ব্যাংক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ বিধান – BIS প্রবর্তিত ব্যাসেল বা “১ম অধ্যায় (chapter 1)” আজকের ক্লাসের আলোচ্য বিষয়। “ব্যাংক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ বিধান – BIS প্রবর্তিত ব্যাসেল [ Regulation of Banking System – Basel introduced by BIS ]” ক্লাসটি এইচএসসি’র ব্যাংকিং ও বিমা (HSC Banking and Insurance) এর সিলেবাসের অংশ। যা এইচএসসি’র ব্যাংকিং ও বিমা (HSC Banking and Insurance) বা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র (Class 11-12 Banking and Insurance 2nd Paper)” এর “১ম অধ্যায় (chapter 1)” এ পড়ানো হয়।
ব্যাংক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ বিধান – BIS প্রবর্তিত ব্যাসেল
ব্যাসেল চুক্তি হচ্ছে ব্যাংকিং তদারকি সম্পর্কিত ব্যাসেল কমিটি কর্তৃক গৃহীত নীতিমালা ও সুপারিশসমুহ (ব্যাসেল ১, ব্যাসেল ২ এবং ব্যাসেল ৩) যেগুলোর মুখ্য উদ্দেশ্য ব্যাংকের পুঁজির গুণগত মান এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। অর্থাৎ, ব্যাসেল চুক্তি হল ব্যাংকিং শিল্পে নিয়মকানুনের জন্য ব্যাসেল কমিটি কর্তৃক একগুচ্ছ প্রস্তাবিত নীতিমালা যা বিশ্বের বিভিন্ন ব্যাংক কর্তৃক পরিপালিত হয়।
ব্যাসেল কমিটি হচ্ছে ব্যাংকিং তদারকি সম্পর্কিত কর্তৃপক্ষ যা গ্রুপ অব টেন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের দ্বারা ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ব্যাসেল কমিটির সদরদফতর ব্রাসেল্সের ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টে এবং এই কমিটি সাধারণত সেখানে সভা করে। সাধারনত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাসেল কমিটির সদস্য। ২০০৯ সাল থেকে, অন্যান্য জি২০ প্রধান অর্থনীতির সাথে হংকং এবং সিঙ্গাপুরের মতো কিছু অন্যান্য প্রধান ব্যাংকিং এলাকা প্রতিনিধিত্ব করে । ২০১৪ সালে আবারও বৃদ্ধি করে। ২০১৯ সালে এর সদস্যসংখ্যা দাড়ায় ৪৫টি। ব্যাসেল কমিটি এখন পর্যন্ত ৩টি ব্যাংকিং পরিচালনা ও মূলধন সংরক্ষণ সম্পর্কিত নীতিমালা প্রণয়ন করেছে, যেগুলো হচ্ছেঃ

- ব্যাসেল ১ (১৯৮৮) – ব্যাংকগুলির জন্য ন্যূনতম মূলধন প্রয়োজনীয়তার একটি সেট প্রকাশ করেছে।
- ব্যাসেল ২ (২০০৪) – ব্যাঙ্কগুলির মুখোমুখি হওয়া আর্থিক ও কর্মক্ষম ঝুঁকি থেকে রক্ষা করার জন্য কতটা মূলধনী ব্যাঙ্ক রাখা দরকার তা নিয়ন্ত্রণ করে এমন আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং মান সংশোধন করার উদ্দেশ্যে।
- ব্যাসেল ৩ (২০১০) – ন্যূনতম মূলধন প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি, উচ্চমানের তরল সম্পদের ধারণ এবং ব্যাঙ্ক লিভারেজ হ্রাসের মাধ্যমে ব্যাংকের মূলধন প্রয়োজনীয়তা জোরদার করার উদ্দেশ্যে।
- ব্যাসেল ৪ (২০১৭) –
তালিকাভুক্তি ও গ্রাহক সেবার ভিত্তিতে ব্যাংকের শ্রেণিবিভাগ নিয়ে বিস্তারিত :
আরও দেখুন: