[ADINSERTER AMP] [ADINSERTER AMP]

“সানী টিউব কোং কেস” [ কেস নং-৩৮ ]

“সানী টিউব কোং কেস” [ কেস নং-৩৮ ]

“সানী টিউব কোং কেস” [ কেস নং-৩৮ ]

সানী টিউব কোং কেস

মিসেস নাফিসা একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের শ্যালিকা। প্রথমিক পর্যায়ে তার একটি Trading ব্যবসা ছিল। পরবর্তীতে সে এই ব্যবসাটিকে Manufacturing ব্যবসায়ে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নিল, যার উৎপাদিত দ্রব্য হবে টিউব লাইট। এই প্রেক্ষিতে মিসেস নাফিসা ব্যাংকের কাছে ঋণের জন্য আবেদন জানাল।

ব্যাংক তখন মিসেস নাফিসার ব্যবসা দক্ষতা, প্রকল্প Critical Path বিশ্লেষণ বা অন্যান্য আর্থিক অবস্থা বিচার না করেই শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে তাকে ক্ষন মঞ্জুর করল। কিন্তু পরবর্তীতে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দক্ষ জনবল। অভিজ্ঞতার অভাবে সাফল্যের সাথে সানী টিউব প্রকল্প চালাতে ব্যর্থ হয়। দিনে দিনে তাদের ঋণের বোঝা (সুন+আসল) বাড়তে থাকে।

এদিকে পরিতাপের বিষয় যে, তখন কতিপয় রাজনীতিবিদের ক্ষমতাচ্যুত হয় এবং দেশে ব্যাপকভাবে মুক্ত বাজার অর্থনীতি চালু হয়। তখন দেখা যায় সানী টিউবের উৎপাদন খরচ প্রতি টিউব ১২০ টাকা আর বাজারে রয়েছে ৬৫/৭০ টাকা দামের বিদেশী টিউব। ফলস্বরূপ প্রতিযোগিতা দৌড়ে সানী টিউব” ব্যর্থ হয়।

এরূপ বিরূপ পরিস্থিতিতে ব্যাংকের অর্থ সাহায্য চাইলে, ব্যাংকগ লাগিয়ে আসেনি। যার প্রধান কারণ ছিল মি. নাফিসার আত্মীয় এখন ক্ষমতাচ্যুত এরূপ অসহযোগিতার কারণে সানী টিউব Sick | Industry তে পরিণত হয়, তথাপিও উদ্যোক্তা তার ব্যক্তিগত উৎস থেকে অর্থের যোগান দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যেতে থাকে। ব্যাংকিং-এর একজন ছাত্র অথবা ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা হিসেবে মতামত দিন।

সানী টিউব কোং কেস

“সিঙ্গাপুরী আলু ক্রেতা কেস” [ কেস নং-৩৯ ]

সিঙ্গাপুরের একজন আলু ক্রেতা বাংলাদেশের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সাথে আলু ক্রয়ের চুক্তি করে। বাংলাদেশের ঐ ব্যক্তি চুক্তিনামার ভিত্তিতে ব্যাংকের কাছে আট কোটি টাকার দলের আবেদন করেন। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঐ ক্ষণ প্রদানের পক্ষে মত প্রদান করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে ঐ উর্ধ্বতন ব্যক্তির সাথে প্রগ্রহীতার অন্য সম্পর্ক ছিলো। ব্যাংকের যে শাখা থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন ঐ শাখার ব্যবস্থাপক আট কোটি টাকা ঋণ দিতে অনীহা প্রকাশ করে।

তার প্রধান কারণ ছিল আকোনের সাথে কোন প্রভাব পত্র (LIC) সংযুক্ত করা ছিলো না। তারপরও ঐ শাখা ঋণ দিতে বাধ্য হয়। কোল্ড টোরেজে আলুর পরিমাণ, অবস্থা ইত্যাদি জানার জন্য আন্তর্জাতিক Inspection এজেন্সীর সাহায্যে রিপোর্ট তৈরি করা হয়। রিপোর্টে যে পরিমাণ আলুর কথা বলা হয়েছিলো তার থেকে বেশি পরিমাণ আলু রপ্তানির জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়। এই ক্ষণ প্রদানের সময় ব্যাংক দু’টি শর্ত আরোপ করে।

(১) ক্ষণ গ্রহীতাকে রপ্তানী স্বপ্ন নিশ্চয়তা (Export Gruarantee) গ্রহন করতে হবে এবং

(২) সাধারণ বীমা থেকে নৌবীমা গ্রহন করতে হবে।

উল্লেখিত শর্ত পূরণ করে ঋণ গ্রহীতা আলু রপ্তানীর জন্য জাহাজজাত করেন। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কিছু দূর গিয়ে জাহাজটি চরে আটকে যায় এবং জাহাক্সের শীতাতপ ব্যবস্থা বিকল হয়ে যায় এবং আলু পচে যায়। তারপর জাহাজটি সিঙ্গাপুর বন্দরে পৌছিলে পশু পরিদর্শন কর্তৃপক্ষ পণ্য পরিদর্শন করেন এবং ঐ পণ্য (আলু) খাওয়ার অযোগ্য ঘোষণা করেন। গ্রহীতা নিজেকে আইনগত দিক দিয়ে নিরাপদ রাখার জন্য জাহাজী দলিলপত্রাদি আমদানী কারকের ব্যাকে প্রেরণ করেন। কিন্তু আমদানীকারকের ব্যাংক অত্র ক্ষণ পরিশোধে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর গ্রহীতার ব্যাংক E.C.G এর জন্য আবেদন করলে সেট E.C.G এর আরোপিত শর্তের বলে নাকচ হয়ে যায়।

google news logo
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

সাধরণ বীমার নিকট ক্ষতিপূরণ দাবী করে আবেদন করলে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা করে বেশ কয়েকটি ত্রুটি ধরা পড়ে। তারমধ্যে প্রধান ত্রুটি হলো প্রকৃতপক্ষে পরিদর্শন রিপোর্ট অনুযায়ী যে পরিমাণ পণ্য জাহাজীজাত করার কথা বলা হয়েছিলো সে পরিমাণ পণ্য জাহাজীজাত করা হয়নি। এটা ছিলো “চূড়ান্ত সরল বিশ্বাস” এর পরিপন্থী। যে কারণে নৌবীমার দাবী সাধারণ বীমা প্রত্যাখ্যান করে এবং ঐ আট কোটি টাকা কু-ঋণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment