পদ্মা ব্যাংক পিএলসি (পূর্বনাম দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেড) বাংলাদেশের একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। অনিয়ম-জালিয়াতির দায়ে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের চারটি সরকারি ব্যাংক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ব্যাংকটির বড় অংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করে। এতে ব্যাংকটির স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু হলে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় পদ্মা ব্যাংক।
পদ্মা ব্যাংক
পদ্মা ব্যাংক এর ইতিহাস
এই ব্যাংকটি ২০১৩ সালের ৩ জুন প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৬ সালে শত শত কোটি টাকা অনিয়ম দেখে ফারমার্স ব্যাংকে পর্যবেক্ষক দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণ কেলেঙ্কারিসহ নানা অনিয়মের কারণে ২০১৭ সালে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন খান আলমগীর তার পদ ছাড়তে বাধ্য হন[৪] ও ব্যাংকটির এমডি এ কে এম শামীমকে বাংলাদেশ ব্যাংক অপসারণ করে। ২০১৮ সালের প্রথম দিকে সরকারের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়। ব্যাংকটি বাঁচাতে রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশান অব বাংলাদেশ (আইসিবি) মূলধন জোগান দেয়।
ঋণ কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অনিময়ের কারণে সমালোচিত হওয়ার পর ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকটির নাম পরিবর্তনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে জারি করা “‘দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেড’ এর নাম পরিবর্তন করে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড নামকরণ’” শীর্ষক এক সার্কুলার অনুযায়ী ২০১৯ সালের ২৯শে জানুয়ারি ব্যাংকটির নাম পরিবর্তন করে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড নামকরণ করা হয়।

“পদ্মা ‘ব্যাংক” বাংলাদেশের পূর্বগামী এবং দ্রুত বৃদ্ধির ব্যাংক হিসাবে পরিচিত। এই ব্যাংকটি বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে, যেমন সঞ্চয়, ঋণ, বিনিয়োগ, পেমেন্ট সেবা, এবং অনলাইন ব্যাংকিং।”পদ্মা ‘ব্যাংক” গ্রাহকদের বিভিন্ন অধীনস্থ সেবা প্রদানে কাজ করে এবং তাদের প্রতি সত্যিকারের সেবা প্রদানে গুরুত্ব দেয়। এটি গ্রাহকদের ব্যক্তিগত এবং ব্যাবসায়িক অবস্থা সম্পর্কে পরামর্শ এবং সহায়তা প্রদানে সক্ষম।
“পদ্মা’ ব্যাংক” একটি পূর্বগামী ব্যাংক হিসাবে পরিচিত এবং তার উদ্দেশ্য হলো দেশের অর্থনৈতিক প্রগতিতে অবদান রাখা। এই উদ্দেশ্যে, পদ্মা’ ব্যাংকের উন্নত প্রযুক্তি এবং সেবা প্রদানের নতুনত্ব প্রয়োজনীয় যত্ন নেওয়া হয়েছে। সার্বিক উন্নতি ও গ্রাহকের সন্তুষ্টিকর অভিজ্ঞতার মাধ্যমে “পদ্মা’ ব্যাংক” বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রগতিতে গুরুত্ব দেখে এবং এটির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রস্থানে অবদান রাখে।
আরও পড়ুনঃ