সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি হচ্ছে বাংলাদেশের একটি শরী’আহ ভিত্তিক পরিচালিত বাণিজ্যিক ব্যাংক। ব্যাংকটি ১৯৯৫ সালের ২২শে নভেম্বর “সোস্যাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড” নামে যাত্রা শুরু করে। পরে এটির নাম পরিবর্তন করে বর্তমান নাম “সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি” রাখা হয়। বর্তমানে এ ব্যাংকের মোট ১৭৯টি শাখা, ২১৯টি উপশাখা এবং ৩৭৭টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট রয়েছে।
Table of Contents
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এর ইতিহাস
এটি কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর অধীনে নিবন্ধিত হয়ে ১৯৯৫ সালের ২২ নভেম্বর তারিখে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। এটি ইসলামী শরীয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত একটি ব্যাংক। ওআইসি’র সাবেক মহাসচিব ড. হামিদ আল গাবীদ, সৌদি আরবের ডেপুটি স্পিকার ও রাবেতার সাবেক মহাসচিব ড. আবদুল্লাহ ওমর নাসীফ, সৌদি আরবের সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী সালেহ জামজুম এবং ইসলামি আর্ন্তজাতিক তহবিল (আইআইএফ) ও আন্তর্জাতিক ইসলামি ত্রাণ সংস্থা (আইআইআরও) এই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা।
এসআইবিএল বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় শরীয়াহ ভিত্তিক ইসলামী ব্যাংক। আইআইআরও ও লাযনাত ছিলো এসআইবিএল- এর দুটি শেয়ারহোল্ডার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। তবে মার্কিন সিনেটের স্থায়ী উপকমিটির ২০১২ সালের ১৭ই জুলাই প্রকাশিত ইউ.এস. ভালনারেবিলিটিজ টু মানি লন্ডারিং, ড্রাগস অ্যান্ড টেরর ফিন্যান্সিং: এইচএসবিসি কেস হিস্টরি শীর্ষক প্রতিবেদনে ইসলামী ব্যাংক ও এসআইবিএল-এর মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু অভিযোগ আনে; যদিও এসব অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি, আইআইআরও ও লাযনাতকে তাদের শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার জন্য বলা হয়। ২০১৫ সালে ব্যাংকটি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট ওজর দেখায় আর্থিক লেনদেনে অনিয়মের কারণে।

পরিচালনা
একজন চেয়ারম্যান-এর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিচালক পর্ষদ ব্যাংকটির সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসন তদারকিসহ ব্যবসায়িক ও অন্যান্য নীতিমালা অনুমোদন করে। ব্যাংকটির সকল প্রকার ব্যাংকিং ব্যবসায়ে ইসলামি শরীয়াহ ও সুদমুক্ত নীতির বাস্তবায়ন এবং পরিচালনা নিশ্চিত করার জন্য ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি শরীয়াহ কাউন্সিল রয়েছে। এছাড়া ১৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি বিদেশি অবৈতনিক আন্তর্জাতিক পরামর্শক কাউন্সিল ব্যাংকটিকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ব্যাংকিং ব্যবসায় পরিচালনায় প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদান করে।
কার্যক্রম
ব্যাংকটি আনুষ্ঠানিকভাবে সাধারণ ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা, অনানুষ্ঠানিকভাবে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য মাইক্রোক্রেডিট এবং এসএমই ফিন্যান্স ও স্বেচ্ছামূলক এ তিন খাতে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আধুনিক ব্যাংক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এ ব্যাংক ইসলামি ব্যাংকগুলির মধ্যে প্রথম স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকগণকে অনলাইন ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। সংযুক্ত করেছে মোবাইল ব্যাংকিং আ্যাপ ’এসআইবিএল নাউ’। বর্তমানে ব্যাংকটির সর্বমোট ১৭৯টি শাখা, ২১৯টি উপশাখা এবং ৩৭৭টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ২২০টি এটিএম রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ