[ADINSERTER AMP] [ADINSERTER AMP]

“সোনার বাংলা পোলট্রি কেস” [ কেস নম্বর – ১১ ]

“সোনার বাংলা পোলট্রি কেস”

“সোনার বাংলা পোলট্রি কেস” [ কেস নম্বর – ১১ ]

“সোনার বাংলা পোলট্রি কেস" [ কেস নম্বর - ১১ ]

“সোনার বাংলা পোলট্রি ফার্ম” নামক একটি প্রতিষ্ঠান পোলট্রি ব্যবসা শুরু লক্ষ্যে “পল্লী উন্নয়ন ব্যাংকের গাজীপুর শাখায় প্রকল্পটির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ক্ষণের জন্য আবেদন করে। প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রে তারা দেখায় যে, উক্ত প্রকল্পটির পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য মোট ৫ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। এই ৫ কোটির দেন কোটি মালিক পক্ষ এবং বাকি সাড়ে তিন কোটি ব্যাংক হতে। বছর মেয়াদী ঋণ হিসেবে প্রধানের জন্য ব্যাংকের নিকট প্রস্তাব রাখে।

এখানে Debt Equity-র অনুপাত ছিল ৭০:৩০। ব্যাংক তাদের প্রস্তাবে সম্মতি দেয়। যথাক্রমে প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় এবং তা উৎপাদনও শুরু করে। প্রথমদিকে মালিকপক্ষ সঠিক সময়ে ঋণের কিস্তিত পরিশোধ করে। কিন্তু কিছুদিন পরই দেখা গেল যে তারা ঋণের কিস্তি পরিশোষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে এবং প্রকল্পটিও ক্রমান্বয়ে বৎ শিল্পে পরিণত হয়। এর ফলে ব্যাংক তাদের ঋণ পরিশোধের জন্য এবং প্রকল্পটিকে পুনরায় সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে তাদের রিসিইডউলিং সুবিধা প্রদান এমনকি পরবর্তীতে তাদের আর্থিক সাহায্য প্রদানের প্রস্তাবও দেখ।

কিন্তু এতকিছুর পরও ব্যাংক মালিক পক্ষের কাছ থেকে কোন সদুত্তর পায়নি। পরবর্তীতে ব্যাংক অনুসন্ধান করে জানতে পারে যে, প্রকল্পের প্রয়োজনে যে সব মেশিন আমদানী করা হয়েছিল তাতে মালিকপক্ষ over- investing (আমদানীকৃত পণ্যের প্রকৃত মূল্যের পরিবর্তে বর্ধিত মূল্য দেখানো)-এর মাধ্যমে দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহন করে এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ফাঁকি দেয়। বাকে কর্তৃপক্ষ বিশ্লেষণ করে দেখতে পায় যে প্রকল্পের পুরো অর্থায়নই ব্যাংকের প্রদত্ত অর্থের মাধ্যমে করা হয়েছে।

“সোনার বাংলা পোলট্রি কেস" [ কেস নম্বর - ১১ ]

বিনা হিসাবে যে জমি ও বিল্ডিং দেখানো হয়েছিল তা প্রকৃতপক্ষে উক্ত উদ্যোক্তাদের ছিল না। তারা তা জাল দলিলের মাধ্যমে ব্যাংককে পরে এতে মালিকের নিজস্ব বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় শূন্য বললেই চলে। উপরোক্ত বায়কের প্রনের ঋণের কিছু অংশ মালিক- পাকা করে। এর ফলে ব্যাংকের কাছে এটি পরিষ্কার হয়ে যায় যে মালিকপক্ষ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবেই উক্ত সকল দুর্নীতির আশ্রয় গ্রা করে এবং ইচছাকৃতভাবে প্রকল্পটিকে একটি রা শিল্পে পরিণত করে। যাতে করে তাদের ব্যাংকের বল পরিশোধ না করবার এক অজুহাত পাওয়া যায়।

উপরোক্ত সকল কিছু পর্যালোচনা করে বাংক উক্ত মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রস্তুতি নেয় এবং এভাবেই একজন ঋণ গ্রহীতা সমস্যাযুক্ত মঞ্চেলে পরিণত হয়।

“আশরাফ এন্ড শাহেদ কেস” [ কেস নম্বর -১২ ]

জনাব আশরাফ এবং জনাব শাহের দেশের অত্যন্ত প্রভাবশালী শিল্পোদ্যোক্তা। দেশের উঁচুস্তরে এবং শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদের সাথে তাদের অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক। তাদের এই সামাজিক এবং রাজনৈতিক প্রভাব দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে সুনিবিড়ভাবে বিস্তৃত।

১৯৯৯ সালের ১লা জুন তারা এয়ার বাস নির্মাণ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহন করেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তারা দেশের দুটি বাণিজ্যিক ব্যাংক হাইটেক ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক এবং একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের নিকট মোট তিনশত (৩০০) কোটি টাকার ২০ বছর মেয়াদী ঋণের আবেদন জানায়। এই ঋণের ক্ষেত্রে মাত্র ৭% মার্জিন প্রদানের প্রস্তাব রাখা হয়।

google news logo
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

ব্যাংকত্রয় প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করে বিপুল ঝুঁকি ও কৌশলগত অব্যবস্থাপনার অজুহাতে প্রথমে উক্ত প্রস্তাব বাতিল করে দেয়। কিন্তু জনাব শাহেদ ও জনাব আশরাফ তাদের প্রবল সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংকগুলোকে বাধ্য করে উক্ত প্রকল্পে ঋণ মঞ্জুর করায়। এখানে উল্লেখ্য যে, ব্যাংকগুলে তাদের মার্জিনের পরিমাণ অন্ততঃ 1% থেকে বৃদ্ধি করে ৩০% করবার অনুরোধ জানিয়েছিল। কিন্তু তাদের ক্ষমতার প্রভাবের কারণে তার রক্ষা করা হয়নি।

যথারীতি প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়। কিন্তু মাঝপথে গিয়ে বিভিন্ন কলাকৌশ গত অসুবিধা প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা সর্বোপরি উদ্যোক্তাদের স্বদিচছার অভাবে প্রকল্পটি মাঝপথে বাস্তবায়ন স্থগিত হয়ে যায়। এর ফলে ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ অর্থ একটি অনুৎপাদনশীল খাতে আটকে যায় এবং ব্যাংক তারল্য সংকটে পরে।

বর্তমানে ব্যাংক তাদের বিরদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আপ্রাণ চেষ্টা করেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে বারবার ব্যর্থ হয়েছ। কারণ উত্ত ব্যক্তিদ্বয় সমাজের প্রথম সারির বক্তিত্ব ও উদ্যোক্তা বলিয়া পরিচিত। তাছাড়া তারা সরকারী রাজনীতিবিদ দ্বারাও সমর্থন পুষ্ট। তাই বর্তমানে ব্যাংক এই সমস্যা হতে উত্তরণের লক্ষ্যে কি ব্যবস্থা নিতে পারে ?

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment