[ADINSERTER AMP] [ADINSERTER AMP]

সীমান্ত ব্যাংক

সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি বাংলাদেশের একটি বেসরকারি তফসিলি বাণিজ্যিক ব্যাংক, যার মালিকানা ও তত্ত্বাবধান করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (BGB)। প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য নিরাপদ ও সহজলভ্য আর্থিক সেবা নিশ্চিত করা, পাশাপাশি দেশের সাধারণ জনগণকে আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান।

সীমান্ত ব্যাংক

 

প্রতিষ্ঠা প্রেক্ষাপট

  • স্লোগান: সীমাহীন আস্থা
  • তফসিলি ব্যাংক হিসেবে স্থান: ৫৭তম
  • বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের তারিখ: ১৭ জুন, ২০১৫
  • তফসিলি ব্যাংক তালিকাভুক্তি: ২১ জুলাই, ২০১৬
  • আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন: ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক)
  • আইনি ভিত্তি: ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১
  • মালিকানা কাঠামো: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট (BGBWT)
  • অনুপ্রেরণা: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড মডেল

 

 

সীমান্ত ব্যাংক

 

 

প্রধান ব্যক্তিত্ব

  • প্রতিষ্ঠাতা: জেনারেল আজিজ আহমেদ (তৎকালীন মহাপরিচালক, BGB)
  • প্রকল্প পরিচালক: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তৌফিকুর হাসান সিদ্দিকী
  • প্রথম এমডি সিইও: মুখলেসুর রহমান
  • বর্তমান এমডি সিইও (২০২২ থেকে): রফিকুল ইসলাম

 

google news logo
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

 

মূলধন শুরুর কার্যক্রম

  • অনুমোদিত মূলধন: ৪০০ কোটি টাকা
  • পরিশোধিত মূলধন: ১০০ কোটি টাকা
  • প্রথম প্রধান কার্যালয়: ধানমন্ডি, পিলখানা, ঢাকা (BGB সদর দপ্তর এলাকায়)
  • প্রাথমিক লক্ষ্য:
    • BGB সদস্যদের জন্য সহজ ঋণ, সঞ্চয়ী স্কিম এবং রেমিট্যান্স সেবা
    • সীমান্ত এলাকার জনগণের কাছে ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দেওয়া

 

সীমান্ত ব্যাংক

 

কার্যক্রমের বিস্তৃতি

২০২০ সাল নাগাদ:

  • অমানত: ১,২৯০ কোটি টাকা
  • ঋণ বিতরণ: কৃষি, এসএমই, সীমান্ত ব্যবসা ও ভোক্তা খাতে
  • শাখা সংখ্যা: সীমান্তবর্তী জেলা ও প্রধান শহরে একাধিক শাখা
  • এটিএম নেটওয়ার্ক: ঢাকা, চট্টগ্রাম ও অন্যান্য সীমান্ত অঞ্চলে বিস্তৃত

২০২৩ সালের পরিবর্তন:

  • নতুন নাম: সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি (৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ থেকে কার্যকর)
  • আইনি ভিত্তি: কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ অনুযায়ী নাম পরিবর্তন

 

পণ্য সেবা

. সঞ্চয় বিনিয়োগ পণ্য

  • সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব
  • সীমান্ত ডিপিএস – মাসিক ৫০০ টাকা থেকে শুরু, নমনীয় মেয়াদ
  • স্থায়ী আমানত (FDR) – প্রতিযোগিতামূলক সুদহার

. ঋণ বিনিয়োগ সুবিধা

  • ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ, যানবাহন ঋণ
  • কৃষি ঋণ ও এসএমই ফাইন্যান্স
  • বর্ডার সিকিউরিটি ও অবকাঠামো উন্নয়ন ঋণ

. অন্যান্য সেবা

  • রেমিট্যান্স (দেশি ও বিদেশি)
  • অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিং
  • এটিএম ও পিওএস সেবা

 

বিশেষ বৈশিষ্ট্য

  • সীমান্ত এলাকায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিনিয়োগ ও ঋণ প্রদানে অগ্রাধিকার
  • BGB সদস্যদের জন্য বিশেষ সুদহার ও আর্থিক সুবিধা
  • CSR কার্যক্রম – সীমান্ত এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা

 

অর্থনৈতিক গুরুত্ব

সীমান্ত ব্যাংক শুধু বাণিজ্যিক মুনাফা অর্জনেই নয়, বরং সীমান্ত অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ব্যাংকটি সীমান্ত ব্যবসা, ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম এবং কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে সহায়তা করছে, যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করছে।

 

টাইমলাইন

বছরঘটনা
২০১৫বাংলাদেশ ব্যাংক সম্মতিপত্র প্রদান (১৭ জুন)
২০১৬তফসিলি ব্যাংক তালিকাভুক্তি (২১ জুলাই), উদ্বোধন (১ সেপ্টেম্বর)
২০২০আমানত ১,২৯০ কোটি টাকা অতিক্রম
২০২২রফিকুল ইসলাম এমডি ও সিইও নিযুক্ত
২০২৩নাম পরিবর্তন করে সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি (৫ সেপ্টেম্বর)

 

Leave a Comment