[ADINSERTER AMP] [ADINSERTER AMP]

বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক হলো বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আর্থিক কর্তৃপক্ষ। এটি বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ, ১৯৭২-এর মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জয় লাভের পর বাংলাদেশ সরকার ঢাকায় অবস্থিত স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের ঢাকা শাখাকে বাংলাদেশ ব্যাংক নাম দিয়ে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে। ‘বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ, ১৯৭২’ পাশ হওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে কার্যকর বলে ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক এর ইতিহাস

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয়ের পর, বাংলাদেশ সরকার স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের ঢাকা শাখার নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এটিকে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসাবে মনোনীত করে। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২ পাসের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

সমাজতান্ত্রিক ধারায় অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য এবং যুদ্ধে বিধ্বস্ত জাতির পুনর্গঠনের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল নিশ্চিত করার জন্য, মুজিবনগর সরকার ১৯৭১ সালে সকল ব্যাংক জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশ সরকার বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেয় এবং ছয়টি জাতীয়করণ করে। ১৯৮২ সালে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাঙ্কগুলি। ব্যাঙ্কিং শিল্পকে ওভারহল করার জন্য, ১৯৮৬ সালে ন্যাশনাল কমিশন অন মানি, ব্যাংকিং এন্ড ক্রেডিট নামে একটি কমিশন গঠন করা হয়। যদিও এরপরও ব্যাংকিং খাত দক্ষ ও কার্যকর হয়ে উঠতে সক্ষম হয়নি।

 

বাংলাদেশ ব্যাংক এর অবদান

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এটি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়েও অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে । এটিকে দেশের অর্থনৈতিক মঙ্গলের রক্ষক বলা যায়। ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত, দেশটি স্বাধীনতা লাভের পরপরই, এটি প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে অর্থনীতিকে চালিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক ।

আলোচিত কর্মকান্ড

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির মুদ্রা

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবার বিভিন্ন মুদ্রায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ব্যবহার করা হয়।মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মহিদুল হক কারেন্সি বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত নির্বাহী পরিচালক হিসেবে বঙ্গবন্ধু সিরিজের নোট করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দিয়ে নোটের সিরিজ করার ব্যাপারে তিনি টাঁকশালের এমডির সঙ্গে একান্তে মিটিং করে তৎকালীন গভর্নরের সঙ্গে দেখা করেন।

চৌধুরী মহিদুল হকের নির্দেশনায় টাঁকশালে ডিজাইন, নোটের নকশা, কীভাবে নকশা করতে হবে, তার কাজ শুরু হয়। তৎকালীন একজন ডেপুটি গভর্নরের নেতৃত্বে ডিজাইন অ্যাডভাইজারি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিতে দেশের প্রখ্যাত আর্টিস্টরা ছিলেন। সবশেষে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি নিয়ে ডিজাইন চূড়ান্ত করা হয়। বর্তমানে বাজারে ১ টাকা, ২ টাকা, ৫ টাকা, ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ২০০ টাকা, ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার নোট প্রচলিত আছে। এগুলোয় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি রয়েছে। এছাড়া বাজারে প্রচলিত ১, ২ ও ৫ টাকার কয়েনেও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি রয়েছে।

স্মারক মুদ্রা

জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, স্থান ও ঘটনাগুলোকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে বিভিন্ন সময়ে স্মারকমুদ্রা, নোট ও ফোল্ডার দেশীয় ও বিদেশীয়ভাবে মুদ্রণ করা হয়। এসব স্মারকমুদ্রা ও নোট কোনোভাবে বিনিময়যোগ্য নয়। পরিচিত ব্যবহৃত নোট ও মুদ্রার বাইরে বিভিন্ন সময় কিছু স্মারক নোট ও মুদ্রা ইস্যু করা হয়।

এখন পর্যন্ত ১৭টি স্মারকমুদ্রা ইস্যু করা হয়েছে। স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী উপলক্ষে ১৯৯৬ সালে বের করা হয় স্মারক কয়েন। যার অভিহিত মূল্য ১০ টাকা এবং বিক্রয় মূল্য ছিল ৩ হাজার ৩০০ টাকা। ২০১১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৪০ টাকার স্মারক নোট বের করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নোটের সামনের অংশে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতি এবং অপর অংশে ছয়জন বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতিকৃতি যুক্ত করা রয়েছে।

আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রচার

বাংলাদেশ প্রধানত গ্রামীণ জনসংখ্যার একটি দেশ, যেখানে আর্থিক পরিষেবার অ্যাক্সেস একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে। এটি স্বীকার করে বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক অন্তর্ভুক্তি প্রচারে এগিয়ে আছে। ক্ষুদ্রঋণ এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে, এটি ব্যাংকিং পরিষেবাগুলিকে লক্ষ লক্ষ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে, তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে ক্ষমতায়িত করেছে।

google news logo
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

ব্যাংকিংয়ে উদ্ভাবন

উদ্ভাবন হচ্ছে অগ্রগতির প্রাণশক্তি এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এটা ভালোভাবে বোঝে। বছরের পর বছর ধরে, এটি ব্যাংকিং সেক্টরে উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করেছে, দক্ষতা এবং অ্যাক্সেসযোগ্যতা বাড়াতে আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণকে উৎসাহিত করেছে। ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম থেকে ব্লকচেইন প্রযুক্তি পর্যন্ত, কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিবর্তনের জন্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে, বাংলাদেশে ব্যাংকিংয়ের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক এর চ্যালেঞ্জ

অনেক অর্জন সত্ত্বেও, বাংলাদেশ ব্যাংক চ্যালেঞ্জ থেকে মুক্ত হতে পারেনি। সাইবার হুমকির উত্থান আর্থিক ব্যবস্থার অখণ্ডতার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি তৈরি করে, যেমনটি ২০১৬ সালের কুখ্যাত সাইবার হিস্ট দ্বারা প্রমাণিত, যেখানে হ্যাকাররা ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চুরি করেছিল। ঘটনাটি বাংলাদেশ ব্যাংকের স্থিতিস্থাপকতা এবং অভিযোজনযোগ্যতাকেও তুলে ধরে, এটিকে তার সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে এবং আরও শক্তিশালী হতে উদ্বুদ্ধ করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রভাব তার জাতীয় সীমানা ছাড়িয়ে বিস্তৃত। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সদস্য হিসাবে, এটি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক নীতি গঠনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মতো ফোরামে এর অবদানগুলি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির স্বার্থকে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের যাত্রা দূরদর্শিতা ও অধ্যবসায়ের শক্তির প্রমাণ। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পথে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা আরও সমালোচনামূলক হয়ে উঠবে। উদ্ভাবনকে আলিঙ্গন করা, উদীয়মান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিকে উত্সাহিত করা প্রধান অগ্রাধিকার হবে কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য পথ নির্ধারণ করে।

শাখা কার্যালয়সমূহ

বাংলাদেশ ব্যাংক এর প্রধান কার্যালয়সহ আরও দশটি শাখা কার্যালয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এর প্রধান কার্যালয় রাজধানী ঢাকার মতিঝিলে অবস্থিত। শাখা কার্যালয়সমূহ হচ্ছে:

  • মতিঝিল
  • সদরঘাট
  • বগুড়া
  • চট্টগ্রাম
  • রাজশাহী
  • বরিশাল
  • খুলনা
  • সিলেট
  • রংপুর
  • ময়মনসিংহ

এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে, যেটি বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমি নামে পরিচিত। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত।

 

 

 

বাংলাদেশ ব্যাংক এর নীতিসমূহ

দেশের আর্থিক কর্তৃপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত নীতিসমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেঃ

মুদ্রানীতি

দেশের সরকারের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও পরিচালনা করে থাকে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতি পরিচালনা করে যা দেশের অর্থনীতিতে অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত ও নিয়ন্ত্রণ করে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রণীত মুদ্রানীতির প্রধান লক্ষ্যগুলো হচ্ছে

  • মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা;
  • বিনিময় হার স্থিতিশীলতা;
  • যুক্তিসঙ্গত মূল্য স্থিতিশীলতা;
  • অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তরান্বিত করা;
  • ব্যবসায় চক্র স্থিতিশীল রাখা;
  • সুদের হার নিয়ন্ত্রণ এবং
  • বেকারত্ব হ্রাস করা।

রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা নীতি

বাংলাদেশ ‘ব্যাংক বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ সংরক্ষণ করে যাতে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে ব্যাপক ওঠানামা থেকে উদ্ভূত ঝুঁকি এবং বৈশ্বিক অর্থ বাজারে সুদের হারের ওঠা-নামায় সৃষ্ট ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব হয়। বাংলাদেশ ‘ব্যাংক বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে নস্ট্রো হিসাব পরিচালনা করে এবং হিসাবসমুহে জমাকৃৎ অর্থ উক্ত মুদ্রায় বিভিন্ন মেয়াদে ট্রেজারি বিল, রেপো এবং অন্যান্য সরকারী তহবিলে বিনিয়োগ করে।

এছাড়াও মজুদ অর্থের কিছু অংশ নামী বাণিজ্যিক ব্যাংকে স্বল্প মেয়াদী আমানত এবং কর্পোরেট বন্ডে বিনিয়োগ করে। রিজার্ভ মজুদ ও বিনিয়োগ সম্পর্কিত কার্যক্রম ব্যাংকের একটি পৃথক বিভাগ দ্বারা পরিচালিত হয় যেটির প্রধান থাকে ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর। রিজার্ভ ব্যবস্থাপনার অন্তর্নিহিত নীতি হচ্চে ন্যূনতম বাজার ঝুঁকির সাথে বিনিয়োগের সর্বোত্তম রিটার্ন নিশ্চিত করা।

সুদ হার নীতি

আর্থিক খাত সংস্কার কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ ‘ব্যাংক নমনীয় সুদ হার নীতিমালা প্রণয়ন করে থাকে। সেই অনুযায়ী, ব্যাংকগুলি প্রতয়পত্র ব্যতীত যাবতীয় আমানত ও ঋণের সুদ হার নির্ধারণ করে থাকে। বর্তমানে প্রি-শিপমেন্ট এক্সপোর্ট ক্রেডিট এবং কৃষি ঋণ ব্যতীত অন্ন কোন ক্ষেত্রে ব্যাংকের সুদ হারের নির্দিষ্ট কোন সীমা নির্ধারণ করা নেই।

তথাপি, ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ তুলনামূলক ঝুঁকি বিবেচনায় আমানতের উপর সুদের হার ও ঋণের উপর সুদের হারের পার্থক্য ৩ শতাংশ পর্যন্ত করে থাকে। ব্যাংকসমূহ তাদের আমানত ও ঋণের সুদ হার নিজ নিজ ওয়েবসাইটে আপলোড করে থাকে এবং সেই সাথে বাংলাদেশ’ ব্যাংকে প্রেরন করে। সময় সময়ে বাংলাদেশ ‘ব্যাংক সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় ব্যাংকের সুদের হারের সীমা বেঁধে দেয়।

ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মূলধন পর্যাপ্ততা নীতি

ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের লক্ষে অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশ’ ব্যাংকও ব্যাংকিং তদারকি সম্পর্কিত ব্যাসেল কমিটি প্রণীত ব্যাসেল-৩ প্রবিধান চালু করেছে। ব্যাসেল-৩ প্রবিধানটি ২০১৫ সালের জানুয়ারী থেকে শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের তফসিলী ব্যাংকগুলি সর্বনিম্ন ৪ বিলিয়ন টাকা বা ঝুঁকিযুক্ত সম্পদের ১০ শতাংশের যেটি বেশি হয় তা বাংলাদেশ ‘ব্যাংকে সংরক্ষণ করতে হয়। এছাড়াও, ব্যাংকসমুহকে সংগৃহীত আমানতের ৫ শতাংশ নগদ রিজার্ভ ও ১৩ শতাংশ বিধিবদ্ধ তারল্য অনুপাত সংরক্ষণ করতে হয়।

তফসিলি ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমুহের আর্থিক অবস্থা ও আনুসাঙ্ঘিক ঝুঁকি বেবেচনায় বাংলাদেশ ‘ব্যাংক ন্যুনতম মূলধন, নগদ রিজার্ভ ও বিধিবদ্ধ তারল্য সংরক্ষণের হার পরিবর্তন করে থাকে।

আমানত বীমা

আমানতকারীদের সুরক্ষা হিসেবে বাংলাদেশ ‘ব্যাংক ১৯৮৪ সালে আমানত বীমা চালু করেছে। আমানত বীমার অধীনে ব্যাংকসমুহে গচ্ছিত আমানতের একটা নির্দিষ্ট অংশ বাংলাদেশ ‘ব্যাংকের কাছে জমা রাখতে হয়। যদি কোন ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যায় তবে উক্ত বীমার অধীনে জমাকৃত অর্থ থেকে আমানতকারীদের নির্দিষ্ট হারে অর্থ ফেরত দেয়া হবে।

 

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর

বাংলাদেশ ‘ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীকে বলা হয় গভর্নর। এ পর্যন্ত ১১জন ব্যক্তি এ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর হলেন আব্দুর রউফ তালুকদার।

বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ

বাংলাদেশ ‘ব্যাংকের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও দিকনির্দেশনা ৯জন ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত একটি পরিচালনা পর্ষদের ওপর অর্পিত থাকে। এটির পরিচালনা পর্ষদ একজন গভর্নর, একজন ডেপুটি গভর্নর, তিন জন উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং চার জন এমন ব্যক্তি যারা ব্যাংকিং, বাণিজ্য, ব্যবসায়, শিল্প ও কৃষি খাতে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন তাদের নিয়ে গঠিত হয়

পর্ষদের সভাপতি হলেন গভর্নর নিজেই। পরিচালনা পর্ষদের সবাই সরকার দ্বারা নির্বাচিত হন। পরিচালনা পর্ষদের সভা প্রতি ছয় মাসে কমপক্ষে একবার অথবা প্রতি তিন মাস অন্তর একবার বসে। সরকার দ্বারা অনুমোদিত গভর্নর পর্ষদের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে বাংলাদেশ’ ব্যাংকের সকল কাজের দিক নির্দেশনা ও নিয়ন্ত্রণ করেন।

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment