জামানত থাকা সত্ত্বেও ঋণ অনাদায়ী হওয়ার কারণঃ জামানত নিজে কখনই ঋণ ফেরতের সম্পূর্ণ নিশ্চয়তা প্রদান করতে পারে না। তবে পর্যাপ্ত ও কাঙ্ক্ষিত জামানত ঋণ ফেরতের নিশ্চয়তা সৃষ্টির একটি প্রচেষ্টা মাত্র। নানা কারণে জামানত থাকা সত্বেও প্রদত্ত ব্যাংক ঋণ প্রায়শ: অনাদায়ী হতে দেখা যায়। এ জন্য একক ভাবে কাউকে দায়ী করার অবকাশ নেই। প্রকৃত প্রস্তাবে ঋণ গ্রহীতার অসাধুতা, ব্যাংকের অসতর্কতা এবং সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামগ্রিকভাবে এজন্য দায়ী ।
Table of Contents
জামানত থাকা সত্ত্বেও ঋণ অনাদায়ী হওয়ার কারণ [ Reasons for Non Recovery in Spite of Supply of Loans Against Securities ]
নিম্ন চিত্রে জামানত থাকা সত্ত্বেও ঋণ অনাদায়ী হওয়ার কারণগুলো পরিবেশিত হলো :-
ক. ব্যাংক সম্পর্কিত
১. যথাযথ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের অভাব
২. যথাযথ তদারকির অভাব
৩. ব্যাংক কর্মচারীদের অদক্ষতা
৪. ব্যাংক কর্মচারীদের অসততা ও অসাধুতা
খ. জামানত সম্পর্কিত
১. ভূয়া জামানত
২. জামানতের অতিরিক্ত মূল্যায়ন
৩. বীমা বিহীন জামানত
৪. অনুপযুক্ত জামানত
৫. অপর্যাপ্ত জামানত
৬. জামানতের মূল্য হ্রাস
৭. পন্য মূল্য নিত্য পরিবর্তনশীল
৮. জামানতে হিসাব গ্রহণ
গ. ঋণ গ্রহীতা সম্পর্কিত
১. ভূয়া ঋণ গ্রহীতা
২.অস্তিত্ব বিহীন প্রকল্প
৩. অধিক আস্থা
ঘ. অন্যান্য বিষয় সম্পর্কিত
১. রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত
২. আমলাতান্ত্রিক অনুগ্রহ
৩.আইনগত জটিলতা
নিম্নে জামানত সত্ত্বেও ঋণ অনাদায়ী হওয়ার কতিপয় কারণ সংক্ষেপে উপস্থাপন করা হলো :
ক. ব্যাংক সম্পর্কিত
১. যথাযথ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের অভাব- (Defective Feasibility Study) :
ঋণ প্রকল্প বাস্তব হলেও সেটি প্রকৃতপক্ষে অলাভজনকও হতে পারে। রকম অবস্থায় ব্যাংক অপর্যাপ্ত ও ত্রুটিপূর্ণভাবে প্রকল্প যাচাই করে ঋণ প্রদান করলে সে ঋণ জামানত থাকা সত্ত্বেও অনাদায়ী হতে বাধ্য।
২. যথাযথ তদারকির অভাব- (Inacting / Lake of Adequate Supervision) :
সঠিকভাবে জামানত তদারকি না করার কারনে ঋণ গ্রহীতা বা ব্যাংকের অসৎ কর্মচারীগণ জামানতি সম্পত্তি বিক্রয় করে ফেলে। ফলে কাগজ পত্রে জামানত থাকা সত্ত্বেও প্রদত্ত ঋণ অনাদায়ী ঋণে পরিনত হয়।
৩. ব্যাংক কর্মচারীদের অদক্ষতা (Lack of skille Bank Employees) :
দক্ষতাবিহীন কর্মকর্তা/ কর্মচারীর মাধ্যমে ঋণ কার্যক্রম পরিচালিত হলে ত্রুটিপূর্ণ ঋণ বিশ্লেষণ ও অকার্যকর ঋণ তদারকির ফলে যথেষ্ট জামানত থাকা সত্ত্বেও ঋণ খেলাপী হওয়া স্বাভাবিক।
৪ ব্যাংক কর্মচারীদের অসততা ও অসাধুতা – Dishonesty of Bank Employee) :
অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তা/কর্মচারী নিজেদের ব্যাক্তিগত স্বার্থে ঋণ আদায়ে অবহেলা করলে যথেষ্ট জামানত থাকা সত্ত্বেও ঋণ খেলাপী হওয়া স্বাভাবিক।
খ. জামানত সম্পর্কিত
১ ভূয়া জামানত- (Fake Securities) :
জামানত হিসেবে ঋণ গ্রহীতা যে সম্পত্তির কথা উল্লেখ করে, প্রকৃতপক্ষে তার কোন অস্তিত্ব নাও থাকতে পারে। যদি ব্যাংক ঋণ প্রদানকালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তা উদঘাটন করতে না পারে তবে ঋণ অনাদায়ী হতে বাধ্য।
২. জামানতের অতিরিক্ত মূল্যায়ন – (Overvaluation of Securities) :
অনেক সময় অসাধু ঋণ গ্রহীতা জামানতী সম্পত্তি প্রকৃত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশী মূল্যের দেখিয়ে ব্যাংকে জামানত হিসেবে উপস্থাপন করে থাকে। ফলে পরবর্তীতে ঋণ পরিশোধ না করলে ব্যাংক তা বিক্রী করে ঋণের পুরো টাকা আদায় করতে পারে না।
৩ বীমাবিহীন জামান (Uninsured Securities) :
জামানত বীমাবিহীন হলে ঐ সম্পত্তি বা পণ্য কোন কারণে খোয়া গেলে বা ধ্বংস হলে সে জামানত থেকে ব্যাংক ঋণ আদায় করতে পারে না।
৪ অনুপযুক্ত জামানত (Inappropriate Securities) :
পঁচনশীল ও নিঃশেষ যোগ্য জামানত ব্যাংকের জন্য ক্ষতি বয়ে আনে। এগুলো নষ্ট হয়ে গেলে ঋণ গ্রহীতা ঋণ ফেরত না দেয়ার সুযোগ পায়। ফলে ব্যাংকের ক্ষণ তথাকথিত জামানত থাকা সত্ত্বেও অনাদায়ী ঋণে পর্যবসিত হয়।
৫ অপর্যাপ্তত জামানত- (Inadequate Secureties)
প্রদত্ত জামানত অপর্যাপ্ত হলে তা বিক্রয় করে ঋণের পূর্ণ টাকা আদায় করা যায় না।
৬ জামানতের মূল্য হ্রাস (Fall in the Price of Securities) :
সময়ের সাথে সাথে মূল্য হ্রাস পায় এমন সম্পত্তি জামানত হিসেবে সংরক্ষণ করলে পরবর্তীতে ব্যাংক ঐ সকল জামানত বিক্রয় করে ঋণের পূর্ণ টাকা আদায় করতে পারে না।
৭ পণ্য জামানত হিসেবে গ্রহণ পরিবর্তনশীল- (Changing Price of Assets / Goods) :
ঋণ গ্রহীতা কর্তৃক হাইপোথিকেশনের ক্ষেত্রে টাকায় যে সম্পত্তি অর্জন করার কথা ছিলো (যা জামানত হিসেবে গৃহীত) ঋণ গ্রহীতা সেটি যথাযথ ভাবে সঠিক সময়ে পরিমান ও মূল্যে ক্রয় না করলে ক্ষণ অনাদায়ী হতে বাধ্য অনেক সময় অসৎ ঋণ গ্রহীতাগণ অল্প দামে পণ্য বা সম্পত্তি ক্রয় করে বেশী দামের ভাউচার দেখিয়ে তা হাইপেধিকেশনের মাধ্যমে জামানত রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে থাকে। এরূপ অবস্থায় জামানত হিসেবে তথাকথিত পণ্য থাকলেও ঋণ অন্যদায়ী হতে পারে।
গ. ঋণ গ্রহীতা সম্পর্কিত
১ ভূয়া ঋণ গ্রহীতা- (Fake Applicant) :
আবেদনে উল্লেখিত নাম অনুযায়ী প্রকৃত পক্ষে আদৌ কোন ক্ষণগ্রহীতার অস্তিত্ব নাও থাকতে পারে। এরকম অবস্থায় ভূয়া ঋণ গ্রহীতার প্রস্তাবিত জামানত ভূয়া হয়ে বাধ্য । সুতরাং ক্ষণ অনাদায়ী হওয়াই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে অসাধু কর্মকর্তাদের নিজেদের স্বার্থে ভূমিকা রাখতে দেখা যায়।
২. অস্তিত্ববিহীন প্রকল্প (Imaginary Project) :
আবেদন অনুযায়ী প্রকৃত পক্ষে কোন প্রকল্প নাও থাকতে পারে। অর্থাৎ ভূয়া প্রকল্পের নামে ঋণ নেয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে জামানত থাকুক বা না থাকুক অ অনাদায়ী হতে বাধ্য।
৩. অধিক আস্থা- (Excessive Confidence) :
প্রতারণার ভবিষ্যত পরিকল্পনা রেখে কিছু কিছু নকেল প্রথম প্রথম কয়েকটি ছোট ছোট ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধ তারিখের পূর্বে পরিশোধ করে ব্যাংকের আস্থা অর্জন করে থাকে। পরে কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত আস্থার সুযোগ নিয়ে বড় অংকের ঋণ লাভে সক্ষম হয়।ব্যাংক অনেক সময় মক্কেলের উপর অতিমাত্রায় আস্থা রেখে ঋণ প্রদান করে। এ সুযোগে অনেক সময় অসতা ও ভুল তথ্য পরিবেশন করে ঋণ গ্রহীতা ব্যাংককে প্রতারিত করে থাকে। পরবর্তীতে এরূপ আবেদনকারীকে প্রদত্ত ঋণ অনাদায়ী হিসেবে চিহ্নিত হতে বাধ্য।
ঘ. অন্যান্য বিষয় সম্পর্কিত
১ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত (Political Decisions) :
রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত অনেক সময় অনাদায়ী করে থাকে। রাজনৈতিক সুবিধা অর্জনের জন্য কোন কোন সময় সরকার তথা রাজনীতিবিদগণ ঋণ প্রদানে বাধ্য করে বা পরবর্তীতে মওকুফ করে থাকে। ফলে ঋণ অনাদায়ের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
২ আমলাতান্ত্রিক অনুগ্রহ (Bureaucratic Favour) :
অনেক সময় ব্যাংকের ভিতর এবং বাইরে উচ পদস্থ ব্যক্তিবর্গের চাপের মুখে ঋণ আদায়ে জটিলতা সৃষ্টি হয় এবং কালক্রমে তা অনাদায়ী ঋণে পরিণত হয়।
৩. আইনগত জটিলতা (Legal Complexities) :
অনেক সময় জামানতী সম্পত্তি বিক্রয় কালে আইনগ জটিলতা দেখা দেয়। সম্পত্তির উপর ঋণ গ্রহীতার পূর্ণ মালিকানা না থাকলে বা মালিকানা ত্রুটিপূর্ণ হলে ব্যাংকের পক্ষে ঋণ আদায় করা কঠিন হয়ে পড়ে এবং ঋণ অনাদায়ী ঋণে পরিণত হয়। এছাড়া অনেক স দেশের আইন এত জটিল থাকে যে, জামানতী সম্পত্তি বিক্রয় করা অতীব কষ্ট সাধ্য ও সময় সাপেক্ষ হয়ে পড়ে।
জামানতের চেয়ে সঠিক মক্কেল ও সঠিক ঋণ যোগ্য প্রকল্প চিহ্নিত করা অপেক্ষাকৃত বেশী প্রয়োজন। ক্ষ প্রধান ও প্রদত্ত ঋণ ব্যবহার কালে ব্যাংকের পক্ষ থেকে আন্তরিক তদারকি এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষ অবদান রাখতে পারে। পরিশেষে ঋণ গ্রহীতার চরিত্র, ঋণ ব্যবহার ক্ষমতা ও আন্তরিকতা জামানতের চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকারকে অবশ্যই তা মনে রাখতে হবে।
জামানত নিয়ে নিশ্চিন্তে বসে থাকলে জামানত উদ্যোগে আদায় করে দিবে না। তাই প্রয়োজন সৎ ও দক্ষ ঋণ গ্রহীতা ও নির্ভরযোগ্য ব্যাংক কর্মকর্তা/কর্মচারী ঋণ গ্রহীতা ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের সততা ও সতর্ক দায়িত্ব পালন দেশের সরকার ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান তথ্য সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিকতা জামানতের চেয়েও বেশী ঋণ আদায়ে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে আবদান রাখতে পারে।
উপসংহার [ Conclusion ]
অত্র অধ্যায়ে কখন একটি ক্ষণকে সমস্যাগ্রস্থ ধরা হবে এ সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। সমস্যাগ্রস্ততা দুই ধরণের তে পারে। যথা : ইচছাকৃত সমস্যাগ্রস্থতা ও প্রকৃত সমস্যাগ্রস্থতা। সমস্যাগ্রস্থতা অসৎ ঋণ গ্রহীতাগণ রাজনৈতিক তথা প্রশাসনিক যোগসাজশে ঋণ পরিশোধ পরিহার করতে উদ্যোগী থাকেন।
অপরপক্ষে প্রকৃত সমস্যাগ্রন্থ গ্রহীতাকু চাহিদা হ্রাস, কৌশল গত পরাজয়, প্রযুক্তিগত পশ্চাৎপদতা, দৈবাৎ দুর্ঘটনা বা প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে হতে পারে। এরূপ সমস্যগ্রন্থ স্বপ্নগৃহীতাকুন সমস্যার প্রথম অনুভূতির সাথে সাথেই ব্যাংকের সহযোগিতা কামনা করলে, ঋণ পরিশোধ সারণী পরিবর্তন, নূতন স্বপ্ন বা অন্যবিধ বিশেষজ্ঞ সহায়তা প্রদান অথবা পরামর্শ দিয়ে ক্ষণ গ্রহীতাদিগকে অধিকতর খারাপ অবস্থার সম্মুখীন হওয়া থেকে উদ্ধার করতে পারে। এতে গুণগ্রহীতা মঞ্চেলসমূহ ব্যবসায়ীক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যায়।
অপরপক্ষে ব্যাংক ও সমস্যাগ্রস্থতা উন্মুখ গ্রুপ মক্কেলকে আদর্শ ঋণ মকেলে রূপান্তর করতে প্রায়শঃ সক্ষম হয়ে থাকে।
Whoever desires that Allah should redeem him
from the sorrows and travail of the Last Day must delay
in calling on poor debtors or forgive the debt in part or whole.
Al-Hadith
নিয়মিত ঋণ পুনরীক্ষণের মাধ্যমে সমস্যাগ্রস্থতা নির্দেশক সংকেত বা প্রতীক সনাক্ত করা যায়। সঠিক সময়ে সমস্যা উন্মুখ ঋণ চিহ্নিত করতে পারলে উপযুক্ত প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে ব্যাংক এরূপ ঋণকে সচল পরিশোধক্ষম রাখতে সক্ষম হয়। বিলম্বে হলেও সমস্যাগ্রন্থ ঋন চিহ্নিত করা গেলে বাস্তব প্রতিকারমূলক যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে বেশী সংখ্যক সম্ভাব্য কৃষ্ণণকে সচল বা পরিশোধক্ষম ঋণে রূপান্তর করতে ব্যাংক সক্ষম হয়ে থাকে।
মনে রাখতে হবে, শুধু জামানতই ঋণ পরিশোধের জন্য যথেষ্ট নয়। পর্যাপ্ত জামানত নিশ্চিত করে নিয়মিত ঋণ তদারকি ও পুনরীক্ষন প্রদত্ত ঋণের সুস্থতা ও সচলতা বজায় রাখার জন্য আবশ্যক। অপরপক্ষে আদালতের মাধ্যমে সমস্যাগ্রন্থ ঋণ উদ্ধার করার প্রয়াস কেবল সর্বশেষ পন্থা হিসাবে দেখা উচিত। কারণ আইনকানুনের ফাঁকফোকরে আদালতের কর্মচারীবৃন্দ ও ব্যাংক নিযুক্ত উকিলবৃন্দ অসংলাতে প্রলুব্ধ হয়ে বিচারকাল প্রলম্বিত করে থাকে।
এমনকি নিশ্চিত বিজয়ের মেরিটধারী কেসও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র হারানো দেখিয়ে অথবা নির্দিষ্টকালে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে পরিবেশন করে ঋণ মামলায় ব্যাংককে পরাজিত হতে বাধ্য করে। অতএব, আলাপ-আলোচনা, মধ্যস্থতা, সালিশ ইত্যাদির মাধ্যমে সম্ভাব্য কৃষ্ণণকে উদ্ধার করার প্রয়াস আন্তরিকভাবে প্রযুক্ত হলে সুফল লাভ করা সম্ভব বলে আশা করা যায়।
আরও পড়ুনঃ
- ব্যাংক ব্যবস্থাপনার সূচনা সূচি
- সমস্যাগ্রস্থ ঋণের কারণসমূহ [ Causes of Problem Loans ]
- ঋণ মর্যাদাকরণ বা আদায়যোগ্যতা ভিত্তিক ঋণের শ্রেণী বিন্যাসকরণ [ Loan Grading or Classifications Based on Recoverability ]
- পুনরীক্ষণ ও সমস্যাগ্রস্থ ঋণ চিহ্নিত করণ [ Review and Identification of Problem Loans ]
- সমস্যাগ্রস্ত/দুর্দশাগ্রস্ত ঋণ কি? [ What is Problem / Distressed Loans? ]