KYC ফর্ম, গারনিশি আদেশ ও তার ফলাফল বা “১ম অধ্যায় (chapter 1)” আজকের ক্লাসের আলোচ্য বিষয়। “KYC ফর্ম, গারনিশি আদেশ ও তার ফলাফল [ KYC Form, Garnishment Order and its result ]” ক্লাসটি এইচএসসি’র ব্যাংকিং ও বিমা (HSC Banking and Insurance) এর সিলেবাসের অংশ। যা এইচএসসি’র ব্যাংকিং ও বিমা (HSC Banking and Insurance) বা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র (Class 11-12 Banking and Insurance 2nd Paper)” এর “১ম অধ্যায় (chapter 1)” এ পড়ানো হয়।
Table of Contents
KYC ফর্ম, গারনিশি আদেশ ও তার ফলাফল
KYC ফর্ম
ব্যাংক হিসাব খোলার সময় আবেদন ফর্মের সাথে যে ফর্ম বাধ্যতামূলকভাবে হিসাবগ্রহীতাকে পূরণ করতে হয় এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে হিসাবগ্রহীতা প্রদত্ত তথ্যের বিষয়ে যাচাই করে স্বাক্ষর দিতে হয় তাকে KYC ফর্ম বলে। KYC-এর পূর্ণরূপ হলো Know Your Customer। অর্থাৎ তোমার গ্রাহককে জানো। মানি লন্ডারিং আইন সব দেশে চালু হওয়ার পর থেকে ভুয়া নামে হিসাব খোলা ও অন্যায় লেনদেন নিয়ন্ত্রণের জন্য হিসাব খোলার সময় এ ধরনের ফর্ম পূরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এতে হিসাবগ্রহীতা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পরিচিতিমূলক প্রয়োজনীয় তথ্যের সাথে ব্যাংকে যে অর্থ জমা হবে তার উৎস কী, হিসাবগ্রহীতা কোন ধরনের কাজ বা ব্যবসায়ের সাথে জড়িত, গ্রাহকের মোট সম্পত্তির পরিমাণ, কীভাবে হিসাব খোলা হয়েছে, প্রত্যাশিত আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ, হিসাবগ্রহীতার তথ্য বিবেচনায় তার লেনদেনে ঝুঁকির মাত্রা ইত্যাদি বিষয় লেখা হয়।
এরূপ ফর্ম পূরণ ব্যাংক কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে সতর্কতা, সচেতনতা ও দায়বদ্ধতা বাড়িয়েছে। এতে ভুয়া নামে হিসাব খোলার প্রবণতা বন্ধ হয়েছে এবং অন্যায় লেনদেন বিশেষ করে সন্ত্রাসী বা জঙ্গী কর্মকান্ডে অর্থায়ন অনেকটা প্রতিরোধ করা গেছে। তাই ব্যাংক হিসাবের ক্ষেত্রে KYC -ফর্মের গুরুত্ব অপরিসীম।
চিত্র: গ্রাহক পরিচিতি ফর্ম
গ্রাহক সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে লেনদেন বা ব্যবসায় পরিচালনা করার ক্ষেত্রে KYC ফর্ম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । নিচে KYC ফর্মের গুরুত্ব তুলে ধরা হলো-
→ KYC ফর্মের মাধ্যমে গ্রাহকের সঠিক পরিচয় সনাক্ত করা যায় এবং নিশ্চিত হওয়া যায় যে, গ্রাহক কোনো রকম অবৈধ ও সন্ত্রাসী কাজের সাথে জড়িত আছে কি না।
→ গ্রাহক কী উদ্দেশ্যে ব্যাংকে হিসাব খুলতে আগ্রহী এবং তার লেনদেনের প্রকৃতি কেমন হবে ইত্যাদি তথ্য KYC -ফর্মের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। গ্রাহক একবারে কী পরিমাণ অর্থ তুলবে এবং জমা দিবে, এসব তথ্য KYC ফর্মের মাধ্যমে সংগ্রহ করায় লেনদেনে সচ্ছতা বজায় থাকে।
→ ব্যাংক KYC ফর্মের মাধ্যমে গ্রাহকের হিসাবকে শ্রেণিবিভাগ করে। যেমন: ঝুঁকিপূর্ণ হিসাব, কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসাব। কোনো গ্রাহক অস্বাভাবিক লেনদেন করে কি না, তা KYC -ফর্মে দেওয়া তথ্যের সাথে মিলিয়ে দেখতে পারে।
→ অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার মাধ্যমে গ্রাহক KYC- ফর্মে উল্লিখিত শর্ত অনুযায়ী লেনদেন করছে কি না, তা জানা যায় এর মাধ্যমে লেনদেনের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
তাই বলা যায়, গ্রাহকের সঠিক পরিচয় সনাক্তকরণে KYC- ফর্মের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

গারনিশি আদেশ
আদালত কর্তৃক ব্যাংক এর ওপর প্রদত্ত একটি আদেশ হলো গারনিশি অর্ডার।আদালত কর্তৃক কোনো পাওনাদারের পাশে যখন কোনো দেনাদারের (ব্যাংকের গ্রাহক) বিরুদ্ধে তার হিসাব বন্ধের জন্য একটি আদেশ জারি করা হয় তখন তাকে গারনিশি অর্ডার বলে।
KYC ফর্ম, গারনিশি আদেশ ও তার ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত :
আরও দেখুন: