প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হচ্ছে বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক, প্রবাসীদের জন্য বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর ইতিহাস
বিদেশী বাংলাদেশীদের আর্থিক সেবা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালে ব্যাংকটি চালু করে। এটির প্রারম্ভিক মূলধন ছিল ১ বিলিয়ন টাকা। মূলধনের ০৫ শতাংশ এসেছে ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে এবং পাঁচ শতাংশ বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে।১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে, মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান খন্দকার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিযুক্ত হন।
ব্যাংকটির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে। ব্যাংকটি ২০২০ সালে জনবলের ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছিল এবং ব্যাঙ্কের দৈনন্দিন কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল।প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ ২০২১ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় ব্যাংকের শাখা স্থাপনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। ২০২১ সালের আগস্টে, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক রেমিট্যান্স বিতরণে সহযোগিতা করার জন্য NCC ব্যাংকের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ২০২২ সালের জুন মাসে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি মুদ্রা বিনিময় বুথ প্রতিষ্ঠা করে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে, মোঃ মজিবুর রহমান প্রবাসী কল্যাণ ‘ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিযুক্ত হন। ব্যাংকের পূর্ববর্তী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ জাহিদুল হক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিযুক্ত হন। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের।

অর্জন
প্রবাসী কল্যাণ ‘ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতে এ পর্যন্ত ৮৫০০০ হাজারের বেশী বিদেশগামী কর্মীকে অভিবাসী ঋণ প্রদান করেছে। ব্যাংকটি ৩ দিনে অভিবাসন ঋণ মঞ্জুর করে থাকে এছাড়া বিদেশ ফেরত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মীকে পুনর্বাসন ঋণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানে সহায়তা করেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ আবেদনকারীর বাড়িতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ঋণ প্রদানের সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। প্রবাসী কল্যাণ’ ব্যাংক দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জেলায় ৬৪টি শাখার মাধ্যমে এর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
আগামী ০১ বছরের মধ্যে দেশের সকল জেলায় ব্যাংকের শাখা খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ‘ব্যাংকের প্রধান শাখাসহ ১০১ টি শাখা হতে প্রায় প্রতিদিন ২০০০ বিদেশ গমনেচ্ছুক কর্মীর কাছ হতে রেজিস্ট্রেশন ফি,স্মার্টকার্ড ফি এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ ফি সংগ্রহ করে থাকে। জানুয়ারি ২০১৪ সাল হতে প্রবাসী কল্যাণ’ ব্যাংক অনলাইন ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করেছে।