কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি বাংলাদেশের একটি তালিকাভুক্ত বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ৫৯তম বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে কমিউনিটি ব্যাংক এর যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট এই ব্যাংকটি পরিচালনা করে। তাদের পরিচালনা পর্ষদে র্যাব সদস্যরাও আছে। বর্তমানে ব্যাংকটি ৬৭ টি শাখার মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় পুলিশ প্লাজা কনকর্ড, গুলশান ১, ঢাকায় অবস্থিত।
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ এর ইতিহাস
বাংলাদেশ পুলিশ বাণিজ্যিকভাবে এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে ২০১৭ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে মূলধনের ৪০০ কোটি টাকা সংগ্রহ শুরু করে। পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে মূলধন সংগ্রহ শেষ হয়। ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত এবং ১০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে গঠিত কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পায়।
১ নভেম্বর ব্যাংকটিকে তফসিলি ব্যাংকের অন্তর্ভুক্ত করে এর শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রে ব্যাংক কম্পানি আইনের ১৯৯১ (সংশোধিত ২০১৩) আরোপিত সীমাবদ্ধতা তুলে দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট ধারায় বলা হয়েছে, ১৪ক (১) ‘কোনো ব্যক্তি, কম্পানি বা একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ব্যাংকের শেয়ার কেন্দ্রীভূত করা যাইবে না এবং কোনো ব্যক্তি, কম্পানি বা কোনো পরিবারের সদস্যরা একক, যৌথ বা উভয়ভাবে কোনো ব্যাংকের ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার ক্রয় করিবেন না।’ ৪ নভেম্বর ব্যাংকটি তফসিলি ব্যাংক হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়।

পরিচালনা
পদাধিকার বলে কমিউনিটি ব্যাংকের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান বা র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ সহ ৯ জন এবং এছাড়াও স্বাধীন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাবসায় শিক্ষা অনুষদের বর্তমান ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সহ ৩ জন। অন্যদিকে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জনাব মশিহুল হক চৌধুরী, যিনি এর আগে মিডল্যান্ড ব্যাংকের ডিএমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুনঃ