পূবালী ব্যাংক পিএলসি বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। শাখা ও কর্মকাণ্ডের বিচারে, সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর পরেই এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম ব্যাংক। ব্যাংকটি সেরা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘বাংলাদেশ বিজনেস এওয়ার্ড-২০০৯’ পদক অর্জন করেছে।
Table of Contents
পূবালী ব্যাংক
পূবালী ব্যাংক এর ইতিহাস
ব্যাংকটি পূর্ব পাকিস্তানের কয়েকজন বাঙালি উদ্যোক্তার উৎসাহে ১৯৫৯ সালে ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে এটি পূবালী’ ব্যাংক নামে সরকারিকরণ করা হয় এবং পুনরায় ১৯৮৩ সালে এটিকে বেসরকারিকরণ করা হয় ও নামকরণ করা হয় পূবালী ব্যাংক লিমিটেড।
ব্যাংকটি ২০০৭ সালে উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের সাথে ১০০ মিলিয়ন টাকার ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করে। ২০০৯ সালে পূবালী ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল প্রায় ৮৮.৮৯ বিলিয়ন টাকা। ব্যাংকটির নন-পারফর্মিং লোন ২০০৪ সালে ১৮.৪০ শতাংশ থেকে কমে ২.৯৬ শতাংশে দাঁড়ায়।
পূবালী ব্যাংক এর কার্যক্রম
ব্যাংকটি বর্তমানে যেসব কার্যক্রম পরিচালনা করছে তার মধ্যে রয়েছে:
- বাণিজ্যিক ব্যাংকিং
- ইসলামী ব্যাংকিং
- এসএমই ব্যাংকিং
- কার্ড পরিসেবা (ডেবিট)
- ভোক্তা ঋণ
- এটিএম পরিষেবা (অন্যান্য ব্যাংকের সাথে সংযুক্ত)

পূবালী ব্যাংক এর বিস্তৃতি
ব্যাংকটির বর্তমানে (২০২২) শাখার সংখ্যা ৪৯৮ টি।
পূবালী ‘ব্যাংক গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে, যেমন সঞ্চয়, ঋণ, বিনিয়োগ, পেমেন্ট সেবা, এবং অনলাইন ব্যাংকিং। এটি একটি ভার্চুয়াল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে যাতে গ্রাহকরা সহজেই তাদের ব্যাংকিং প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারেন।
পূবালী’ ব্যাংকের প্রধান লক্ষ্য হলো গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং তাদের প্রত্যাশার মেয়াদের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা। ব্যাংকের সাথে সহযোগিতা এবং বিশ্বাস প্রাপ্ত করার মাধ্যমে, গ্রাহকদের নিজেদের সাথে ব্যক্তিগত এবং ব্যাবসায়িক অবস্থা সহজেই সম্পর্কে পরামর্শ এবং সহায়তা পেতে সক্ষম হয়।পূবালী ‘ব্যাংক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্ব দেখে এবং গ্রাহকদের জন্য নতুনত্ব এবং সুবিধা উন্নত করতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্দেশ্যে, ব্যাংকের উন্নত প্রযুক্তি এবং সেবা প্রদানের নতুনত্ব প্রয়োজনীয় যত্ন নেয়া হয়েছে যাতে গ্রাহকরা সহজেই তাদের অর্থ ব্যাংক করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ