[ADINSERTER AMP] [ADINSERTER AMP]

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধারণা, আওতা ও পরিধি এবং বৈশিষ্ট্য | এইচএসসি ব্যাংকিং ও বিমা

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধারণা, আওতা ও পরিধি এবং বৈশিষ্ট্য বা “২য় অধ্যায় (chapter 2)” আজকের ক্লাসের আলোচ্য বিষয়। “কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধারণা, আওতা ও পরিধি এবং বৈশিষ্ট্য [ Concept, scope and characteristics of Central Bank ]” ক্লাসটি এইচএসসি’র ব্যাংকিং ও বিমা (HSC Banking and Insurance) এর সিলেবাসের অংশ। যা এইচএসসি’র ব্যাংকিং ও বিমা (HSC Banking and Insurance) বা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র (Class 11-12 Banking and Insurance 2nd Paper)” এর “২য় অধ্যায় (chapter 2)” এ পড়ানো হয়।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধারণা, আওতা ও পরিধি এবং বৈশিষ্ট্য

কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইংরেজি: ‘Central Bank’, কখনো কখনো রিজার্ভ ব্যাংক (Reserve Bank), বা আর্থিক কর্তৃপক্ষ (Monetary Authority) নামেও পরিচিত) হচ্ছে এমন একটি প্রতিষ্ঠান যারা কোন একটি দেশের মুদ্রা, অর্থ সরবরাহ এবং সুদের হার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি দেশের সর্বোচ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান।দেশের সার্বিক ব্যাংক ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে বলেই এর নাম কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাধারণত তাদের নিজ নিজ দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকিং পদ্ধতির তত্ত্বাবধায়ক।

বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিপরীত কর্মপদ্ধতি হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি একচেটীয়া প্রকৃতির প্রক্রিয়া অবলম্বন করে এবং দেশের জাতীয় মুদ্রা ছাপে।কেন্দ্রীয় -ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত মুদ্রাই দেশের’বিহিত মুদ্রা’।, যা সাধারণত দেশের আইনত: কার্যকলাপ হিসাবে পরিচালিত হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ হল মুদ্রা তৈরি করা।বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ব্যাংক সরকারের প্রতিনিধি ও আর্থিক পরামর্শদাতা হিসেবেও কাজ করে।

 

পরিধি এবং বৈশিষ্ট্য

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আওতা :

একটি দেশের মূল চালিকা শক্তি হলো ঔ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক । এক ঘিরেই দেশের সমস্ত মুদ্রা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা মূলত গড়ে ওঠে । যে ব্যাংক নোট ও মুদ্রার প্রচলন, মুদ্রাবাজার পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ এবং অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার এবং বিশেষ আর্থিক নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সরকারকে সহায়তা করে থাকে তাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে । নিম্নে আওতা ও পরিধি আলোচনা করা হলো –

১। নোট ও মুদ্রা প্রচলনঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রথম ও প্রধান কাজ হলো দেশের অভ্যন্তরে নোট ইস্যু ও মুদ্রার প্রচলন করা । বাংলাদেশ ব্যাংক আইন অনুযায়ী নোটের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ রাখে ।

২। মুদ্রার মান নিয়ন্ত্রণঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে সকল কাজ করে তার মধ্যে প্রধান কাজ হলো মুদ্রার মান নিয়ন্ত্রণ করা । অর্থের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে মুদ্রাস্ফীতি ও মুদ্রা সংকোচন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে । এ ছাড়া মূল্যস্তরের স্থিতিশীলতা রক্ষা ও বিদেশি মুদ্রার বিনিময় হারও নির্ধারণ করে ।

৩। সরকারের ব্যাংকঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের পক্ষ হয়ে বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করে বলে কেন্দ্রীয় -ব্যাংকে সরকারের ব্যাংক বলে । কেন্দ্রীয় -ব্যাংক সরকারের পক্ষে নিম্নলিখিত কাজ করে-

  • সরকারের পক্ষ হয়ে অর্থসংগ্রহ ও সংরক্ষণ
  • সরকারের পক্ষ হয়ে অর্থ প্রদান
  • সরকারের পক্ষ হয়ে ঋণ গ্রহণ
  • সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তত্ত্বাবধান
  • সরকারের পক্ষে বিদেশ হতে অর্থ গ্রহন ও প্রদান
  • সরকারের হিসাব সংরক্ষণ
  • আন্তর্জাতিক দেনা পাওনা নিষ্পত্তি
  • আমদানি রপ্তানি নীতি প্রণয়ন ইত্যাদি

 

google news logo
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

৪। ঋণ নিয়ন্ত্রণঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে মুদ্রাস্ফীতি ও মুদ্রাসংকোচনকে নিয়ন্ত্রণ করে দেশে মূল্যস্তর স্থিতিশীল রাখে ।

৫। অণন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকারঃ বাংলাদেশে তালিকা ভূক্ত ব্যাংকের পক্ষ হয়ে প্রতিদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনেক ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলি সম্পাদন করতে হয় । এছাড়া তালিকাভূক্ত ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করে । তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার বলে ।

৬। ঋন দানের শেষ আশ্রয়স্থলঃ তালিকাভূক্ত ব্যাংকগুলো যখন অর্থসংকটে পড়ে অন্য ব্যাংকগুলো থেকে কোন ঋণ সহায়তা পায়না তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সকল ব্যাংকগুলোকে ঋন দিয়ে সহযোগিতা করে ।

৭। বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশের নোটের বিনিময়ে অনুমোদিত আমদানি খাতে ব্যয় করার জন্য বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণ ও বরাদ্দ করে ।

৮। নিকাশঘরঃ বাংলাদেশ ব্যাংক নিকাশঘর হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । দেশের বিভিন্ন বানিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে চেক ও অন্যান্য বিনিময়ের মাধ্যমে সৃষ্ট দেনা পাওনা বাংলাদেশ ব্যাংক নিকাশঘরের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে ।

৯। সরকারের উপদেষ্টা ও প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের মূল্যস্তর এবং বৈদেশিক বিনিময় নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকারকে উপদেশ ও পরামর্শ দিয়ে থাকে ।

১০। মূদ্রার অবমূল্যায়নঃ সরকার যদি নির্দেশ দেয় তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনবোধে টাকার অবমূল্যায়ন করে থাকে । এ অবস্থায় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বৃদ্ধি পায় ।

 

kyc ফর্ম

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধারণা, আওতা ও পরিধি এবং বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিস্তারিত :

 

আরও দেখুন:

Leave a Comment